বুধবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮

কালিজিরা খাওয়ার উপকারিতা


কালিজিরা খাওয়ার উপকারিতা :-

কালোজিরা খুব পরিচিত একটি নাম। ছোট ছোট কালো দানাগুলোর মধ্যে সৃষ্টিকর্তা যে কী বিশাল ক্ষমতা নিহিত রেখেছেন তা সত্যি বিস্ময়কর।প্রাচীনকাল থেকে কালোজিরা মানবদেহের নানা রোগের প্রতিষেধক এবং প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।

কালোজিরায় কি আছে:

কালোজিরার মধ্যে রয়েছে ফসফেট, লৌহ,ফসফরাস, কার্বো-হাইড্রেট ছাড়াও জীবাণু নাশক বিভিন্ন উপাদান সমূহ।কালোজিরার রয়েছে ক্যন্সার প্রতিরোধক কেরোটিন ও শক্তিশালী হর্মোন, প্রস্রাব সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান, পাচক এনজাইম ও অম্লনাশক উপাদান এবং অম্লরোগের প্রতিষেধক।

ক্রিয়াক্ষেত্র:
মস্তিষ্ক, চুল, টাক ও দাঁদ, কান, দাঁত, টনসিল, গলাব্যথা,পোড়া নারাঙ্গা বা বিসর্গ, গ্রন্থি পীড়া, ব্রণ, যাবতীয় চর্মরোগ, আঁচিল, কুষ্ঠ, হাড়ভাঙ্গা, ডায়াবেটিস, রক্তের চাড় ও কোলেষ্টরেল, কিডনী, মুত্র ওপিত্তপাথরী, লিভার ও প্লীহা, ঠান্ডা জনিত বক্ষব্যাধি, হৃদপিন্ড ও রক্তপ্রবাহ, অম্লশূল বেদনা, উদরাময়, পাকস্থলী ও মলাশয়, প্রষ্টেট, আলসার ও ক্যান্সার।

চুলপড়া, মাথাব্যথা, অনিদ্রা,মাথা ঝিমঝিম করা, মুখশ্রী ওসৌন্দর্য রক্ষা, অবসন্নতা-দুর্বলতা, নিষ্কিয়তা ও অলসতা,আহারে অরুচি,মস্তিষ্কশক্তি তথা স্মরণশক্তি বাড়াতেও কালোজিরা উপযোগী।
কালোজিরার যথাযথ ব্যবহারে দৈনন্দিন জীবনে বাড়তি শক্তি অজির্ত হয়। কালোজিরার তেল ব্যবহারে রাতভর আপনি প্রশান্তিপর্ন নিদ্রা যেতে পারেন।কালোজিরার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

ওষুধ প্রস্তুত:
আগেই বলেছি আমরা কালোজিরার টীংচার, বড়ি ও তেল ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করছি। কখনো এককভাবে কখনো অন্য ওষুধের সাথে সংমিশ্রিত করে রোগীক্ষেত্র প্রয়োগ করে থাকি। কালোজিরা তেলের সাথে জলপাই তেল, নিম তেল, রসুনের তেল, তিল তেল মিশিয়ে নেয়া যায়। কালোজিরা আরক+কমলার রস।
ব্যবহার:কালোজিরা + পুদিনা চায়ের সাথে কালোজিরা কালোজিরা + রসুন + পেঁয়াজ কালোজিরা + গাজর

মাথাব্যথা:
মাথা ব্যথায় কপালে উভয় চিবুকে ও কানেরপার্শ্ববর্তি স্থানে দৈনিক ৩/৪বার কালোজিরার তেল মালিশ করূন। ৩ দিন খালি পেটে চা চামচে এক চামচ করে তেল পান করুন।

সচরাচর মাথাব্যথায় মালিশের জন্য রসুনের তেল, তিল তেল ও কালোজিরার তেলের সংমিশ্রণ মাথায় ব্যবহার করুন। হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ন্যাট্রম মিউর ও ক্যালকেরিয়া ফসের মধ্যে লক্ষণ মিলিয়ে একটা হোমিওপ্যাথিক ও অপরটা বায়োকেমিক হতে প্রয়োগ করুন। প্রয়োজনবোধে প্রথমে বেলেডোনা ব্যবহার করে নিতে পারেন।

চুলপড়া:
লেবু দিয়ে সমস্ত মাথার খুলি ভালোভাবে ঘষুণ। ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ও ভালোভাবে মাথা মুছে ফেলুন। তারপর মাথার চুল ভালোভাবে শুকানোর পর সম্পুর্ন মাথার খুলিতে কালোজিরার তেল মালিশ করুন।

১ সপ্তাতেই চুলপড়া বন্ধ হবে।মাথার যন্ত্রনায় কালোজিরার তেলের সাথে পুদিনার আরক দেয়া যায়। এক্ষেত্র পুদিনার টীংচার রসুনের তেল, তিলতেল, জলপাই তেল ও কালোজিরার তেল একসাথে মিশিয়েও নেয়া যেতে পারে।

কফ ও হাঁপানী:
বুকে ও পিঠে কালোজিরার তেল মালিশ। এক্ষেত্রে হাঁপানীতে উপকারী অন্যান্য মালিশের সাথে এটা মিশিয়েও নেয়া যেতে পারে। রীতিমতো হোমোওপ্যাথিক ওষুধ আভ্যন্তরীন প্রয়োগ।

স্মরণশক্তি ও ত্বরিত অনুভুতি:
চা চামচে ১ চামচ কালোজিরার তেল ও ১০০ গ্রাম পুদিনা সিদ্ধ ১০দিন সেব্য। পাশাপাশি ক্যালকেরিয়া ফস ১২এক্স, ৩০এক্স দিনে ৩ বার ৪ বড়ি করে। সামান্য ঈষদোষ্ণ পানি সহ সেবন।কালোজিরার টীংচার ও পুদিনার টীংচারের মিশ্রণ দিনে ৩ বার ১৫-২০ ফোটা করে আহারের ১ঘন্টা আগে এবং ১ ঘন্টা পরে ক্যালকেরিয়া ফস ১২এক্স ও ৪বড়ি করে। প্রয়োজন বোধে ক্যালি ফস ১২এক্স ও একসঙ্গে দেয়া যেতে পারে।

ডায়াবেটিস:
কালোজিরার চূর্ণ ও ডালিমের খোসাচূর্ণ মিশ্রন, কালোজিরার তেল ডায়াবেটিসে উপকারী। রোগীর অবস্থানুযায়ী অন্যান্য হোমিওপ্যাথিক মাদার ও ভেষজ সহ ব্যবস্থেয়।

কিডনির পাথর ও ব্লাডার ২৫০ গ্রাম কালোজিরা ও সমপরিমান বিশুদ্ধ মধু। কালোজিরা উত্তমরূপে গুড়ে করে মধুর সাথে মিশ্রিত করে দুই চামচ মিশ্রন আধাকাপ গরম পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন আধা চা কাপ পরিমাণ তেলসহ পান করতে হবে।

কালোজিরার টীংচার মধুসহ দিনে ৩/৪ বার ১৫ ফোটা করে সেবন। পযায়ক্রমে বার্বারিস মুল আরক বা নির্দেশিত হলে অন্য কোন হোমিও অথবা বায়োকেমিক ওষুধের পাশাপাশি।

মেদ ও হৃদরোগ/ধমনী সংকোচন চায়ের সাথে নিয়মিত কালোজিরা মিশিয়ে অথবা এর তেল বা আরক মিশিয়ে পান করলে হৃদরোগে যেমন উপকার হবে, তেমনি মেদ ও বিগলিত হবে।

অ্যাসিডিটি ও গ্যাসষ্ট্রিক এককাপ দুধ ও এক বড় চামচ কালোজিরার তেল দৈনিক ৩বার ৫-৭ দিন সেবনে আরোগ্য হয়। চোখেরপীড়া রাতে ঘুমোবার আগে চোখের উভয়পাশে ও ভুরূতে কালোজিরার তেল মালিশ করূন এবং এককাপ গাজরের রসের সাথে একমাস কালোজিরা তেল সেবন করুন।

নিয়মিত গাজর খেয়ে ও কালোজিরা টীংচার সেবনে আর তেল মালিশে উপকার হবে। প্রয়োজনে নির্দেশিত হোমিও ও বায়োকেমিক ওষুধ সেবন।

উচ্চরক্তচাপ যখনই গরম পানীয় বা চা পান করবেন তখনই কালোজিরা কোন না কোন ভাবে সাথ খাবেন। গরম খাদ্য বা ভাত খাওয়ার সময় কালোজিরার ভর্তা খান।

এ উভয় পদ্ধতির সাথে রসুনের তেল সাথে নেন। সারা দেহে রসুন ও কালোজিরার তেল মালিশ করুন। কালোজিরা, নিম ও রসুনের তেল একসাথে মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করুন। ভালোমনে করলে পুরাতন রোগীদের ক্ষেত্রে একাজটি ২/৩ দিন অন্তরও করা যায়। ডায়রিয়া সেলাইন ও হোমিও ওষুধের পাশাপাশি ১ কাপ দই ও বড় এক চামচ কালোজিরার তেল দিনে ২ বার ব্যবস্থেয়। এর মুল আরকও পরী্ক্ষনীয়।

জ্বর সকাল-সন্ধায় লেবুর রসের সাথে ১ বড় চামচ কালোজিরা তেল পান করুন আর কালোজিরার নস্যি গ্রহন করুন। কালোজিরা ও লেবুর টীংচার (অ্যাসেটিক অ্যাসিড) সংমিশ্রন করেও দেয়া যেতে পারে।

যৌন-দুর্বলতা কালোজিরা চুর্ণ ও যয়তুনের তেল (অলিভ অয়েল), ৫০ গ্রাম হেলেঞ্চার রস ও ২০০ গ্রাম খাটি মধু = একত্রে মিশিয়ে সকাল খাবারের পর ১চামচ করে সেব্য। কালোজিরার মূল আরক, হেলেঞ্চা মুল আরক, প্রয়োজনীয আরো কোন মুল আরক অলিভ অয়েল ও মধুসহ পরীক্ষনীয়।

স্ত্রীরোগ, প্রসব ও ভ্রুন সংরক্ষণ কালোজিরা মৌরী ও মধু দৈনিক ৪ বার সেব্য।স্নায়ুবিক উত্তেজনা কফির সাথে কালোজিরা সেবনে দুরীভুত হয়। চেহারার কমনীয়তা ও সৌন্দর্যবৃদ্ধি অলিভ অয়েল ও কালোজিরা তেল মিশিয়ে অঙ্গে মেখে ১ ঘন্টা পর সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলন।

উরুসন্ধি প্রদাহ স্থানটি ভালভাবে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিয়ে ৩দিন সন্ধায় আক্রান্ত স্থানে কালোজিরা তেল লাগান সন্ধ্যায়, সকালে ধুয়ে নিন। ছুলি/শ্বেতী আক্রান্ত স্থানে আপেল দিয়ে ঘষে কালোজিরা তেল লাগান। ১৫দিন হতে ১মাস।আঁচিল হেলেঞ্চা দিয়ে ঘষে কালোজিরা তেল লাগান। হেলেঞ্চা মুল আরক মিশিয়ে নিলেও হবে। সাথে খেতে দিন হোমিও ওষুধ।

পিঠ ও বাত আক্রান্ত পিঠে ও অন্যান্য বাতের বেদনায় কালোজিরার তেল মালিশ করুন। খেতে দিন কোন নির্বাচিত হোমিওপ্যাথি ওষুধ।সকল রোগের প্রতিষেধক মধুসহ প্রতিদিন সকালে কালোজিরা সেবনে স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও সকল রোগ মহামারী হতে রক্ষা পাওয়া যায়।

নিয়মিত কালোজিরা সেবনে চুলের গোড়ায় পুষ্টি ঠিকমতো পায়, ফলে চুলের বৃদ্ধি ভালো হয় এবং চুল পড়া বন্ধ হয়। নিয়মিত অল্প পরিমাণ কালোজিরা খেলে মস্তিষ্ক এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের রক্ত সঞ্চালন ও বৃদ্ধি সঠিকভাবে হয় এবং সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে।

মঙ্গলবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮

প্রতিবেদন লেখা



বাংলা দ্বিতীয় পত্র এইচ এস সি - প্রতিবেদন তৈরীর নমুনা

১। তোমার বিদ্যালয়ের লাইব্রেরি জরিপ করে একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করো।
অথবা, তোমার বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার সম্পর্কে প্রধান শিক্ষক বরাবর একটি প্রতিবেদন প্রস্তুত করো।

বরাবর
প্রধান শিক্ষক
বড়াইল হাই স্কুল, রাজশাহী।
বিষয় : লাইব্রেরি জরিপবিষয়ক প্রতিবেদন প্রসঙ্গে।

জনাব
বিনীত নিবেদন এই যে, আপনার প্রেরিত পত্র নং-২০১৬/৩/২৭-ক-১-এর পরিপ্রেক্ষিতে ‘বিদ্যালয় গ্রন্থাগারের বর্তমান অবস্থা’ শীর্ষক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছি। আপনার সদয় অবগতির জন্য প্রতিবেদনটি পেশ করছি। বিদ্যালয় গ্রন্থাগার সংস্কার জরুরি

বড়াইল হাই স্কুল গ্রন্থাগারটি ১৯৯০ সালে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময়ই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু প্রয়োজনীয় বইপত্র ক্রয় না করায় এর আশানুরূপ উন্নতি সাধিত হয়নি। শিক্ষার্থীর সংখ্যা এবং বইয়ের প্রয়োজনীয়তা বাড়লেও বইয়ের সংখ্যা বাড়েনি; বরং কমেছে। তা ছাড়া বিদ্যালয়ের আর্থিক দীনতার কারণে গ্রন্থাগারের জন্য ব্যয় বরাদ্দ কখনো যথেষ্ট ছিল না।

১। কিছু অসৎ কর্মচারীর কারসাজিতে গুরুত্বপূর্ণ বইগুলো গ্রন্থাগার থেকে চুরি হয়েছে।
২। গ্রন্থাগার গঠনকালে কোনো প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক না থাকায় সুষ্ঠুভাবে তা গড়ে ওঠেনি।
৩। বইয়ের তালিকা তৈরিতে কোনো বিজ্ঞানসম্মত পন্থা অনুসৃত হয়নি। দশমিক পদ্ধতি সম্পর্কে গ্রন্থাগারিক অনভিজ্ঞ বলে আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়নি।
৪। পুস্তকের রক্ষণাবেক্ষণে তেমন কোনো সচেতনতা নেই। বিদ্যালয় লাইব্রেরিতে ক্যাটালগ নেই, বই ইস্যু এবং ফেরত নেওয়ার ব্যাপারেও অব্যবস্থাপনা বিদ্যমান।
এসব অবস্থা থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে গ্রন্থাগারটি কলেজের জন্য তেমন কোনো উপকারে আসেনি। এ অবস্থায় নিম্নোক্ত সুপারিশ পেশ করছি, যার বাস্তবায়নে গ্রন্থাগারটি যথার্থ উপকারে আসতে পারে—

ক) অনতিবিলম্বে গ্রন্থাগারের সব পুস্তকের হিসাব গ্রহণ করে দশমিক পদ্ধতিতে তালিকা তৈরি করা দরকার।
খ) ছাত্রদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য আরো বইপত্র সংগ্রহ করা জরুরি। বিষয় নির্বাচনে বিশেষ তত্পর হতে হবে।
গ) বইপত্র বাড়িতে ইস্যু করা ও পাঠাগারে পড়ার ব্যবস্থা করতে হবে এবং প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে ছাত্রছাত্রীদের দুই ধরনের গ্রন্থাগার কার্ড ইস্যু করতে হবে।
ঘ) বই রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থা করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা থাকতে হবে।
ঙ) গ্রন্থাগারের জন্য স্বতন্ত্র তহবিল গড়ে তুলতে হবে এবং তাতে শিক্ষার্থীদের বার্ষিক চাঁদা দিতে হবে।
এ প্রতিবেদন তৈরিতে যেসব শিক্ষক ও ছাত্র সহায়তা করেছেন, তাঁদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

প্রতিবেদনের শিরোনাম:বিদ্যালয় গ্রন্থাগার সংস্কার জরুরি
প্রতিবেদকের নাম:ও ঠিকানা:অ,ক,হাইস্কুল
প্রতিবেদকের স্থান: অ ,ক হাইস্কুল রাজশাহী
তারিখ:২২জুন ২০১৮ইং
প্রতিবেদন তৈরীর সময়:সকাণ ১০ঘটিকা



২। তোমার বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের বর্ণনা দিয়ে একটি প্রতিবেদন লেখো।

বরাবর
প্রধান শিক্ষক
c বিদ্যালয়, saver।

বিষয় : বিদ্যালয় ছাত্র সংসদ আয়োজিত বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ সম্পর্কিত প্রতিবেদন।

জনাব
সম্প্রতি সমাপ্ত বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন তৈরিতে আদিষ্ট হয়ে নিম্নলিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করছি (আদেশ নং বি. ক/১০২ (৪) ২০১৬)।

সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উদ্‌যাপন

১। গত ১৫ থেকে ২২ এপ্রিল ২০১৬ তারিখ পর্যন্ত বিদ্যালয়ের বার্ষিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সপ্তাহ উদ্যাপিত হয়।

২। বিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সারা বছর নিয়মিত লেখাপড়ার পর নতুন বছরের এ সময়ে প্রতিযোগিতার এ আয়োজন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।

৩। যেসব বিষয়ে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে তা হলো—কবিতা আবৃত্তি, বিতর্ক, নির্ধারিত বক্তৃতা, উপস্থিত বক্তৃতা, গল্প বলা, রবীন্দ্রসংগীত ও নজরুলগীতি, আধুনিক গান, পল্লীগীতি ইত্যাদি।

৪। বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিষয় ছিল ‘অসামঞ্জস্যপূর্ণ শিক্ষানীতিই নকলপ্রবণতার জন্য দায়ী’। এ প্রতিযোগিতায় নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় সভাপতির আসন অলংকৃত করেন প্রখ্যাত লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল। এ প্রতিযোগিতায় নবম শ্রেণির প্যানেল বিজয়ী হয়। তারা বিষয়ের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল।

৫। বিদ্যালয়ের সব শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বিতর্ক প্রতিযোগিতার পাশাপাশি অন্যান্য প্রতিযোগিতায়ও অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীর মোট সংখ্যা ছিল ১১০ জন। সব ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক এ প্রতিযোগিতায় উপস্থিত থেকে অংশগ্রহণকারীদের উৎসাহিত করেন।

৬। প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের পুরস্কৃত করার ব্যবস্থা ছিল। পুরস্কার হিসেবে বাছাইকৃত ও প্রয়োজনীয় বই প্রদান করা হয়েছে। শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগী হিসেবে দশম শ্রেণির সুলতানা রাজিয়া পুরস্কৃত হয়েছে।

৭। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রখ্যাত লেখক ও সাহিত্যিক ড. আশরাফ সিদ্দিকী।

প্রতিবেদনের শিরোনাম:বিদ্যালয় গ্রন্থাগার সংস্কার জরুরি
প্রতিবেদকের নাম:ও ঠিকানা:অ,ক,হাইস্কুল
প্রতিবেদকের স্থান: অ ,ক হাইস্কুল রাজশাহী
তারিখ:২২জুন ২০১৮ইং
প্রতিবেদন তৈরীর সময়:সকাণ ১০ঘটিকা



বি:দ্র:
প্রতিবেদন লিখতে হলে আবেদনপত্রের মতো একটা সংক্ষিপ্ত সংযুক্ত পত্র লেখা উত্তম। তবে এক্ষেত্রে সূত্র নম্বর (যেমন : ক. হা. স্কুল, বাসাসাস/০৪/০২/২০১৫) অবশ্যই লিখতে হবে। অতঃপর পরের পৃষ্ঠায় উপরের মাঝে শিরোনাম লিখে তিন- চারটি প্যারায় মূল বক্তব্য লিখে নিচে প্রতিবেদকের নাম, ঠিকানা, প্রতিবেদন তৈরির স্থান ও সময় অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। আর সংবাদপত্রে প্রতিবেদন লিখতে হলে সূত্র নম্বর লেখা যাবে না।

পুদিনা পাতার গুনাবলী


জেনে নেন পুদিনা পাতার ১০ গুণাবলী

এখন বাজারে খুব সহজলভ্য পুদিনা পাতা। রান্নায় পুদিনা পাতার কদর তো আছেই, কিন্তু ঔষধি হিসেবে এই পাতার বহুল ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকেই। যা অনেকের অজানা। এছাড়া রূপচর্চার উপাদান হিসেবেও ব্যবহৃত হয়ে থাকে পুতিনা পাতা। আর যত দিন যাচ্ছে তত গবেষণা হচ্ছে পুদিনা ও পুদিনার মতো ভেষজ উদ্ভিদ নিয়ে। এ কারণে আজ কথা বলব পুদিনা পাতার গুরত্বপূর্ণ গুণাবলী নিয়ে।

গুণাবলী:

১) রোদে পোড়া ত্বকের জ্বালা কমাতে পুদিনা পাতার রস ও অ্যালোভেরার রস এক সাথে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন সানবার্নের জ্বালা গায়েব।

২) আশ্চর্যজনক হলেও পুদিনা পাতার গুণ খুব সত্যি। বহু বিজ্ঞানীদের দাবি, পুদিনা পাতা ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষমতা রাখে। পুদিনা পাতার পেরিলেল অ্যালকোহল যা ফাইটো নিউট্রিয়েন্টসের একটি উপাদান দেহে ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধিতে বাধা প্রদান করে।

৩) ব্রণ দূর করতে ও ত্বকের তেলতেলে ভাব কমাতে তাজা পুদিনা পাতা বেটে ত্বকে লাগান। দশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ব্রণের দাগ দূর করতে প্রতিদিন রাতে পুদিনা পাতার রস লাগান। সম্ভব হলে সারারাত রাখুন। যদি সম্ভব না হয়, তাহলে কমপক্ষে ২/৩ ঘণ্টা রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। মাসখানেক এইভাবে লাগালে ব্রণের দাগ উধাও হয়ে যাবে।

৪) চুলে উকুন হলে পুদিনার শেকড়ের রস লাগাতে পারেন। উকুনের মোক্ষম ওষুধ হল পুদিনার পাতা বা শেকড়ের রস। গোটা মাথায় চুলের গোড়ায় এই রস ভাল করে লাগান। এরপর একটি পাতলা কাপড় মাথায় পেঁচিয়ে রাখুন। এক ঘণ্টা পর চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দু বার এটা করুন। এক মাসের মধ্য চুল হবে উকুনমুক্ত।

৫) সর্দি হলে নাক বুজে যাওয়া, শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো মারাত্মক কষ্ট পান অনেকেই। সেই সময় যদি পুদিনা পাতার রস খান, তাহলে এই কষ্ট থেকে রেহাই পাবেন নিমেষে। যাঁরা অ্যাজমা এবং কাশির সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের তাৎক্ষণিক উপশমে পুদিনা পাতা বেশ কার্যকরী। খুব বেশি নিঃশ্বাসের এবং কাশির সমস্যায় পড়লে পুদিনা পাতা গরম জলে ফুটিয়ে সেই জলেরর ভাপ নিতে পারেন। ভাপ নিতে অসুবিধা হলে গার্গল করার অভ্যাস তৈরি করুন।

৬) গোলাপ, পুদিনা, আমলা, বাঁধাকপি ও শশার নির্যাস একসঙ্গে মিশিয়ে টোনার তৈরি করে মুখে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। মসৃণও হয়।

৭) পুদিনা পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, যা পেটের যে কোনও সমস্যার সমাধান করতে পারে খুব দ্রুত। যাঁরা হজমের সমস্যা এবং পেটের ব্যথা কিংবা পেটের নানান সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাঁরা খাবার কাওয়ার পর ১ কাপ পুদিনা পাতার চা খাওয়ার অভ্যাস করুন। ৬/৭টি তাজা পুদিনা পাতা গরম জলে ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে খুব সহজে পুদিনা পাতার চা তৈরি করতে পারেন ঘরের মধ্যেই।

৮) গরমকালে শরীরকে ঠাণ্ডা রাখাতে পুদিনার রস খুব ভাল। গোসলের আগে জলের মধ্যে কিছু পুদিনা পাতা ফেলে রাখুন। সেই জল দিয়ে স্নান করলে শরীর ও মন চাঙ্গা থাকে।

৯) এই পাতার রস ত্বকের যে কোনো সংক্রমণকে ঠেকাতে অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করে। শুকনো পুদিনা পাতা ফুটিয়ে পুদিনার জল তৈরি করে ফ্রিজে রেখে দিন। এক বালতি জলে দশ থেকে পনেরো চামচ পুদিনার জল মিশিয়ে স্নান করুন। গরমকালে শরীর থেকে ব্যাকটেরিয়া-জনিত বিশ্রী দুর্গন্ধের হাত থেকে রেহাই পেতে এটা ট্রাই করতে পারেন। কেননা পুদিনাতে রয়েছে অ্যাস্ট্রিনজেন্ট। ঘামাচি, অ্যালার্জিও হবে না।

১০) তাৎক্ষণিক যে কোনও ব্যথা থেকে রেহাই পেতে পুদিনা পাতার রস খুব উপকারী। চামড়ার ভেতরে গিয়ে নার্ভে পৌঁছে নার্ভে পৌঁছায় এই রস। তাই মাথা ব্যথা বা জয়েন্টে ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পুদিনা পাতা ব্যবহার করা যায়। মাথা ব্যথা হলে পুদিনা পাতার চা পান করতে পারেন। অথবা তাজা কিছু পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। জয়েন্টে ব্যথায় পুদিনা পাতা বেটে প্রলেপ দিতে পারেন।

শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

কফ থেকে মুক্তির উপায়


প্রচলিত ঘরোয়া চিকিৎসা

শীত কিংবা বাহিরের ধুলাবালির কারণে ঠাণ্ডা লেগে সর্দি কাশি ও বুকে কফ জমার মতো সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই।খুব বেশী কফ জমে থাকার কারণে শ্বাসকষ্টও দেখা দেয়।তবে শুধু বড় মানুষরা না, বাচ্চারাও এই সমস্যার ভুক্তভুগী।
বুকে জমে থাকা এই কফ দূর করার জন্য রয়েছে কিছু অসাধারণ ঘরোয়া উপায়। চলুন, দেখে নেওয়া যাক -

আদা: বুকে জমে থাকা কফ দূর করতে আদা খুব ভালো কাজে দেয়। আদা চা কিংবা আদা পানি খেলে এই সমস্যার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আদা পানির জন্য এক গ্লাস গরম পানিতে আদা কুচি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। পানি ভালোভাবে ফুটে উঠলে আদা ছেঁকে নিন এবং কুসুম গরম থাকা অবস্থায় খেয়ে ফেলুন।এছাড়া শুষ্ক কাশি এবং গলা খুসখুস ভাব কমানোর জন্য একটুকরো আদা মুখে নিয়ে রেখে দিতে পারেন।

লেবু ও মধুর সিরাপ: এক চামচ মধুর সাথে লেবুর রস ও দারুচিনি গুঁড়া মিশিয়ে একটি সিরাপ তৈরি করুন। যখনই গলা খুসখুস করবে বা কফের কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হবে তখনই এই সিরাপটি খেয়ে নিন। তাছাড়া কুসুম গরম পানিতে লেবু ও এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে গলা পরিষ্কার থাকে।

হলুদ: শুধু অ্যান্টিসেপ্টিক নয়, হলুদে আছে কারকিউমিন নামক উপাদান যা জমে থাকা কফ দ্রুত বের করতে সাহায্য করে।এতে থাকা অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান গলা ব্যথা, বুকে ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন কুলকুচি করার জন্য এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন।অথবা এক গ্লাস দুধে আধা চা চামচ হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে জ্বাল দিয়ে এর সাথে মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন।

তরল খাবার: বুকে কফ জমে থাকার কারণে খাবারের কষ্ট হয়।তাই এই সময় বেশি করে তরল এবং গরম খাবার খেলে আরাম পাওয়া যায়। সারাদিন প্রচুর পানি, জুস, মুরগী ও সবজির স্যুপ বা তুলসী পাতার চা পান করুন।

গড়গড়া করা: গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করলে গলা ব্যথা কমে যায়। এজন্য এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে আধা চা চামচ লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করুন। এভাবে দিনে অন্তত তিনবার গড়গড়া করার চেষ্টা করুন। এটি কাশি কমাতে বেশ কার্যকর একটি ঘরোয়া উপায়।

গরম পানির ভাপ: ফুটন্ত গরম পানিতে মেন্থল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। চুলা থেকে পানি নামিয়ে একটি বড় তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে নিন এবং ঘন ঘন শ্বাস নিন।এভাবে অন্তত ১০ মিনিট করে দিনে ২ বার ভাপ নিন। এতে বন্ধ থাকা নাক খুলে যাবে এবং বুকে জমে থাকা কফ বের হয়ে আসবে।

  • First item
  • Second item
  • Third item
  • Fourth item
  • গরম দুধ: গরম দুধে মধু, হলুদ, গোলমরিচ মিশিয়ে খাওয়া বুক কফ জমা ও সর্দি-কাশি সারাতে অত্যন্ত উপকারী। হলুদে আছে ব্যাকটেরিয়া ও সংক্রমণ রোধকারী উপাদান, গোলমরিচ হজমে সাহায্য করে, সারায় কফ ও সর্দি। প্রতিদিন দুবার পান করতে হবে।

    কুসুম গরম পানি পান: ঠাণ্ডা লাগলে কুসুম গরম পানি পান করলে গলায় আরাম হয়। বুকে জমা কফও সেরে উঠতে থাকে ক্রমেই। শ্বাসনালী ও বুকে জমে থাকা সর্দি গলিয়ে ফেলতে কুসুম গরম পানি অত্যন্ত কার্যকর।
    মুরগী ও সবজির স্যুপ খান। তবে ঘন স্যুপের চাইলে পাতলা ও স্বচ্ছ স্যুপ খাওয়া ভালো।

    গরম পানি দিয়ে গড়গড়া: বুকে জমা কফ ও গলার সমস্যা সারাতে এই পদ্ধতি সম্ভবত সবচাইতে বেশি প্রচলিত। এক গ্লাস গরম পানিতে আধা টেবিল-চামচ লবণ মিশিয়ে এক থেকে দুই মিনিট গড়গড়া করতে হবে। দিনে তিন থেকে চারবার পদ্ধতিটি অনুসরণ করলে বেশি উপকার মিলবে। তবে এই পানি গিলে ফেলা যাবে না। চা: আদা, পুদিনা-পাতা, ক্যামোমাইল, রোজমেরি মিশিয়ে চা বানিয়ে পান করাও এক্ষেত্রে বেশ উপকারী। চিনির বদলে মধু ব্যবহার করলে মিলবে বাড়তি উপকার। চা ভালো না লাগলে আদা চিবিয়ে খেতে পারেন।

    বাষ্প: পানিতে ইউক্যালিপ্টাস তেল মিশিয়ে তার বাষ্প নিশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করলে বুকে জমা কফ দূর করতে সাহায্য করবে। বাষ্প নেওয়ার সময় জোরে শ্বাস নিতে হবে, বন্ধ নাক ও বুকে জমা কফের অস্বস্তি থেকে আরাম মিলবে দ্রুত। ইউক্যালিপ্টাস তেলে আছে যন্ত্রণানাশক ও ব্যাকটেরিয়া রোধকারী উপাদান যা এতে সহায়ক।

    ব্ল্যাক কফি: অস্বস্তি থেকে সাময়িক আরাম মেলে ব্ল্যাক কফি পান করলে। আর জমে থাকা সর্দি গলাতেও উপকারী। তবে দিনে দুই কাপের বেশি পান করা যাবে না, কারণ অতিরিক্ত ক্যাফেইন স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

    পেঁয়াজের নির্যাস: এতে থাকা ‘কুয়ারসেটাইন’ সর্দি দূর করে এবং আবার জমতে বাধা দেয়, সংক্রমণ থেকেও বাঁচায়। পেঁয়াজের রস বের করে তাতে লেবুর রস, মধু ও পানি মিশিয়ে নিতে হবে। পরে কুসুম গরম করে পান করতে হবে প্রতিদিন তিন থেকে চারবার।

    গরম পানির ভাপ : ফুটন্ত গরম পানিতে মেন্থল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। চুলা থেকে পানি নামিয়ে একটি বড় তোয়ালে দিয়ে মাথা ঢেকে নিন এবং ঘন ঘন শ্বাস নিন। এভাবে অন্তত ১০ মিনিট করে দিনে ২ বার ভাপ নিন। এতে বন্ধ থাকা নাক খুলে যাবে এবং বুকে জমে থাকা কফ বের হয়ে আসবে।

    অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার গলার কফ সরাতে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার দারুন কাজ করে। এক কাপ কুসুম গরম পানিতে দুই চা চামচ বিশুদ্ধ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে এক চা চামচ মধু মেশান। এইবার এই পানীয় দিনে তিনবার পান করুন। দেখবেন বুকের কফ অনেক কমে গেছে

    তবে ঘরোয়া এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহারের আগে উপকরণগুলোতে ব্যক্তিগত সমস্যা আছে কিনা তা নিশ্চিত হতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।