বহুনির্বাচনী নমুনা প্রশ্ন:
১.মেসোপটেমিয়া শব্দের অর্থ কী ?
ক.একাধিক নদী বিধৌত উর্বর ভূমি খ.ইউফেটিসের পশ্চিম তীর
গ.দুই নদরি মধ্যবর্তী স্থান ঘ.টাইগ্রিসের পূর্বাঞ্চল
উত্তর দুই নদরি মধ্যবর্তী স্থান
২.সুমেরীয়দের বিখ্যাত উদ্ভাবন কোনটি ?
ক.আগুন আবিস্কার খ.লোহা আবিস্কার
গ.চাকা আবিস্কার ঘ.বর্ণ আবিষ্কার
উত্তর ঘ. বর্ণ আবিষ্কার
৩.কোন শাসকের আমলে রোমে খৃষ্ট ধর্ম রাষ্ট্রধর্মের মর্যাদা লাভ করে ?
ক.অগাস্টাস খ.জুলিয়াস সিজার
গ.কনস্টানটাইন ঘ.ডুঙ্গি
উত্তর গ.কনস্টানটাইন
৪.সুমেরীয় চিত্রকলার প্রকাশ ঘটে কিভাবে?
ক. যুদ্ধাস্ত্রের মাধ্যমে খ.পিড়ামিডের মাধ্যমে
গ.পান পাত্রের মাধ্যমে ঘ. খোদাই মূর্তির মাধ্যমে
উত্তর ঘ. খোদাই মূর্তির মাধ্যমে
৫.বদরের যুদ্ধ সংগঠিত হয় ?
ক.৬২২ খ্রিস্টাব্দে খ.৬২৩ খৃ:
গ.৬২৪ খৃ: ঘ.৬২৫খৃ:
৭.হিজরী সাল প্রবর্তরে কারণ হচ্ছে
ক.ইসলামি পঞ্জিকা তৈরী খ.ইসলামের প্রসার ঘটানো
গ.হিজরতের ঘটনাকো স্মরন করে রাখা ঘ. মদিনা রাষ্ট্রের মর্যাদা বৃদ্ধি
উত্তর গ.হিজরতের ঘটনাকো স্মরন করে রাখা
৮.হযরত মুহাম্মদ (স.) মদিনা সনদ প্রণয়ন করেন । এত তার কো ন গুণটি পরিলক্ষিত হয ?
ক. ধৈর্যাশীলতা খ. সমাজ সচেনতা
গ.রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ঘ. ধর্মীয় অনুশাসন
উত্তর গ.রাজনৈতিক দূরদর্শিতা
৯.মহানবী (স.) কর্তৃক গঠিত শন্তি সংঘের নাম কী ?
ক.যুব সংঘ খ. সমাজ উন্নয় কমিটি
গ.হিল ফুল ফুজুল ঘ.দারুল নদওয়া
উত্তর গ.হিল ফুল ফুজুল
১০. উহুদের যুদ্ধে মুসলমানদের পরাজয়ের কারণ কী ছিল ?
ক.গনিমাহ লাভের স্পৃহা খ.হামজা রা: এর শাহাদাৎ বরণ
গ.নেতার নির্দেশ অমান্য ঘ.কুরাইশ সৈন্যের সংখ্যাধিক্য
উত্তর ক.গনিমাহ লাভের স্পৃহা
১১.মিসর বিজয়ী মুসলিম সেনাপতির নাম কি ?
ক. খালিদ বিন ওয়ালিদ খ. আবু ওবায়দা
গ. আমর বিন অলআস ঘ. সাদ বিন আবিওয়াক্কাস
উত্তর ক. খালিদ বিন ওয়ালিদ
১২.কার শাসনামলে রিদ্দা যুদ্ধ হয় ?
ক. হযরত আবু বকর ( বা:) খ. হযরত ওমর (বা:)
গ.হযরত আলী রা: ঘ. হয়রত মুয়াবিয়া (রা:)
১) হেনরি ইউরোপের যে দেশের নাগরিক সেই দেশের বিখ্যাত রানী একটি গুরুত্বপূর্ণ আইন তৈরী করে ভিক্ষাবৃত্তি নিষিদ্ধ করেন । তারপরও হেনরি দারিদ্র্যের করণে ভিক্ষা করতে থাকে । একদিন গির্জার পাশে তিক্ষারত অবস্থায় পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে একটি স্থানে রেখে কাজ করতে বাধ্য করে । কিন্তু পরিবেশ ভালো না থাকায় সে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং ভবিষ্যতে সে স্বাবলম্বী হতে পারেনি।
ক. বিভারিজ কে ছিলেন?
খ. শিল্পবিপ্লব বলতে কী বোঝ ?
গ. উদ্দীপকে রানী প্রণীত আইনের নাম কী ? উক্ত আইনের বিধানগুলো চিহ্নিত কর ।
ঘ. উক্ত আইনটির দরিদ্রদের কল্যাণের সাথে বেশ কিছু অকল্যাণও বয়ে আনে ।”তোমার পাঠ্যবইয়ের আলোকে আলোচনা কর ।
২) শান্ত পবিত্র শব-ই-বরাত রাতে বায়তুল মোকাররম মসজিদে নামাজ পড়তে যায় । মসজিদের চারপাশে ইতে ভিক্ষুক দেখে সে অবাক হয় । এ রাতের দুশ্য দেখে তার মনে হয় দেশের অধিকাংশ মানুষ যেন ভিক্ষুক । অনেক সক্ষম মানুষও এখানে নানা সাজে সেজে ভিক্ষা করছে । শান্ত মনে করে , এ রক ম পরিস্থিতিতেই ইংল্যান্ডে একটি আইন পাস হয়েছিল ,সেটি সমাজকর্মের ইতহাসে মাইল ফলক । সেমনে করে , বাংলাদেশেও এরূপ আইন প্রণয়ন জরুরি।
ক. দরিদ্র আইন কী ?
খ. দারিদ্র্য নিরসসনে দরিদ্র আইনের ভূমিকা ব্যাখ্যা কর ।
গ. উদ্দীপকে শান্ত ইংল্যান্ডের কোন আইনের প্রতি ইঙ্গিত করেছে ? ব্যাখ্যা কর ।
গ. উদ্দীপকে শান্ত যে আইনের প্রতি ইঙ্গিত করেছে সেটি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া কীরূপ ?অালোচনা কর ।
৩) জনাব সাইফুল ইসলাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান । সম্প্রতি তার জেলণায় ভিক্ষাবৃত্তি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায় । সে জন্যে তিনি একটি আইন পাশ করেন । এ আইন অনুযায়ী দরিদ্রদের বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করে শ্রেণি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয় । াক্ষম দরিদ্রদের জন্যে সাহএয্যর ব্যবস্থা করা হয় । সম্ষম দরিদ্র ও নির্ভ রশীল শিশুদের জন্য ভিক্ষাবৃত্তি নিষিদ্ধ করা হয় । তাদের সংশোধনাগারে কাজের ব্যবস্থা করা হয় । শিশুদের ধনী আত্নীয়স্বজনের কাছে দত্তক দেওয়া হয়।
ক. দরিদ্র আইন সংস্কার -১৮৩৪ এর শ্রমাগারকে ‘দরিদ্রদের জেলখানা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন কেন?
খ. ইংল্যান্ডকে দরিদ্র আইনের ভিত্তিভূমি বিবেচনা করা হয় কেন?
গ. উদ্দীপকে জনাব সাইফুল ইসলামের ব্যস্থা ইংল্যান্ডের কোন ব্যবস্থাপনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ? দেখাও।
ঘ. সমাাজকর্ম পেশায় ইংল্যান্ডের উক্ত আইনের গুরুত্ব আলোচনা কর।
৪) জাফর আহম্মেদ পেশায় একজন ডাক্তার। তিনি নির্দিষ্ট শিক্ষা কার্যক্রমের াাওতায় জ্ঞান ও দ্ক্ষতা অর্জন করে এবং হাতেকলকে শিক্ষাগ্রহণ করে চিকিৎসক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন।এখন তিনি একজন খ্যাতিমান চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসাশাস্ত্রের প্রয়োগ সম্পর্কিত বাস্তব জ্ঞান অর্জন করছেন। জাফর আহমেদের ইচ্ছা চিকিৎসা পেশার মধ্য দিয়ে জনসেবা করা।
ক. NASW সমাজকর্মের কয়টি মূল্যবোদ নির্ধারণ করেছেন্ ?
খ. ব্যাক্তিগত মূল্যবোধ বলতে কী বোঝায় ?
গ. উদ্দীপকে জাফর আহমেদদের পেশার যে বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ.‘উক্ত বৈশিষ্ট্য ছাড়া পেশার আরও বৈশিষ্ট্য রয়েছে্।’-উক্তিটি মূল্যায়ন কর।
৫) সুমনা অাজমেরী একজন পেশাদার সমাজকর্মী। তার নিকট একজন সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তি সহায্যের জন্যে আসেন সমস্যাগ্রস্ত বলে তিনি তাকে অবহেলা করেননি। তাকে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করেন এবং সমস্যার ফলপ্রসূ সমাধানে তার মতের মূল্য ও মর্যাদা দেন। ফলে সুমনার সাথে সাহায্যপ্রর্থীর সুসম্পর্ক
গড়ে উঠে ও সমস্যার ফলপ্রসু সমাধান হয়।
ক. পেশা শব্দের ইংবেজী প্রতিশব্দ কী ?
খ. পেশা ও বৃত্তির মধ্যে দুটি পার্থক্য ব্যাখ্যা কর ।
গ. উদ্দীপকে সুমনা আজমেরীর কাজে সমাজকর্মের কোন মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটেছে চিহ্নিত কর।
ঘ. সুমনার কাজের সাফল্যের জন্য উক্ত মূল্যবোধেগুলোর গুরুত্ব রয়েছে বিশ্লেষন কর।
৬) সোহানা আক্তার সমাজকর্মে অনার্স ও মাষ্টার্স সম্পন্ন করেছেন। অনার্স ও মাষ্টার্স কোর্স শেষে ৬০ দিন করে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ কোর্স করেছেন। শেষে একটি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সমাজকর্মী হিসেবে চাকরি নেন।তিনি তার কর্মের নীতি ও মূল্যবোধ অনুসারে সাহায্যার্থীদের সাহায্য করে থাকেন।
ক. পেশা কী ?
খ. পেশাকে সামাজিক স্বীকৃতি পেতে হয় কেন?
গ. উদ্দীপকে সোহানা আক্তারের কর্মকে পেশা বলা যায় কি ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে সোহানা আক্তারের কর্মের আলোকে পেশার বৈশিষ্ট্যগুলো বিশ্লেষণ কর।
৭) জনাব নাসির উদ্দীন এমন একজন কর্মী যিনি তার কর্মের জন্যে নির্ধারিত মূল্যবোধ ও নীতিমালা অনুসরণ করে চলে। তিনি বিশেষ জ্ঞান, যোগ্যতা, নৈপুণ্য,ও দক্ষতা অনুসারে এমন ভাবে সাহায্য করেন,, যাতে তারা নিজেরা নিজেদের সমস্যা সামাধানে সক্ষম হন।তার কর্মের বিশেষ মর্যাদা সামাজিক ভাবে স্বীকৃত।
ক. সমাজকর্ম মূল্যবোধ কী ?
খ. আত্ননিয়ন্ত্রন অধিকার বলতে কী বোঝায ?
গ. উদ্দীপকে নাসির উদ্দীনের কর্ম কী ধরণেরে কর্ম ?ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে জনাব নাসির উদ্দীন যে ধরণের কর্মে নিয়োজিত সে ধরনের কর্মের গুরুত্ব পর্যালোচনা কর।
৮) মাহমুদ তার পরিবারের কাছে শিখেছে বড়দের সন্মান করতে হবে , আর ছোটদের স্নেহ করতে হবে। সে অনুমতি ছাড়া অন্যের কোনো জিনিস ধরে না । ভালো কাজ করতে পারলে সে অনেক আনন্দ অনুভব করে , খারাপ কাজগুলো এড়িয়ে চলে।
ক. পেশার নৈতিক মানদন্ড কী ?
খ. সমাজকর্মকে বহুমুখী পেশা বলা হয় কেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে মাহমুদের আচরণে যে বিষয়টির প্রভাব রয়েছে এর পরিচয় নিরূপন কর।
ঘ. উক্ত বিষয়টির সাধারণ ধরনগুলো বিশ্লেষণ কর।
এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি পরীক্ষার প্রশ্নের নতুন মান বন্টন
২০১৭ থেকে এসএসসি, এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষায় সৃজনশীল প্রশ্নে ১০ নম্বর বৃদ্ধি ও বহুনির্বাচনী প্রশ্নে ১০ নম্বর কমিয়েছে সরকার। পরিবর্তন করা হয়েছে পরীক্ষার সময় বন্টন এবং থাকছে না বহুনির্বাচনী ও সৃজনশীল পরীক্ষার মধ্যেকার বিরতি ।
এইচএসসি পরীক্ষায় নতুন মান বন্টনে উল্লেখ আছে ব্যবহারিক বিষয়সমূহে ৮ প্রশ্নের মধ্যে ৫ টি সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে মোট ২৫ টি।প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এ সংক্রান্ত একটি সিদ্ধান্ত ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে।
ব্যবহারিক অংশে থাকবে ২৫ নম্বর । এছাড়া যে সকল বিষয়ে ব্যবহারিক নেই সেই সকল বিষয়ে সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে ১১ টি, উত্তর দিতে হবে ৭ টি প্রশ্নের । এবং বহুনির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে ৩০ টি প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।
পূর্বের মতোই থাকছে এসএসসি ও সমমানের ব্যবহারিক বিষয়ের মানবন্টন। অর্থাৎ সৃজনশীল ৫০, বহুনির্বাচনী ২৫ এবং ব্যবহারিক ২৫, সর্বোমোট ১০০ নম্বর।
নতুন নিয়মে এইচএসসি ও সমমানের ব্যবহারিক মানবন্টন এসএসসি ও সমমানের মতো-সৃজনশীল ৫০, বহুনির্বাচনী ২৫ এবং ব্যবহারিক ২৫, মোট ১০০ নম্বর।
এর পূর্বে যা ছিল- সৃজনশীল ৪০, বহুনির্বাচনী ৩৫ এবং ব্যবহারিক ২৫। বহুনির্বাচনী থেকে ১০ কমিয়ে সৃজনশীল অংশে ১০ নম্বর বাড়ানো হয়েছে।
এর পূর্বে ব্যবহারিক পরীক্ষাহীন বিষয়গুলোতে বহুনির্বাচনী অংশের নম্বর ছিল ৪০। যা এখন থেকে ৩০ এ কমিয়ে আনা হয়েছে। একই সাথে সৃজনশীল অংশের নম্বর ছিল ৬০ যা এখন থেকে বাড়িয়ে ৭০ করা হয়েছে।
এইচএসসি ও সমমানে অপরিবর্তিত থাকছে- ইংরেজি প্রথম দ্বিতীয় পত্র, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, প্রকৌশল অংকন ও ওয়ার্কশপ প্র্যাকটিস প্রথম, দ্বিতীয়পত্র, ক্রীড়া প্রথম, দ্বিতীয়পত্র, চারুকলা, নাট্যকলা, সময়বিদ্যা, আরবি, পালি, সংস্কৃত, লঘু ও উচ্চাঙ্গ সংগীত প্রথম ও
দ্বিতীয়পত্রের মানবন্টন।
৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনী অংশের জন্য ৩০ মিনিট, সৃজনশীল ৭০ নম্বরের জন্য ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিটি সময় ধার্য্য করা হয়েছে। ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনী অংশের জন্য ২৫ মিনিট এবং ৫০ নম্বরের সৃজনশীল অংশে প্রতি পরীক্ষার্থী পাবে ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।
প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত সময়ানুযায়ী বিরতিহীনভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বহুনির্বাচনী এবং সৃজনশীল পরীক্ষার মাঝে কোনো বিরতি থাকবে না বলে আন্ত:শিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপকমিটি সূতে জানা গেছে।
সময়-২.৩০ ঘন্টা পূর্ণ মান ৭০
[ বি:দ্য ডান পার্শ্বে সংখ্যায় পূর্ণমান জ্ঞাপক ক-বিভাগ হতে ৩টি, খ-বিভাগ হতে ৩টি এবং গ-বিভাগ হতে ১টি সর্মোট ৭টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে একই প্রশ্নের উত্তরে সাধু ও চলিত ভাষারীতির মিশ্রণ দুষণীয়]
ক-বিভাগ(গদ্য)
১. বান্দবান সরকারি মহিলা কলেজ প্রঙ্গণে ‘রকস মিউজিয়ম’ অবস্থিত। কস মিউজিয়মে বাঙালি সংস্কৃতির বহু পুরনো লোকজ উপাদান সংরক্ষিত রয়েছে । বাঙালি লোকজ সংস্কৃতির পরিচয় বহন করছে ।এই মিউজিয়াম। এখানে রয়েছে বহু বছরের পুরনো বাঙালি জাতির ব্যবহৃত অস্ত্রাদি,তৈজসপত্র,গীতবাদ্য ,নৃত্যে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি, জলযান হিসেবে ব্যবহৃতহ নৌকা এবং ঐতিহ্যের স্বাক্ষর বিভিন্ন আকৃতির পাথর ও কোহিনূর শিলালিপি । বাঙালির লোকজ সংস্কৃতির পরিচয় তুলে ধরার জন্যে ‘রকস মিউজিয়াম’ এক ঐতিহাসিক নির্দশনস্বরুপ।
ক.পাশ্চাত্যদেশে জাদুঘরতত্ত্ব কী বিষয় হিসেবে বিকশিত? ১
খ.‘দ্বিজাতি তত্ত্ব’ কী? ব্যাখ্যা করো । ২
গ.উদ্দীপকে ‘জাদুঘরে কেন যাব’ রচনার কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে তা তুলে ধরো । ৩
ঘ.“বাঙালির লোকজ সংস্কৃতির পরিচয় তুলে ধরার জন্যে ‘রকস মিউজিয়াম’ এক ঐতিহাসিক নির্দশন স্বরুপ।” মন্তব্যটি ‘জাদুঘরে কেন যাব’ রচনার
আলোকে মূল্যায়ন করো । ৪
২.নীরব ভাষায় বৃক্ষ আমাদের সার্থকতার গান গেয়ে শোনায় ।অনুভুতির কান দিয়ে সে গান শুনতে হবে।তাহলে বুঝতে পারা যাবে জীবনের মানে বৃদ্ধি, ধর্মের মানেও তাই। প্রকৃতির যে ধর্ম মানুষের সে ধর্ম ;পার্থক্য কেবল তরুলতা ও জীব জন্তুর বৃদ্ধির ওপর তাদের নিজেদের কোন হাত নেই,মানুষের বৃদ্ধির ওপর তার নিজের হাত রয়েছে।আর এখানেই মানুষের মর্যাদা ।মানুষের বৃদ্ধি কেবল দৈহিক নয় আত্নিকও । মানুষের আত্না সৃষ্টি করে নিতে হয় , তা তৈরি পাওয়া যায় না ।
ক.পৃথিবীর প্রথম জাদুঘর কোথায় ছিল ? ১
খ.জাদুঘরের প্রথান কাজ কি ? ২
গ.উদ্দীপকটির সাথে জাদুঘরে কেন যাব’ প্রবন্ধের বিষয়গত অনৈক্য রয়েছে । আলোচনা কর । ৩
ঘ.বৃক্ষের মতো জাদঘরও আমাদেরকে সার্থকতার গান শোনায ।’—তোমার মতামত বিশ্লেষণ করো। ৪
৩.মুক্তিযোদ্ধা রুমি তার মামার নিকট আগরতলা থেকে ১৯৭১ সালের ১৬ই জুন তারিখে একটি চিঠি লেখ্ তার কিছু অংশ- প্রিয় পাশা মামা আমরা একটি ন্যায়সঙ্গত যুদ্ধ লরছি ।আমরা জয়ী হব । আমাদের সবার জন্য দোয়া করো । কি লিখব বুঝতে পারছি না-কত কী নিয়ে যে লেখার আছে।নৃশংসতার যত কাহিনী তুমি শুনছ,ভয়াবহ ধ্বংসের যত ছবি তুমি দেখছ, জানবে তার সবই সত্য।ওরা আমাদের নৃশংসতার সঙ্গে ক্ষতবিক্ষত বরেছে, মানব ইতহাসে যার তুলনা নেই।আর নিউটন যথার্থ বলেছেন, একই ধরনের হিংস্রতা নিয়ে আমরাও তাদের ওপর ঝাপিয়ে পড়ব। ইতিমধ্যে আমাদের যুদ্ধ অনেক এগিয়ে গেছে। বর্ষা শুরু হলে আমরা আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়ে দেব।
ক.রইনকোট গল্পটি কত খ্রিষ্ট্রাব্দে প্রকাশিত হয়? ১
খ.‘মনে হচ্ছে যেন বৃষ্টি পড়ছে মিন্টুর রেইনকোটের ওপর।’একথা কেন বলা হয়েছে। ২
গ.উদ্দীপকের রুমি ‘রেইনকোট’ গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিচ্ছবি ? বর্ণনা দাও। ৩
ঘ.উদ্দীপকটি ‘রেইনকোট’ গল্পের সামগ্রিক দিক ধারণ করতে পেরেছে কি ? যুক্তিসহ প্রতিপন্ন করো । ৪
৪. ভারতবর্ষের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম বিপ্লবী মহানায়ক ক্ষুদিরাম। ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ভারতবর্ষের স্বাধীনতা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ তিনি। এই উপমহাদেশ থেকে ব্রিটিশ শাসকদের উচ্ছেদ করতে তিনি দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেন। অবশেষে ব্রিটিশ শাসক বড়লাটকে মারার জন্য গাড়িতে বোমা নিক্ষেপের দায়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। ক্ষুদিরাম অত্যাচারীদের হাত থেকে দেশকে স্বাধীন করতে হাসিমুখে ফাঁসির মঞ্চে জীবন উৎসর্গ করেন।
(ক) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ঢাকা জেলখানা থেকে কোন জেলে বদলি করা হয়েছিল? ১
(খ) ‘মুক্তি দিলে খাব, না দিলে খাব না’— উক্তিটি ব্যাখ্যা করো। ২
(গ) উদ্দীপকের ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের কোন বিষয়টি ‘বায়ান্নর দিনগুলো’ রচনার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ নির্ণয় করো।৩
(ঘ) ক্ষুদিরামের আত্মত্যাগের সঙ্গে দেশের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ত্যাগের প্রেক্ষাপট আলোচনা করো। ৪
৫.মানুষের চেয়ে বড় আকৃতির অসংখ্য প্রাণী পৃথিবীতে আছে,কিন্তু তাদের বিবেক আর বিবেচনা করার শক্তি নেই। ফলে তারা ভালো-মন্দ পৃথক করার ক্ষমতা রাখে না।বস্তুত মনই হচ্ছে সভ্যতার ও সমাজের মূল স্তম্ভ ।প্রাণের দিক থেকে মানুষের সঙ্গে অন্যান্য প্রাণীর নানা সাদৃশ্য আছে ,কিন্তু মনের দিক থেকে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য ।আর ।এই স্বাতন্ত্র্য বা বৈসাদৃশ্যের মূল কারন হচ্ছে ক্ষমাশীলতা ।
ক.সকল প্রাণীর মূল গঠন উপাদান কী ? ১
খ.‘না, মানুষকে নেওয়া ঠিক হবে না।’ উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে ? ২
গ.উদ্দীপকের মানুষের সাথে ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’গল্পে বর্ণিত মানুষের বৈসাদৃশ্য কোথায়?ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ.‘সুবিবেচক হলে মানুষ সভ্যতাকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারত’তুমি কি মন্তব্যটির সাথে একমত?উদ্দীপক ও ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’গল্প অবলল্বনে বিশ্লেষণ করো। ৪
খ-বিভাগ(পদ্য)
৬. পরিতোষ মণ্ডল সারা জীবন শিক্ষকতা করেছেন, গড়ে তুলেছেন অসংখ্য আলোকিত মানুষ। অবসর গ্রহণের পর তিনি গড়ে তুলেছেন ‘তারুণ্য’ নামের সেবা-সংগঠন। বিভিন্ন সমাজকল্যাণমূলক কাজের পাশাপাশি পথশিশুদের শিক্ষাদান, দুর্নীতিবিরোধী অভিযান, নৈতিকতা ও মূল্যবোধবিষয়ক সেমিনারের আয়োজন করেন তিনি। সমাজের মানুষ তাঁর কাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কিন্তু পরিতোষ মণ্ডল মনে করেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁর প্রাণ খুলে মেশা হয়নি এবং মানুষের জন্য সামান্যই করতে পেরেছেন। তিনি চান তাঁর অসমাপ্ত কাজ ‘তারুণ্য’ নামের সংগঠনটির মাধ্যমে সমাপ্ত হোক।
ক. ‘ঐকতান’ শব্দের অর্থ কী? ১
খ. ‘সে কবির বাণী-লাগি কান পেতে আছি।’ —বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? ২
গ. পরিতোষ মণ্ডলের মধ্যে ‘ঐকতান’ কবিতার যে দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে তা ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের মূলভাব ‘ঐকতান’ কবিতার সঙ্গে কিভাবে সংগতিপূর্ণ তা আলোচনা করো। ৪
৭.কবির পক্ষে সমাজকে বোঝা দরকার, কবিতার অস্থিরতার ভেতরে থাকবে ইতিহাস চেতনা ও মর্মে থাকবে পরিচ্ছন্ন কার জ্ঞান।কাল বা সময় বৈনাশিক;কিন্তু সে সেই সমস্ত কুয়াশাগুলোকেই কেটে কেটে চলছে,যার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপ্তি বাড়াবার পক্ষে অন্তরায়ের মতো।এই সমস্ত চেতনা নিয়েই মানবতার ও কবিমানসের ঐতিহ্য।
ক.কবিতার মুক্ত শব্দগুলো কোথা থেকে উচ্চারিত হয় ? ১
খ.পূবর্পুরুষ বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন ? ২
গ.উদ্দীপকের ইতিহাস চেতনা ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’কবিতায় কোন
পরিপ্রেক্ষিতে এসেছে তা তুলে ধরো। ৩
ঘ.“উদ্দীপকের মানবতাও কবিমানস ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’ কবিতায়
স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান ।”বিশ্লেষণ করো । ৪
সৃজনশীল
৮. অনুরাধা ও পারুল প্রতিবেশী ও সহপাঠী। অনুরাধা সময় পেলেই স্টার জলসা, জি বাংলা, স্টার প্লাস চ্যানেল দেখে। ঐ সব নাটকের নায়িকাদের স্টাইলে নিজেকে উপস্থাপনে অনুরাধা সদা তৎপর। অনুরাধার বাবা একজন পাট ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে তিনি সর্বস্বান্ত প্রায়। অন্যদিকে পারুল পড়াশোনার পাশাপাশি সেলাই মিশিনে কাজ করে পরিবারকে সাহায্য করে। পড়াশোনা শেষ করে পারুল চাকরির জন্য দৌড়াদৌড়ি না করে উন্নত প্রশিক্ষণ ও ব্যাংক লোন নিয়ে গ্রামে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে। গ্রামের মানুষদের স্বপ্ন ও সম্ভাবনার আশ্রয় এখন পারুল ও তার কুটিরশিল্প।
(ক) কষক কন্যার নাম কী?
(খ) ‘একটি চাউল পরীক্ষা করিলেই হাঁড়িভরা ভাতের অবস্থা জানা যায়” - কথাটির দ্বারা কী বুঝানো হয়েছে?
(গ) ‘চাষার দুক্ষু’ প্রবন্ধের কোন দিকটি অনুরাধার মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে আলোচনা কর।
(ঘ) “স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য চাই অন্ধ বিলাসিতার অনুকরণ বাদ দিয়ে দেশীয় শিল্পের সাথে মেধা, শ্রম ও উদ্যোক্তার যৌথ সমন্বয়’ - উদ্দীপক ও তোমার পঠিত প্রবন্ধের আলোকে আলোচনা কর।
লালসালু উাপন্যাস
গ-অংশ : উপন্যাস
৯। ফাহমিদা ও ফাহিয়ানের বিয়ের সাত বছর পেরোলেও তাদের কোনো সন্তান হয় না। কিন্তু গ্রামের লোকেরা সম্পর্কে নানা বাজে কথা বলে। চাকরি দেওয়ার নামে সে নাকি অনেক শিক্ষিত বেকার যুবকের কাছ থেকে অনেক টাকা নিয়েছে। ফাহমিদা এসব কথা কানে তোলে না, সে তার স্বামীকে অত্যন্ত ভালোবাসে ও বিশ্বাস করে। ভবিষ্যতে বংশরক্ষার কথা চিন্তা করে ফাহিয়ান দ্বিতীয় বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ফাহমিদা তার স্বামীর সিদ্ধান্ত মেনে নেয় না; বরং প্রতিবাদী হয়ে ওঠে।
ক) মজিদ কখন গ্রামে প্রবেশ করে? --১
খ) 'শস্যের চেয়ে টুপি বেশি, ধর্মের আগাছা বেশি' বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ২
গ) উদ্দীপকের সঙ্গে 'লালসালু' উপন্যাসের বৈসাদৃশ্য কোথায়? বর্ণনা কর। ৩
ঘ) "উদ্দীপকের সঙ্গে 'লালসালু' উপন্যাসের ঘটনা সাদৃশ্যপূর্ণ হলেও চেতনা ভিন্ন"_ উক্তিটি বিচার কর। ৪
১০। দিন কাটিয়া যায়। জীবন অতিবাহিত হয়। ঋতুচক্রে সময় পাক খায়। পদ্মার ভাঙনধরা তীরে মাটি ধসিতে থাকে, পদ্মার বুকে জল ভেদ করিয়া জাগিয়া উঠে চর, অর্ধ শতাব্দীর বিস্তীর্ণ চর পদ্মার জলে আবার বিলীন হইয়া যায়। জেলেপাড়ার শিশুর ক্রন্দন কোনো দিন বন্ধ হয় না। ক্ষুধা-তৃষ্ণার দেবতা, হাসি-কান্নার দেবতা, অন্ধকার আত্মার দেবতা, ইহাদের পূজা কোনো দিন সাঙ্গ হয় না।
ক) গ্রামের প্রতিবাদী শিক্ষিত যুবক কে? ১
খ) 'গ্রামবাসী যেন রহিমার অন্য সংস্করণ' বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর। ২
গ) উদ্দীপকের সঙ্গে 'লালসালু' উপন্যাসের সাদৃশ্য কোথায়? বর্ণনা কর। ৩
ঘ) "উদ্দীপকটি 'লালসালু' উপন্যাসের আংশিক রূপায়ণ মাত্র"- আলোচনা কর। ৪
১১। ওয়াসিকা গ্রামের এক দুরন্ত মেয়ে। বন্ধুদের সঙ্গে ছোটাছুটি করা, অবাধে সাঁতার কাটতে তার ভালো লাগে। অভাবের তাড়নায় ওয়াসিকাকে তার বাবা পাশের গ্রামের এক বুড়ো লোকের সাথে বিয়ে দিলেন। লোকটি গ্রামের মাতব্বর। তাকে সবাই একাব্বর মুন্সি বলে ডাকে। মুন্সির কথা গ্রামের সবাই মানলেও স্বাধীনচেতা ওয়াসিকা তার কথা মানে না।
ক. ধলা মিয়া কেমন ধরনের মানুষ ছিল? ১
খ. 'সজোরে নড়তে থাকা পাখিটার পানে তাকিয়ে সে মূর্তিবৎ বসে থাকে' বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ২
গ. ওয়াসিকা 'লালসালু' উপন্যাসের জমিলার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ - ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ. 'উদ্দীপকের একাব্বর মুন্সি 'লালসালু' উপন্যাসের মজিদ চরিত্রের সামগ্রিক দিক ধারণ করেনি- মূল্যায়ন করো। ---- ৪
১২। চেয়ারম্যান সাহেবের কথাই আইন, সিদ্ধান্তই বিচারের রায়। সাথে আছেন ফজর মুন্সি, ইউনিয়নের বড় মসজিদের ইমাম তিনি। শরিয়তের মারপ্যাঁচে খোদার দুনিয়ায় ক্ষমতা তার অনেক। দরিদ্র, অশিক্ষিত গ্রামবাসীদের সব সমস্যার সমাধান হয় ইউনিয়ন পরিষদে। ইমাম সাহেবের কথার ওপরে কথা নেই চেয়ারম্যানের। ফলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের ওপর চলে নির্বিচার খবরদারি। বিবাহ-তালাক, মারামারি, গোণ্ডগোল, জমিজমা থেকে শুরু করে সমাজের সব কিছুতেই চেয়ারম্যান-ইমাম একে অপরের পরিপূরক।
ক. ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্টের নাম কী? ১
খ. খালেক ব্যাপারীর সাথে মজিদের এত ঘনিষ্ঠতা কেন? ২
গ. উদ্দীপকের ইউনিয়ন পরিষদের সাথে 'লালসালু' উপন্যাসের খালেক ব্যাপারীর বাড়ির সাদৃশ্য বর্ণনা করো। ৩
ঘ. "উদ্দীপকে ও 'লালসালু' উপন্যাসে সামন্তবাদী সমাজে পুরোহিতের দৌরাত্ম্য লক্ষ করা যায়।"- বিশ্লেষণ করো। ৪
১৩। আজ থেকে কয়েকশ বছর আগে ব্রিটিশরা এ দেশে এসেছিল এই অঞ্চল দখল করার জন্য। প্রথমে তারা এ অঞ্চলের মানুষকে শিক্ষিত ও সভ্য করে তোলার কৌশল গ্রহণ করে। ধীরে ধীরে তারা এ দেশের ধন-সম্পদ কুক্ষিগত করতে থাকে। একপর্যায়ে ব্রিটিশরা এই অঞ্চলে শাসনের নামে সব ধরনের নির্যাতন চালাতে শুরু করে।
(ক) ‘লালসালু’ উপন্যাসটি কত সালে প্রকাশিত হয়? ১
(খ) ‘খোদার এলেমে বুক ভরে না তলায় পেট শূন্য বলে’—উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? ২
(গ) উদ্দীপকের ব্রিটিশদের সাথে ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন চরিত্রের সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়? বুঝিয়ে লেখো। ৩
(ঘ) ‘‘উদ্দীপকের ব্রিটিশ এবং ‘লালসালু’ উপন্যাসের ‘মজিদ’-এর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার কৌশল একই ধরনের’’—আলোচনা করো। ৪
১৪।‘হাজার বছর ধরে’ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র টুনি। ১৩ বছর বয়সে টুনির বিয়ে হয় বাবার বয়সী মকবুলের সঙ্গে। সংসারের সব কাজ করলেও সে মন থেকে মকবুলকে কখনো স্বামী হিসেবে মেনে নিতে পারেনি। তাই দুই সতীনের সঙ্গে কোনো প্রকার রেষারেষি না থাকলেও অল্প বয়সী টুনি কখনো মকবুলের সংসারে মন বসাতে পারেনি।
(ক) মজিদের দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম কী? ১
(খ) কে মজিদের মুখে থুথু নিক্ষেপ করেছিল এবং কেন? ২
(গ) উদ্দীপকের টুনির সঙ্গে ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন চরিত্রের সাদৃশ্য আছে—নির্ণয় করো। ৩
(ঘ) উদ্দীপকে ‘লালসালু’ উপন্যাসের যে দিকটি প্রাধান্য পেয়েছে, তা তোমার মতো করে বিশ্লেষণ করো। --৪
১৫। শ্যামপুর গ্রামে কোনো স্কুল নেই। গ্রামের বেশির ভাগ মানুষ শ্রমজীবী। সন্তানকে পাঁচ মাইল দূরের স্কুলে পাঠানোর আগ্রহ তাদের নেই। গ্রামের মক্তবের পড়াশোনাই তাদের ভরসা। শিক্ষিত যুবক মনির গ্রামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু মক্তবের মৌলভি সাহেব মাতব্বরদের বোঝাতে সক্ষম হন যে স্কুল হলে গ্রামে বখাটে ছেলেদের আড্ডা ও আনাগোনা বাড়বে; পড়াশোনার জন্য মক্তবই যথেষ্ট। মাতব্বরদের বাধায় মনিরের স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ থমকে যায়।
(ক) মহব্বতনগরে কে স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল? ১
(খ) ‘শস্যের চেয়ে টুপি বেশি, ধর্মের আগাছা বেশি’—উক্তিটির তাত্পর্য লেখো। ২
(গ) উদ্দীপকের মনির চরিত্রটি ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন চরিত্রের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ আলোচনা করো। ৩
(ঘ) ‘উদ্দীপকের মৌলভি ও ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ নিজেদের স্বার্থহানির ভয়ে আধুনিক শিক্ষাকে ভয় পায়’—উক্তিটির যথার্থতা বিচার করো। ৪
১৬।রাজধানী ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অনেকগুলো মাজারের অবস্থান। এগুলোর একটির রক্ষক এমদাদ গাজী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এ মাজার রক্ষণাবেক্ষণ করলেও তিনি জানেন না সেখানে কে শায়িত আছে। নিজেকে অনেক অলৌকিক শক্তির অধিকারী মনে করেন তিনি, সেই সঙ্গে ভক্তবৃন্দের কাছেও তিনি পরম আকাঙ্ক্ষিত। দিনে দিনে অনেক ধন-সম্পদ বেড়ে গেল তাঁর। একসময় তিনি এক ভক্তের অল্পবয়সী এক কন্যাকে বিয়ে করেন। কিন্তু সে কন্যা এমদাদ গাজীর অবাধ্য।
ক. কোন গ্রামে নামকরা পীর সাহেবের আগমন ঘটেছিল? ১
খ. ‘গ্রামের লোকেরা যেন রহিমারই অন্য সংস্করণ’—ব্যাখ্যা করো। ২
গ. উদ্দীপকের এমদাদ গাজীর মানসিকতা ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন চরিত্রকে মনে করিয়ে দেয় আলোচনা করো। ৩
ঘ. ‘উদ্দীপকের এমদাদ গাজী ও ‘লালসালু’ উপন্যাসের সংশ্লিষ্ট চরিত্রের উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন’— তোমার অভিমত তুলে ধরো। ৪
১৭।অনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চতর ডিগ্রিধারী একজন সচেতন ছেলে। সে গ্রামের অসহায়, দুস্থ মানুষের সেবা করতে চায়। তাই তো সে গ্রামে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়, যেখানে গ্রামের ছেলেমেয়েরা শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ পাবে। তার এই মহৎ সিদ্ধান্তকে গ্রামের অনেকেই স্বাগত জানায়; কিন্তু জমির শেখ এর বিরোধিতা করে। সে বলে, ‘মসজিদের উন্নয়ন না করে স্কুল বানাইলে খোদা নারাজ হবে।’
ক. মহব্বতনগরে কে স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিল? ১
খ. মজিদ স্কুল নির্মাণে বাধা প্রদান করেছিল কেন? ২
গ. উদ্দীপকের অনিক ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করেছে—নির্ণয় করো। ৩
ঘ. উদ্দীপকের জমির শেখ ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন চরিত্রের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং কেন, তা বিশ্লেষণ করো। ৪