বৃহস্পতিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৮

এক নজরে যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণধ্বনির উচ্চারণ রীতি


র্ব্ণ গঠন স্বচ্ছরূপ অস্বচ্ছ নাম উদাহরণ কৌশল
ক+ক=ক্ক ক্ক .... ক-য়ে ক উচ্চারণের সময় দুবার বলতে হয় যেমন ধাক্কা মক্কা
ক্ব ক+ব ক্ব ক্ব .. ক-য়ে ব ফলা উচ্চারণের সময় দুবার উচ্চারণ করতে হয়
ক্ষ ক=ষ=ক্ষ ক্ষ ক্ষ ক-য়ে ষ খিও খ অথবা কখ এর মতো উচ্চারিত হবে যেমন ক্ষেত্র,রক্ষা
হ্ম হ=ম=হ্ম হ্ম হ্ম হ-য়ে ম প্রথমে ম উচ্চারণ হবে তার পর হ যেমন: ব্রাহ্মণ,=ব্রাহমন অর্থাৎ বর্ণবিপর্যযে হম > মহ ।
জ্ঞ জ+ঞ=জ্ঞ জ্ঞ জ্ঞ বর্গী জ য়ে ইয়ো উচ্চারন হল গৃগ্যঁ গ্যঁ । যেমন : জ্ঞান, বিজ্ঞান, ।
ঞ্জ ঞ+জ=ঞ্জ ঞ্জ ঞ্জ ইয়ো তে বর্গীয় জ উচ্চারণ হবে নজ যেমন: অঞ্জন,গঞ্জনা ।
ঞ্চ ঞ+চ=ঞ্চ ঞ্চ ঞ্চ ইয়ো তে চ উচ্চরণ হবে ন্‌চ যেমন: অঞ্চল,=অনচল পঞ্চম পন্ চম
ঞ্ছ ঞ+ছ=ঞ্ছ ঞ্ছ ঞ্ছ ইয়ো তে ছ উচ্চারণ হবে ন্‌ছ যেমন:বাঞ্ছা,লাঞ্ছনা=লান্ ছনা
ঞ্ঝ ঞ+ঝ=ঞ্ঝ ঞ্ঝ ঞ+ঝ ইয়ো তে ঝ উচ্চরণ হবে ন্‌ঝ যেমন: ঝঞ্ঝা ঝনঝা ঝঞ্ঝাট ঝনঝাট
ষ্ণ ষ+ণ ষ্ণ ষ্ণ ষ তে ণ উচ্চরণ হবে শ্‌ন যেমন: উষ্ণ উশনো কৃষ্ণ ক্রিশনো
ট্ট ট+ট=ট্ট ট্ট ট্ট ট তে ট উচ্চরণ হবে ট্‌ট যেমন: চট্টগ্রাম চটটোগ্রাম
ট্র ট+র=ট্র (্র)=ফলা ট্র ট্র ট য়ে র(্র) উচ্চারণ হবে ট্‌র। যেমন:উষ্ট্র=উশটরো রাষ্ট্র রাশটরো
ত্ত ত+ত=ত্ত ত্ত ত্ত ত য়ে ত উচ্চারণ হবে ত্‌ত যেমন: উত্তাল=উৎতাল,মত্ত=মৎতো
ক্ত ক+ত=ক্ত ক্ত ক্ত ক-য়ে ত উচ্চরণ হবে ক্‌ত । ভক্তি=ভোকতি ,শক্ত=শকতো
ত্ন ত+ন=ত্ন ত্ন ত্ন ত-য়ে ন উচ্চরণ হবে ত্‌ন। যত্ন যৎনো রত্ন=রৎনো
ত্ম ত+ম=ত্ম ত্ম ত্ম ত-য়ে ম উচ্চরণ হবে ত্‌তাঁ । আত্মা=আৎতাঁ আত্মীয়=আৎতিঁও
ত্র ত্‌+র=ত্র ত্র ত্র ত য়ে ব ফলা উচ্চারণ হবে ত্‌ত্র। যেমন:যাত্রী=যাৎত্রী
ত্রু ত্‌+র্‌+উ=ত্রু ত্রু ত্রু ত য়ে ্র ‍ু উচ্চরণ হবে ত্রু ত্‌ত্রু শত্রু ত্রুটি
ক্র ক+্র=ক্র ক্র ক্্র কয়ে র ফলা উচ্চরণ হবে ক্র/ক্‌ক্র। য়েমন : ক্রয় ক্রন্দন ক্রোনদোন
বি:

বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ বা ফলা

ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে ফলা বলা হয়। বাংলায় ফলা চিহ্ন ৭ টি

য-ফলা (্য) : ব্যাঙ,খ্যাতি,সহ্য । ন-ফলা (ন /ন): বিভিন্ন, যত্ন, রত্ন
ব-ফলা (‍্ব) :পক্ব,বিশ্ব াশ্ব । ণ-ফলা (ণ):পুবাহ্ণ অপরাহ্ণ
ম-ফলা (ম): পদ্ম,সম্মান , স্মরণ ল-ফলা (ল) :ক্লান্ত, ম্লান , অম্ল
র -ফলা (্র):প্রমাণ,শ্রান্ত,ক্রয় -----
ফলাযোগে শব্দঃ আহ্বান,অব্বা,অম্মা,হাম্বা,মধ্যাহ্ণ,গোস্বা,গোব্বারা ,কম্বল,সম্বল,অম্বর,অশ্ব,আশ্বিন,ব্যাথা,জেব্রা,ব্রাশ,ট্রুথ ব্রাশ,ব্রেক,

সাধুও ও চলিত ভাষার পাঁচটি করে পার্থক্য লেখ ? :
১. সাধুভাষা লিখিতভাবে ভাব প্রকাশের সর্বজন স্বীকৃত সাধারণ রূপ। ১. সমাজের পারস্পরিক ভাব বিনিময় ও কথোপকথনের উপযুক্ত বাহন হলো চলিত ভাষা।
২. সাধু ভাষা ব্যাকরণের সুনির্দিষ্ট নিয়মের অনুসারী। ২. কিন্তু চলিত ভাষা ব্যাকরণের সকল নিয়ম মেনে চলে না।
৩. সাধুভাষায় তৎসম শব্দের প্রয়োগ বেশি। ৩.অন্যদিকে,চলিত ভাষায় তদ্ভব,অর্ধতদ্ভব ও বিদেশী শব্দের প্রয়োগ বেশি।
৪. সাধু ভাষায় অপিনিহিত ও অভিশ্রুতির ব্যবহার ৪.চলিত রীতিতে এদের প্রয়োগ করা হয়।
৫. সাধু ভাষা অপরিবর্তনীয়। ৫. চলিত ভাষা পরিবর্তনীয়।
৬. সাধু ভাষা বেশ প্রাচীন। ৬.চলিত ভাষা অপেক্ষাকৃত আধুনিক।
৭.সাধুভাষায় সর্বনাম পদ পূর্ণরূপে ব্যবহৃত হয়। ৭. চলিত রীতিতে সর্বনামগুলো সংকুচিত রূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন- এ, সে, এরা, তারা ইত্যাদি।
৮. সাধু ভাষা সাধারণ কথাবার্তা,বক্তৃতা ও নাটকের সংলাপের উপযোগী নয়। ৮.চলিত ভাষা সাধারণ কথাবার্তা,বক্তৃতা,নাটকের ও সংলাপের উপযোগী।
৯. সাধু ভাষা কোন অঞ্চল বিশেষের প্রভাবাধীন নয় ৯.কিন্তু চলিত ভাষা আঞ্চলিক প্রভাবাধীন।

সোমবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৮

দিনলিপি লিখন

Flowers in Chania দিনলিপি লিখন

(১)একজন শিক্ষার্থীর দিনলিপি

২৪.৪.২০১৮ ইং

প্রতিদিনের দিনলিপি লেখার শুরুতেই প্রথমেই আমার জীবন ভাবনা গুলো লিখে রাখি।আজ ২৪ এপ্রির রোজ মঙ্গল বার। সময় সকার ৯:০০টা। আমার জীবনের আরও একটি সম্ভাবনাময় দিনের সূত্রপাত হল প্রতিটি দিনই আমার কাছে নতুন সম্ভাবনাময় এবং জীবন গঠনের আর একটি নতুন আহ্বান।

ভোর ৫ টা সকাল ৭টা
আজ ঘুম থেকে উঠেছি খুব ভোরে। তারপর হাতমুখ ধুয়ে অজু করে নামাজ পড়ে বাইরে বেরুই। এক ঘন্টা হাটাহাটি করি ,একটু ব্যায়ামও করি। তার পর নাস্তা শেষ করে পড়তে বসি।

সকাল ৭টা হতে ৮টা
সকালে লেখাপড়ার খুব একটা সময় আমি পাই না ।তাই যে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ সেগুলিতে একটু চোখ বুলিয়ে নিই। বিাশেষভাবে বিজ্ঞানের বিষয়গুলো । ইংরেজী গ্রমারের কোন সুত্র ভুলে গেলে তা বার বার পড়ে মনে রাখার চেষ্টা করি। আর যে বিষয় গুলো বুঝতে পারিনা সেগুলো খাতায় টুকে রাখি তারপর কলেজে গিয়ে বন্ধুবান্ধবীদের নিকট হতে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করি। প্রয়োজনে স্যারের সাহায্য নেই।

সকাল ৮টা হতে ৯টা
এক ঘন্টার মধ্যে গোসল ,খাওয়া দাওয়া এবং কলেজের জন্য প্রস্তুত হওয়া বেশ কষ্টকর হয়ে যায়। বেশ তাড়াহুড়ো করতে হয়। অনেক সময় খাবার না খেয়েই কলেজে ছুটতে হয়। মাকে বলি পেটে খিদে নেই ,কলেজ থেকে ফিরে এসে খাব। মা বিষয়টি ঠিকই বুঝেন। একটি কেক বিস্কুট হাতে দিয়ে বলেন রিকসায় যেতে যেতে খেয়ে নিস। রিকসায় বসে খেতে আমার ভাল লাগেনা। মার দেয়া খাবার ব্যাগে পরে থাকতে খাকেতে নষ্ট হয়ে যাবে। তাই রাস্তায় পথ শিশুকে আমি দিয়ে দিই তারা পেয়ে খুবই খুশি হয়। তাদের আনন্দ দেখে মনে হয় আরও বেশি যদি আমি দিতে পারতাম।

সকান ৯টা হতে ২টা
এই সময়টা আমার কলেজে কাটে। কখনও তা তিনটে কিংবা চারটে গড়ায় ।তা অবশ্য নির্ভর করে কলেজ রুটিনের উপর ।বেশির ভাগ সময় কলেজ ২টার সময় ছুটি হয়ে যায়। আজ ছুটি হযেছে আরও এক ঘন্টা আগে। ২য় ঘন্টার পর ছুটির ঘোষনা হয়। কলেজ উন্নয়ন নিয়ে আজ স্যারদের বিষেশ মিটিং আছে।

২টা থেকে বিকেল ৪টা
এ সময় টা সাধারনত বাসায় কাটে। বাসায় এই সময়টা গল্পের বই অথবা টেলিভিশন দেখে কাটে। মাঝে মাঝে বন্ধুদের বাসায় যাই। অাজ বাসায় ফিরে মায়ের সাথে মার্কেটে যাই মা আমার জন্য সুন্দর একটা হাতঘড়ি কিনলেন।

বিকেল ৪টা হতে সন্ধ্যা ৬্টা
এ সময়টা হল আমার খেলার সময়। আজকাল যদিও খেলার মাঠ বলতে কিছু নেই। খেলা বলতে এখন যা বুঝায় তা হল যন্ত্রনিয়ে খেলা মোবাইল ফোনে কথা বলা আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা অথবা কম্পিউটার নিয়ে বসা।

সন্ধ্যা ৬টা হতে ১১টা
একটানা দু ঘন্ট পড়া শেষে হয় খবর দেখি না হয় টেলিভিশনে কোন অনুষ্ঠান , বিশেষত নাটক দেখি।সে সঙ্গে খাওয়া দাওয়ার কাজটা শেষ করি । ঘুমুতে যাওয়ার আগে দিনলিপি লিখি । পরবর্তী দিনের কার্যক্রম ঠিক করে ঘুমুতে যাই।
২৪.৪.২০১৮ইং রাত ১১টা ১০মি:



সমোচ্চারিত শব্দ

দুটি শব্দের প্রায় একই রকম উচ্চারণ তাদের কে বলা হয় সমোচ্চারিত শব্দ । বাংলা ভাষায় এমন কতগুলো শব্দ আছে যাদের উচ্চারণ একই রকম হলেও অর্থের দিক থেকে পার্থক্য বিদ্যমান। এ সব শব্দকে প্রায় সমোচ্চারিত শব্দ বলে। সমোচ্চারিত শব্দের বানান এবং  এর অর্থ জানা না থাকলে বাক্যের অর্থের পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।এজন্য শব্দগুলোর উচ্চরণ বানান সঠিক কোনটি হবে তা  শেখা প্রয়োজন।
কতগুলো প্রায় সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দ অর্থ বাক্যেপ্রয়োগ দেওয়া হল।

অন্ন (ভাত)     --দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্ব দতিতে মানুষের মুখে অন্ন   ওঠা দায়
অন্য (অপর)  --সংস্কার , সংস্কার বাদ দিয়ে দুটো অন্য কথা বল ।

অনু (পশ্চাৎ)      --এই দেশে এক সময় স্ত্রীলোকদের  মৃত স্বামীর চিতায় অনুগমন করতে হতো ।
অণু (ক্ষুদ্রতম অংশ)  --এটুকু ভাতে আমার  পেটের অণুটুকুও ভরবে না।

অনুপ(উপমাহীন)
অনূপ(জলা ,বিল )

অনিষ্ট (ক্ষতি)
অনিষ্ঠ (নিষ্ঠাহীন)

অংশ (ভাগ)
অংস (কাঁধ)

অলিক (কপাল )
অলীক (অবাস্তব)

অর্ঘ (মুল্য)
অর্ঘ্য (পূজার উপকরণ)

অশ্ম (প্রস্তর )
অশ্ব (ঘোড়া)

অবদান (মহৎ কর্ম )
অবধান (মনোযোগ)

অনুদিত (যা উদিত হয় নি)
অনূদিত (ভাষান্তরিত)

অভি (সম্মুখে)
অভী (ভয়হীন)

অশন (আহার)
অসন (ক্ষেপণ)

অসুর (দৈত্য)
অশূর (যে বীর নয় )

অন্ত  ( মৃত্যু )
অন্ত্য (শেষ )
অন্তঃ  ( মধ্যে )

অবিরাম (অনবরত)
অভিরাম (সুন্দর )

অনিল (বাতাস )
অনীল  (নীল নয় যা )

অভিভাষণ (বক্তৃতা)
অভিবাসন (দেশান্তরে বসতি)

অবতরণ (নিচে নামা)
অবতারণ (প্রসঙ্গ উহ্থাপন)

আদি (মূল )
আধি (মনঃকষ্ট )
আঁধি (প্রবল ঝড়)

অশা (ভরসা)
আসা (আগমন)

আপন (নিজ)
আপণ (দোকান)

আবাস (বাসস্থান)
আভাস (ইঙ্গিত)
আভাষ (আলাপ, ভুমিকা)

আষাঢ় (মাসের নাম)
আসার  (বষণ)

আশি (সংখ্যা)
আশী (সাপের দাঁত)
আসি (আগমন করি)

আবরণ (আচ্ছাদন)
আভরন (অলংকার )

আত্ন (স্বয়ং)
আত্ত (গৃহীত)

অদাড় (আস্তাকুঁড়)
আধার (পাত্র)
আঁধার (অন্ধকার )

আবৃত্তি (সরব পাঠ )
আবৃতি (আবরণ)

অাসক্তি (অনুরাগ)
আসত্তি  (নৈকট্য)

ইতি (শেষ)
ঈতি (কৃষিতে উপদ্রপ)

উপাদান (উপকরণ )
উপাধান (বালিশ)

উৎপত (পাখি)
উৎপথ (কুপথ)

উদ্দেশ (সন্ধান)
উদ্দেশ্য (লক্ষ্য )

একদা (এককালে )
একধা (এক প্রকারে )

একতা (ঐক্য )
এক তা (কাগজের এক পাতা )

এণ (কৃষ্ণসার মৃগ)
এন ( দোষ /পাপ )

ওষধি (একবার ফল দেয় যে গাছ)
ঔষধি (ঔষধের গাছ)
কৃত-যা করা হয়েছে ক্রীত-যা কেনা হয়েছে কমল-পদ্ম কোমল-নরম কোণ-দিক কোন-








প্রশ্ন: অর্থপার্থক্য দেখিয়ে বাক্য রচনা কর ?
শমন ,সমন; সাম,শ্যাম; সামি,স্বামী; সাক্ষর ,স্বাক্ষর ;বারি ,বাড়ি; শারি,শাড়ি; হার, হাড়; দার ,দাঁড়;