কবি পরিচিতি
সৈয়দ শামসুল হক ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দের ২৭এ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম সৈয়দ সিদ্দিক হুসাইন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র ছিলেন। সৈয়দ হক প্রথমে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। তিনি বিবিসি বাংলা বিভাগের প্রযোজক ছিলেন। পরে তিনি পুরোপুরি সাহিত্যসাধনায় আত্মনিয়োগ করেন। একাধারে গল্প, উপন্যাস, কবিতা, নাটক, কাব্যনাট্য ও শিশুসাহিত্যে লেখক হওয়ায় তিনি সব্যসাচী লেখক হিসেবে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছেন। চিত্রনাট্য রচয়িতা ও গীতিকার হিসেবেও তিনি খ্যাত। মানুয়ের জটিল জীবনপ্রবাহ এবং মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ তাঁর সাহিত্যকর্মের মূল প্রবণতা। সাহিত্যের গঠনশৈলীর ক্ষেত্রে তিনি সর্বদাই নিরীক্ষাপ্রিয়। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হলো: ‘বৈশাখে রচিত পঙক্তিমালা’, ‘প্রতিধ্বনিগণ’, ‘পরাণের গহীন ভিতর’. ‘রজ্জুপথে চলেছি’। ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’, ‘গণনায়ক’, ‘নূরলদীনের সারাজীবন’, ‘এখানে এখন’, ‘ঈষা’ প্রভৃতির তাঁর কাব্যনাটক। সৈয়দ শামসুল হক বাংলা একাডেমি পুরস্কার, আদমজি সাহিত্য পুরস্কার, নাসিরউদ্দিন স্বর্ণপদক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং একেুশে পদকসহ বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হন।
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
লেখকঃ সৈয়দ শামসুল হক
নূরলদীনের কথা মনে পরে যায়
নিলক্ষা আকাশ নীল, হাজার হাজার তারা ঐ নীলে অগণিত আর
নিচে গ্রাম, গঞ্জ, হাট, জনপদ, লোকালয় আছে উনসত্তর হাজার।
ধবল দুধের মতো জ্যোৎস্না তার ঢালিতেছে চাঁদ-পূর্ণিমার।
নষ্ট ক্ষেত, নষ্ট মাঠ, নদী নষ্ট, বীজ নষ্ট, বড় নষ্ট যখন সংসার
তখন হঠাৎ কেন দেখা দেয় নিলক্ষার নীলে তীব্র শিস
দিয়ে এত বড় চাঁদ?
অতি অকস্মাৎ
স্তব্ধতার দেহ ছিঁড়ে কোন ধ্বনি? কোন শব্দ? কিসের প্রপাত?
গোল হয়ে আসুন সকলে,
ঘন হযে আসুন সকলে,
আমার মিনতি আজ স্থির হয়ে বসুন সকলে।
অতীত হঠাৎ হাতে হানা দেয় মানুষের বন্ধ দরোজায়।
এই তীব্র স্বচ্ছ পূর্ণিমায়
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়।
কালঘুম যখন বাংলায়
তার দীর্ঘ দেহ নিয়ে আবার নূরলদীন দেখা দেয় মরা আঙিনায়।
নূরলদীনের বাড়ি রংপুরে যে ছিল,
রংপুরে নূরলদীন একদিন ডাক দিয়েছিল
১১৮৯ সনে।
আবার বাংলার বুঝি পড়ে যায় মনে,
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
যখন শকুন নেমে আসে এই সোনার বাংলায়,
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
যখন আমার দেশ ছেয়ে যায় দালালেরই আলখাল্লায়;
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
যখন আমার স্বপ্ন লুট হয়ে যায়’
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
যখন আমার কণ্ঠ বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়’
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
যখন আমারই দেশে এ আমার দেহ থেকে রক্ত ঝরে যায়
ইতিহাসে, প্রতিটি পৃষ্ঠায়।
আসুন, আসুন তবে, আজ এই প্রশস্ত প্রান্তরে;
যখন স্মৃতির দুধ জ্যোৎস্নার সাথে ঝরে পড়ে,
তখন কে থাকে ঘুমে? কে থাকে ভেতরে?
কে একা নিঃসঙ্গ বসে অশ্রুপাত করে?
সমস্ত নদীর অশ্রু অবশেষে ব্রহ্মপুত্রে মেশে।
নূরলদীনেরও কথা যেন সারা দেশে
পাহাড়ি ঢলের মতো নেমে এসে সমস্ত ভাষায়,
অভাগা মানুষ যেন জেগে ওঠে আবার এ আশায়
যে, আবার নূরলদীন একদিন আসিবে বাংলায় ,
আবার নূরলদীন একদিন কাল পূর্ণিমায়
দিবে ডাক, ‘জাগো, বাহে, কোনঠে সবায়?’
পাঠ পরিচিতি :।
‘নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’ কবিতাটি সৈয়দ শামসুল হকের বিখ্যাত কাব্যনাটক ‘নূরলদীনের সারাজীবন’ শীর্ষক কাব্যনাটক থেকে সংকলিত হয়েছে। এটি এই নাটকের প্রস্তাবনা অংশ।
নাটকটির প্রস্তাবনা অংশে সূত্রধার আবেগঘন কাব্যিক বর্ণনার মাধ্যমে দর্শকদের সঙ্গে নাট্যকাহিনির সংযোগ স্থাপন করেছেন। নূরলদীন এক ঐতিহাসি চরিত্র। ১৭৮৩ খ্রিস্টাব্দে রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলে সামন্তবাদ-সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সাহসী কৃষকনেতা নূরলদীনের সংগ্রামের কথা ইতিহাসে লিপিবদ্ধ রয়েছে। সৈয়দ শামসুল হক ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে নূরলদীনের সাহস আর ক্ষোভকে অসামান্য নৈপুণ্যে মিশিয়ে দিয়েছেন বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের সঙ্গে।
১৯৭১ সালের ২৫ এ মার্চ কালরাত থেকে শুরু করে দীর্ঘ নয় মাস যখন এই বাংলা মৃত্যুপুরীতে রূপ নেয়, যখন শকুনরূপী দালালের আলখাল্লায় ছেয়ে যায় দেশ, যখন বাঙালি হারায় তার স্বপ্ন ও বাক-স্বাধীনতা, যখন স্বজনের রক্তে ভেসে যায় ইতিহাসের প্রতিটি পৃষ্ঠা-তখন মনে পড়ে ইতিহাসের প্রতিবাদী নায়ক নূরলদীনকে-এই চেতনাই কবিতাটিতে সৈয়দ শামসুল হক তুলে ধরতে চেয়েছেন। ১১৮৯ বঙ্গাব্দে (১৭৮৩ খ্রিস্টাব্দ) নূরলদীনের ডাকে মানুষ যেভাবে জেগে উঠেছিল, এখনও ঠিক সেইভাবে জেগে উঠবে বাংলার জন-মানুষ-এটাই কবির বিশ্বাস। এভাবে কবির শিল্পভাবনায় নূরলদীন ক্রমান্বয়ে এক চিরায়ত প্রতিবাদের প্রতীকে পরিণত হয়। ইতিহাসের পাতা থেকে বেরিয়ে এসে নূরলদীন মিশে যায় বাংলার শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের ভিড়ে-অংশগ্রহণ করে সমকালীন সকল আন্দোলন-সংগ্রামে। তাই কবির মনে হয়-অভাগা মানুষ জেগে উঠে পাহাড়ি ঢলের মতো ভাসিয়ে দেবে অন্যায় যখন নূরলদীন দেবে ডাক-‘জাগো, বাহে, কোনঠে সবাই’।
সৃজনশীল প্রশ্ন
১ । নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
'মাগো, ওরা বলে
সবার মুখের ভাষা কেড়ে নেবে।
তোমার কোলে শুয়ে
গল্প শুনতে দেবে না।
তাই কি হয়?'
ক. নূরলদীন কত সালে ডাক দিয়েছিল? ১
খ. 'যখন শকুন নেমে আসে এই সোনার বাংলায়।'_ বলতে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন? ২
গ. উদ্দীপকে ওরা 'নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়' কবিতার কাদের প্রতিনিধি? ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ. উদ্দীপকের শেষ দুই চরণ যেন 'নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়' কবিতার নূরলদীনেরই মনোভাব।_ বিশ্লেষণ কর। ৪
সৃজনশীল
২। শত বছরে শত সংগ্রাম শেষে
রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে
অতঃপর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন।
তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল,
হৃদয়ে লাগিল দোলা, জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার
সকল দুয়ার খোলা। কে রোধে তাহার বজ্রকণ্ঠ বাণী?
গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর কবিতাখানি
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
ক) ‘নুরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’ কবিতায় হঠাৎ নীলক্ষার নীলে কী দেখা দেয়?
খ) ‘স্তব্ধতার দেহ ছিঁড়ে কোন ধ্বনি? কোন শব্দ?’ পঙিক্তটি ব্যাখ্যা করো।
গ) উদ্দীপকের শেষের দুই চরণ ‘নুরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’ কবিতার কোন দিকটির কথা মনে করিয়ে দেয়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ) উদ্দীপকটি ‘নুরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’ কবিতার মূল ভাবের সঙ্গে কতখানি সাদৃশ্যপূর্ণ? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।
নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
প্রশ্ন : নুরলদীনের সারাজীবন কোন শ্রেণির সাহিত্যকর্ম ?
উত্তর : নাটক
প্রশ্ন: দীর্ঘ দেহ নিয়ে নুরুলদীনকে কোথায় দেখা যায় ?
উত্তর : মরা আঙিনায়
প্রশ্ন: কৃষক নেতা নুরলদীন কোন অঞ্চলে সামন্ত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনি পরিচালনা করেন ?
উত্তর : রংপুর দিনাজপুর
প্রশ্ন: নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতায় উল্লিখিত চাঁদ কিসের প্রতীক ?
উত্তর : মুক্তির
প্রশ্ন: ভাষা আন্দোলনকে নির্দেশ করে কোন পঙক্তিটি ?
উত্তর: যখন আমার কন্ঠ বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়
প্রশ্ন: কাল ঘুম যখন বাংলার- কাল ঘুম কোন অর্থ নির্দেশ করে ?
উত্তর : চিরনিদ্রা
প্রশ্ন: নষ্ট ক্ষেত, নষ্ট মাঠ,... নষ্ট,... নষ্ট, বড় নষ্ট যখন সংসার পঙক্তিটির শূন্যস্থানে কী হবে ?
উত্তর : নদী ও মাঠ
প্রশ্ন: নূরলদীন ছিলেন একজন-
উত্তর: কৃষকনেতা
প্রশ্ন: নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতায় ইতিহাসের প্রতিটি পৃষ্ঠায় রক্ত ঝরে যাওয়া বলতে কী বোঝানো হযেছে ?
উত্তর : মুক্তি সংগ্রামে বাঙালির আত্মত্যাগকে
প্রশ্ন: নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়- কবিতাটিতে নূরলদীন কখন জনতাকে ডাক দিবে-
উত্তর : কাল পূর্ণিমায়
প্রশ্ন: নূরুলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতার চরণ সংখ্যা কত ?
উত্তর : ৪২
প্রশ্ন: নূরুলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতায় প্রথম অংশে কোন ধরনের বিষয় ফুটে উঠেছে ?
উত্তর : প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য
প্রশ্ন: কৃষক নেতা নূরলদীন ডাক দিয়েছিল কত খ্রিষ্টাব্দে ?
উত্তর : ১৭৮২
প্রশ্ন: নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতায় শেষ চরণ কোনটি ?
উত্তর : দিবে ডাক জাগো বাহে; কোনঠে সবায় ?
প্রশ্ন: সৈয়দ শামসুল হকের নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কেন ?
উত্তর : ২৫ এ মার্চের পর পাকিস্তানিদের নারকীয় তান্ডব
প্রশ্ন: এখন শকুন নেমে আসে এই সোনার বাংলায়- চরণটির মর্মার্থ কোনটি ?
উত্তর : শত্রুর অত্যাচার ও শোষণ
প্রশ্ন: অশ্রুপাত শব্দের অর্থ কী ?
উত্তর : সবকয়টি
প্রশ্ন: অশ্রু শব্দটি কোন ভাষার শব্দ ?
উত্তর : সংস্কৃত
প্রশ্ন: নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতায় নূরলদীনের ডাকে কত বঙ্গাব্দে বাংলার মানুষ জেগে উঠেছিলেন ?
উত্তর : ১১৮৯
প্রশ্ন: সৈয়দ শামসুল হক কোথায় জন্মগ্রহণ করেন ?
উত্তর : কুড়িগ্রাম
প্রশ্ন : নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতাটি কিসের প্রস্তাবনাংশ ?
উত্তর : কাব্য নাটকের
প্রশ্ন: পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় কোন ধরনের রচনা ?
উত্তর : কাব্যনাটক
প্রশ্ন: জাগো, বাহে, কোনঠে সবাই- কোন কবিতার অংশবিশেষ ?
উত্তর : নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়
প্রশ্ন: মানুষের বন্ধ দরজায় কে হঠাৎ হানা দেয় ?
উত্তর: অতীত
প্রশ্ন: স্তব্ধতার দেহ ছিড়ে কোন ধ্বনি ? কোন.... ? কিসের.... ? পঙক্তিটির শূন্যস্থানে কী হবে ?
উত্তর: শব্দ, প্রপাত
প্রশ্ন: নিচের কোনটি সৈয়দ শামসুল হকের নাটক ?
উত্তর : পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়
প্রশ্ন: প্রপাত শব্দের অর্থ কী ?
উত্তর : নির্ঝরের পতন স্থান
প্রশ্ন: নুরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতায় নূরলদীন কী বলে ডাক দেবে বলে প্রত্যাশা করা হয়েছে ?
উত্তর: জাগো, বাহে, কোনঠে সবায়
প্রশ্ন: নুরলদীন মূলত কাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন ?
উত্তর : ইংরেজদের বিরুদ্ধে
প্রশ্ন: নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতায় নূরলদীন একদিন কোথায় ডাক দিয়েছিল ?
উত্তর : রংপুরে
প্রশ্ন: নুরলদীন বাংলার মানুষকে আবার ডাক দেবে কেন ?
উত্তর : জেগে উঠতে
প্রশ্ন: সৈয়দ শামসুল হক সম্পর্কে নিচের কোনটি সঠিক ?
উত্তর : তিনি বিবিসি বাংলা বিভাগের প্রযোজক ছিলেন
প্রশ্ন: ১১৮৯ বঙ্গাব্দ-
উত্তর : ১৭৮২ খ্রিষ্টাব্দ
প্রশ্ন: নষ্ট ক্ষেত, নষ্ট মাঠ, নদী নষ্ট, বীজ নষ্ট, বড় নষ্ট যখন সংসার- চরণটিতে কী ফুটে উঠেছে ?
উত্তর : বিরুদ্ধ পরিবেশ
প্রশ্ন: অতীত হঠাৎ কোথায় হানা দেয় ?
উত্তর : বন্ধ দরজায়
প্রশ্ন: নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতা অবলম্বনে নূরলদীন ডাক দিলে অভাগা মানুষ জেগে উঠবে- তাদের জেগে ওঠাকে কবি কিসের তুলনা করেছেন ?
উত্তর : পাহাড়ি চলের মতো
প্রশ্ন: কবি নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতায় কোন শ্রেণির মানুষের জেগে ওঠার কথা বলেছেন ?
উত্তর : শ্রমজীবী
প্রশ্ন: নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতায় নূরলদীনকে কোন বৈশিষ্ট্যে ফুটিয়ে তুলেছেন ?
উত্তর : প্রতিবাদী
প্রশ্ন: নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতায় কতটি লোকালয়ের কথা উল্লেখ আছে ?
উত্তর : ঊনসত্তর হাজার
প্রশ্ন : পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায় কাব্যনাটকটির রচয়িতা কে ?
উত্তর : সৈয়দ শামসুল হক
প্রশ্ন : মাগো ওরা বলে সবার মুখের ভাষা কেড়ে নেবে। এই চরণ দুটির সাথে সাদৃশ্য রয়েছে নিচের কোন চরণটিতে ?
উত্তর : যখন আমার কণ্ঠ বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায়
প্রশ্ন : নূরলদীনের বাড়ি ছিল কোন জেলায় ?
Right Answer : রংপুর
প্রশ্ন : নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতার পটভূমি কোনটি ?
উত্তর : কৃষক বিদ্রোহ
প্রশ্ন : কবির শিল্পভাবনায় নূরলদীন ক্রমান্বয়ে কিসে পরিণত হয়েছে ?
উত্তর: প্রতিবাদের প্রতীকে
প্রশ্ন : নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়- কবিতায় নূরলদীন কিসের বিরোধী ছিলেন ?
উত্তর : সাম্রাজ্যবাদে
প্রশ্ন : অতি অকস্মাৎ স্তব্ধতার দেহ ছিঁড়ে কোন ধ্বনি ? চরণটিতে কিসের ইঙ্গিত পাওয়া যায় ?
উত্তর : জাগরণের
প্রশ্ন : বৈশাখে রচিত পঙক্তিমালা- কার রচনা ?
উত্তর : সৈয়দ শামসুল হক
প্রশ্ন: ইতিহাসে ক্ষুদিরাম একজন বিপ্লবী চেতনার প্রতীক।ক্ষুদিরামের সঙ্গে নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতায় কার সাদৃশ্য রয়েছে ?
উত্তর : নূরলদীনের
প্রশ্ন : নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতায় কোন চাঁদের কথা বলা হয়েছে ?
উত্তরr : পূর্ণিমার
প্রশ্ন : হঠাৎ নিলক্ষার নীলে তীব্র শিস দিয়ে কী দেখা যায় ?
উত্তর : বড় চাঁদ
প্রশ্ন : নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কেন ?
উত্তর : সাহসী ও সংগ্রামী মানুষ বলে
প্রশ্ন : নূরলদীন একদিন ডাক দিয়েছিল কত সনে ?
উত্তর : ১১৮৯
প্রশ্ন: নূরলদীনের সারাজীবন কী ধরনের রচনা ?
উত্তর : কাব্যনাটক
প্রশ্ন: নূরলদীনের বাড়ি কোথায় ?
উত্তর : রংপুর
প্রশ্ন: নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতায় নূরলদীন কাদের জেগে ওঠার আশায় ডাক দিবেন ?
উত্তর : অভাগা মানুষ
প্রশ্ন : নূরলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতায় বন্ধ দরজা বলতে মানুষের কী বোঝানো হয়েছে ?
উত্তর : চেতনা
প্রশ্ন : ১১৮৯ সনে কৃষকনেতা নূরলদীন কিসের ডাক দিয়েছিলেন ?
উত্তর : বিদ্রোহের
প্রশ্ন : সৈয়দ শামছুল হকের সাহত্যে গঠনশৈলীর ক্ষেত্রে কোর ভাবটি পোষণ করে?
উত্তর : নিরীক্ষাপ্রিয় মনোভাব
প্রশ্ন : নূরুলদীনের সারাজীবন কোন ধরনের গ্রন্থ?
উত্তর : কাব্যনাটক
প্রশ্ন: জাগো বাহে কোনঠে সবায় এটি কোন এলাকার আঞ্চলিক ভাষা?
উত্তর : রংপুর
প্রশ্ন: নূরুলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতায় কোন ধরনের মানুষ আবার জেগে ওঠে নূরুলদীনের আশায়?
উত্তর : অভাগা
প্রশ্ন: তিতুমীর এক ঐতিহাসিক চরিত্র। তিতুমীরের সঙ্গে তোমার পঠিত নূরুদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতায় সাদৃশ্য রয়েছে?
উত্তর : নূরুলদীনের
প্রশ্ন: মাগো ওরা বলে সবার মুখের ভাষা কেড়ে নেবে। উক্ত কবিতাংশের সঙ্গে নূরুলদীনর কথা মনে পড়ে যায় কবিতার সাদৃশ্য পূৃর্ণ চরন কোনট?
উত্তর : যখন আমার কন্ঠ বাজোয়াপ্ত করে নিয়ে যায়
প্রশ্ন: নূরুলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতায় দালাল বলতে কাদের বুঝানো হয়েছে?
উত্তর : রাজাকারদের
প্রশ্ন: যখন আমার দেশ ছেয়ে যায় দালালের আলখাল্লায় বলতে কী বুঝানো হয়েছে?
উত্তর : দেশের স্বাধীনতা বিরুধী শক্তিকে
প্রশ্ন: নূরুলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতায় অভাগা মানুষ জেগে উঠে কিসের আশায়?
উত্তর: নূরুলদীনের প্রত্যাবর্তনের আশায়
প্রশ্ন: নূরুলদীনের কথা মনে পড়ে যায় কবিতাটি কিসের প্রস্তবসাংশ
উত্তর : কাব্যনাটকের
প্রশ্ন : নূরুলদীন চরিত্রটি কোন অর্থে প্রয়োগ ঘটেছে?
উত্তর : চেতনা
প্রশ্ন : কবি নূরুলদীনের সাহস আর ক্ষোভকে অসামান্য নৈপূণ্যে কীসর সাথে মিশিয়েছেন?
উত্তর : মুক্তিযুদ্ধের সাথে
১। শত বছরে শত সংগ্রাম শেষে
রবীন্দ্রনাথের মতো দৃপ্ত পায়ে হেঁটে
অতঃপর কবি এসে জনতার মঞ্চে দাঁড়ালেন।
তখন পলকে দারুণ ঝলকে তরীতে উঠিল জল,
হৃদয়ে লাগিল দোলা, জনসমুদ্রে জাগিল জোয়ার
সকল দুয়ার খোলা। কে রোধে তাহার বজ্রকণ্ঠ বাণী?
গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে কবি শোনালেন তাঁর অমর কবিতাখানি
এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম,
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’
ক) ‘নুরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’ কবিতায় হঠাৎ নীলক্ষার নীলে কী দেখা দেয়?
খ) ‘স্তব্ধতার দেহ ছিঁড়ে কোন ধ্বনি? কোন শব্দ?’ পঙিক্তটি ব্যাখ্যা করো।
গ) উদ্দীপকের শেষের দুই চরণ ‘নুরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’ কবিতার কোন দিকটির কথা মনে করিয়ে দেয়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ) উদ্দীপকটি ‘নুরলদীনের কথা মনে পড়ে যায়’ কবিতার মূল ভাবের সঙ্গে কতখানি সাদৃশ্যপূর্ণ? তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও।
বিনীত নিবেদন এই যে, আমি আপনার প্রতিষ্ঠানের একজন নিয়মিত ছাত্র।
আমি গত ইং -------- তারিখ হতে এপেন্ডিসাইটিস রোগে আকান্ত হই । শারীরিক
অসুস্থতার জন্য কলেজে উপস্থিতি দেওয়া সম্ভব হয় নি।
অতএব, আমার আকুল আবেদন, আমার শারিরীক অসুস্থতার বিষয়টি বিবেচনা করে
আমাকে উক্ত দিন গুলোর ছুটি মঞ্জুর করতে আপনার সদয় মর্জি হয়।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ২৩এ ডিসেম্বর পিতার কর্মস্থল সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শহিদ ফয়জুর রহমান আহমেদ, জননী আয়েশা আখতার খাতুন। মুহম্মদ জাফর ইকবালের পৈতৃক নিবাস নেত্রকোনা জেলায়। তাঁর মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত হয় বগুড়ায়। ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পাসের পর তিনি তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। দীর্ঘ প্রবাসজীবন শেষে দেশে প্রত্যাবর্তন করে তিনি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়পক পদে নিযুক্ত হন।
.
মুহম্মদ জাফর ইকবাল বাংলা ভাষায় রচিত সায়েন্স ফিকশন বা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির একচ্ছত্র সম্রাট। ‘কপোট্রনিক সুখ দুঃখ’ রচনার মাধ্যমে এ-ধারার সাহিত্য তাঁর প্রথম আবির্ভাব। বিজ্ঞানকে উপলক্ষ্য করে কল্পনার বিস্তারে অসামান্যতা তাঁর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। তিনি একই সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ বিজ্ঞানী ও স্বপ্নচারী রোমান্টিক। তাঁর সাহিত্যে ও বিজ্ঞানের বস্তুনিষ্ঠা ও মানবীয় কল্পনার সম্মিলন ঘটেছে। মাতৃভূমি, মানুষ ও ধরিত্রীর প্রতি নৈতিকতা দায়বদ্ধতা তাঁর সাহিত্যিক মানসের প্রধান বৈশিষ্ট্য। বাংলাদেশের বিজ্ঞানমুখী তরুণ-প্রজন্মের তিনি আইডল বা আদর্শ। কিশোর উপন্যাস এবং ছোটগল্প রচনাতেও তিনি দক্ষতার সাক্ষর রেখেছেন। কিশোর উপন্যাস ‘দীপু নাম্বার টু’, ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ এবং ‘আমি তপু’ তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা। ‘মহাকাশে মহাত্রাস’, ‘টুকুনজিল’, ‘নিঃসঙ্গ গ্রহচারী’, ‘একজন আতিমানবী’, ‘ফোবিয়ানের যাত্রী’সহ অনেক পাঠকপ্রিয় সায়েন্স ফিকশন বা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির তিনি সৃষ্টা। ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞান লেখক হিসেবে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।
পাঠ-পরিচিতি
============
‘জলজ’ গ্রন্থের অন্তর্গত “মহাজাগতিক কিউরেটর” গল্পটি মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘সায়েন্স ফিকশন সমগ্র’ তৃতীয় খণ্ড (২০০২) থেকে গৃহীত হয়েছে। “মহাজাগতিক কিউরেটর” বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী হলেও এতে দেশকালের প্রভাবপুষ্ট মানবকল্যাণকর্মী লেখকের জীবনদৃষ্টির প্রতিফলন ঘটেছে। অনন্ত মহাজগৎ থেকে আগত মহাজাগতিক কাউন্সিলের দুজন কিউরেটর এর বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর নমুনা সংগ্রহে সৌরজগতের তৃতীয় গ্রহ পৃথিবীতে আগমনের তথ্য দিয়ে গল্পটির সূচনা। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রাণীর নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে দুজন কিউরেটরের সংলাপ বিনিময়ের মধ্য দিয়ে গল্পটি নাট্যগুণ লাভ করেছে। প্রজাতির যাচাই-বাছাই কালে পৃথিবীর নানা প্রাণীর গুণাগুণ কিউরেটরদের সংলাপে উঠে আসে। ‘মানুষ’ নামক প্রজাতি বিবেচনার ক্ষেত্রে কিউরেটর দুজনের বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা মূলত কল্পকাহিনীর লেখকেরও মনের কথা। দুজন কিউরেটর পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারে মানুষের কারণেই হ্রাস ঘটে যাচ্ছে ওজোন স্তরের। মানুষই নির্বিচারে গাছ কেটে ধ্বংস করে চলেছে প্রকৃতির ভারসাম্য। পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে মানুষই নিউক্লিয়ার বোঝা ফেলছে একে অন্যের ওপর। এক পরিস্থিতিতেও তারা পৃথিবীর বুদ্ধিমান বলে কথিত। ‘মানুষ’ প্রজাতির নির্বুদ্ধিতায় তারা শঙ্কিত হয়। অবশেষে তারা পরিশ্রমী সুশৃঙ্খল সামাজিক প্রাণী পিঁপড়াকেই শনাক্ত করে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রজাতি হিসেবে। ডাইনোসরের যুগ থেকে এখনো বেঁচে থাকা সুবিবেচক ও পরোপকারী পিঁপড়াকে তারা পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী বিবেচনায় সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। কল্পকাহিনির রসের সঙ্গে সমাজ, পরিবেশ ও পৃথিবী সম্পর্কে সচেতন লেখকের তীব্র শ্লেষ ও পরিহাসের মিশ্রণ গল্পটিকে বিশিষ্ট করে তুলেছে।
×
সৃজনশীল প্রশ্ন:=
১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট সকাল বেলায় শান্ত ও সুন্দর হিরোশিমা নগরে আঘাত করল লিটল বয় নামক পারমাণবিক বোমা। শিশু, বৃদ্ধ আর প্রাকৃতিক পরিবেশের হাহাকারে বিশ্ব বিবেক সেদিন কেঁপে উঠল। বিশ্ববাসী পারমাণবিক বোমার তেজস্ক্রিয়তায় অস্তিত্ব সংকটের কথা ভেবে ভয়ে আঁতকে উঠল। শিল্পায়নের ফলে বাতাসে প্রতিনিয়তই কার্বন-ডাই-অক্সাইড বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এভাবে পরিবেশের ওপর অত্যাচার চলতে থাকলে পৃথিবী এক সময় বসবাস অনুপযোগী হয়ে পড়বে।
(ক) প্রাণিজগতে একটু পিছিয়ে পড়া প্রাণী কোনটি?
(খ) “পৃথিবী এক সময় এরাই নিয়ন্ত্রণ করবে” – উক্তিটি দ্বারা কি বুঝানো হয়েছে?
(গ) ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’ গল্পে মানুষ ও পিঁপড়ার মধ্যে বৈসাদৃশ্যগুলো আলোচনা কর।
(ঘ) “মানুষই প্রেম করে সেই মানুষই খুন করে” – উদ্দীপক ও তোমার পঠিত ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’ গল্প অবলম্বনে আলোচনা কর।
উত্তর – ক :প্রাণিজগতে একটু পিছিয়ে পড়া প্রাণী সরীসৃপ।
উত্তর – খ :“পৃথিবী এক সময় এরাই নিয়ন্ত্রণ করবে”- বলতে পৃথিবী নিয়ন্ত্রণে মানুষের দূরদর্শিতার অভাব এবং এর ফলে পিঁপড়া কর্তৃক পৃথিবী শাসনকে বোঝানো হয়েছে।
“মহাজাগতিক কিউরেটর” গল্পে নানা প্রজাতির যাচাই-বাছাইকালে পৃথিবীর নানা প্রাণীর দোষ-গুণ কিউরেটরদের সংলাপে উঠে এসেছে। কোনো একপর্যায়ে তারা মানুষকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রাণী বলে চিহ্নিত করে। কিন্তু মানুষের নির্বুদ্ধিতা দেখে তাদের ভুল ভাঙে। তারা বলে, মানুষ এখানে দুই মিলিয়ন বছর আগে জন্ম নিয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে পৃথিবীকে তারা বসবাস অনুপযোগী করে তুলেছে নানা ধ্বংসাত্মক ও আত্মঘাতী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে। অন্যদিকে পিঁপড়া ডাইনোসরের যুগ থেকে বর্তমান। মানুষের মধ্যে যেসব ভালো দিক আছে পিঁপড়ার মধ্যেও এগুলো বিরাজমান; কিন্তু মানুষের মধ্যে যে খারাপ দিকগুলো আছে তা পিঁপড়ার মধ্যে অনুপস্থিত থাকার ফলেই মহাজাগতিক কিউরেটরদ্বয় ভাবছে এক সময় এই ভালো গুণগুলোর জন্যই পিঁপড়া পৃথিবী শাসন করবে।
উত্তর- গ :বিজ্ঞানমনষ্ক লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল তার মহাজাগতিক কিউরেটর গল্পে মানুষ ও পিঁপড়ার মধ্যে অনেক মিল দেখানোর পাশাপাশি বেশকিছু বৈসাদৃশ্য দেখিয়েছেন।
মানুষ সামাজিক জীব। এরা দল বেঁধে থাকে। কিন্তু মাঝে মাঝে নিজেদের মধ্যে হানাহানি ও মারামারিতে লিপ্ত হয়। অন্যদিকে পিঁপড়াও একত্রে বসবাস করে। যার কাজ সে করে, কেউ কারও সঙ্গে কোনো হানাহানিতে লিপ্ত হয় না। মানুষের মধ্যে কেউ শ্রমিক, কেউ পেশাজীবী, কেউবা আবার বুদ্ধিজীবী। কিন্তু কেউ কারও মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। অন্যদিকে পিঁপড়া এদিক দিয়ে মানুষ থেকে ভিন্ন। মানুষ নিজেদের স্বার্থে পৃথিবীকে মনের মতো করে সাজিয়েছে। আবার মানুষই পৃথিবীকে ধ্বংস করার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা সৃষ্টি করেছে। পিঁপড়া কেবল পৃথিবীকে সাজাচ্ছে, কিন্তু মানুষের মতো করে কিছু ধ্বংস করছে না।
মানুষ অসম্ভব পরিশ্রমী। সে তার কল্পনাকে বাস্তবে রূপদান করতে পারে। সেই মানুষই আবার অন্যের স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করতে কুণ্ঠাবোধ করে না। অন্যদিকে পিঁপড়াও পরিশ্রমী। নিজের শরীর থেকে দশ গুণ বেশি জিনিস অনায়াসে বহন করতে পারে। মানুষ সুবিবেচক, সে ভবিষ্যতের কথা ভেবে কাজ করে। কিন্তু মাঝে মাঝে অদূরদর্শিতার অভাবে নিজের ও পৃথিবীর ক্ষতি সাধন করে। কিন্তু পিঁপড়া আগে থেকেই খাবার রাখে, বিপদে দিশেহারা হয় না এবং অন্যকে বাঁচানোর জন্য অকাতরে প্রাণ দিয়ে যায়।
মানুষ প্রকৃতির এত ক্ষতি সাধন করছে যে, এক সময় এখানে টিকে থাকা তার জন্য কষ্টকর হবে। অন্যদিকে প্রকৃতির এতটুকু ক্ষতি করেনি পিঁপড়া। মানুষ নিজেদের ধ্বংস করে ফেলার পরও এরা বেঁচে থাকবে।
ঘ :মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। সে তার কল্পনা শক্তি, মেধা আর পরিশ্রম দিয়ে পৃথিবীকে বাস উপযোগী করে তুলেছে। একে অপরের সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে পৃথিবীকে স্বর্গে পরিণত করেছে। আবার এ মানুষই তার কর্মদোষে পৃথিবীতে নরক যন্ত্রণা ভোগ করে।
আমাদের পঠিত মহাজাগতিক কিউরেটর গল্পে আমরা দেখি, পৃথিবী নামক গ্রহে যে প্রাণীটি সবচেয়ে বেশি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে তারা হচ্ছে মানুষ। এরা সামাজিক জীব। মানুষ তার কর্মস্পৃহা, ধৈর্য, সাহস আর মেধার সমন্বয় ঘটিয়ে প্রকৃতিকে তার নিয়ন্ত্রণে এনেছে। নিজেদের সুবিধার্থে শহর, বন্দর, নগর তৈরি করেছে। পশুপালন জীবন ছেড়ে কৃষিভিত্তিক সমাজ পেরিয়ে সে এখন শিল্পায়ন ও নগরায়ণের পথে। এ সবের পেছনে রয়েছে তাদের আত্মত্যাগ, সৌন্দর্যবোধ, পারস্পরিক মমত্ববোধ, স্নেহ, প্রেম ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। এসবের ফলে মানুষ পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী প্রাণী।
আবার মানুষই তার আবাসস্থল নষ্ট করছে। বাতাসে দূষিত পদার্থ, তেজস্ক্রিয় পদার্থ ইত্যাদি ছড়িয়ে ওজনস্তর শেষ করে দিচ্ছে। গাছ কেটে বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বংস করছে। একে অন্যকে নিউক্লিয়ার বোমা দ্বারা শেষ করে দিচ্ছে। সভ্যতা, প্রেম-প্রীতি আর সোহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক এখন কল্পনার বিষয়। তারা সারাক্ষণ একে অন্যের ক্ষতি, ধ্বংস আর অমঙ্গলের কথা চিন্তা করছে। নিজেকে শক্তিশালী, মহাপরাক্রমশালী প্রমাণ করার জন্য শিশুর মুখের হাসি, জ্ঞানবৃদ্ধের প্রজ্ঞাময় চিন্তা ধ্বংস করতে সদা তৎপর। পৃথিবীর সুন্দর জায়গাগুলো, ইতিহাস-ঐতিহ্য মুছে দিতে বদ্ধ পরিকর। মানুষের এরকম আচরণের ফলে সুন্দর এ পৃথিবী মানুষের কাছে নরকের বিভীষিকা নিয়ে এসেছে।
পঠিত গল্প ও উদ্দীপকের আলোকে আমরা বলতে পারি, পৃথিবীকে মনের মতো করে সাজিয়েছে মানুষ। আর এ সুন্দর ও শান্তিময় পৃথিবী বিনির্মাণের ক্ষেত্রে মানুষের সদিচ্ছা আর আগ্রহ একান্ত জরুরি। কেননা মানুষই পৃথিবীকে শান্ত, সুন্দর ও মনোরম করে তুলবে তার আগামী প্রজন্মের জন্য।.
২ । রোহান চিন্তা করে- সে যদি অন্য প্রাণীর ভাষা বুঝতে পারত! তার খুব ইচ্ছে করে অন্যের মনের কথা বুঝতে। কয়েক বন্ধু মিলে তারা একটি কমিউনিকেটর যন্ত্র আবিষ্কার করল। যন্ত্রটা চালিয়ে বুঝল চারপাশের কীটপতঙ্গ-পাখিরা নিজেদের মধ্যে কথা বলছে। তারা পাখিদের সাথে কথা বলল; কিন্তু পাখিরা মানুষের ভাষা বুঝল না। হয়তো এদের বুদ্ধিমত্তা অতি নিম্নস্তরের। তবে মৌমাছিদের কর্মকাণ্ডে বিস্মিত হলো সবাই। মৌমাছিরা নিজেদের সমাজ ও শৃঙ্খলাকে মেনে চলে নিজেদের মধ্যে উন্নত সভ্যতা গড়ে তুলেছে।
ক. 'মহাজাগতিক কিউরেটর' গল্পে বর্ণিত মানুষ একে অন্যের ওপর কোন বোমা ফেলছে? ১
খ.মহাজাগতিক কাউন্সিলের কিউরেটররা কোনোমতেই মানুষকে নিতে রাজি হয়নি কেন? ২
গ. উদ্দীপকের মৌমাছির জীবনাচরণ 'মহাজাগতিক কিউরেটর' গল্পের কোন প্রেক্ষাপটে দৃশ্যমান? ব্যাখ্যা করো। ৩
ঘ.'উদ্দীপকের বুদ্ধিমান প্রাণীদের মাঝে 'মহাজাগতিক কিউরেটর' গল্পের সামাজিক প্রাণীর ছায়াছবি লক্ষ করা যায়।' তুমি কী মন্তব্যটির সঙ্গে একমত? তোমার মতামতের পক্ষে যুক্তি দেখাও। ৪
৩। বালিয়াপাড়া গ্রামের খেলার মাঠ দখল করে ইটের ভাটা নির্মাণ করা হলো। ফসলের মাঠ ভরাট করে গড়ে উঠল কয়েকটা মিল ফ্যাক্টরী। এতে আগুনের ধোঁয়া ও বর্জ্য অপসারণে আশেপাশের ফসল উত্পাদন কমে গেল, নদীর মাছ মরতে থাকল এবং আশেপাশের মানুষ ও কৃষকেরা অসুস্থ হয়ে পড়ল।
ক) কোন প্রজাতির নির্বুদ্ধিতায় তারা শঙ্কিত? ১
খ) বুদ্ধিমান প্রাণী কোনটি? ব্যাখ্যা কর। ২
গ) উদ্দীপকের কোন বিষয়টি ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’ গল্পে প্রতিফলিত হয়েছে? বর্ণনাকর।৩
ঘ) “উদ্দীপক ও ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’ গল্পের চেতনাগত বৈসাদৃশ্য নেই”-মন্তব্যটি যাচাইকর। ৪
৪ । উদ্দীপকটি পড়ে সংশ্লিষ্ট
প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
একদিন সকালে কাজলের বাড়ির পাশে একটি বানর বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় । কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই জায়গা অন্য বানরেরা ঘিরে ধরে, যেন বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ফেলবে ওরা। ওই দিনই কলেজে যাওয়ার পথে কাজল দেখল, কয়েকটি ছেলে একটি মেয়েকে উত্ত্যক্ত করছে। আশপাশে অনেক মানুষ থাকলেও কেউ প্রতিবাদ করছে না। কাজল সঙ্গের বন্ধুদের নিয়ে প্রতিরোধ করতে এগিয়ে গেল।
ক) মহাজাগতিক কিউরেটর কোন জাতীয় রচনা?
উত্তর:‘মহাজাগতিক কিউরেটর’ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি জাতীয় রচনা।
খ) মহাজাগতিক কিউরেটরদ্বয়ের মানুষ বাদ দিয়ে নমুনা হিসেবে পিঁপড়া সংগ্রহের কারণ কী?
উত্তর : মানুষের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড ও পিঁপড়াদের পরিবেশবান্ধব কর্মকাণ্ডের কারণে কিউরেটরদ্বয় মানুষকে বাদ দিয়ে পিঁপড়াদের সংগ্রহ করেন। মানুষ পৃথিবীর স্বেচ্ছাধ্বংসকারী প্রাণী। তারা নির্বিচারে গাছপালা নিধন করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে। তারা প্রতিনিয়ত মাটি, পানি, বায়ু দূষিত করে পৃথিবীটাকে বসবাসের অনুপযোগী করে তুলছে। বিভিন্ন ধরনের বোমা ও মারণাস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষ পৃথিবী ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছে। অন্যদিকে পিঁপড়ারা শান্তিপ্রিয় প্রাণী। তারা একে অন্যকে সাহায্য-সহযোগিতার মাধ্যমে মিলেমিশে বসবাস করে। তারা একসঙ্গে খাবার সংগ্রহ করে, ভবিষ্যতের জন্য তারা খাদ্য মজুদ করে। তারা পরিশ্রমী, স্বেচ্ছাধ্বংসকারী নয় এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মানুষ তার ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের কারণে পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেলেও পিঁপড়ারা তাদের পরিবেশবান্ধব কর্মকাণ্ডের কারণে পৃথিবীতে থেকেই যাবে। এ জন্য কিউরেটরদ্বয় মানুষকে বাদ দিয়ে পিঁপড়াদের সংগ্রহ করে মহাজাগতিক কিউরেটরে রাখার জন্য নিয়ে যায়।
গ) কিউরেটরদের বিচারের আলোকে উদ্দীপকের কোন প্রাণীটি শ্রেষ্ঠ— ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : কিউরেটরদের বিচারের আলোকে উদ্দীপকের বানর প্রাণীটি শ্রেষ্ঠ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। উদ্দীপকে একটি বানর বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়ায় অন্য বানররা সহমর্মিতা জানাতে ছুটে আসে এবং মৃত্যুর কারণে বৈদ্যুতিক খুঁটিটি তারা উপড়ে ফেলার চেষ্টা করছে। এর দ্বারা মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে। অথচ বখাটে ছেলেরা উত্ত্যক্ত করলেও মেয়েটিকে সাহায্য করতে কেউ এগিয়ে আসছে না। এর দ্বারা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব মানুষের অমানবিক আচরণ প্রকাশ পাচ্ছে। একইভাবে ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’ গল্পে কিউরেটররা পৃথিবী থেকে শ্রেষ্ঠ প্রাণীটিকে নিতে এসে মানুষকে তারা স্বেচ্ছাধ্বংসকারী প্রাণী হিসেবে দেখতে পায়। তারা একে অন্যকে সাহায্য তো করেই না, বরং বিভিন্নভাবে তারা পরিবেশের ধ্বংসলীলায় মেতে উঠেছে। অথচ কিউরেটররা তুচ্ছ প্রাণী পিঁপড়ার মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা দেখে অবাক। এরা একে অন্যকে সাহায্য-সহযোগিতাই শুধু করে না, বরং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কাজেই বলা যায়, ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’ গল্পে মানুষ অপেক্ষা যেমন পিঁপড়া শ্রেষ্ঠ, তেমনি উদ্দীপকে মানুষ অপেক্ষা বানর শ্রেষ্ঠ হিসেবে পরিগণিত।
ঘ) ‘ইতিবাচক কর্মই শ্রেষ্ঠত্বের পরিচায়ক’—উদ্দীপক ও ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’ গল্পের আলোকে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
উত্তর : গঠনমূলক ও সৃষ্টিশীল কর্মকাণ্ডই ইতিবাচক কর্মকাণ্ড, যাকে শ্রেষ্ঠত্বের পরিচায়ক হিসেবে উদ্দীপক ও ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’ গল্পে দেখানো হয়েছে। উদ্দীপকে বানর ও কাজলের কর্মকাণ্ডকে ইতিবাচক ও গঠনমূলক কাজ হিসেবে দেখানো হয়েছে। বানররা যখন মৃত বানরটিকে সহানুভূতি দেখাতে এগিয়ে এসেছে, তখন তা মহৎ কর্ম হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। আবার কাজল যখন তার বন্ধুদের নিয়ে অসহায় মেয়েটিকে বখাটে ছেলেদের হাত থেকে রক্ষা করতে এগিয়ে এসেছে, তখনো তা মহৎ ও ইতিবাচক কর্ম হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। তাদের এই ইতিবাচক কর্মের ক্ষুদ্র প্রয়াস সমাজে আনতে পারে শৃঙ্খলা ও পৃথিবীতে শান্তি। অন্যদিকে ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’ গল্পে পিঁপড়ারা পারস্পরিক সহযোগিতা ও শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনযাপনের মাধ্যমে ইতিবাচক কর্মের পরিচয় দিয়েছে। এদের কর্মের দ্বারা যেমন কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয় না, তেমনি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এভাবে পিঁপড়ারা ইতিবাচক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে শ্রেষ্ঠত্বের পরিচয় রেখেছে। কাজেই আমরা বলতে পারি, উদ্দীপকের বানর ও গল্পের পিঁপড়ার কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে মানুষ যদি তার স্বেচ্ছাধ্বংকারী ও পরিবেশ ধ্বংসকারী কর্ম পরিত্যাগ করে সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ডে শরিক হতে পারে, তবে সে-ও শ্রেষ্ঠ হতে পারে। আর তারই ক্ষুদ্র প্রয়াস আমরা উদ্দীপকের কাজলের মধ্যে দেখতে পাচ্ছি।
×
মহাজাগতিক কিউরেটর সংখ্যাবাচক তথ্য:
বিভিন্ন প্রানীর নমুনা সংগ্রহ করছেন-২ জন কিউরেটর
কিউরেটররা খুটিয়ে দেখছিলেন -সৌরজগতের ৩য় গ্রহটি
মানুষ জন্ম নিয়েছে পৃথিবীতে-মাত্র দুই মিলিয়ন বছর আগে
গল্পে উল্লেখিত প্রাণীর সংখ্যা- ১১ টি
রচনার আলোচনা:
অন্য প্রাণীর সংস্পর্শে এলে জীবনের লক্ষণ দেখা যায়-ভাইরাসে
সৌরজগতের তৃতীয় গ্রহ-পৃথিবী
ব্যাকটেরিয়া-পরজীবী প্রাণী
উষ্ণ রক্তের প্রাণীর মধ্য বিকাশ ঘটেছে-নিম্নশ্রেণির বুদ্ধির
পৃথিবীর সকল প্রাণীর জন্য মূল গঠন-ডিএনএ
সকল ডিএনএ তৈরি-একই বেস পেয়ার দিয়ে
ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের গঠন সহজ ও বৈচিত্র্য নেই
নীল তিমি আকারে বড় বলে সংরক্ষন কঠিন
গাছপালা স্থির প্রানবিশিষ্ট
গাছপালার সালোকসংশ্লেষণে প্রয়োজন হয়- খাদ্য প্রস্তুতে
প্রানীজগতে একটু পিছিয়ে পড়া প্রাণী-সাপ
সাপের শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত নয়
ঠান্ডায় স্থবির হয়ে পড়ে-সাপ
কিউরেটরের কুকুর পছন্দ হওয়ার কারন -এরা দলবদ্ধ
নিজের স্বকীয়তা হারিয়েছে- কুকুর
পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি আলোড়ন সৃষ্টিকারী প্রাণী-মানুষ
প্রায় দুই মিলিয়ন বছর আগে জন্ম নিয়েছে -মানুষ
প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে -মানুষ
মানুষের নির্বুদ্ধিতার জন্য হ্রাস পাচ্ছে -ওজোন স্তর
অত্যন্ত সুবিবেচক প্রাণী -পিপড়া
ডাইনোসরের সময় থেকে বেঁচে আছে-পিপড়া
নিজের শরীরের চেয়ে দশগুন ভার বহন করতে পারে-পিপড়া
কিউরেটর গল্পের সূচনা – বিভিন্ন প্রানীর নমুনা সংগ্রহে দুজন কিউরেটরের পৃথিবীতে আগমন
মানুষের নিজের আত্মকেন্দ্রিকতায় নিজের জীবন বিপন্ন করছে
কিউরেটর শব্দের অর্থ-জাদুঘর রক্ষক
ওজোন স্তর পৃথিবীকে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে
লুপ্ত হওয়া বৃহদাকার প্রাগৈতিহাসিক প্রাণী-ডাইনোসর
গল্পে হলুদ ডোরাকাটা প্রানী- বাঘ
অন্যান্য প্রাণী থেকে মানুষ আলাদা-বুদ্ধি বিবেচনায়
DNA পূর্ণরূপ- DEOXYRIBO NUCLEIC ACID
×
প্রশ্ন-১ শীতের ছুটিতে বন্ধুরা মিলে সুন্দরবন যায় । সারাদিন আনন্দে কাটে । বিকেলে আসে নদীর ঘাটে । পেছনে থেকে তাদের যে কেউ অনুসরন করছিল , তা তারা খেয়ালিই করেনি । হঠাৎ পেছন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রয়েল বেঙ্গল টাইগার । পড়িমড়ি করে বন্ধুরা যে যেদিকে পারে ছুটে যায় । বাঘের থাবায় যে বন্ধু আটকে আছে তাকে কীভাবে উদ্ধার করা যায়,তা নিয়ে কেউ আর ভাবতেও পারে না । অথচ বাঘের সাথে লড়ে একদল জেলেশিশু আগুন্তুককে উদ্ধার করে বন্ধুদের কাছে পৌছে দেয় ।
ক.মানুষের বয়স কত ? ১
খ.‘পৃথিবী একসময় এরাই নিয়ন্ত্রণ করবে’-কীভবে ? ২
গ.উদ্দীপকটি ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’গল্পের সঙ্গে কীভাবে সম্পৃক্ত ? ব্যাখ্যা কর ।
ঘ.“জেলেশিশুরা ‘মহাজাগতিক কিউরেট’ গল্পের পিঁপড়ার প্রতিনিধি ”-মন্তব্যটি যাচাই কর ।
উত্তর-ক
মানুষের বয়স দুই মিলিয়ন বছর । উত্তর-খ
প্রকৃতির কোন ক্ষতি সাধন না করার কারণে পিঁপড়া সম্পর্কে কিউরেটরদের এমন আস্থাপূর্ণ মন্তব্য । পিঁপড়েরা অত্যন্ত সুবিবেচক প্রাণী । তারা প্রকৃতির কোনো ক্ষতি সাধন করে না । বরং একে অন্যকে বাচাঁনোর জন্য এরা অকাতরে প্রাণ দেয় । এরা অত্যন্ত পরিশ্রমী ও সুশৃঙ্খল। এসব কারণে কিউরেটররা এদের সম্পর্কে যথেষ্ট আস্থাশীল এবং তাদের ধারণা , এরাই একসময় পৃথিবী নিয়ন্ত্রণ করবে উত্তর-গ 5. Ut wisi enim ad minim veniam,
×
বহুর্নিবাচনী প্রশ্ন:
১.পিঁপড়ারা কোন ধরনের প্রাণী ?
ক) পরিশ্রমী শৃঙ্খলাপূর্ণ সামাজিক প্রাণী
খ) মানবিকতাসম্পন্ন প্রাণী
গ) সুসভ্য প্রাণী
ঘ. বস্তুবাদী ইহজাগতিক প্রাণী
উত্তর: ক) পরিশ্রমী শৃঙ্খলাপূর্ণ সামাজিক প্রাণী
২.কোথাও কোথাও প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে।- কারা ?
ক) মানুষ
খ ০মৌমাছি
গ)পিঁপড়া
ঘ)নীলতিমি
উত্তর: ক) মানুষ
৩. নিচের কোন প্রাণীটির গঠনে বৈচিত্র্য নেই বলেই কিউরেটররা মনে করে ?
ক ভাইরাস
খ)মানুষ
গ)পিঁপড়া
ঘ) সাপ
উত্তর: ক ভাইরাস
৪. মহজাগতি কিউরেটর গল্পে কোন প্রাণীটি তাদরে নজিস্বতা হারিয়েছে?
ক কুকুর
খ সরীসৃপ বা সাপ
গ হরিণ
ঘ মানুষ
উত্তর: ক কুকুর
৫. পরজীবী বলতে বোঝায়-
ক অন্য জীবের ভেতরে ও বাহিরে থাকে
খ অপরের জীব
গ অন্য জীবের বাহিরে থাকে
ঘ অন্য জীবের ভেতরে থাকে
উত্তর: ক অন্য জীবের ভেতরে ও বাহিরে থাকে
৬. পৃথিবীতে রয়েছে-
ক. এককোষী থেকে লক্ষ-কোটি কোষী প্রাণী
খ. এককোষী থেকে বহুকোষী প্রাণী
গ. অতিকায় বিরাট প্রাণী
ঘ. ক্ষুদ্র ও বৃহৎ প্রাণী
উত্তর: ক. এককোষী থেকে লক্ষ-কোটি কোষী প্রাণী
১৫। ‘গ্যালাক্সি’ শব্দের অর্থ কী?
(ক) ধূমকেতু (খ) মহাকাশ
(গ) নক্ষত্র (ঘ) ছায়াপথ
উত্তর : ঘ) ছায়াপথ
×
✿গদ্য - মহাজাগতিক কিউরেটর
✿লেখক পরিচিতি
মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ২৩এ ডিসেম্বর পিতার কর্মস্থল সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শহিদ ফয়জুর রহমান আহমেদ, জননী আয়েশা আখতার খাতুন। মুহম্মদ জাফর ইকবালের পৈতৃক নিবাস নেত্রকোনা জেলায়। তাঁর মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত হয় বগুড়ায়। ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পাসের পর তিনি তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। দীর্ঘ প্রবাসজীবন শেষে দেশে প্রত্যাবর্তন করে তিনি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়পক পদে নিযুক্ত হন।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল বাংলা ভাষায় রচিত সায়েন্স ফিকশন বা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির একচ্ছত্র সম্রাট। ‘কপোট্রনিক সুখ দুঃখ’ রচনার মাধ্যমে এ-ধারার সাহিত্য তাঁর প্রথম আবির্ভাব। বিজ্ঞানকে উপলক্ষ্য করে কল্পনার বিস্তারে অসামান্যতা তাঁর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। তিনি একই সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ বিজ্ঞানী ও স্বপ্নচারী রোমান্টিক। তাঁর সাহিত্যে ও বিজ্ঞানের বস্তুনিষ্ঠা ও মানবীয় কল্পনার সম্মিলন ঘটেছে। মাতৃভূমি, মানুষ ও ধরিত্রীর প্রতি নৈতিকতা দায়বদ্ধতা তাঁর সাহিত্যিক মানসের প্রধান বৈশিষ্ট্য। বাংলাদেশের বিজ্ঞানমুখী তরুণ-প্রজন্মের তিনি আইডল বা আদর্শ। কিশোর উপন্যাস এবং ছোটগল্প রচনাতেও তিনি দক্ষতার সাক্ষর রেখেছেন। কিশোর উপন্যাস ‘দীপু নাম্বার টু’, ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ এবং ‘আমি তপু’ তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা। ‘মহাকাশে মহাত্রাস’, ‘টুকুনজিল’, ‘নিঃসঙ্গ গ্রহচারী’, ‘একজন আতিমানবী’, ‘ফোবিয়ানের যাত্রী’সহ অনেক পাঠকপ্রিয় সায়েন্স ফিকশন বা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির তিনি সৃষ্টা। ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞান লেখক হিসেবে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।
শব্দার্থ ও টীকা
মহাজাগতিক- মহাজগৎ সম্বন্ধীয়।
কিউরেটর - জাদুঘর রক্ষক। জাদুঘরের তত্ত্বাবধায়ক তথা পরিচালক।
প্রজাতি - প্রাণীর বংশগত শ্রেণি।
এককোষী- একটি মাত্র কোষবিশিষ্ট্য প্রানী।
সরীসৃপ - বুকে ভর দিয়ে চলে এমন প্রাণী।
তেজস্ক্রিয় পদার্থ-যা থেকে এমন রশ্মির বিকিরণ ঘটে যা অস্বচ্ছ পদার্থের মধ্য দিয়ে দেখা যায়।
ওজোন ও স্তরক-বয়ুমন্ডলের উপরিভাগে ওজোন গ্যাসে পূর্ণ স্তর বিশেষ, যা আমাদের সূর্যের অতিবেগুণি রশ্মি থেকে রক্ষা করে।
নিউক্লিয়ার বোমা - পারমাণবিক বোমা।
ডানোসর - লুপ্ত হওয় বৃহদাকার প্রাগৈতিহাসিক প্রাণী।
গ্যালাক্সি - ছায়াপথ।
পাঠ-পরিচিতি
‘জলজ’ গ্রন্থের অন্তর্গত “মহাজাগতিক কিউরেটর” গল্পটি মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘সায়েন্স ফিকশন সমগ্র’ তৃতীয় খণ্ড (২০০২) থেকে গৃহীত হয়েছে। “মহাজাগতিক কিউরেটর” বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী হলেও এতে দেশকালের প্রভাবপুষ্ট মানবকল্যাণকর্মী লেখকের জীবনদৃষ্টির প্রতিফলন ঘটেছে। অনন্ত মহাজগৎ থেকে আগত মহাজাগতিক কাউন্সিলের দুজন কিউরেটর এর বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর নমুনা সংগ্রহে সৌরজগতের তৃতীয় গ্রহ পৃথিবীতে আগমনের তথ্য দিয়ে গল্পটির সূচনা। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রাণীর নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে দুজন কিউরেটরের সংলাপ বিনিময়ের মধ্য দিয়ে গল্পটি নাট্যগুণ লাভ করেছে। প্রজাতির যাচাই-বাছাই কালে পৃথিবীর নানা প্রাণীর গুণাগুণ কিউরেটরদের সংলাপে উঠে আসে। ‘মানুষ’ নামক প্রজাতি বিবেচনার ক্ষেত্রে কিউরেটর দুজনের বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা মূলত কল্পকাহিনীর লেখকেরও মনের কথা। দুজন কিউরেটর পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারে মানুষের কারণেই হ্রাস ঘটে যাচ্ছে ওজোন স্তরের। মানুষই নির্বিচারে গাছ কেটে ধ্বংস করে চলেছে প্রকৃতির ভারসাম্য। পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে মানুষই নিউক্লিয়ার বোঝা ফেলছে একে অন্যের ওপর। এক পরিস্থিতিতেও তারা পৃথিবীর বুদ্ধিমান বলে কথিত। ‘মানুষ’ প্রজাতির নির্বুদ্ধিতায় তারা শঙ্কিত হয়। অবশেষে তারা পরিশ্রমী সুশৃঙ্খল সামাজিক প্রাণী পিঁপড়াকেই শনাক্ত করে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রজাতি হিসেবে। ডাইনোসরের যুগ থেকে এখনো বেঁচে থাকা সুবিবেচক ও পরোপকারী পিঁপড়াকে তারা পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী বিবেচনায় সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। কল্পকাহিনির রসের সঙ্গে সমাজ, পরিবেশ ও পৃথিবী সম্পর্কে সচেতন লেখকের তীব্র শ্লেষ ও পরিহাসের মিশ্রণ গল্পটিকে বিশিষ্ট করে তুলেছে।
✿গুরুত্বপূর্ণ
১. কোন গ্রহটি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে মহাজাগতিক কিউরেটররা বেশ সন্তুষ্ট - তৃতীয় গ্রহ (পৃথিবী)
২. কাকে প্রাণহীন বলা যায় - ভাইরাস
৩. ভাইরাসের মাঝে কখন জীবনের লক্ষণ দেখা যায়- অন্য প্রাণির সংস্পর্শে ত্রলে
৪. কোন ধরনের প্রাণিদের বেঁচে থাকার পদ্ধতি ভিন্ন - পানিতে থাকা প্রাণিদের
৫. কোন ধরনের প্রাণিদের একটির ভিতরে আবার অত্যন্ত নিম্নশ্রেণীর বুদ্ধিরর বিকাশ হয়েছে - গরম রক্তের স্তন্যপায়ী প্রাণিদের
৬. কোথায় কোনো মৌলিক পার্থক্য নেই - ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির মাঝে
৭. সব প্রাণির মূল গঠনটি কী দিয়ে হয়েছে - DNA
৮. সব প্রাণির DNA - একই রকম
৯. সবচেয়ে সহজ ও সবচেয়ে কঠিন প্রাণিটির গঠন কেমন - একই রকম
১০. সব প্রাণি কী দিয়ে তৈরি - একই বেস পেয়ার দিয়ে
১১. DNA দিয়ে তৈরি আছে - প্রাণিটির বিকাশের নকশা
১২. আকারে ছোট, গঠন সহজ, মাঝে কোনো বৈচিত্র নেই - ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়ার
১৩. আকারে বড় এবং সংরক্ষণ কঠিন - হাতি বা নীল তিমি
১৪. সাপ - সরীসৃপ
১৫. বাঘ - স্তন্যপায়ী
১৬. একসাথে থাকে ও দল বেঁধে ঘুরে বেড়ায় - কুকুর
১৭. নিজের স্বকীয়তা হারিয়েছে - কুকুর
১৮. স্বকীয়তা লোপ পাচ্ছে - গৃহপালিত প্রাণিদের
১৯. দীর্ঘ সময় খেতে হয় ও ঘাস লতা পাতা খেয়ে কাটায় - হনিণ
২০. সবচেয়ে বেশি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে - মানুষ
২১. মানুষ ত্রকে অন্যের উপর কোন বোমা ফেলছে - নিউক্লিয়ার
২২. পৃথিবী ত্রক সময় নিয়ন্ত্রণ করবে কারা - পিঁপড়া
২৩. মহাকাশে মহা ত্রাস -একটি সায়েন্স ফিকশন।
২৪.বাংলাদেশে বিজ্ঞানমন্স্ক সাহিত্যিক --মুহাম্মদ জাফর ইকবাল।
২৫.মুহাম্মদ জাফর ইকবাল বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন --২০০৪ সালে।
২৬,সৌরজগতের তৃতীয় গ্রহের নাম --পৃথিবী।
×
Tokyo is the capital of Japanয-ফলা বনাম য-ফলা আকার দেয়া বানান
আমাদের এখন উচিত, বানানের এলেবেলে বিশয়গুলো মিটিয়ে ফেলা। বাঙলা ভাষার সারল্য নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানো। একুশের মাস এলে কতো বিলাপ শোনা যায়। দুখিনি বাঙলা ভাশা বলে কতো লেখা প্রকাশিত হয়। অবাক হই আমি। বাঙলাকে তো আমরাই দুঃখ দিচ্ছি তাকে বাঙলামন্ত না করে। আর ফোঁটা কাটা অনুস্বারবাদিদের অনুসারিরা আমোদ পাচ্ছে।
ড. বেগম জাহান আরা
প্রমিত বাঙলা বানান নিয়ে অনেক কথা বলার আছে। এই ভাশাটা সাধু ভাষা থেকে আলাদা রুপের এবং মুখের ভাষা থেকেও আলাদা রুপের। কথা বলার সময় আমরা যে ভাবে উচ্চারন করি, লেখার সময় তাকেই সাজিয়ে প্রকাশ করতে চেশটা করি লিপিতে। ফলে বানান নিয়ে ভাবতেই হয়েছে সেকালে, এবং ভাবতে হচ্ছে একালেও। মানুশের সাজগোজের ব্যাপারে সৌন্দর্যের যে চেতনাটা মনের ভেতর কাজ করে, যে খুঁতখুঁতানি আরো ভালো সাজের জন্য আকুল হয়, সেই রকম এক প্রকার চেতনা কাজ করে প্রমিত ভাশা বানান রিতি নিয়ে। বানানকে আরও উচ্চারনানুগ এবং আরও লাগসই লিপিতে কি ভাবে প্রকাশ করা যায়, সেটা থাকে চেতনার ভেতরে। তবে উচ্চারনানুগ বানানের প্রতি আমাদের প্রবল ঝোঁক এখন। এই আলোচনায় কিছু দ্রিশটান্ত তুলে ধরতে চেশটা করবো।
প্রমিত বাঙলায় অনেক শব্দের আদি বর্নে শুধু য-ফলা দিয়ে লেখা হলেও তার উচ্চারন হয় এ'-কারান্ত (অ+য-ফলা আকার)। যেমন, ব্যয়, ব্যবহার, ব্যত্যয়, ব্যবস্থা, ন্যস্ত, ত্যক্ত, ইত্যাদি। কোনো শব্দের আদি সর দিত্ব হচ্ছে না য-ফলার জন্য। এই শব্দগুলো আমরা উচ্চারন করিঃ ব্যায়, ব্যাবহার, ব্যাত্যয়, ব্যাবস্থা, ন্যাস্ত, ত্যাক্ত, এই ভাবে। মানে, লিপি উচ্চারনকে প্রকাশ করতে পারছে না। অথবা বলা যায়, উচ্চারন অনুযায়ি লিপি হচ্ছে না।.
×
MCQ Test of মহাজাগতিক কিউরেটর
Q-1: এই সুন্দুর গ্রহ থেকে এ রকম স্বেচ্ছাধ্বংসকারী প্রাণী আমরা নিতে পারি না । কোন প্রাণীটি ?
Right Answer : মানুষ
Q-2: নিচের কোন প্রাণীটির গঠনে বৈচিত্র্য নেই বলেই কিউরেটররা মনে করে ?
Right Answer : ভাইরাস
Q-3: মহাজাগতিক কিউরেটর গল্পটি কোন গ্রন্থের অন্তর্গত ?
Right Answer : জলজ
Q-4: পৃথিবী এক সময় এরাই নিয়ন্ত্রণ করবে- কারা ?
Right Answer : পিঁপড়া
Q-5: মহাজাগতিক কিউরেটর গল্পে কোনটিকে অত্যন্ত সুবিবেচক বলা হয়েছে ?
Right Answer : পিঁপড়া
Q-6: এদের কেউ সৈনিক, কেউ শ্রমিক মহাজাগতিক কিউরেটর রচনায় কাদের কথা বলা হয়েছে ?
Right Answer : পিঁপড়া
Q-7: বিজ্ঞানমনস্ক তরুণ প্রজন্মের আইডল কোন লেখক ?
Right Answer : মুহম্মদ জাফর ইকবাল
Q-8: সব ডিএন এ একই ধরনের কী দিয়ে তৈরি ?
Right Answer : বেসপেয়ার
Q-9: মহাজাগতিক কিউরেটররা মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কী কারণে ?
Right Answer : পৃথিবীকে ধ্বংস করেছে বলে
Q-10: ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির মাঝে মৌলিক পার্থক্য না থাকার কারণ-
Right Answer : গঠনপ্রক্রিয়া একই
Q-11: মহাজাগতিক কিউরেটর প্রবন্ধে কয়টি প্রাণীর কথা উল্লেখ রয়েছে ?
Right Answer : ১২
Q-12: এখান প্রাণের বিকাশ ঘটেছে উক্তিটি কার ?
Right Answer : প্রথম কিউরেটরের
Q-13: পিঁপড়ারা কোন ধরনের প্রাণী ?
Right Answer : পরিশ্রমী শৃঙ্খলাপূর্ণ সামাজিক প্রাণী
Q-14: অন্য কোন প্রাণীর সংস্পর্শে এলেই ভাইরাসের মাঝে জীবনের লক্ষণ দেখা যায় কেন ?
Right Answer : অন্যের জৈবিক ক্রিয়ায়
Q-15: ঐ ফুল ফোটে বনে, যাই মধু আহরণে, দাঁড়াবার সময়তো নাই- এভাবে একাগ্রচিত্তে কারা কাজ করে ?
Right Answer : পিঁপড়া
Q-16: পৃথিবী নামক গ্রহটি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে তারা কী হলো ?
Right Answer : সন্তুন্ট
Q-17: পৃথিবীতে রয়েছে-
Right Answer : এককোষী থেকে লক্ষ-কোটি কোষী প্রাণী
Q-18: না আসলে এটি জটিল প্রাণ নয়। খুব সহজ এবং সাধারণ- উক্তিটি কার ?
Right Answer : দ্বিতীয় প্রাণীর
Q-19: মহাজাগতিক কিউরেটর গল্পে কোন প্রাণী অন্যকে বাঁচানোর জন্য অকাতরে প্রাণ দিয়ে যাচ্ছে ?
Right Answer : পিঁপড়া
Q-20: পৃথিবী নামক গ্রহটিতে কোন প্রাণী সবচেয়ে বেশি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে ?
Right Answer : মানুষ
Q-21: মুহাম্মদ জাফর ইকবালের পৈতৃক নিবাস কোথায় ?
Right Answer : নেত্রকোনায়
Q-22: প্রথম কিউরেটরের পাখিকে পছন্দ করার কারণ-
Right Answer : ওড়ার ক্ষমতা
Q-23: মহাজাগতিক কিউরেট রচনায় উল্লিখিত সব প্রাণীর সৃষ্টি মূল গঠন কোনটি ?
Right Answer : DNA
Q-24: মহাজাগতিক কিউরেটর রচনার আলোকে সৌরজগতের তৃতীয় গ্রহ হিসেবে নিচের কোনটি গ্রহনযোগ্য ?
Right Answer : পৃথিবী
Q-25: কিউরেটরদের মতে, পৃথিবীর সবচেয়ে চমৎকার প্রাণী কোনটি ?
Right Answer : পিঁপড়া
Q-26: তৃণভোজী প্রাণী তার অর্থ জানো ? কোন প্রাণী সম্পর্কে বলা হয়েছে ?
Right Answer : হরিণ
Q-27: পিঁপড়াদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ নেই কেন ?
Right Answer : এরা সামাজিক ও একতাবদ্ধ বলে
Q-28: সঠিক বানান কোনটি ?
Right Answer : পিপীলিকা
Q-29: অন্য কোনো প্রাণীর সংস্পর্শে এলেই কোনটির মাঝে জীবনের লক্ষণ দেখা যায় ?
Right Answer : ভাইরাস
Q-30: পরজীবী বলতে বোঝায়-
Right Answer : অন্য জীবের ভেতরে ও বাহিরে থাকে
Q-31: মহাজাগতিক কিউরেটর গল্পে প্রাণের শুরু হয়েছে কোথা থেকে ?
Right Answer : ভাইরাস
Q-32: কিউরেটরদ্বয় শঙ্কিত হয় মানুষ প্রজাতির-
Right Answer : নির্বুদ্ধিতায়
Q-33: এরা সামাজিক প্রাণী। এরা দল বেঁধে থাকে। এদের মাঝে শ্রমিক আছে, সৈনিক আছে। বংশ বিস্তারের জন্য চমৎকার একটা পদ্ধতি আছে। কাদের সম্পর্কে একথা বলা হয়েছে ?
Right Answer : পিঁপড়ার সম্পর্কে
Q-34: কিউরেটর বলতে কোনটি বোঝানো হয়েছে ?
Right Answer : জাদুঘর রক্ষক
Q-35: গৃহপালিত প্রাণী হওয়ার গরুর স্বাধীন কোনো স্বকীয়তা নেই। এখানে গরুর সাথে মহাজাগতিক কিউরেটর গল্পের কার মিল রয়েছে ?
Right Answer : কুকুরের
Q-36: মুহম্মদ জাফর ইকবাল কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন ?
Right Answer : ১৯৫২
Q-37: সরীসৃপের দেহের তাপমাত্রা কেমন ?
Right Answer : নিয়ন্ত্রিত নয়
Q-38: কোথাও কোথাও প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে।- কারা
Right Answer : মানুষ
Q-39: মহাজাগতিক কিউরেটররা মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কেন ?
Right Answer : পৃথিবীকে ধ্বংস করছে বলে
Q-40: মানুষ বুদ্ধিমান প্রাণী নয় কথাটি কোন যুক্তিতে বলা হয়েছে ?
Right Answer : মানুষ ওজোন স্তর শেষ করছে
Q-41: কিউরেটররা কোন প্রাণিটা সহাজগতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ?
Right Answer : পিঁপড়া
Q-42: পিপড়েরা কোন যুগ থেকে এখানো টিকে আছে ?
Right Answer : ডাইনোসরের যুগ
Q-43: সৌরজগতের কোন গ্রহটিতে দুজন মহাজাগতিক কিউরেটর এসেছিল ?
Right Answer : তৃতীয়
Q-44: কিউরেটরদের কাছে কোন প্রাণিটি বেশ কৌতূহল উদ্দীপক ?
Right Answer : সাপ
Q-45: মহাজাগতিক কিউরেটর প্রবন্ধে বর্ণিত কাদের দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত নয় ?
Right Answer : সরীসৃপের
Q-46: মহাজাগতিক কিউরেটরদ্বয় মানুষ সম্পর্কে সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে মানুষ-
Right Answer : আত্মঘাতী
Q-47: মহাজাগতিক কিউরেটর গল্পে কিউরেটরদের কুকুর সংগ্রহ না করার কারণ-
Right Answer : স্বকীয়তার অভাব
Q-48: মহাজাগতিক কিউরেটর গল্পে আলাদাভবে প্রাণহীন বলা যায় যে প্রাণীকে-
Right Answer : ভাইরাস
Q-49: মহাজাগতিক কিউরেটর রচনায় কারা প্রকৃতির কোনো ক্ষতি করে না ?
Right Answer : পিঁপড়া
Q-50: মহাজাগতিক কিউরেটর গল্পে কাকে প্রাণিজগতে পিছিয়ে পড়া প্রাণী বলা হয়েছে ?
Right Answer : সরীসৃপ
Q-51: একটি মাত্র কোষবিশিষ্ট প্রাণীকে কী বলা হয় ?
Right Answer : এককোষী
Q-52: মুহাম্মদ জাফর ইকবালের পৈত্রিক নিবাস কোথায়?
Right Answer : নেত্রকোনা
Q-53: সৌরজগতের তৃতীয় গ্রহ কোনটি?
Right Answer : পৃথিবী
Q-54: মহাজাগতিক কিউরেটর গল্পটি কোন গ্রহকে কেন্দ্র করে লেখা?
Right Answer : পৃথিবী
Q-55: গৃহপালিত প্রানী হওয়ায় গরুর স্বাধীন কোনো স্বকীয়তা নেই। গরুর সাথে মহাজগতিক কিউরেটর গল্পের কার মিল রয়েছে?
Right Answer : কুকুরের
Q-56: মহাজাগতিক কিউরেটরদের মতে কোন প্রাণীটি একা একা থাকতে পছন্দ করে?
Right Answer : বাঘ
Q-57: মহজাগতি কিউরেটর গল্পে কোন প্রাণীটি তাদরে নজিস্বতা হারিয়েছে?
Right Answer : কুকুর
Q-58: প্রথম কিউরেটর খাঁটি প্রানী হিসেবে কোনটির সমর্থন করেছিলেন?
Right Answer : পিঁপড়াকে
Q-59: এদের কেও সৈনিক, কেও শ্রমিক মহাজাগতিক কিউরেটর রচনায় কাদের কথা বলা হয়েছে?
Right Answer : পিঁপড়া
Q-60: বিপদে দিশেহারা হয়না। অন্যকে বাঁচানোর জন্য অকাতারে প্রাণ দেয়। এই বৈশিষ্ট্য গুলো পৃথিবীতে কাদের বৈশিষ্টের সাথে তুলনীয়?
Right Answer : পিঁপড়ার
Q-61: কিউরেটরদের মতে পৃথিবীর সবচেয়ে চমৎকার প্রাণী কোনটি?
Right Answer : পিঁপড়া
Q-62: কিউরেটরদের বর্ণনা থেকে পৃথিবীর কোন প্রাণীর পেশাগত বৈচিত্র্যের ধারনা পাওয়া যায়?
Right Answer : মানুষ
Q-63: কিউরেটর বলতে কোনটি বোঝানো হয়েছে?
Right Answer : জাদুঘর রক্ষক
London
London is the capital city of England. It is the most populous city in the United Kingdom, with a metropolitan area of over 13 million inhabitants.
Standing on the River Thames, London has been a major settlement for two millennia, its history going back to its founding by the Romans, who named it Londinium.