মঙ্গলবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

মহাজাগতিক কিউরেটর ১

মহাজাগতিক

Girl in a jacket
×

মহাজাগতিক কিউরেটর
Flowers in Chania লেখক পরিচিতি:

মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দের ২৩এ ডিসেম্বর পিতার কর্মস্থল সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শহিদ ফয়জুর রহমান আহমেদ, জননী আয়েশা আখতার খাতুন। মুহম্মদ জাফর ইকবালের পৈতৃক নিবাস নেত্রকোনা জেলায়। তাঁর মাধ্যমিক শিক্ষা সমাপ্ত হয় বগুড়ায়। ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পাসের পর তিনি তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। দীর্ঘ প্রবাসজীবন শেষে দেশে প্রত্যাবর্তন করে তিনি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়পক পদে নিযুক্ত হন।

. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বাংলা ভাষায় রচিত সায়েন্স ফিকশন বা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির একচ্ছত্র সম্রাট। ‘কপোট্রনিক সুখ দুঃখ’ রচনার মাধ্যমে এ-ধারার সাহিত্য তাঁর প্রথম আবির্ভাব। বিজ্ঞানকে উপলক্ষ্য করে কল্পনার বিস্তারে অসামান্যতা তাঁর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। তিনি একই সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠ বিজ্ঞানী ও স্বপ্নচারী রোমান্টিক। তাঁর সাহিত্যে ও বিজ্ঞানের বস্তুনিষ্ঠা ও মানবীয় কল্পনার সম্মিলন ঘটেছে। মাতৃভূমি, মানুষ ও ধরিত্রীর প্রতি নৈতিকতা দায়বদ্ধতা তাঁর সাহিত্যিক মানসের প্রধান বৈশিষ্ট্য। বাংলাদেশের বিজ্ঞানমুখী তরুণ-প্রজন্মের তিনি আইডল বা আদর্শ। কিশোর উপন্যাস এবং ছোটগল্প রচনাতেও তিনি দক্ষতার সাক্ষর রেখেছেন। কিশোর উপন্যাস ‘দীপু নাম্বার টু’, ‘আমার বন্ধু রাশেদ’ এবং ‘আমি তপু’ তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা। ‘মহাকাশে মহাত্রাস’, ‘টুকুনজিল’, ‘নিঃসঙ্গ গ্রহচারী’, ‘একজন আতিমানবী’, ‘ফোবিয়ানের যাত্রী’সহ অনেক পাঠকপ্রিয় সায়েন্স ফিকশন বা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির তিনি সৃষ্টা। ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞান লেখক হিসেবে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

পাঠ-পরিচিতি

============

‘জলজ’ গ্রন্থের অন্তর্গত “মহাজাগতিক কিউরেটর” গল্পটি মুহম্মদ জাফর ইকবালের ‘সায়েন্স ফিকশন সমগ্র’ তৃতীয় খণ্ড (২০০২) থেকে গৃহীত হয়েছে। “মহাজাগতিক কিউরেটর” বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী হলেও এতে দেশকালের প্রভাবপুষ্ট মানবকল্যাণকর্মী লেখকের জীবনদৃষ্টির প্রতিফলন ঘটেছে। অনন্ত মহাজগৎ থেকে আগত মহাজাগতিক কাউন্সিলের দুজন কিউরেটর এর বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর নমুনা সংগ্রহে সৌরজগতের তৃতীয় গ্রহ পৃথিবীতে আগমনের তথ্য দিয়ে গল্পটির সূচনা। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রাণীর নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়ে দুজন কিউরেটরের সংলাপ বিনিময়ের মধ্য দিয়ে গল্পটি নাট্যগুণ লাভ করেছে। প্রজাতির যাচাই-বাছাই কালে পৃথিবীর নানা প্রাণীর গুণাগুণ কিউরেটরদের সংলাপে উঠে আসে। ‘মানুষ’ নামক প্রজাতি বিবেচনার ক্ষেত্রে কিউরেটর দুজনের বস্তুনিষ্ঠ আলোচনা মূলত কল্পকাহিনীর লেখকেরও মনের কথা। দুজন কিউরেটর পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে বুঝতে পারে মানুষের কারণেই হ্রাস ঘটে যাচ্ছে ওজোন স্তরের। মানুষই নির্বিচারে গাছ কেটে ধ্বংস করে চলেছে প্রকৃতির ভারসাম্য। পরস্পর যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে মানুষই নিউক্লিয়ার বোঝা ফেলছে একে অন্যের ওপর। এক পরিস্থিতিতেও তারা পৃথিবীর বুদ্ধিমান বলে কথিত। ‘মানুষ’ প্রজাতির নির্বুদ্ধিতায় তারা শঙ্কিত হয়। অবশেষে তারা পরিশ্রমী সুশৃঙ্খল সামাজিক প্রাণী পিঁপড়াকেই শনাক্ত করে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রজাতি হিসেবে। ডাইনোসরের যুগ থেকে এখনো বেঁচে থাকা সুবিবেচক ও পরোপকারী পিঁপড়াকে তারা পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী বিবেচনায় সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। কল্পকাহিনির রসের সঙ্গে সমাজ, পরিবেশ ও পৃথিবী সম্পর্কে সচেতন লেখকের তীব্র শ্লেষ ও পরিহাসের মিশ্রণ গল্পটিকে বিশিষ্ট করে তুলেছে।

×


বহুর্নিবাচনী প্রশ্ন:
১.পিঁপড়ারা কোন ধরনের প্রাণী ?
ক) পরিশ্রমী শৃঙ্খলাপূর্ণ সামাজিক প্রাণী
খ) মানবিকতাসম্পন্ন প্রাণী
গ) সুসভ্য প্রাণী
ঘ. বস্তুবাদী ইহজাগতিক প্রাণী
উত্তর: ক) পরিশ্রমী শৃঙ্খলাপূর্ণ সামাজিক প্রাণী

২.কোথাও কোথাও প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে।- কারা ?
ক) মানুষ
খ ০মৌমাছি
গ)পিঁপড়া
ঘ)নীলতিমি
উত্তর: ক) মানুষ

৩. নিচের কোন প্রাণীটির গঠনে বৈচিত্র্য নেই বলেই কিউরেটররা মনে করে ? ক ভাইরাস খ)মানুষ গ)পিঁপড়া ঘ) সাপ উত্তর: ক ভাইরাস

৪. মহজাগতি কিউরেটর গল্পে কোন প্রাণীটি তাদরে নজিস্বতা হারিয়েছে?
ক কুকুর
খ সরীসৃপ বা সাপ
গ হরিণ
ঘ মানুষ
উত্তর: ক কুকুর

৫. পরজীবী বলতে বোঝায়-
ক অন্য জীবের ভেতরে ও বাহিরে থাকে
খ অপরের জীব
গ অন্য জীবের বাহিরে থাকে
ঘ অন্য জীবের ভেতরে থাকে
উত্তর: ক অন্য জীবের ভেতরে ও বাহিরে থাকে

৬. পৃথিবীতে রয়েছে-
ক. এককোষী থেকে লক্ষ-কোটি কোষী প্রাণী
খ. এককোষী থেকে বহুকোষী প্রাণী
গ. অতিকায় বিরাট প্রাণী
ঘ. ক্ষুদ্র ও বৃহৎ প্রাণী
উত্তর: ক. এককোষী থেকে লক্ষ-কোটি কোষী প্রাণী

৭. সঠিক বানান কোনটি ?
ক) পিপীলিকা
খ) পিপিলিকা
গ) পিপীলীকা
ঘ) পিপিলীকা
উত্তর: ক পিপীলিকা

৮. মহাজাগতিক কিউরেটর গল্পে কোনটিকে অত্যন্ত সুবিবেচক বলা হয়েছে ?
ক) মানুষ
খ) পিঁপড়া
গ)ডাইনোসর
ঘ) কুকুর
উত্তর: খ পিঁপড়া

৯. বিপদে দিশেহারা হয়না। অন্যকে বাঁচানোর জন্য অকাতারে প্রাণ দেয়। এই বৈশিষ্ট্য গুলো পৃথিবীতে কাদের বৈশিষ্টের সাথে তুলনীয়?

ক) পিঁপড়ার
খ)মানুষের
গ)গাধার
ঘ) কুকুরের
উত্তর: ক পিপঁড়ার

১০. ভিন্ন ভিন্ন প্রজাতির মাঝে মৌলিক পার্থক্য না থাকার কারণ-
ক) গঠনপ্রক্রিয়া একই
খ) চেতনা একই
গ) বোধশক্তি একই
ঘ) ক্রিয়াকর্ম একই
উত্তর: ক গঠন প্রক্রিয়া

১১। দু’জন কিউরেটরের সংলাপের মধ্য দিয়ে ‘মহাজাগতিক কিউরেটর’ গল্পটি কী লাভ করেছে?
(ক) নাট্যগুণ (খ) হাস্যরস
(গ) কৌতুক রস (ঘ) ট্র্যাজেডি
উত্তর :নাট্যগুন

১২। পিঁপড়াকে কিউরেটররা কেন নির্বাচন করল?
(ক) ছোট বলে
(খ) কম খায় বলে
(গ) সুশৃঙ্খল বলে
(ঘ) প্রাচীনতম বলে
উত্তর : সুশৃঙ্খল বলে

১৩। কিউরেটরদ্বয় খুঁজছিল সেই সব প্রাণী যারাÑ
(র) সভ্য (রর) সমাজবদ্ধ
(ররর) আত্মত্যাগী
নিচের কোনটি সঠিক?
(ক) র (খ) ররর
(গ) রর ও ররর (ঘ) র, রর ও ররর
উত্তর : ঘ)

১৪। বায়ুমণ্ডলের উপরিভাগে কোন গ্যাসের স্তর থাকে?
(ক) হিলিয়াম (খ) ওজন
(গ) অক্সিজেন (ঘ) নাইট্রোজেন
উত্তর: ওজন স্তর

১৫। ‘গ্যালাক্সি’ শব্দের অর্থ কী?
(ক) ধূমকেতু (খ) মহাকাশ
(গ) নক্ষত্র (ঘ) ছায়াপথ
উত্তর : ঘ) ছায়াপথ










রচনা আদিবাসী নৃগোষ্ঠী

Flowers in Chania

বাংলাদেশের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী



(সংকেত: আদিবাসী এবং ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী; বাংলাদেশের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর পরিসংখ্যান; চাকমা; মারমা; তঞ্চঙ্গ্যা; গারো; রাখাইন; মনিপুরী; হাজং; সাঁওতাল; খাসিয়া; অন্যান্য; বর্তমানে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীদের অবস্থা; উপসংহার।)

বাংলাদেশ একটি বহু জাতি, সংস্কৃতি, ধর্ম এবং ভাষার দেশ। এদেশের বাংলা ভাষাভাষি বৃহত্তর জনগোষ্ঠী বাঙালিদের পাশাপাশি সুদীর্ঘকাল ধরে বসবাস করছে বেশ কিছু ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়। আচারে, অনুষ্ঠানে, ধর্মে, ভাষায়, সংস্কার-সংস্কৃতিতে এরা বাঙালিদের থেকে স্বতন্ত্র। এরা বাংলাদেশেরই অবিচ্ছেদ্য এবং অনিবার্য অংশ।

আদিবাসী এবং ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীঃ আদিবাসী এর ইংরেজি প্রতিশব্দ Aborigines, শব্দটি ল্যাটিন শব্দ Aborigine থেকে এসেছে যার অর্থ “শুরু থেকে” অর্থাৎ কোনো দেশে বসবাসরত আদিম জনগোষ্ঠীকে আদিবাসী বলা হয়। অন্যদিকে, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী বলতে মূলত প্রধান জাতির পাশাপাশি বসবাসরত সংখ্যালগিষ্ঠ এবং অপেক্ষোকৃত অনগ্রসর জাতি বা সম্প্রদায়কে বোঝানো হয়।

বাংলাদেশের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর পরিসংখ্যানঃ বাংলাদেশের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে মতভেদ আছে। ১৯৯১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলাদেশে ২৯টি ক্ষুদ্র জাতিসত্তার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। যাদের বেশিরভাগই পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকায় বাস করে। ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী দেখা গেছে বাংলাদেশে মোট আদিবাসীদের সংখ্যা ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৭৭৫ জন। তবে বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের দেওয়া তথ্যানুযায়ী ৪৫টি ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে এবং সর্বমোট ২০ লক্ষাধিক আদিবাসী আছে বলে জানা যায়। বাংলাদেশের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- চাকমা, মারমা, রাখাইন, তঞ্চঙ্গ্যা, মনিপুরি, গারো, হাজং, সাঁওতাল, খাসিয়া প্রভৃতি নৃ-গোষ্ঠীগুলো। এরা বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট, রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, রাজশাহী, ঠাকুরগাঁও, কক্সবাজার প্রভৃতি অঞ্চলগুলোতে যুগ যুগ ধরে বাস করছে।

চাকমাঃ বাংলাদেশের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সর্ববৃহৎ সম্প্রদায় হলো ‘চাকমা’। চাকমারা নিজেদেরকে বলে চাঙমা। বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামে বিশেষত রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন প্রভৃতি জেলায় এদের বাস। এরা আবার ছোট ছোট গোষ্ঠীতে বিভক্ত। এদের নিজস্ব সামাজিক, প্রশাসনিক ও বিচার ব্যবস্থা আছে যার প্রধান দায়িত্বে আছে রাজা। রাজাই চাকমাদের প্রথা, রীতি-নীতি নির্ধারণ, ভুমি, রাজস্ব ব্যবস্থাপনা, গ্রামের কোন্দল এবং নানা সমস্যার নিষ্পত্তি করে। চাকমাদের সমাজব্যবস্থা পিতৃতান্ত্রিক। ফলে পুত্রসন্তানরাই কেবল পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকার লাভ করে। কৃষি এদের প্রধান জীবিকা হলেও বর্তমানে চাকমারা চাকুরী ও ব্যবসাক্ষেত্রেও জায়গা করে নিয়েছে। আদিবাসী সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে চাকমাদের স্বাক্ষরতার হার (৩৭.৭%) সবচেয়ে বেশি। এরা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। এদের প্রধান প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবগুলোর মধ্যে আছে মাঘী পূর্ণিমা, বৈশাখী পূর্ণিমা, বৌদ্ধ পূর্ণিমা, কঠিন চীবর দান, মধু পূর্ণিমা, ফানুস ওড়ানো প্রভৃতি। চাকমাদের অন্যতম বড় উৎসব হলো বিজু উৎসব।

মারমাঃ সংখ্যাগরিষ্ঠের দিক থেকে দ্বিতীয় বৃহৎ সম্প্রদায় হলো ‘মারমা’। পার্বত্য জেলাগুলোতে মারমাদের বসবাস দেখা গেলেও এরা মূলত বান্দরবনের অধিবাসী। মায়ানমার থেকে এসেছে বলে এদেরকে মারমা বলা হয়। তবে মারমা শব্দটি এসেছে ‘ম্রাইমা’ শব্দ থেকে। বান্দরবনে প্রায় ১ লাখ মারমা বাস করে। চাকমাদের মতো এদেরও সামজিক বিচার-আচারের দায়িত্ব রাজার হাতে। পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা হলেও মারমা মেয়েরা পৈতৃক সম্পত্তির সমান উত্তরাধিকার লাভ করে। জুম চাষ, নদীর মাছ ও কাঁকড়া শিকার এবং কাপড়, চুরুট প্রভৃতি তৈরি করে এরা জীবিকা নির্বাহ করে। তবে শিক্ষা ক্ষেত্রে দ্রুত অগ্রসর হয়ে এরা চাকুরী, ব্যবসাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করছে। মারমারা নিজস্ব ভাষায় কথা বললেও লেখার ক্ষেত্রে বর্মিজ বর্ণমালা ব্যবহার করে। মারমারা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। এদের প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবের মধ্যে আছে বৌদ্ধ পূর্ণিমা, কঠিন চীবর দান, ওয়াগ্যোয়াই প্রভৃতি।

তঞ্চঙ্গ্যাঃ বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর মধ্যে তঞ্চঙ্গ্যা উল্লেখযোগ্য। রাঙ্গামাটি ও বান্দরবান জেলায় এদের বাস। তঞ্চঙ্গ্যারা নিজেদের স্বতন্ত্র্য জাতি বলে দাবি করলেও নৃতাত্ত্বিকগণ মনে করেন এরা চাকমা জাতির একটি উপগোত্র। সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রথা, রীতি-নীতির দিক থেকে চাকমাদের সাথে এদের যথেষ্ট সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। তঞ্চঙ্গ্যাদের ভাষা ইন্দো-এরিয়ান ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। তঞ্চঙ্গ্যারা একে ‘মনভাষা’ বলে উল্লেখ করে।

গারোঃ বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার মধুপুরের গভীর অরণ্য, অরণ্য সংলগ্ন এলাকা এবং গারো পাহাড়ের টিলায় বাংলাদেশের অন্যতম ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী গারোদের বাস। এছাড়া নেত্রকোনা, টাঙ্গাইল ও সুনামগঞ্জ অঞ্চলে কিছু কিছু গারোদের অস্তিত্ব লক্ষ্য করা যায়। নৃতান্ত্রিকগণ মনে করেন এরা মঙ্গোলীয় জাতিগোষ্ঠীর একটি শাখা। গারোরা নিজেদের আচ্ছিক মান্দি অর্থাৎ পাহাড়ের মানুষ বলে পরিচয় দিতে পছন্দ করে। তবে যারা সমতলে বাস করে তারা কেবল মান্দি বলে পরিচয় দেয়। গারোদের সমাজ ব্যবস্থা মাতৃতান্ত্রিক। গারোদের ভাষার নাম আচ্ছিক ভাষা। তবে সমতলে বসবাসকারী গারোদের ভাষা আলাদা, তাদের ভাষার নাম মান্দি ভাষা। গারোরা স্বতন্ত্র ধর্মমতে বিশ্বাসী আর তাদের সাংস্কৃতিক উৎসব, আচার-অনুষ্ঠানের মূলে রয়েছে ধর্মীয় বিশ্বাস। গারোদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব হলো নবান্ন বা ওয়ানগালা উৎসব।

রাখাইনঃ রাখাইন সম্প্রদায় মূলত মায়ানমারের একটি জাতিগোষ্ঠী। পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু অংশ, রাঙ্গামাটি ও বান্দবান জেলায় রাখাইনদের বাস। রাখাইনরা সাধারণত মগ নামে পরিচিত। রাখাইনরা বৌদ্ধ ধর্মালম্বী। ফলে এদের প্রধান উৎসবগুলো হলো- বুদ্ধের জন্মবার্ষিকী পালন, বৈশাখী পূর্ণিমা, মাঘী পূর্ণিমা প্রভৃতি। এছাড়া রাখাইনরা সংক্রান্তিতে ৩ দিনব্যাপী সাংগ্রাই উৎসব পালন করে অত্যন্ত জাকজমকপূর্ণভাবে। পুরুষেরা লুঙ্গি, ফতুয়া আর নারীরা লুঙ্গি, ব্লাউজ, অলংকার এবং মাথায় ফুল পরিধান করতে পছন্দ করে। রাখাইনদের বিয়েতে পুরুষদের পণ দেওয়ার প্রথা প্রচলিত আছে।

মনিপুরীঃ মনিপুরীদের আদি নিবাস ভারতের মনিপুর রাজ্যে। বার্মা-মনিপুর যুদ্ধের সময় এরা এসে বৃহত্তর সিলেটে আশ্রয় নিয়েছিল। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং ময়মনসিংহেও মনিপুরীদের দেখতে পাওয়া যায়। ভাষাগত ও ধর্মীয় ভিন্নতার ফলে মনিপুরী সম্প্রদায় আলাদা আলাদা তিনটি উপ-গোষ্ঠীতে বিভক্ত। (১) বিষ্ণুপ্রিয়া, (২) মৈতৈ, (৩) পাঙন। ২০০৩ সালের এসআইএল ইন্টারন্যাশনাল পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট ৪০ হাজার বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরী এবং ১৫ হাজার মৈতৈ মনিপুরী আছে। মনিপুরীদের সংস্কৃতি অত্যন্ত সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যাবাহী। বিশেষ করে মনিপুরী নৃত্য আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত। মনিপুরীদের সর্ববৃহৎ অনুষ্ঠান হচ্ছে রাসপূর্ণিমা।

হাজংঃ বাংলাদেশের ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হাজং সম্প্রদায়ের দেখা মেলে নেত্রকোনা জেলায়। হা মানে মাটি আর জং অর্থাৎ পোকা। প্রকৃতপক্ষে কৃষিকাজের সাথে সখ্যতার কারণে তাদের নাম দেওয়া হয়েছে হাজং। বাংলাদেশে প্রায় ৩০০০ হাজং এর বাস। হাজং বিদ্রোহ, তেভাগা আন্দোলন প্রভৃতি আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার মাধ্যমে এরা ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে আছে। হাজংদের নিজস্ব ভাষা আছে। হাজংদের সবচেয়ে বড় উৎসব ‘প্যাক খেলা’ উৎসব। এদের কিছু অংশ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এবং কিছু অংশ খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী। ভাত, মাছ, সবজি ছাড়াও কচি বাঁশের গুড়া বা মিউয়া এদের প্রিয় খাবার।

সাঁওতালঃ পূর্বভারত ও বাংলাদেশের বৃহত্তম আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো সাঁওতাল। বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গে বিশেষত দিনাজপুর এবং রংপুরে সাঁওতালদের বাস। সাঁওতাল সম্প্রদায় আবার ১২টি উপগোত্রে বিভক্ত। এরা মাটির তৈরি ছোট ছোট ঘরে বাস করে। সাঁওতালদের প্রধান পেশা কৃষি। সাঁওতালদের প্রধান দেবতা বোংগা। এরা মূলত সূর্যের পূজা করে। সাঁওতালদের বার্ষিক উৎসবের নাম সোহরাই। এ উৎসবে সাঁওতাল মেয়েরা দলবেঁধে নাচে। সাঁওতালদের প্রধান খাদ্য ভাত। এছাড়া মাছ, কাঁকড়া, শুকর, মুরগি, খরগোস, গুইসাপ, ইঁদুর এবং বেজির মাংস খেতে পছন্দ করে সাঁওতালরা। সাঁওতাল বিদ্রোহের কারণে ইতিহাসে এরা বিশেষ স্থান দখল করে আছে।

খাসিয়াঃ বাংলাদেশের সিলেট অঞ্চলে খাসিয়াদের বাস। মূলত ভারতীয় সীমান্ত সংলগ্ন গভীর অরণ্যে থাকতেই পছন্দ করে এরা। বাংলাদেশে বসবাসকারী খাসিয়ারা সিনতেং গোত্রভুক্ত। খাসিয়ারা মূলত কৃষিজীবী। গভীর অরণ্যে এরা পান চাষ করে। মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার কারণে নারীরা বিয়ে করে বর নিয়ে আসে নিজের বাড়িতে। সম্পত্তির মালিকানাও নারীরাই লাভ করে।

অন্যান্যঃ আলোচিত সম্প্রদায়গুলো ছাড়াও বাংলাদেশে ত্রিপুরা, খিয়াং, মুন্ডা, চক, লুসাই প্রভৃতি আরো কিছু কিছু ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী বসবাস করে থাকে।

বর্তমানে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীদের অবস্থাঃ অতীতে যদিও এই ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীগুলো সংখ্যাগরিষ্ঠের হাতে নানাভাবে নির্যাতিত, নিগৃহীত হতো কিন্তু বর্তমানে সে অবস্থার পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে সরকার ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীদের জন্য বিশেষ কোটা, বৃত্তিমূলক শিক্ষা সহায়তাসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে পিছিয়ে পড়া এই জনগোষ্ঠীকে শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে প্রাগসর করে তুলতে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। আদিবাসী সম্প্রদায়গুলো এখন কেবল কৃষিকাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করে না বরং তারা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সম্মানজনক পদে চাকুরী করছে। এছাড়া ব্যবসা, রাজনীতি, শিল্প-সংস্কৃতি প্রভৃতি সকল ক্ষেত্রে তাদেরকে এগিয়ে নিয়ে আসার লক্ষ্যে তাদের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।

উপসংহারঃ বাংলাদেশে বসবাসরত ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়গুলো এ দেশের নাগরিক। তাই তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং তাদের সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা আমাদের জাতীয় দায়িত্ব। বর্তমানে কিছু কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলে আরো ব্যাপক পরিসরে তাদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, রীতি-নীতি, জীবনযাপন প্রভৃতি বিষয় নিয়ে গবেষণা হওয়া প্রয়োজন এবং এগুলো সংরক্ষণ করার যথাযথ ও কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া উচিত।

সোমবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

তাহারেই পড়ে মনে


তাহারেই পড়ে মনে

Girl in a jacket Mountains

----- সুফিয়া কামাল
“হে কবি! নীরব কেন-ফাল্গুন যে এসেছে ধরায়,
বসন্তে বরিয়া তুমি লবে না কি তব বন্দনায়?”
কহিল সে স্নিগ্ধ আঁখি তুলি-
“দখিন দুয়ার গেছে খুলি?
বাতাবী নেবুর ফুল ফুটেছে কি? ফুটেছে কি আমের মুকুল?
দখিনা সমীর তার গন্ধে গন্ধে হয়েছে কি অধীর আকুল?”

“এখনো দেখনি তুমি?” কহিলাম “কেন কবি আজ
এমন উন্মনা তুমি? কোথা তব নব পুষ্পসাজ?”
কহিল সে সুদূরে চাহিয়া-
“অলখের পাথার বাহিয়া
তরী তার এসেছে কি? বেজেছে কি আগমনী গান?
ডেকেছে কি সে আমারে? -শুনি নাই,রাখিনি সন্ধান।”
কহিলাম “ওগো কবি, রচিয়া লহ না আজও গীতি,
বসন্ত-বন্দনা তব কণ্ঠে শুনি-এ মোর মিনতি।”
কহিল সে মৃদু মধুস্বরে-
“নাই হ’ল, না হোক এবারে-
আমার গাহিতে গান! বসন্তরে আনিতে ধরিয়া-
রহেনি,সে ভুলেনি তো, এসেছে তো ফাল্গুন স্মরিয়া।”

কহিলাম “ওগো কবি, অভিমান করেছ কি তাই?
যদিও এসেছে তবু তুমি তারে করিলে বৃথাই।”
কহিল সে পরম হেলায়-
“বৃথা কেন? ফাগুন বেলায়
ফুল কি ফোটে নি শাখে? পুষ্পারতি লভে নি কি ঋতুর রাজন?
মাধবী কুঁড়ির বুকে গন্ধ নাহি? করে নি সে অর্ঘ্য বিরচন?”
“হোক, তবু বসন্তের প্রতি কেন এই তব তীব্র বিমুখতা?”
কহিলাম “উপেক্ষায় ঋতুরাজে কেন কবি দাও তুমি ব্যথা?”
কহিল সে কাছে সরি আসি-
“কুহেলী উত্তরী তলে মাঘের সন্ন্যাসী-
গিয়াছে চলিয়া ধীরে পুষ্পশূন্য দিগন্তের পথে
রিক্ত হস্তে। তাহারেই পড়ে মনে, ভুলিতে পারি না কোন মতে।”

শব্দার্থ ও মূলভাব

কবি পরিচিতি


পাঠপরিচিতি:--

“তাহারেই পড়ে মনে” কবিতাটি ১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে ‘মাসিক মোহাম্মাদী’ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। এ কবিতায় প্রকৃতি ও মানবমনের সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তাৎপর্যময় অভিব্যক্তি পেয়েছে। সাধারণভাবে প্রকৃতির সৌন্দর্য মানবমনের অফুরন্ত আনন্দের উৎস। বসন্ত-প্রকৃতির অপরূপসৌন্দর্য যে কবিমনে আনন্দের শিহরন জাগাবে এবং তিনি তাকে ভাবে ছন্দে সুরে ফুটিয়ে তুলবে সেটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু কবিমন যদি কোন কারণে শোকাচ্ছন্ন কিংবা বেদনা ভারাতুর থাকে তবে বসন্ত তার সমস্ত সৌন্দর্য সত্ত্বেত কবির অন্তরকে স্পর্শ করতে পারবে না।

এ কবিতায় কবির ব্যক্তি জীবনের দুঃখময় ঘটনার ছায়াপথ ঘটেছে। তাঁর সাহিত্য সাধনার প্রধান সহায়ক ও উৎসাহদাতা স্বামী সৈয়দ নেহাল হোসেনের আকস্মিক মৃত্যুতে (১৯৩২) কবির জীবন প্রচণ্ড শূন্যতা নেমে আসে। তার ব্যক্তিজীবন ও কাব্যসাধনার ক্ষেত্রে নেমে আসে এক বিষণ্নতা। কবিমন আচ্ছন্ন হয়ে যায় রিক্ততার হাহাকারে। “তাহারেই পড়ে মনে” কবিতাকে আচ্ছন্ন করে আছে এই বিষাদময় রিক্ততার সুর। তাই বসন্ত এলেও উদাসীন কবির অন্তর জুড়ে রিক্ত শীতের করুণ বিদায়ের বেদনা।

কবিতাটির আরেকটি লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এর নাটকীয়তা। গঠনরীতির দিক থেকে একটি সংলাপনির্ভর রচনা। কবিতার আবেগময় ভাববস্তুর বেদনাঘন বিষণ্নতার সুর এবং সুললিত ছন্দ এতই মাধুর্যমণ্ডিত যে তা সহজেই পাঠকের অন্তর ছুঁয়ে যায়।

সুজনশীল প্রশ্নের উত্তর

তাহারে পরে কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন


** তাহারেই পড়ে মনে বহুুনির্বাচনী
প্রশ্ন:১ তাহারেই পড়ে মনে কবিতায় উত্তরী শব্দের অর্থ কী ?
সঠিক উত্তর: চাদর

প্রশ্ন:২ শুনি নাই, রাখিনি সন্ধান- কবি কীসের সন্ধান রাখেননি ?
সঠিক উত্তর: বসন্তের

প্রশ্ন:৩ তাহারেই পড়ে মনে কবিতাটির গঠনরীতি কোন বৈশিষ্ট্যের ?
সঠিক উত্তর: নাটকীয়

প্রশ্ন:৪ কবিভক্ত কবির কাছে কিসের মিনতি করেছেন ?
সঠিক উত্তর: কবিকন্ঠে বসন্ত-বন্দনা

প্রশ্ন:৫ তাহারেই পড়ে মনে কবিতায় কোন বিষয়টি উঠে এসেছে ?
সঠিক উত্তর: মানবমন ও প্রাকৃতির যোগসাদৃশ্য

প্রশ্ন:৬ তাহারেই পড়ে মনে কবিতায় কবি গান রচনা না করলেও বসন্ত ঋতু এসেছে কেন ?
সঠিক উত্তর: প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে
প্রশ্ন:৭ পুষ্পশূন্য দিগন্তের পথে কে চলে গেছে ?
সঠিক উত্তর: মাঘের সন্ন্যাসী
প্রশ্ন:৮ পারিবারিক নানা উত্থান পতনের মধ্য দিয়ে কে স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছেন ?
সঠিক উত্তর : সুফিয়া কামাল
প্রশ্ন:৯ পলাশের নেশা মাখি চলেছি দুজনে, বাসনার রঙ-এ মিশি শ্যামলে-স্বপনে, কুহু কুহু শোনা যায় কোকিলের কুহুতান, বসন্ত এসে গেছে। উদ্দীপকের সাথে তোমার পাঠ্যবইয়ের কোন কবিতার সাদৃশ্য আছে ?
সঠিক উত্তর: তাহারেই পড়ে মনে
প্রশ্ন:১০ সুফিয়া কামালের স্বামীর নাম কী ?
সঠিক উত্তর: সৈয়দ নেহাল হোসেন
প্রশ্ন:১১ তাহারেই পড়ে মনে কবিতাটি আচ্ছন্ন হয়ে আছে-
সঠিক উত্তর: বিষাদময় রিক্ততার সুর
প্রশ্ন:১২ তাহারেই পড়ে মনে কবিতায় অলখের পাথার বাহিরা তরী তার এসেছে কি ?- চরণটিতে কবির কোন ভাব ফুটে উঠেছে ?
সঠিক উত্তর: উদাসীনতা
প্রশ্ন:১৩ তাহারেই পড়ে মনে কবিতায় কোন বিষয়টি উঠে এসেছে ?
সঠিক উত্তর: মানবমন ও প্রাকৃতির যোগসাদৃশ্য
প্রশ্ন:১৪ শুনি নাই, রাখিনি সন্ধান- কবি কীসের সন্ধান রাখেননি ?
সঠিক উত্তর: বসন্তের
প্রশ্ন:১৫ বাংলাদেশের নারী আন্দোলনের পথিকৃৎ হিসেবে অভিহিত-
সঠিক উত্তর: সুফিয়া কামাল
প্রশ্ন:১৬ দক্ষিণ দুয়ার শব্দটি দ্বারা কবি কিসের আগমনকে জানিয়ে দিয়েছেন ?
সঠিক উত্তর: বসন্তের দক্ষিণা বাতাস
প্রশ্ন:১৭ তাহারেই পড়ে মনে কবিতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো-
সঠিক উত্তর: নাটকীয়তা
প্রশ্ন:১৮ নিচের কোন পুরষ্কারটি সুফিয়া কামাল পাননি ?
সঠিক উত্তর: স্বাধীনতা পদক
প্রশ্ন:১৯ বসন্ত-বন্দনা বলতে বোঝানো হয়েছে-বসন্তে-
সঠিক উত্তর: কবিতা লেখা
প্রশ্ন:২০কহিল সে স্নিগ্ধ আঁখি তুলি দক্ষিণ দুয়ার গেছে খুলি ? কে স্নিগ্ধ আঁখি তুলে কথা বলল ?
সঠিক উত্তর: কবি
প্রশ্ন:২১ বসন্তের সৌন্দর্য কবির কাছে অর্থহীন হওয়ার কারণ-
সঠিক উত্তর: প্রিয়জনের মৃত্যু
প্রশ্ন:২২ সংলাপনির্ভর রচনা-
সঠিক উত্তর: তাহারেই পড়ে মনে
প্রশ্ন:২৩ কবি সুফিয়া কামালের পৈতৃক নিবাস কোথায় ?
সঠিক উত্তর: কুমিল্লায়
প্রশ্ন:২৪ ফুল কি ফোটেনি শাখে ? কবি এ জাতীয় প্রশ্ন করেছেন কেন ?
সঠিক উত্তর: উদাসীনতার জন্য
প্রশ্ন:২৫ কুঁড়ি শব্দটির ব্যুৎপত্তি নির্দেশ করা হয়েছে কোনটিতে ?
সঠিক উত্তর: কুঁড়ি>কোরক
প্রশ্ন:২৬ তাহারেই পড়ে মনে কবিতায় কী ফোটার কথা জানতে চেয়েছেন ?
সঠিক উত্তর: আমের মুকুল
প্রশ্ন:২৭ কবিভক্ত কবির কাছে কিসের মিনতি করেছেন ?
সঠিক উত্তর: কবিকন্ঠে বসন্ত-বন্দনা
প্রশ্ন:২৮ পুষ্পুশূন্য দিগন্তের পথে কে চলে গেছে ?
সঠিক উত্তর: মাঘের সন্ন্যাসী
প্রশ্ন:২৯ গঠনরীতির দিক থেকে তাহারেই পড়ে মনে কবিতাটি কী ধরনের ?
সঠিক উত্তর: সংলাপনির্ভর
প্রশ্ন:৩০ তাহারেই পড়ে মনে কবিতাটি কোথায় প্রথম প্রকাশিত হয় ?
সঠিক উত্তর: মাসিক মোহাম্মদী পত্রিকায়
প্রশ্ন:৩১ দক্ষিণ দুয়ার গেছে খুলি ? চরণটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে ?
সঠিক উত্তর: কবি মনের উদাসীনতা
প্রশ্ন:৩২ কে কবিকে বসন্তের বন্দনায় গীতি রচনা করতে বলেছেন ?
সঠিক উত্তর: কবিভক্ত
প্রশ্ন:৩৩ কুহেলি শব্দটি তাহারেই পড়ে মনে কবিতায় কোন অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে ?
সঠিক উত্তর: কুয়াশা
প্রশ্ন:৩৪ কুহেলী উত্তরী তলে মাঘের সন্ন্যাসী-এখানে কবির অনুভূতি-
সঠিক উত্তর: শীতের রিক্ততায় উদ্ভাসিত হয়েছে
প্রশ্ন:৩৫ গঠনরীতির দিক থেকে তাহারেই পড়ে মনে কোন ধরনের কবিতা ?
সঠিক উত্তর: সংলাপনির্ভর
প্রশ্ন:৩৬ তাহারেই পড়ে মনে কবিতায় ব্যবহৃত মিনতি শব্দটির ব্যুৎপত্তিগত ভাষা-
সঠিক উত্তর: সংষ্কৃত-আরবি
প্রশ্ন:৩৭ তাহারেই পড়ে মনে কবিতায় কবি কেন উম্মনা উদাসীন হয়েছেন ?
সঠিক উত্তর: স্বামীর মৃত্যুর জন্য
প্রশ্ন:৩৮ বসন্ত ঋতুতে কবিকে আচ্ছন্ন করে আছে-
সঠিক উত্তর: শীতের রিক্ততা
প্রশ্ন:৩৯ তাহারেই পড়ে মনে কোন দুয়ার খুলে গেছে ?
সঠিক উত্তর: দক্ষিণ
প্রশ্ন:৪০ তাহারেই পড়ে মনে কবিতায় কবি মৃদু মধু স্বরে কী বলেন ?
সঠিক উত্তর: নাই হলো, না হোক এবারে
প্রশ্ন:৪১ মাধবী শব্দটি তাহারেই পড়ে মনে কবিতায় কী অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে ?
সঠিক উত্তর: বাসন্তী লতা
প্রশ্ন:৪২ পুষ্পশূন্য কোন পথ ?
সঠিক উত্তর: দিগন্তের পথ
প্রশ্ন:৪৩ বাতাবি লেবুর ফুল ফুটেছে কি ?- এখানে কিসের ছায়াপাত ঘটেছে ?
সঠিক উত্তর: কবির উদাসীনতা
প্রশ্ন:৪৪ যদিও এসেছে তবু তুমি তারে করিলে বৃথাই- এখানে তারে বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে ?
সঠিক উত্তর: বসন্ত
প্রশ্ন:৪৫ দক্ষিণ দুয়ার কীভাবে খুলে গেছে ?
সঠিক উত্তর: প্রকৃতির নিয়মে খুলেছে
প্রশ্ন:৪৬ তাহারেই পড়ে মনে কবিতার পর্ব-বিন্যাস কীরূপ ?
সঠিক উত্তর: ৮ ও ১০ মাত্রা
প্রশ্ন:৪৭ সমীর শব্দটির প্রতিশব্দ হিসেবে তুমি কোনটি চিহিৃত করবে ?
সঠিক উত্তর: বাতাস
প্রশ্ন:৪৮ তাহারেই পড়ে মনে কবিতাটি সার্থক-
সঠিক উত্তর: ব্যক্তি ও প্রকৃতির তাৎপর্যময় অভিব্যক্তিতে
প্রশ্ন:৪৯ ডেকেছে কি সে আমারে- চরণাংশে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন ?
সঠিক উত্তর: কবি গভীর চিন্তামগ্ন
প্রশ্ন:৫০ তাহারেই পড়ে মনে কবিতায় কবি গান রচনা না করলেও বসন্ত ঋতু এসেছে কেন ?
সঠিক উত্তর: প্রকৃতির অমোঘ নিয়মে
প্রশ্ন:৫১ কহিল সে কাছে সরে আসি- পরের পঙক্তি কোনটি ?
সঠিক উত্তর: কুহেলি উত্তরী তলে মাঘের সন্ন্যাসী
প্রশ্ন:৫২ তাহারেই পড়ে মনে কবিতায় উত্তরী শব্দের অর্থ কী ?
সঠিক উত্তর: চাদর
প্রশ্ন:৫৩ তাহারেই পড়ে মনে কবিতায় কবির মন বিষণ্নতায় আচ্ছন্ন যে কারণে-
সঠিক উত্তর: প্রিয়জন হারানোর শোকে
প্রশ্ন:৫৪ তাহারেই পড়ে মনে কবিতায় কবি কাকে ব্যথা দিয়েছেন ?
সঠিক উত্তর: পাঠক
প্রশ্ন:৫৫ বসন্ত-বন্দনা তব কন্ঠে শুনি- এ মোর মিনতি- এ মিনতি করে-
সঠিক উত্তর: কবিভক্ত
প্রশ্ন:৫৬ কবি সুফিয়া কামালের জন্ম কোন জেলায়?
সঠিক উত্তর: বরিশালে
প্রশ্ন:৫৭ কবি সুফিয়া কামালের জন্ম কোন জেলায়?
সঠিক উত্তর: বরিশালে
প্রশ্ন:৫৮ তাহারেই পড়ে মনে কবিতায় হে কবি বলে কে সম্ভোধন করেছেন
সঠিক উত্তর: কবি ভক্ত
প্রশ্ন:৫৯ তাহারেই পড়ে মনে কবিতায় কবির কাকে মনে পড়ে?
সঠিক উত্তর: মাঘের সন্ন্যাসিকে
প্রশ্ন:৬০ তাহরেই পড়ে মনে কবিতায় কে অর্ঘ্য বিরচন করে?
সঠিক উত্তর: বসন্ত
প্রশ্ন:৬১ কুহেলি শব্দের অর্থ কী?
সঠিক উত্তর : কুয়াশা
প্রশ্ন:৬২ মেঘের সন্ন্যাসি বলতে কাকে বোঝানো হয়েছে?
সঠিক উত্তর: কবি ভক্তের হৃদয়কে
প্রশ্ন:৬৩ লহ শব্দেটি কী অর্থে ব্যাহৃত হয়েছে?
সঠিক উত্তর: নাও
প্রশ্ন:৬৪ তাহারেই পড়ে মনে কবিতায় কবি কোন বিষয়ে তাৎপর্যময় অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন?
সঠিক উত্তর: প্রকৃতি ও মানবমনের সম্পর্ক
==>

বহুনির্বাচনী









মঙ্গলবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

MCQ:প্রশ্নের জন্য ok

-----------
Q: venenatis
1.calender
2.color
3.volvo
4.Aliquam
A:-This is a Blue Heading

Q: venenatis

1.calender
2.color
3.volvo
4.Aliquam
A:-This is a Blue Heading

Q: venenatis

1.calender
2.color
3.volvo
4.Aliquam
A:-This is a Blue Heading