মঙ্গলবার, ৩১ জুলাই, ২০১৮

এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে

এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে

--জীবনানন্দ দাশ
এই কবির দৃষ্টিতে সমগ্র পৃথিবীর মধ্যে বাংলা সবচেয়ে সুন্দর।
তবে এখানে সহানুভূতি দ্বারা সিক্ত বলে বিষণ্ণতা
ও কারুণ্যও আছে।
পৃথিবীতে এক স্থান আছে-সবচেয়ে সুন্দর করুণ:

সেখানে এরকম ঘাসে আবৃত মাঠ আর
এই নামের গাছ রয়েছে যেখানে।
বাংলাকে বোঝাচ্ছেন।
সবুজ ডাঙা ভরে আছে মধুকূপী ঘাসে অবিরল
সেখানে গাছের না: কাঁঠাল অশ্বত্থ বট জারুল হিজল
সেখানে এখানে নাটার রংয়ের সূর্য ভোরের মেঘে উদিত হয়।
নাটার: গোলাকার ক্ষুদ্র লাল ফল
ভোরের মেঘে নাটার রঙের মতো জাগিছে অরুণ
সেখানে বরুণ ও বারুণী নদীনালার স্রোতোধারায়
জল নিশ্চিত করে বাংলার প্রাণৈশ্বর্য ও সৌন্দর্য ধরে রাখে।
বারুণী: হিন্দুধর্মে জলের দেবী বরুণ: বারুণীর স্বামী
বারুণী তাকে গঙ্গা-সাগরের বুকে-সেখানে বরুণ
কর্ণফুলী ধলেশ্বরী পদ্মা জলাঙ্গীরে দেয় অবিরল জল
এই ধান খোসার আবরণে থাকে সুগন্ধী চাল
আর প্রকৃতির আবরণে থাকে লক্ষ্মীপেঁচা।
প্রকৃতি ও প্রাণিকূলের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
লক্ষ্মীপেঁচা: সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির প্রতীকরূপী
সেইখানে শঙ্খচিল পানের বনের মতো হাওয়ায় চঞ্চল।
সেইখানে ধান খোসার আবরণে থাকে সুগন্ধী
চাল আর প্রকৃতির আবরণে থাকে লক্ষ্মীপেঁচা।
প্রকৃতি ও প্রাণিকূলের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
লক্ষ্মীপেঁচা: সৌভাগ্য ও সমৃদ্ধির প্রতীকরূপী
সেইখানে লক্ষ্মীপেঁচা ধানের গন্ধের মতো অস্ফুট, তরুণ
হেমন্তের সোনালি ধান,
হলুদ সর্ষে ফুলকে রূপসী বাংলার শাড়ী রং
হিসেবে কল্পনা করা হয়েছে।
সেখানে লেবুর শাখা নুয়ে থাকে অন্ধকার ঘাসের উপর
সেখানে হলুদ শাড়ি লেগে থাকে রূপসীর শরীরের পর-
গোবরে পোকা সেখানে লেবুর শাখা নুয়ে থাকে অন্ধকারে ঘাসের উপর;
সুদর্শন উড়ে যায় ঘরে তার অন্ধকার সন্ধ্যার বাতাসে;
শঙ্খমালা বাস্তবের কোনো নারী নয়,
রূপসী বাংলাকে তিনি হলুদ শাড়ি পরিহিতা
অপরূপা নারী হিসেবে কল্পনা করেছেন।
শঙ্খমালা নাম তার : এ বিশাল পৃথিবীর কোনো নদী ঘাসে
দেবী দুর্গার বরেই বাংলা/শঙ্খমালা অপরূপা।
বিশালাক্ষী: টানাটানা চোখবিশিষ্ট ভাগ্যের দেবী দূর্গা
তারে আর খুঁজে তুমি পাবে নাকো-বিশালাক্ষী দিয়েছিল বর
তাই-সে-জন্মেছে নীল বাংলার ঘাস আর ধানের ভিতর।
শব্দার্থ ও টীকা

এই পৃথিবীতে....সুন্দর করুণ-কবির চোখে সমগ্র পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর, মমতারসে সিক্ত, সহানুভূতিতে আর্দ্র ও বিষণ্ন দেশ বাংলাদেশ।
নাটা-লতাকবঞ্চ; গোলাকার ক্ষুদ্র ফর বা তার বীজ।
সেখানে ভোরের... জাগিছে অরুণ -বাংলার প্রভাতের সৌন্দর্য ও রহস্যময়তা আঁকতে গিয়ে ভোরে মেঘের আড়াল থেকে গাঢ় লাল সূর্যের আলো বিচ্ছুরণ যেন ধারণ করেছে করমচা বা করমচা ফুলের রং।
বারুণী - বরুণানী। বরুণের স্ত্রী। জলের দেবী।
সেখানে বারুণী থাকে.. অবিকল জল -জলে পরিপূর্ণ এদেদেশের অসংখ্য নদী-নালা স্রোত ধারার প্রাণৈশ্বর্য ও সৌন্দর্যের রূপ আঁকা হয়েছে এই পঙ্ক্তি দুটির মধ্যে।
সেইখানে শঙ্গচিল... অস্ফুট, তরুণ-বাংলাদেশ প্রাণী আর প্রকৃতির ঐক্য ও সংহতিতে একাকার। পানের বনে হাওয়ায় যে চঞ্চলতা জেগে ওঠে সেই চঞ্চলতা সম্প্রসারিত হয় দূর আকাশের শঙ্খচিলে। আর মিষ্টি ম্রিয়মাণ তরুণ ধানের গন্ধের মতো লক্ষ্মীপেঁচাও মিলেমিশে থাকে প্রকৃতির পরিবেষ্টনীতে।
বিশালাক্ষী - যে রমণীর চোখ আয়ত বা টানাটানা। আয়তলোচনা সুন্দরী নারী।
সুদর্শন -এক ধরনের পোকা।
বিশালাক্ষী দিয়েছিল বর -এখানে আয়তলোচনা দেবী দুর্গার কথা বলা হয়েছে।
পাঠ-পরিচিতি
অসাধারণ সুন্দর এই দেশ। সারা পৃথিবীর মধ্যে অন্যন। প্রকৃতির সৌন্দর্যের এমন লীলাভূমি পৃথিবীর কোথাও নেই আর। অসংখ্য বৃক্ষ, গুল্ম ছড়িয়ে আছে এদেশের জনপদে-অরণ্যে। মধুকূপী, কাঁঠাল, অশ্বত্থ, বট, জারুল, হিজল তাদেরই কোনো কোনোটির নাম। এদেশের পূর্বকাশে যখন সূর্য ওঠে মেঘের আড়াল থেকে তার রং হয় করঞ্জা রঙিন। আর এদেশের প্রতিটি নদ-নদী ভরে থাকে স্বচ্ছতোয়া জলে। সেই জল ফুরায় না কখনই। জলের দেবতা অনিঃশেষ জলধারা দিয়ে সোতস্বিনী রাখে এদেশের অসংখ্য নদীকে। প্রকৃতি আর প্রাণিকুলের বন্ধনে গড়ে উঠেছে চির-অবিচ্ছেদ্য এক সংহতি। তাই হাওয়া যখন পানের বনে চঞ্চলতা জাগায় তখন দূর আকাশের শঙ্খচিল যেন চঞ্চল হয়ে ওঠে। আর ধানের গন্ধের মতো অস্ফুট লক্ষ্মীপেঁচাও মিশে থাকে প্রকৃতির গভীরে, অন্ধকারের বিচিত্ররূপ এই দেশে। অন্ধকার ঘাসের ওপর নুয়ে থাকে লেবুর শাখা কিংবা অন্ধকার সন্ধ্যার বাতাসে সুদর্শন উড়ে যায়। জন্ম দেয় শঙ্খমালা নামের রূপসী নারীর হলুদ শাড়ির বর্ণশোভা। কবির বিশ্বাস, পৃথিবীর অন্য কোথায় শঙ্খমালাদের পাওয়া যাবে না। কেননা বিশালাক্ষী বর দিয়েছিল বলেই নীল-সবুজে মেশা বাংলার ভূপ্রকৃতির মধ্যে এই অনুপম সৌন্দর্য সৃষ্টি হয়েছে।

এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে
—জীবনানন্দ দাশ
১.কোনটি সনেট ?-- এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে
২. শঙ্খমালা নাম তার- কবির দৃষ্টিতে শঙ্খমালা কে/ কী ?-- বাংলার প্রকৃতি
৩.জীবনানন্দ দাশের কাব্যবৈশিস্ট্যকে কবি রবীন্দ্রনাথ কী নামে আখ্যায়িত করেছেন ?- চিত্ররূপময়
৪. সুতীর্থ কী জাতীয় রচনা ?- উপন্যাস
৫. শঙ্খমালা কোন কবির নায়িকা ?- জীবনানন্দ দাশ
৬. বাংলার প্রাকৃতিক মাধুর্য বর্ণনায় এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে কবিতায় কবির উপলব্ধি যে অর্থের ব্যঞ্জনা পেয়েছে--- স্বদেশপ্রীতি
৭. জীবনানন্দ দাশের মতে কাকে আর এ পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া যাবে না ?—শঙ্খমালাকে
৮. সেখানে হলুদ শাড়ি লেগে থাকে রূপসীর শরীরে- রূপসী কে ?—শঙ্খমালা
৯.সুতীর্থ কার লেখা উপন্যাস ?-- জীবনানন্দ দাশ
১০ কোন কবির মাও একজন কবি ছিলেন ?-- জীবনানন্দ দাশ
১১ শঙ্খমালার শাড়ির রং কী ?-- হলুদ
১২. বন্ধদেব বসু জীবনানন্দ দাশকে কী ধরনের কবি বলে আখ্যায়িত করেছেন ?- নির্জনতম কবি
১৩ এই পৃথিবীতে একস্থান আছে কবিতার বিশাল্যক্ষীর ক্ষেত্রে নিচের কোনটি প্রযোজ্য ?- দেবী
১৪. এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে কবিতায় ব্যবহৃত নিচের কোন প্রসঙ্গটিকে পৌরাণিক বলা যায় ?- সেখানে বারুণী থাকে গঙ্গাসাগরের বুকে
১৫. নিঃসঙ্গতার কবি বলে পরিচিত কে ?-- জীবনানন্দ দাশ
১৬. বারুণী বা জলের দেবীর উল্লেখ আছে কোন কবিতায় ?- এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে
১৭. কবি জীবনানন্দ দাশকে কে চিত্ররূপময় বলে আখ্যায়িত করেছেন ?- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
১৮. সুদর্শন মূলত কী ?-- এক ধরনের পোকা
১৯. জীবনানন্দ দাশ মূলত কী হিসেবে জীবন অতিবাহিত করেন ?- ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক হিসেবে
২০. এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে কবিতায় বরুণ কাকে অবিরল জল দেয় ?- নদীকে
২১. ধলেশ্বরী পদ্মা জলাঙ্গীরে অবিরল কী দেয় ?- জল
২২. জীবনানন্দ দাশ রচিত উপন্যাস কোনিট ?- মাল্যবান
২৩. নীল-সবুজে মেশা বাংলার ভূ-প্রকৃতির মধ্যে অনুপম সৌন্দর্য সৃষ্টি হয়েছে। কারণ-- বিলালাক্ষী বর দিয়েছিল
২৪. ভোরের মেঘে নাটার রঙের মতো জাগিছে অরুণ বলতে বোঝানো হয়েছে-- : প্রভাত সৌন্দর্য
২৫. জীবনানন্দ দাশের কাছে তার দেশ সুন্দর কী ?- করুণ
২৬. বাংলার নদ-নদী জলাঙ্গীরে জল দেয় কেন ?- দেবীর আদেশে
২৭. বিশালাক্ষী দিয়েছিল বর পঙক্তি দিয়ে বোঝানো হয়েছে-- আয়তলোচনা দেবী দুর্গাকে
২৮. এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে- কবিতায় কোন ছন্দ ব্যবহৃত হয়েছে ?- অক্ষরবৃত্ত
২৯ নিচের কোন বানানটি ঠিক ?- জীবনানন্দ দাশ
৩০. বিশালাক্ষী চরিত্রের মাধ্যমে কবি কোন বিষয়টি তুলে ধরেছেন ?- বাঙালির দেবী বিশ্বাস
৩১. জীবনানন্দ দাশ কোন বিবাগের অধ্যাপক ছিলেন ?- : ইংরেজি
৩২. সুদর্শন উড়ে যাওয়ার মধ্যে কোন বিষয়টি ফুটে উঠেছে ?- প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
৩৩. জীবনানন্দ দাশের জন্মসাল কত ?- ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দ
৩৪. হলুদ শাড়ি লেগে থাকে কার শরীরে ?- শঙ্খমালার
Q-40: এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে কবিতায় কয়জন দেব-দেবীর প্রসঙ্গের উল্লেখ আছে ?-- ৩
৩৫. এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে কবিতানুসারে মধুকূপী ঘাসের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে-- সবুজ ডাঙ্গা
৩৬. শঙ্খচিল কোথাকার হাওয়ার মত চঞ্চল ?- পানের বনের
৩৭. এই পৃথিবীর এক স্থান আছে কবিতার সবুজ ডাঙ্গা ভরে আছে কিসে ?- মধুকূলী ঘাসে
৩৮. অন্ধকার ঘাসের ওপর কী নুয়ে থাকে ?- লেবু শাখা
৩৯. এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে কবিতায় মূল উপজীব্য কী ?- বাংলার প্রকৃতির সৌন্দর্য
৪০. শঙ্খচিলের চঞ্চলতার মধ্যে কোনটি ফুটে উঠেছে ?- পানের বনের হাওয়া
৪১. এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে কবিতায় কিসের গন্ধের কথা বলা হয়েছে ?- ধানের
৪২. এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে কবিতায় বর্ণিত রূপসীর নাম কী ?- শঙ্খমালা
৪৩. শঙ্খচিল পানের বনের মতো চঞ্চল বলতে বোঝানো হয়েছে-- প্রকৃতির সঙ্গে প্রাণীয় সম্পর্ক
৪৪. সুদর্শন উড়ে যাওয়া বলতে কী বুঝানো হয়েছে ?- বাংলার রূপবৈচিত্র্য
৪৫. কোন কবি তার কবিতায় সূক্ষ্ম ও গভীর অনুভবের এক জগৎ তৈরি করেন ?- জীবনানন্দ দাশ
৪৬. এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে কবির চোখে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দেশ বাংলাদেশ হওয়ার কারণ কী ?- এই দেশ প্রকৃতি ও তার অনুষঙ্গে অনন্য
৪৭. এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে কবিতায় বাংলার যে বিষয়টি প্রাধান্য পেয়েছে ?--প্রকৃতি
৪৮. এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে কবিতায় সবচেয়ে সুন্দর করুণ- বলতে কী বুঝানো হয়েছে ?- স্নেহময়
৪৯. এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে কবিতায় সন্ধ্যায় বাতাসে কে উড়ে যায় ?- সুদর্শন
৫০. এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে- স্থানটি কেমন ?- সুন্দর সকরুণ
৫১ এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে কবিতায় কবির দেশপ্রেম প্রকাশ পেয়েছে-- নিসর্গ বর্ণনায়
৫২. জীবনানন্দ দাশকে নির্জনতম কবি বলে আখ্যায়িত করেছেন-- বুন্ধদের বসু
৫৩. কোন কোন নদী জলাঙ্গীরে অবিরল জল দেয় ?- কর্ণফুলী, ধলেশ্বরী, পদ্মা
৫৪. বারুণী কাকে বলা হয়েছে ?- জলের দেবী
৫৫. বাংলা সাহিত্যে রুপসী বাংলার কবি হিসেবে খ্যাত কে?- জীবনান্দ দাশ
৫৬. এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে কবিতায় ফসলের মাঠকে কী বলে উপমিত করা হয়েছে?- হলুদ শাড়ি
৫৭. ধানের গন্ধের মতো অস্ফুট তরুন কোন পাখি?- লক্ষ্মীপেঁচা
৫৮. গলুদ শাড়ী থাকে থাকে কার শরীরে- শঙ্খমালার
৫৯. ধানের গন্ধ দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?- কৃষিপ্রধান বাংলাে চিত্র
৬০. নদীর তীর কাশফুলে ভরে আছে। উক্ত বিষয়টি এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে কবিতার কোন দিকটি তুলে ধরে?- সবুজ ডাঙ্গা ভরে আছে মধুকূপী ঘাসে
৬১. এই পৃথবীতে একস্থান আছে কবিতায় অন্ধকারে কী নুয়ে থাকার কথা বল হয়েছে?- লেবুর শাখা
৬২. এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে কবিতায় কোন রঙের শাড়িড় কথা বলা হয়েছে?- হলুদ

MCQ


১। গঙ্গা নদী বর্তমানে কোন দেশের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত
ক. বাংলাদেশ
খ. ভারত
গ. পাকিস্তান
ঘ. নেপাল

২।জীবনানন্দ দাশের পেশা হিসেবে নিচের কোনটি গ্রহণযোগ্য?
ক. কবি
খ. অধ্যাপক
গ. চিকিৎসক
ঘ. চাকরিজীবী

৩।জলের দেবী হিসেবে নিচের কোন নামটি গ্রহণযোগ্য?
ক. বরুণ
খ. অরুণ
গ. তরুণ
ঘ. বারুণী

৪।বর দানের সঙ্গে সম্পর্কিত কে?
ক. বিশালাক্ষী
খ. বারুণী
গ. শঙ্খচিল
ঘ. সুদর্শন

৫। ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতা নিচের কোন নদীটিকে সমর্থন করে?
ক. পদ্মা
খ. কপোতাক্ষ
গ. বুড়িগঙ্গা
ঘ. তুরাগ

৬। জীবনানন্দ দাশ তাঁর রচনায় কোন প্রকৃতির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন?
ক. শহর
খ. নগর
গ. বন্দর
ঘ. গ্রাম

৭।কবির জন্মভূমির নদীর জলে কোন বিষয়টি বিদ্যমান?
ক. সুবাস
খ. স্বচ্ছতোয়া
গ. সুধা
ঘ. অমৃত

৮। কবির মতে বাংলাদেশকে পৃথিবীর কী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া যায়?
ক. সুন্দরী
খ. রানি
গ. লক্ষ্মী
ঘ. ঐশ্বর্য

৯। শঙ্খচিল ও বুনো হাওয়ার মধ্যে কোন বিষয়টি বিদ্যমান?
ক. সংহতি
খ. মধুরতা
গ. প্রেম
ঘ. প্রাণৈশ্বর্য

১০। কুসুম কুমারী দাশের ক্ষেত্রে নিচের যে বিষয়টি গ্রহণযোগ্য—
i. কবি
ii. সাহিত্যিক
iii. শিক্ষক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i
খ. i ও ii
গ. i ও iii
ঘ. ii ও iii

১১। জীবনানন্দ দাশের কবিতা যার মাধ্যমে অসাধারণ স্বাতন্ত্র্য লাভ করেছে—
i. চিত্রকল্প
ii. উপমা
iii. প্রতীক সৃজন

নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii

১২। জীবনানন্দ দাশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলো—
i. কবি
ii. প্রাবন্ধিক
iii. কথাসাহিত্যিক
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i I ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii

নিচের উদ্দীপকটি পড়ো এবং ১৩ ও ১৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
ধনধান্য পুষ্পভরা আমাদের এই বসুন্ধরা তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা।

১৩। উদ্দীপকের প্রথম চরণে ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতার কোন দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে?
ক. প্রকৃতি চেতনা
খ. সৌন্দর্য চেতনা
গ. প্রাকৃতিক ঐশ্বর্য
ঘ. মর্ত্যপ্রীতি
১৪। উদ্দীপক ও ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় ফুটে উঠেছে—
i. দেশপ্রেম
ii. প্রকৃতিপ্রেম
iii. মানবপ্রেম
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i
খ. i ও ii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৫ ও ১৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
বাংলাদেশ অসাধারণ সুন্দর দেশ। সারা পৃথিবীর মধ্যে অনন্য। প্রকৃতির সৌন্দর্যের এমন লীলাভূমি পৃথিবীর কোথাও নেই আর।

১৫। উদ্দীপকে ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতার কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে?
ক. প্রকৃতিপ্রেম
খ. মাতৃভূমি বন্দনা
গ. সৌন্দর্যতত্ত্ব
ঘ. পৃথিবী বৈচিত্র্য

১৬। ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় উপস্থাপিত হয়েছে—
i. প্রাণী ও প্রকৃতির সম্পর্ক
ii. নদীমাতৃক বাংলা
iii. দেবীর অলৌকিক ক্ষমতা

নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৭ ও ১৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
‘বাংলা আমার আমি বাংলার
বাংলা আমার জন্মভূমি
গঙ্গা ও যমুনা পদ্মা ও মেঘনা
বহিছে যাহার চরণ চুমি’

১৭। উদ্দীপকের সঙ্গে ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতার কোন চরণের সম্পর্ক রয়েছে?
ক. সেখানে বারুণী থাকে গঙ্গাসাগরের বুকে সেখানে বরুণ
খ. কর্ণফুলী ধলেশ্বরী পদ্মা জলাঙ্গীরে দেয় অবিরল জল
গ. সেখানে সবুজ ডাঙ্গা ভরে আছে মধুকূপী ঘাসে অবিরল
ঘ. সেই খানে লক্ষ্মীপেঁচা ধানের গন্ধের মতো অস্ফুট তরুণ

১৮। ওই চরণ ও উদ্দীপকে ফুটে উঠেছে—
ক. প্রকৃতিপ্রেম
খ. নদীর সৌন্দর্য
গ. ঐশ্বর্য চেতনা
ঘ. দেশপ্রেম
নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ১৯ ও ২০ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও :
দেশ ও দেশের মানুষের সঙ্গে মানুষের রয়েছে আত্মার সম্পর্ক। কেননা মানুষ যে দেশে জন্মগ্রহণ করে সে দেশের সব কিছুর সাহায্যে যে বেড়ে ওঠে। তাই মানুষের কাছে স্বদেশের সব কিছুই বড় এবং সুন্দর হয়ে ওঠে।

১৯। উদ্দীপকটি তোমার পঠিত কোন রচনার নৈকট্য লাভে সামর্থ্য?
ক. ঐকতান
খ. লোক-লোকান্তর
গ. সেই অস্ত্র
ঘ. এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে

২০। নৈকট্য লাভের বিষয়টি যে দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচ্য—
ক. দেশপ্রেম
খ. জীবনবোধ
গ. মানবিকতাবোধ
ঘ. সৌন্দর্যপ্রীতি
২১। জীবনানন্দ দাশ কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
ক. ১৮৯০ সালে
খ. ১৮৯৫ সালে
গ. ১৮৯৯ সালে
ঘ. ১৯০৩ সালে

২২। ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় কতটি নদীর নাম আছে?
ক. ৩টি
খ. ৪টি
গ. ৫টি
ঘ. ৬টি

২৩। জীবনানন্দ দাশ তাঁর রচনায় কিসের ছবি এঁকেছেন?
ক. নিসর্গের
খ. শহরের
গ. নদীর
ঘ. যুদ্ধের

২৪। কবি ছাড়াও জীবনানন্দ দাশ কী ছিলেন?
ক. নাট্যকার
খ. গল্পকার
গ. ঔপন্যাসিক
ঘ. প্রাবন্ধিক

২৫। জীবনানন্দ দাশের প্রবন্ধ গ্রন্থ কোনটি?
ক. কবিতার কথা
খ. ঝরাপালক
গ. মাল্যবান
ঘ. সুতীর্থ

২৬। ধলেশ্বরী পদ্মা জলাঙ্গীরে অবিরল কী দেয়?
ক. সম্পদ
খ. মাছ
গ. ঝিনুক
ঘ. জল


২৭। ‘মাল্যবান’ ও ‘সুতীর্থ’ কোন ধরনের রচনা?
ক. গল্প
খ. কাব্য
গ. নাটক
ঘ. উপন্যাস

২৮। কবি জীবনানন্দ দাশের দেশে লক্ষ্মীপেঁচা কিসের গন্ধের মতো অস্ফুট?
ক. গমের
খ. ধানের
গ. পাটের
ঘ. জলের

২৯। রূপসীর শরীরে কী রঙের শাড়ি লেগে থাকে?
ক. লাল
খ. বেগুনি
গ. সবুজ
ঘ. হলুদ

৩০। ‘বারুণী’ শব্দের অর্থ কী?
ক. মত্স্যকন্যা
খ. সাগর দেবী
গ. জলের দেবী
ঘ. পাতালপুরীর কন্যা
৩১। শঙ্খমালা বাংলার কিসের ভেতর জন্মেছে?
ক. ধান
খ. পাট
গ. নদী
ঘ. পানের বনে

৩২। কবি জীবনানন্দ দাশের কাছে তাঁর দেশ সুন্দর কী?
ক. সেরা
খ. শ্রেষ্ঠ
গ. করুণ
ঘ. শুভ

৩৩। ‘সবুজ ডাঙ্গা’ বলতে বোঝানো হয়েছে—
ক. সবুজ প্রকৃতি
খ. সবুজ রং
গ. মাঠ-প্রকৃতি
ঘ. ঐশ্বর্য

৩৪। ‘এই পৃথিবীতে এক স্থান আছে’ কবিতায় কতটি গাছের নাম আছে?
ক. ৩টি
খ. ৪টি
গ. ৫টি
ঘ. ৬টি

৩৫। বর বলতে বোঝানো হয়েছে—
ক. ক্ষমা
খ. দেবতা
গ. ভিক্ষা
ঘ. আশীর্বাদ

৩৬। জীবনানন্দ দাশ কিভাবে তাঁর জগৎ তৈরি করেছেন?
ক. ব্যক্তি অনুভবে
খ. বস্তু অনুভবে
গ. দেশপ্রেমে
ঘ. সূক্ষ্ম গভীর অনুভবে

৩৭। বিশালাক্ষী দ্বারা কবি বুঝিয়েছেন—
ক. দেবী
খ. নর
গ. নারী
ঘ. বিশাল চোখ

৩৮। ধানের গন্ধ দ্বারা বোঝানো হয়েছে—
ক. ধানের সৌন্দর্য
খ. প্রাকৃতিক রূপ
গ. কৃষিপ্রধান বাংলার চিত্র
ঘ. ধান প্রকৃতি

৩৯। ‘লেবুর শাখা নুয়ে থাকা’ বলতে বোঝানো হয়েছে—
ক. সৌন্দর্য চেতনা
খ. প্রকৃতির ঐশ্বর্য
গ. বাংলার সম্পদ
ঘ. ফলের ভারে নুয়ে পড়া

৪০। কবি জীবনানন্দ দাশ তাঁর দেশকে সবচেয়ে সুন্দর বলেছেন কেন?
ক. প্রকৃতিপ্রেমে
খ. জাতীয়তাবোধে
গ. বাঙালির মুগ্ধতায়
ঘ. সৌন্দর্য চেতনায়
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
.
shimul table fixed 100%

উত্তরগুলো মিলিয়ে নাও ১. খ ২. খ ৩. ঘ ৪. ক ৫. ক ৬. ঘ ৭. খ ৮. ক ৯. ক ১০. খ ১১. ঘ ১২. ঘ ১৩. গ ১৪. খ ১৫. খ ১৬. ক ১৭. খ ১৮. গ ১৯. ঘ ২০. ক ২১. গ ২২. ক ২৩. ক ২৪. ঘ ২৫. ক ২৬. ঘ ২৭. ঘ ২৮. খ ২৯. ঘ ৩০. গ ৩১. ক ৩২. গ ৩৩. ক ৩৪. খ ৩৫. ঘ ৩৬. ঘ ৩৭. ক ৩৮. গ ৩৯. ক ৪০. ক

সোমবার, ৩০ জুলাই, ২০১৮

কালকেতুর ভোজন”

কালকেতুর ভোজন

কবি-পরিচিতিঃ-
মুকুন্দরাম চক্রবর্তী মধ্যযুগের বাঙালি কবি। ধারনা করা হয় তাঁর জন্ম ষোড়শ শতাব্দীর প্রথম দিকে। তাঁর বিখ্যাত কাব্য চণ্ডীমঙ্গলকাব্য প্রাচীন পাঁচালী রচনার মধ্যে শ্রেষ্ঠ । এর রচনাকাল ১৫৪৪ খ্রীস্টাব্দের কাছাকাছি সময় বলে বিবেচনা করা হয়। তিনি রাজা রঘুনাথের সমসাময়িক ছিলেন। মুকুন্দরাম তার চন্ডীমঙ্গল কাব্যের নামকরণ করেন অভয়ামঙ্গল ও অন্বিকামঙ্গল । গনজীবনের করুণ চিত্র তাঁর কাব্যে তুলে ধরেন। কবির প্রতিভার স্বকৃতিস্বরূপ রাজা রঘুনাথ তাকে কবি কঙ্কন উপাধি প্রদান করেন। তার পূর্ণ নাম হচ্ছে কবি কঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী। তবে এই রচনাকে কেউ কেউ ‘ কবিকঙ্কণ চন্ডী’ও বলেছেন। ‘কবিকঙ্কণ’ কথার মানে যে কবি হাতে অথবা পায়ে ঘুঙুর পরে গান করতেন। অর্থাৎ মঙ্গলকাব্যের পেশাদার গায়ক। তিনি তার কাব্যে উপন্যাসের বীজ বপন করেছেন। আধুনিক যুগের সাহিত্য সমালোচকগণ তার সম্পর্কে বলেছেন – ‘ মুকুন্দরাম চক্রবর্তী মধ্যযুগে জন্মগ্রহণ না করে আধুনিক যুগে জন্মগ্রহণ করলে কাব্য না লিখে উপন্যাস লিখতেন ‘।যদি এমন কোন গ্রন্থের নাম করতে হয় যাতে আধুনিক কালের, উপন্যাসের,রস কিছু পরিমাণে মেলে যেমন- নিপুণ পর্যবক্ষেণ, সহৃদয়তা, জীবনে আস্থা, ব্যাপক অভিজ্ঞতা সবই যথোচিত পরিমাণে বর্তমান। মুকুন্দরাম শুদ্ধাচারী বামুন-পন্ডিতঘরের ছেলে, আজন্ম দেববিগ্রহ সেবক।কিন্তু তাঁর সহানুভূতি থেকে কেউই বঞ্চিত হয়নি – না বনের তুচ্ছতম পশু না জনপদের দুর্গততম মানুষ।সংস্কৃত অলঙ্কার প্রয়োগের পাশাপাশি লোক-ব্যবহার, ছেলেভোলানো, ছেলেখেলা, মেয়েলি ক্রিয়াকান্ড, ঘরকন্নার ব্যবস্থা, রান্নাবাড়া ইত্যাদি অনপেক্ষিত সামাজিক ও সাংসারিক ব্যাপারেও বিস্ময়কর জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার পরিচয় দিয়েছেন।

কালকেতুর ভোজন
__মুকুন্দেরাম চক্রবর্তী

দূর হৈতে ফুল্লরা বীরের পাল্য সাড়া |
সম্ভ্রমে বসিতে দিল হরিণের ছড়া ||
বোঁচা নারিকেলের পুরিয়া দিল জল |
করিল ফুল্লরা তবে ভোজনের স্থল |
চরণ পাখালি বীর জল দিল মুখে |
ভোজন করিতে বৈসে মনের কৌতুকে ||
সম্ভ্রমে ফুল্লরা পাতে মাটিয়া পাথরা |
ব্যঞ্জনের তরে দিলা নূতন খাপরা |
মোচড়িয়া গোঁফ দুটা বান্ধিলেন ঘাড়ে |
এক শ্বাসে সাত হাড়ি আমানি উজাড়ে ||
চারি হাড়ি মহাবীর খায় খুদ জাউ,
ছয় হান্ডি মুসুরি সুপ মিশ্যা তথি লাউ |
ঝুড়ি দুই তিন খায় আলু ওল পোড়া |
কচুর সহিত খায় করঞ্জা আমড়া ||
অম্বল খাইয়া বীর বনিতারে পুছে,
রন্ধন করাছ ভালো আর কিছু আছে |
এন্যাছি হরিণী দিয়া দধি এক হাড়ি ,
তাহা দিয়া অন্ন বীর খায় তিন হাড়ি |
শয়ন কুতসিত বীরের ভোজন বিটকাল,
গ্রাসগুলি তোলে যেন তে আটিয়া তাল ||
ভোজন করিয়া সাঙ্গ কৈল আচমন,
হরীতকী খায়্যা কৈল মুখের শোধন |
নিশাকাল হৈল বীর করিলা শয়নে,
নিবেদিল পশূগণ রাজার চরণে |
অভয়ার চরণে মজুক নিজ চিত,
শ্রীকবিকঙ্কণ গান মধুর সংগীত |

১.চন্ডী মঙ্গল বিষয় বস্তু ২.গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়
শব্দার্থঃ-
হরিণের ছড়াঃ- হরিণের ছাল।
বোঁচা নারিকেলঃ-নারিকেলের মালার ওপরের অংশ কেটে তৈরি পাত্র।
পাখালিঃ-প্রক্ষালন করে।ধুয়ে।
খাপরাঃ-খর্পর।মাটির তৈরি একপ্রকার পাত্র।
আমানিঃ-পানিযুক্ত পান্তাভাত।
হান্ডিঃ-হাঁড়ি।
করঞ্জাঃ-টক ফল বিশেষ।করমচা।
বণিতা:-বধূ।
আচমনঃ-ভোজন শেষে হাত মুখ প্রক্ষালন।ধৌতকরন।
অভয়াঃ-দুর্গা।

পাঠ-পরিচিতিঃ-
“কালকেতুর ভোজন” অংশটি মুকন্দরাম চক্রবর্তী রচিত ‘চণ্ডীমঙ্গল’ কাব্য(মুহাম্মদ আবদুল হাই ও আনোয়ার পাশা সম্পাদিত ‘কালকেতু উপখ্যান’)হতে সংগৃহীত।ইন্দ্রপুত্র নীলাম্বর শিবিরে অভিশাপে ব্যাধরুপে মর্ত্যলোকে ধর্মকেতুর গৃহে জন্মগ্রহন করেন।তার নাম হয় কালকেতু।অসীম শক্তিশালী কালকেতু সারাদিন শিকার কর্মশেষে ঘরে ফিরলে স্ত্রী ফুল্লরা তার যে ভোজনের ব্যবস্থা করে তারই চমকপ্রদ বিবরণ উপস্থাপিত হয়েছে এ রচনাটিতে।বৈচত্র্যময় ও বিপুল খাবারের বিবরণের পাশাপাশি তৎকালীন সমাজে বাঙ্গালী গৃহের খাবার পরিবেশন রীতি এ কাব্যাংশে লক্ষণীয়।বর্ণনায় অতিরঞ্জন বা আতিশয্য থাকলেও খাবার গ্রহন ও এর পূর্বাপর বর্ননায় ভঙ্গিটি অত্যন্ত আকর্ষণীয়।মধ্যযুগে বাঙ্গালির গার্হস্থ্য জীবনের বাস্তবতা মুকন্দরাম চক্রবর্তীর কবিত্বশক্তি ও বর্ণনা নৈপুণ্যে অসামান্যতা লাভ করেছে।




বাংলা সাহিত্যের ঔপন্যাসিকদের অগ্রদূত মুকুন্দরাম চক্রবর্তী। তিনি ছিলেন অসাধারন পর্যবেক্ষণ শক্তির অধিকারী, সেই সাথে মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের মঙ্গলকাব্য ধারার অন্যতম প্রধান কবি।তার বহু রচনার মধ্য কালকেতুর ভোজন একটি অসাধারন কবিতা।কবিতাটিতে কবি মধ্যযুগের বাঙ্গালি সমাজের গার্হস্থজীবনের একটি বাস্তব চিেএর বর্ননা দিয়েছেন।কালকেতুর ভোজন ” কবিতাটি মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর রচিত বিখ্যাত কাব্য “চণ্ডীমঙ্গল “কাব্য(মুহাম্মদ আবদুল হাই ও আনোয়ার পাশা সম্পাদিত কালকেতু উপাখ্যন’)থেকে সংগৃহীত।

কবিতাটিতে কালকেতুর ভোজন কথাটির মূল অর্থ হলো, এখানে কালকেতুর খাবার গ্রহন অর্থে বোঝানে হয়েছে, এখানে ভোজন অর্থ খাবার খাওয়া বা খাবার গ্রহন করা। আর কালকেতু হলো একটি নাম। যিনি ছিলেন ইন্দ্রপুএ নীলাম্বর।

তিনি শিবের অভিশাপে ব্যাধরুপে মর্ত্যলোকে ধর্মকেতুর গৃহে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানে তার নাম রাখা হয় কালকেতু। অর্থাৎ কবিতার মূল বিষয়টি ছিলো কালকেতুর খাবার গ্রহন এর বিবরণ। কবিতার প্রথম দিকে শক্তিশালী কালকেতুর কিছু বননা দেওয়া হয় এবং সারাদিন শিকার শেষে ঘরে ফিরলে তার স্ত্রী ফুল্লরা তার যে ভোজন ব্যবস্থা করা এবং তার স্বামীর জন্য অপেক্ষার প্রহর শেষ হওয়ার একটি চমকপ্রদ বিবরণ উপস্থাপিত হয় রচনাটিতে।সেই সাথে তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থায় বাঙ্গালি গৃহে খাবার পরিবেশনের রীতি, বৈচিএ্যময় নানা আয়োজন ও বিপুল খাবারের সমাহার ইত্যাদি বিষয়গুলোও কাব্যাংশে লক্ষনীয় হয়েছে।তবে রচনাটিতে অতিরঞ্জন বা অাতিশয্য থাকলেও খাবার গ্রহন ও এর পূর্বাপর বর্ণনা নৈপুণ্যে অসামান্যতা লাভ করেছে। মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর এই কবিতাটিতে সেই মধ্যযুগের বাঙ্গালির জীবনযাত্রার অসাধারন কিছু কথা উথাপিত হয়েছে এখানে।



রবিবার, ২৯ জুলাই, ২০১৮

লালসালুর গঠনশৈলী ও ধর্মীয় ঔপনিবেশিকতা



লিংক







text doc ok


In this example, the image will float to the right in the paragraph, and the text in the paragraph will wrap around the image.

Pineapple Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Phasellus imperdiet, nulla et dictum interdum, nisi lorem egestas odio, vitae scelerisque enim ligula venenatis dolor. Maecenas nisl est, ultrices nec congue eget, auctor vitae massa. Fusce luctus vestibulum augue ut aliquet. Mauris ante ligula, facilisis sed ornare eu, lobortis in odio. Praesent convallis urna a lacus interdum ut hendrerit risus congue. Nunc sagittis dictum nisi, sed ullamcorper ipsum dignissim ac. In at libero sed nunc venenatis imperdiet sed ornare turpis. Donec vitae dui eget tellus gravida venenatis. Integer fringilla congue eros non fermentum. Sed dapibus


Pineapple pulvinar nibh tempor porta. Cras ac leo purus. Mauris quis diam velit.Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Phasellus imperdiet, nulla et dictum interdum, nisi lorem egestas odio, vitae scelerisque enim ligula venenatis dolor. Maecenas nisl est, ultrices nec congue eget, auctor vitae massa. Fusce luctus vestibulum augue ut aliquet. Mauris ante ligula, facilisis sed ornare eu, lobortis in odio. Praesent convallis urna a lacus interdum ut hendrerit risus congue. Nunc sagittis dictum nisi, sed ullamcorper ipsum dignissim ac. In at libero sed nunc v

Pineapple pulvinar nibh tempor porta. Cras ac leo purus. Mauris quis diam velit.Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipiscing elit. Phasellus imperdiet, nulla et dictum interdum, nisi lorem egestas odio, vitae scelerisque enim ligula venenatis dolor. Maecenas nisl est, ultrices nec congue eget, auctor vitae massa. Fusce luctus vestibulum augue ut aliquet. Mauris ante ligula, facilisis sed ornare eu, lobortis in odio. Praesent convallis urna a lacus interdum ut hendrerit risus congue. Nunc sagittis dictum nisi, sed ullamcorper ipsum dignissim ac. In at libero sed nunc v