শুক্রবার, ৬ জুলাই, ২০১৮

কবিতা


Bootstrap Example

জীবনান্দ দাসের কবিতা

ধূসর পান্ডুলিপি


এই সব দিনরাত্রি
মনে হয় এর চেয়ে অন্ধকারে ডুবে যাওয়া ভালো।
এইখানে
পৃথিবীর এই ক্লান্ত এ অশান্ত কিনারার দেশে
এখানে আশ্চর্য সব মানুষ রয়েছে।
তাদের সম্রাট নেই, সেনাপতি নেই;
তাদের হৃদয়ে কোনো সভাপতি নেই;
শরীর বিবশ হ’লে অবশেষে ট্রেড-ইউনিয়নের
কংগ্রেসের মতো কোনো অাশা হতাশার
কোলাহল নেই।
অনেক শ্রমিক আছে এইখানে।
আরো ঢের লোক অাছে
সঠিক শ্রমিক নয় তা’রা।
স্বাভাবিক মধ্যশ্রেণী নিম্নশ্রেণী মধ্যবিত্ত শ্রেণীর পরিধি থেকে ঝ’রে
এরা তবু মৃত নয়; অন্তবিহীন কাল মৃতবৎ ঘোরে।
নামগুলো কুশ্রী নয়, পৃথিবীর চেনা-জানা নাম এই সব।
আমরা অনেক দিন এ-সব নামের সাথে পরিচিত; তবু,
গৃহ নীড় নির্দেশ সকলি হারায়ে ফেলে ওরা
জানে না কোথায় গেলে মানুষের সমাজের পারিশ্রমিকের
মতন নির্দিষ্ট কোনো শ্রমের বিধান পাওয়া যাবে;
জানে না কোথায় গেলে জল তেল খাদ্য পাওয়া যাবে;
অথবা কোথায় মুক্ত পরিচ্ছন্ন বাতাসের সিন্ধুতীর আছে।
মেডিকেল ক্যাম্বেলের বেলগাছিয়ার
যাদবপুরের বেড কাঁচড়াপাড়ার বেড সব মিলে কতগুলো সব?
ওরা নয়— সহসা ওদের হ’য়ে আমি




ধূসর পান্ডুলিপি

কার্তিক মাঠের চাঁদ(মাঠের গল্প)
জেগে ওঠে হৃদয়ে আবেগ —
পাহাড়ের মতো অই মেঘ
সঙ্গে লয়ে আসে
মাঝরাতে কিংবা শেষরাতে আকাশে
যখন তোমারে! —
মৃত কে পৃথিবী এক আজ রাতে ছেড়ে দিল যারে!
ছেঁড়া ছেঁড়া শাদা মেঘ ভয় পেয়ে গেছে সব চলে
তরাসে ছেলের মতো– আকাশে নক্ষত্র
গেছে জ্ব’লে
অনেক সময়–
তারপর তুমি এলে, মাঠের শিয়রে– চাঁদ–
পৃথিবীতে আজ আর যা হবার নয়,
একদিন হয়েছে যা– তারপর হাতছাড়া হয়ে
হারায়ে ফুরায়ে গেছে– আজও তুমি তার স্বাদ লয়ে
আর-একবার তবু দাঁড়ায়েছ এসে!
নিড়োনো হয়েছে মাঠ পৃথিবীর চার দিকে,
শস্যের ক্ষেত চেষে চেষে
গেছে চাষা চ’লে;
তাদের মাটির গল্প– তাদের মাঠের গল্প সব শেষ হলে
অনেক তবুও থাকে বাকি–
তুমি জানো– এ পৃথিবীর আজ জানে তা কি!






Bootstrap Example

জীবনান্দ দাসের কবিতা

ধূসর পান্ডুলিপি


এই সব দিনরাত্রি
মনে হয় এর চেয়ে অন্ধকারে ডুবে যাওয়া ভালো।
এইখানে
পৃথিবীর এই ক্লান্ত এ অশান্ত কিনারার দেশে
এখানে আশ্চর্য সব মানুষ রয়েছে।
তাদের সম্রাট নেই, সেনাপতি নেই;
তাদের হৃদয়ে কোনো সভাপতি নেই;
শরীর বিবশ হ’লে অবশেষে ট্রেড-ইউনিয়নের
কংগ্রেসের মতো কোনো অাশা হতাশার
কোলাহল নেই।
অনেক শ্রমিক আছে এইখানে।
আরো ঢের লোক অাছে
সঠিক শ্রমিক নয় তা’রা।
স্বাভাবিক মধ্যশ্রেণী নিম্নশ্রেণী মধ্যবিত্ত শ্রেণীর পরিধি থেকে ঝ’রে
এরা তবু মৃত নয়; অন্তবিহীন কাল মৃতবৎ ঘোরে।
নামগুলো কুশ্রী নয়, পৃথিবীর চেনা-জানা নাম এই সব।
আমরা অনেক দিন এ-সব নামের সাথে পরিচিত; তবু,
গৃহ নীড় নির্দেশ সকলি হারায়ে ফেলে ওরা
জানে না কোথায় গেলে মানুষের সমাজের পারিশ্রমিকের
মতন নির্দিষ্ট কোনো শ্রমের বিধান পাওয়া যাবে;
জানে না কোথায় গেলে জল তেল খাদ্য পাওয়া যাবে;
অথবা কোথায় মুক্ত পরিচ্ছন্ন বাতাসের সিন্ধুতীর আছে।
মেডিকেল ক্যাম্বেলের বেলগাছিয়ার
যাদবপুরের বেড কাঁচড়াপাড়ার বেড সব মিলে কতগুলো সব?
ওরা নয়— সহসা ওদের হ’য়ে আমি




ধূসর পান্ডুলিপি

কার্তিক মাঠের চাঁদ(মাঠের গল্প)
জেগে ওঠে হৃদয়ে আবেগ —
পাহাড়ের মতো অই মেঘ
সঙ্গে লয়ে আসে
মাঝরাতে কিংবা শেষরাতে আকাশে
যখন তোমারে! —
মৃত কে পৃথিবী এক আজ রাতে ছেড়ে দিল যারে!
ছেঁড়া ছেঁড়া শাদা মেঘ ভয় পেয়ে গেছে সব চলে
তরাসে ছেলের মতো– আকাশে নক্ষত্র
গেছে জ্ব’লে
অনেক সময়–
তারপর তুমি এলে, মাঠের শিয়রে– চাঁদ–
পৃথিবীতে আজ আর যা হবার নয়,
একদিন হয়েছে যা– তারপর হাতছাড়া হয়ে
হারায়ে ফুরায়ে গেছে– আজও তুমি তার স্বাদ লয়ে
আর-একবার তবু দাঁড়ায়েছ এসে!
নিড়োনো হয়েছে মাঠ পৃথিবীর চার দিকে,
শস্যের ক্ষেত চেষে চেষে
গেছে চাষা চ’লে;
তাদের মাটির গল্প– তাদের মাঠের গল্প সব শেষ হলে
অনেক তবুও থাকে বাকি–
তুমি জানো– এ পৃথিবীর আজ জানে তা কি!






মঙ্গলবার, ২৬ জুন, ২০১৮

সন্ধি


Girl in a jacket

প্রশ্ন: সন্ধি বলতে কী বোঝো? সন্ধি কয় প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ আলোচনা করো।.


উত্তর: পাশাপাশি দুটি ধ্বনি দ্রুত উচ্চারণকালে সম্পূর্ণ বা আংশিক মিলিত হয় অথবা একটি লোপ পায় কিংবা একটি অপরটির প্রভাবে পরিবর্তিত হয়, এরূপ পরিবর্তন, লোপ বা মিলনকে সন্ধি বলে। যেমন: বিদ্যা + আলয় = বিদ্যালয়; গৈ + অক = গায়ক; নে + অন = নয়ন; ষট + আনন = ষড়ানন।

সন্ধির প্রকারভেদ: বাংলা ভাষায় সন্ধি তিন প্রকার। যেমন:
১. স্বরসন্ধি: স্বরধ্বনির সঙ্গে স্বরধ্বনির মিলনে স্বরসন্ধি হয়। যেমন: নর + অধম = নরাধম; শুভ + ইচ্ছা = শুভেচ্ছা।
২. ব্যঞ্জন সন্ধি: ব্যঞ্জন ধ্বনির সথে স্বরধ্বনি অথবা ব্যঞ্জন ধ্বনির সঙ্গে ব্যঞ্জন ধ্বনির মিলনে যে সন্ধি হয়, তাকে ব্যঞ্জন সন্ধি বলে। যেমন: তত্ + অন্ত = তদন্ত; সত্ + জন = সজ্জন।
৩. বিসর্গ সন্ধি: বিসর্গের সঙ্গে স্বরবর্ণ বা ব্যঞ্জন বর্ণের মিলনে যে সন্ধি হয়, তাকে বিসর্গ সন্ধি বলে। যেমন: মনঃ+যোগ=মনোযোগ; পুনঃ+আয় =পুনরায়।
এ ছাড়া খাঁটি বাংলা সন্ধি আছে। যেমন: দিন+এক = দিনেক; আধা+উলি = আধুলি।



প্রশ্ন: বাংলা ভাষায় সন্ধির প্রয়োজনীয়তা লেখ।

উত্তর: সন্ধির প্রয়োজনীয়তা: সন্ধি ভাষার শ্রুতিমধুরতা আনে, সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। সন্ধির ফলে ভাষা সংক্ষিপ্ত হয়। তা ছাড়া সন্ধির মাধ্যমে নতুন নতুন শব্দ গঠন করা হয়। ফলে ভাষা নির্মাণে সন্ধির প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। অনেকে বাংলা ভাষায় সন্ধির প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেন না। বাংলা উচ্চারণরীতির সঙ্গে বাংলা সন্ধির নিয়ম জড়িত। সংস্কৃতের অনুসরণে বাংলা ভাষায় সন্ধি এসেছে। সংস্কৃত শব্দের সন্ধি সংস্কৃত নিয়ম অক্ষুণ্ন রেখেই বাংলা ভাষায় প্রচলিত। সাধারণত তত্সম শব্দের সঙ্গে তত্সম শব্দের সন্ধি হয়। বাংলা শব্দের সঙ্গে সংস্কৃত শব্দের সন্ধি হয় না। বাংলা ভাষায় প্রচলিত বিদেশি শব্দের সন্ধি করা বিধেয় না। সন্ধি উচ্চারণের সরলীকরণ করে, ভাষার সহজ ও স্বচ্ছন্দ গতি নিশ্চিত করে। সুতরাং, সন্ধির প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।




প্রশ্ন: সন্ধি কাকে বলে? সন্ধির সাহায্যে কীভাবে শব্দ গঠন করা যায়, উদাহরণসহ বুঝিয়ে দাও।

উত্তর: সন্ধি অর্থ মিলন। পরস্পর সন্নিহিত দুটি বর্ণের মিলনকে সন্ধি বলে। সন্ধিতে পূর্বপদের বর্ণের সঙ্গে পরপদের প্রথম বর্ণের মিলন ঘটে। যেমন: বিদ্যা + আলয় = বিদ্যালয়, শুভ + ইচ্ছা = শুভেচ্ছা।

সন্ধির সাহায্যে শব্দ গঠনে পদ্ধতি: সন্ধির কাজ হচ্ছে বর্ণের সঙ্গে বর্ণ মিলিয়ে নতুন শব্দ গঠন করা। যেমন: নরাধম। এখানে ‘নর’ এবং ‘অধম’—এ দুটি পদের মিলন হয়েছে। ‘নর’-এর অন্ত্যস্বর ‘অ’ আর ‘অধম’-এর আদ্যস্বর ‘অ’ উভয়ে মিলে আ-কার হয়েছে। আর এই ‘আ’-কার পূর্ব বর্ণে যুক্ত হওয়ার ফলে নতুন শব্দ ‘নরাধম’ সৃষ্টি হয়েছে। অনুরূপভাবে, অ বা আ-কারের পর ই-কার থাকলে ‘অ’ বা ‘আ’-এর স্থানে এ-কার হয়। এ-কার পূর্ব বর্ণে যুক্ত হয়। যেমন: শুভ + ইচ্ছা = শুভেচ্ছা। এমনিভাবে পরস্পর সন্নিহিত দুটি ধ্বনির মিলনে সন্ধি নতুন শব্দ গঠন করে।


一一一一一一
mozahid
00/7/2018,

বুধবার, ২০ জুন, ২০১৮

প্রত্যয় নির্ণয় কর


প্রত্যয় নির্ণয় কর

স্মরণ রাখতে হবে।
১. কৃৎ প্রত্যয়ের প্রদত্ত শব্দ দ্বারা কাজ বোঝাবে [কারণ কৃৎ প্রত্যয়ের শব্দটি গঠিত হয ধাতুর সঙ্গে প্রত্যয় যোগে , আর ধাতু হল ক্রিয়ার মূল। ক্রিয়া দ্বারা কোনো কাজ করাকে বোঝায় ]। যেমন: করা চলা দিয়ে কোনো কাজকে বোঝাচ্ছে ।এরুপ কাজ বোঝালে সহজেই প্রদত্ত শব্দটির মূলকে আমরা ক্রিয়া প্রকৃতি বা ধাতু হিসেবে চিহ্নিত করতে পারি , আর এর সঙ্গে যুক্ত বর্ণ বা বর্ণ সমষ্টিই শুধু কৃৎ প্রত্যয়।
২.কৃৎ প্রত্যয়ের শব্দটিকে যখন বিশ্লেষণ করা হয় তখন প্রকৃতিটি অবশ্যই ধাতু হবে এবং ধাতুর সঙ্গে ‘√’ চিহ্ন থাকবে।
৩.ধাতু অর্থযুক্ত হবে , বিন্তু ভাষায় এদের স্বাধীন ব্যবহার থাকবেনা যেমন: গম কৃ এদের অর্থ আছে কিন্তু ভাষায় এদের স্বাধীন ব্যবহার নেই। এভাবে আমরা সহজেই কৃৎ প্রত্যয়কি চিহ্নিত করতে পারি।


বিভিন্ন বোর্ডের ১৭ বছরের প্রশ্নের উত্তর প্রত্যয় নির্ণয়

প্রকৃতি ও প্রত্যয় শব্দ প্রত্যয়ের নাম
অন্ত+ইম= অন্তিম তদ্ধিত প্রত্যয়
অঙ্গ+ইক= আঙ্গিক তদ্ধিত প্রত্যয়
অগ্নি+ এয়= আগ্নেয় তদ্ধিত প্রত্যয়
অর্থ +ইক= আর্থিক তদ্ধিত প্রত্যয়
অনু+√রাগ্‌+ইন= অনুরাগী কৃৎ প্রত্যয়
আঁজল+আ= আঁজলা তদ্ধিত প্রত্যয়
আত্নজ+আ= আত্নজা তদ্ধিত প্রত্যয়
আধ+উলি= আধুলি>আধলি তদ্ধিত প্রত্যয়
আষাঢ়+ ইয়া = আষাঢ়িয়া>আষাঢ়ে তদ্ধিত প্রত্যয়
আদি+য= আদ্য তদ্ধিত প্রত্যয়
ইচ্ছা+উক= ইচ্ছুক তদ্ধিত প্রত্যয়
ইতর+আমি= ইতরামি তদ্ধিত প্রত্যয়
√উড়ু +উয়া>ও= উড়ো কৃৎ প্রত্যয়
√ উঠ+তি = উঠতি কৃৎ প্রত্যয়
উতর+আই= উতরাই তদ্ধিত প্রত্যয়
√উজা+আনো= উজানো>উজান কৃৎ প্রত্যয
√বচ্‌+ইত= উচিত কৃৎ প্রত্যয়
√বচ+ত= উক্ত কৃৎ প্রত্যয়
√ বচ+তি= উক্তি কৃৎ প্রত্যয়
√ বপ+ত = উপ্ত কৃৎ প্রত্যয়
ইতিহাস+ইক = ঐতিহাসিক তদ্ধিত প্রত্যয়
ইচ্ছা+ইক= ঐচ্ছিক তদ্ধিত প্রত্যয়
ইহ+ ইক= ঐহিক তদ্ধিত প্রত্যয়
ক,খ
কম+তি কমতি তদ্ধিত প্রত্যয়
√কর+আ করা কৃৎ প্রত্যয়
কলম+দানি কলমদানি তদ্ধিত প্রত্যয়
√ কাঁদ+না কাঁনা>কান্না কৃৎ প্রত্যয়
কাঁদন+ইয়া= কাঁদনিয়া>কাঁদুনে তদ্ধিত প্রত্যয়
কাঠ+উরিয়া= কাঠুরিয়া>কাঠুরে তদ্ধিত প্রত্যয়
কাণ্ডার+ই= কাণ্ডারি তদ্ধিত প্রত্যয
কবি+য়= কাব্য তদ্ধিত প্রত্যয়
কুশ+ইক/কুশিক+অ= কৌশিক তদ্ধিত প্রত্যয়
কুশল +অ= কৌশল তদ্ধিত প্রত্যয়
কুঠি+আল = কুঠিয়াল তদ্ধিত প্রত্যয়
√ কৃ+অক= কারক কৃৎ প্রত্যয়
√কৃ+য়= কার্য কৃৎ প্রত্যয়
√ কৃ+অনীয় = করণীয় কৃৎ প্রত্যয
√কৃ+তব্য = কর্তব্য কৃৎ প্রত্যয়
√কৃষ+অক কৃষক কৃৎ প্রত্যয়
√ কৃ+তৃ = কৃতৃ>কর্ত। কৃৎ প্রত্যয়
√ কৃত্‌+তি= কীর্তি কৃৎ প্রত্যয়
√ ক্রী+তৃ = ক্রেতা কৃৎ প্রত্যয়
√খা+আনো= খাওয়ানো কৃৎ প্রত্যয়
√ খা+উকা খাউকা>খেকো কৃৎ প্রত্যয়
খুকি্+ উ= খুকু তদ্ধিত প্রত্যয়
√খেল+অনা= খেলনা কৃৎ প্রত্যয়
খে+চর+অ= খেচর কৃৎ প্রত্যয়
√ খ্যা+তি = খ্যাতি কৃৎ প্রত্যয়
√ ক্ষুদ+আই= খোদাই কৃৎ প্রত্যয়
গ,ঘ
√ গম্‌+তব্য গন্তব্য কৃৎ প্রত্যয়
√ গণ্‌+অন্+আ= গণনা কৃৎ প্রত্যয়
√ গাহ্‌+ইয়ে= গাহিয়ে>গাইয়ে কৃৎ প্রত্যয়
গাঁ+উয়া= গাঁউয়া>গেঁয়ো তদ্ধিত প্রত্যয়
গাছ্‌+উয়া= গাছুয়া>গেছো তদ্ধিত প্রত্যয়
গাছ+টি= গাছটি তদ্ধিত প্রত্যয়
গাড়ি+ওয়ান= গাড়োয়ান তদ্ধিত প্রত্যয়
গুরু+অ= গৌরব তদ্ধিত প্রত্যয়
গোয়াল+আ= গোয়ালা তদ্ধিত প্রত্যয়
গ্রাম্য+তা= গ্রাম্যতা তদ্ধিত প্রত্যয়
ঘর+আমি= ঘরামি তদ্ধিত প্রত্যয়
√ ঘাট্‌+তি= ঘাটতি কৃৎ প্রত্যয়
√হন্‌+অক ঘাতক কৃৎ প্রত্যয
√মুড়্‌+ক (অক)= মোড়ক কৃৎ প্রত্যয়
ঘোর+আল= ঘোরাল তদ্ধিত প্রত্যয়
ঘোলা+টিয়া= ঘোলাটিয়া তদ্ধিত প্রত্যয়
চ,ছ,জ,ঝ
চতুর+আলি= চতুরালি তদ্ধিত প্রত্যয়
√ চল+অন্ত= চলন্ত কৃৎ প্রত্যয়
√চির্‌+অনি= চিরনি>চিরুনি কৃৎ প্রত্যয়
√ চিন্‌+আ = চেনা কৃৎ প্রত্যয়
ছাওয়াল+ইয়া= ছেলে তদ্ধিত প্রত্যয়
ছেলে+আমি= ছেলেমি তদ্ধিত প্রত্যয়
√ জন্‌+অক= জনক কৃৎ প্রত্যয়
√ ফল্‌+অন্ত= ফলন্ত কৃৎ প্রত্যয়
জবান+বন্দি= জবানবন্দি তদ্ধিত প্রত্যয়
জমা+আন= জমান তদ্ধিত প্রত্যয়
ক্লিক করুন

কবিতা


খতিয়ান

– রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ

হাত বাড়ালেই মুঠো ভরে যায় ঋণে
অথচ আমার শস্যের মাঠ ভরা।
রোদ্দুর খুঁজে পাই না কখনো দিনে,
আলোতে ভাসায় রাতের বসুন্ধরা।
টোকা দিলে ঝরে পচা আঙুলের ঘাম,
ধস্ত তখন মগজের মাস্তুল
নাবিকেরা ভোলে নিজেদের ডাক নাম
চোখ জুড়ে ফোটে রক্তজবার ফুল।
ডেকে ওঠো যদি স্মৃতিভেজা ম্লান স্বরে,
উড়াও নীরবে নিভৃত রুমালখানা
পাখিরা ফিরবে পথ চিনে চিনে ঘরে
আমারি কেবল থাকবে না পথ জানা–
টোকা দিলে ঝরে পড়বে পুরনো ধুলো
চোখের কোণায় জমা একফোঁটা জল।
কার্পাস ফেটে বাতাসে ভাসবে তুলো
থাকবে না শুধু নিবেদিত তরুতল
জাগবে না বনভূমির সিথানে চাঁদ
বালির শরীরে সফেদ ফেনার ছোঁয়া
পড়বে না মনে অমীমাংসিত ফাঁদ
অবিকল রবে রয়েছে যেমন শোয়া
হাত বাড়ালেই মুঠো ভরে যায় প্রেমে
অথচ আমার ব্যাপক বিরহভূমি
ছুটে যেতে চাই– পথ যায় পায়ে থেমে
ঢেকে দাও চোখ আঙুলের নখে তুমি


一一一一一一一
মহাপৃথিবী গ্রন্থ
mozahid
10/7/2018,thuesday