বৃহস্পতিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৮

বাংলা ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপ বা ফলা

ব্যঞ্জনবর্ণের সংক্ষিপ্ত রূপকে ফলা বলা হয়। বাংলায় ফলা চিহ্ন ৭ টি

য-ফলা (্য) : ব্যাঙ,খ্যাতি,সহ্য । ন-ফলা (ন /ন): বিভিন্ন, যত্ন, রত্ন
ব-ফলা (‍্ব) :পক্ব,বিশ্ব াশ্ব । ণ-ফলা (ণ):পুবাহ্ণ অপরাহ্ণ
ম-ফলা (ম): পদ্ম,সম্মান , স্মরণ ল-ফলা (ল) :ক্লান্ত, ম্লান , অম্ল
র -ফলা (্র):প্রমাণ,শ্রান্ত,ক্রয় -----
ফলাযোগে শব্দঃ আহ্বান,অব্বা,অম্মা,হাম্বা,মধ্যাহ্ণ,গোস্বা,গোব্বারা ,কম্বল,সম্বল,অম্বর,অশ্ব,আশ্বিন,ব্যাথা,জেব্রা,ব্রাশ,ট্রুথ ব্রাশ,ব্রেক,

সাধুও ও চলিত ভাষার পাঁচটি করে পার্থক্য লেখ ? :
১. সাধুভাষা লিখিতভাবে ভাব প্রকাশের সর্বজন স্বীকৃত সাধারণ রূপ। ১. সমাজের পারস্পরিক ভাব বিনিময় ও কথোপকথনের উপযুক্ত বাহন হলো চলিত ভাষা।
২. সাধু ভাষা ব্যাকরণের সুনির্দিষ্ট নিয়মের অনুসারী। ২. কিন্তু চলিত ভাষা ব্যাকরণের সকল নিয়ম মেনে চলে না।
৩. সাধুভাষায় তৎসম শব্দের প্রয়োগ বেশি। ৩.অন্যদিকে,চলিত ভাষায় তদ্ভব,অর্ধতদ্ভব ও বিদেশী শব্দের প্রয়োগ বেশি।
৪. সাধু ভাষায় অপিনিহিত ও অভিশ্রুতির ব্যবহার ৪.চলিত রীতিতে এদের প্রয়োগ করা হয়।
৫. সাধু ভাষা অপরিবর্তনীয়। ৫. চলিত ভাষা পরিবর্তনীয়।
৬. সাধু ভাষা বেশ প্রাচীন। ৬.চলিত ভাষা অপেক্ষাকৃত আধুনিক।
৭.সাধুভাষায় সর্বনাম পদ পূর্ণরূপে ব্যবহৃত হয়। ৭. চলিত রীতিতে সর্বনামগুলো সংকুচিত রূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন- এ, সে, এরা, তারা ইত্যাদি।
৮. সাধু ভাষা সাধারণ কথাবার্তা,বক্তৃতা ও নাটকের সংলাপের উপযোগী নয়। ৮.চলিত ভাষা সাধারণ কথাবার্তা,বক্তৃতা,নাটকের ও সংলাপের উপযোগী।
৯. সাধু ভাষা কোন অঞ্চল বিশেষের প্রভাবাধীন নয় ৯.কিন্তু চলিত ভাষা আঞ্চলিক প্রভাবাধীন।

সোমবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৮

দিনলিপি লিখন

Flowers in Chania দিনলিপি লিখন

(১)একজন শিক্ষার্থীর দিনলিপি

২৪.৪.২০১৮ ইং

প্রতিদিনের দিনলিপি লেখার শুরুতেই প্রথমেই আমার জীবন ভাবনা গুলো লিখে রাখি।আজ ২৪ এপ্রির রোজ মঙ্গল বার। সময় সকার ৯:০০টা। আমার জীবনের আরও একটি সম্ভাবনাময় দিনের সূত্রপাত হল প্রতিটি দিনই আমার কাছে নতুন সম্ভাবনাময় এবং জীবন গঠনের আর একটি নতুন আহ্বান।

ভোর ৫ টা সকাল ৭টা
আজ ঘুম থেকে উঠেছি খুব ভোরে। তারপর হাতমুখ ধুয়ে অজু করে নামাজ পড়ে বাইরে বেরুই। এক ঘন্টা হাটাহাটি করি ,একটু ব্যায়ামও করি। তার পর নাস্তা শেষ করে পড়তে বসি।

সকাল ৭টা হতে ৮টা
সকালে লেখাপড়ার খুব একটা সময় আমি পাই না ।তাই যে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ সেগুলিতে একটু চোখ বুলিয়ে নিই। বিাশেষভাবে বিজ্ঞানের বিষয়গুলো । ইংরেজী গ্রমারের কোন সুত্র ভুলে গেলে তা বার বার পড়ে মনে রাখার চেষ্টা করি। আর যে বিষয় গুলো বুঝতে পারিনা সেগুলো খাতায় টুকে রাখি তারপর কলেজে গিয়ে বন্ধুবান্ধবীদের নিকট হতে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করি। প্রয়োজনে স্যারের সাহায্য নেই।

সকাল ৮টা হতে ৯টা
এক ঘন্টার মধ্যে গোসল ,খাওয়া দাওয়া এবং কলেজের জন্য প্রস্তুত হওয়া বেশ কষ্টকর হয়ে যায়। বেশ তাড়াহুড়ো করতে হয়। অনেক সময় খাবার না খেয়েই কলেজে ছুটতে হয়। মাকে বলি পেটে খিদে নেই ,কলেজ থেকে ফিরে এসে খাব। মা বিষয়টি ঠিকই বুঝেন। একটি কেক বিস্কুট হাতে দিয়ে বলেন রিকসায় যেতে যেতে খেয়ে নিস। রিকসায় বসে খেতে আমার ভাল লাগেনা। মার দেয়া খাবার ব্যাগে পরে থাকতে খাকেতে নষ্ট হয়ে যাবে। তাই রাস্তায় পথ শিশুকে আমি দিয়ে দিই তারা পেয়ে খুবই খুশি হয়। তাদের আনন্দ দেখে মনে হয় আরও বেশি যদি আমি দিতে পারতাম।

সকান ৯টা হতে ২টা
এই সময়টা আমার কলেজে কাটে। কখনও তা তিনটে কিংবা চারটে গড়ায় ।তা অবশ্য নির্ভর করে কলেজ রুটিনের উপর ।বেশির ভাগ সময় কলেজ ২টার সময় ছুটি হয়ে যায়। আজ ছুটি হযেছে আরও এক ঘন্টা আগে। ২য় ঘন্টার পর ছুটির ঘোষনা হয়। কলেজ উন্নয়ন নিয়ে আজ স্যারদের বিষেশ মিটিং আছে।

২টা থেকে বিকেল ৪টা
এ সময় টা সাধারনত বাসায় কাটে। বাসায় এই সময়টা গল্পের বই অথবা টেলিভিশন দেখে কাটে। মাঝে মাঝে বন্ধুদের বাসায় যাই। অাজ বাসায় ফিরে মায়ের সাথে মার্কেটে যাই মা আমার জন্য সুন্দর একটা হাতঘড়ি কিনলেন।

বিকেল ৪টা হতে সন্ধ্যা ৬্টা
এ সময়টা হল আমার খেলার সময়। আজকাল যদিও খেলার মাঠ বলতে কিছু নেই। খেলা বলতে এখন যা বুঝায় তা হল যন্ত্রনিয়ে খেলা মোবাইল ফোনে কথা বলা আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা অথবা কম্পিউটার নিয়ে বসা।

সন্ধ্যা ৬টা হতে ১১টা
একটানা দু ঘন্ট পড়া শেষে হয় খবর দেখি না হয় টেলিভিশনে কোন অনুষ্ঠান , বিশেষত নাটক দেখি।সে সঙ্গে খাওয়া দাওয়ার কাজটা শেষ করি । ঘুমুতে যাওয়ার আগে দিনলিপি লিখি । পরবর্তী দিনের কার্যক্রম ঠিক করে ঘুমুতে যাই।
২৪.৪.২০১৮ইং রাত ১১টা ১০মি:



সমোচ্চারিত শব্দ

দুটি শব্দের প্রায় একই রকম উচ্চারণ তাদের কে বলা হয় সমোচ্চারিত শব্দ । বাংলা ভাষায় এমন কতগুলো শব্দ আছে যাদের উচ্চারণ একই রকম হলেও অর্থের দিক থেকে পার্থক্য বিদ্যমান। এ সব শব্দকে প্রায় সমোচ্চারিত শব্দ বলে। সমোচ্চারিত শব্দের বানান এবং  এর অর্থ জানা না থাকলে বাক্যের অর্থের পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।এজন্য শব্দগুলোর উচ্চরণ বানান সঠিক কোনটি হবে তা  শেখা প্রয়োজন।
কতগুলো প্রায় সমোচ্চারিত ভিন্নার্থক শব্দ অর্থ বাক্যেপ্রয়োগ দেওয়া হল।

অন্ন (ভাত)     --দ্রব্যমুল্যের উর্ধ্ব দতিতে মানুষের মুখে অন্ন   ওঠা দায়
অন্য (অপর)  --সংস্কার , সংস্কার বাদ দিয়ে দুটো অন্য কথা বল ।

অনু (পশ্চাৎ)      --এই দেশে এক সময় স্ত্রীলোকদের  মৃত স্বামীর চিতায় অনুগমন করতে হতো ।
অণু (ক্ষুদ্রতম অংশ)  --এটুকু ভাতে আমার  পেটের অণুটুকুও ভরবে না।

অনুপ(উপমাহীন)
অনূপ(জলা ,বিল )

অনিষ্ট (ক্ষতি)
অনিষ্ঠ (নিষ্ঠাহীন)

অংশ (ভাগ)
অংস (কাঁধ)

অলিক (কপাল )
অলীক (অবাস্তব)

অর্ঘ (মুল্য)
অর্ঘ্য (পূজার উপকরণ)

অশ্ম (প্রস্তর )
অশ্ব (ঘোড়া)

অবদান (মহৎ কর্ম )
অবধান (মনোযোগ)

অনুদিত (যা উদিত হয় নি)
অনূদিত (ভাষান্তরিত)

অভি (সম্মুখে)
অভী (ভয়হীন)

অশন (আহার)
অসন (ক্ষেপণ)

অসুর (দৈত্য)
অশূর (যে বীর নয় )

অন্ত  ( মৃত্যু )
অন্ত্য (শেষ )
অন্তঃ  ( মধ্যে )

অবিরাম (অনবরত)
অভিরাম (সুন্দর )

অনিল (বাতাস )
অনীল  (নীল নয় যা )

অভিভাষণ (বক্তৃতা)
অভিবাসন (দেশান্তরে বসতি)

অবতরণ (নিচে নামা)
অবতারণ (প্রসঙ্গ উহ্থাপন)

আদি (মূল )
আধি (মনঃকষ্ট )
আঁধি (প্রবল ঝড়)

অশা (ভরসা)
আসা (আগমন)

আপন (নিজ)
আপণ (দোকান)

আবাস (বাসস্থান)
আভাস (ইঙ্গিত)
আভাষ (আলাপ, ভুমিকা)

আষাঢ় (মাসের নাম)
আসার  (বষণ)

আশি (সংখ্যা)
আশী (সাপের দাঁত)
আসি (আগমন করি)

আবরণ (আচ্ছাদন)
আভরন (অলংকার )

আত্ন (স্বয়ং)
আত্ত (গৃহীত)

অদাড় (আস্তাকুঁড়)
আধার (পাত্র)
আঁধার (অন্ধকার )

আবৃত্তি (সরব পাঠ )
আবৃতি (আবরণ)

অাসক্তি (অনুরাগ)
আসত্তি  (নৈকট্য)

ইতি (শেষ)
ঈতি (কৃষিতে উপদ্রপ)

উপাদান (উপকরণ )
উপাধান (বালিশ)

উৎপত (পাখি)
উৎপথ (কুপথ)

উদ্দেশ (সন্ধান)
উদ্দেশ্য (লক্ষ্য )

একদা (এককালে )
একধা (এক প্রকারে )

একতা (ঐক্য )
এক তা (কাগজের এক পাতা )

এণ (কৃষ্ণসার মৃগ)
এন ( দোষ /পাপ )

ওষধি (একবার ফল দেয় যে গাছ)
ঔষধি (ঔষধের গাছ)
কৃত-যা করা হয়েছে ক্রীত-যা কেনা হয়েছে কমল-পদ্ম কোমল-নরম কোণ-দিক কোন-








প্রশ্ন: অর্থপার্থক্য দেখিয়ে বাক্য রচনা কর ?
শমন ,সমন; সাম,শ্যাম; সামি,স্বামী; সাক্ষর ,স্বাক্ষর ;বারি ,বাড়ি; শারি,শাড়ি; হার, হাড়; দার ,দাঁড়;



রবিবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৮

বাগধারা বা বাগবিধি

বাগধারা বা বাগবিধি

অ ,আ

অকাল কুষ্মান্ড (অকেজো)অকাল কুম্মান্ড লোকটা গতকালও কাজটা শেষ করতে পরেনি ।
অকালপক্ব(ইঁচড়ে পাকা)এমন অকালপক্ব ছেলেকে যে শিক্ষকরা প্রশ্রয় দেবে না তাতে সন্দেহ নেই।
অকূল পাথার (মহাবিপদ) ভালো কলেজে ভর্তি হতে না পেরে অনেক ছাত্র অকূল পাথারে পড়েছে।
অক্কা পাওয়া (মরে যাওয়া) যে কোন দিনই থুত্থুড়ে বুড়োটা অক্কা পেতে পারে।
অগাধ জলের মাছ (সুচতুর ব্যক্তি) মোড়ল সাহেব অগাধ জলের মাছ,তাঁকে বোঝা বড় কঠিন।
অগ্নিপরীক্ষা (কঠিন পরীক্ষা) ২০০৭ সালে বংলাদেশ ক্রিকেট দলের শ্রীলংকা সফর ছিল অগ্নিপরীক্ষা।
অগ্নিশর্মা (খুবই রাগান্বিত) লোকটাকে বেয়াববি দেখে বাবা রেগে অগ্নিশর্মা হলেন।
অদৃষ্টের পরিহাস (ভাগ্যবিড়ম্বনা) অদৃষ্টের পরিহাসে অনেক ধনকুবের পথের ফকির হয়ে গেল।
অনধিকার চর্চা(অজানা বিষয়ে হস্তক্ষেপ)আমি ব্যবসায়ী মানুষ,সাহিত্যের আলোচনা আমার জন্যে অনধিকার চর্চা।
অনুরোধে ঢেঁকি গেলা(অনুরোধে কষ্ট স্বীকার)অনুরোধে অনেক ঢেঁকি গিলেছি,এথন আর পারছি না।
অন্ধের যষ্টি/নড়ি(অক্ষম লোকের একমাত্র অবলম্বন)একমাত্র নাতিটি বুড়ির অন্ধের যষ্টি।
অন্ধকার দেখা (বিপদে সমাধানের উপায় না দেখা)বাবার অকাল-মৃত্যুতে মেয়েটা চোখে অন্ধকার দেথতে লাগল।
অন্ধকারে ঢিল ছোড়া(আন্দাজে কিছু করা) অন্ধকারে ঢিল না ছুড়ে আসল ঘটনাটা জেনে এসো।
অমবস্যার চাঁদ(দুর্লভ ব্যক্তি বা বস্তু) আপনি দেখেছি অমবস্যার চাঁদ হয়ে উঠেছেন।আপনার দেখাই মিলছে না।
অরণ্যে রোদন(নিষ্ফল অনুনয়) লোকটা হাড়কৃপণ,ওর কাছে কিছু চাওয়া আর অরণ্যে রোদন একই কথা।
অর্ধচন্দ্র (গলা ধাক্কা) দারোয়ান উটকো লোকটাকে অর্ধচন্দ্র দিয়ে বের করে দিলেন।
আকাশকুসুম(অবাস্তব ভাবনা) শহরের সেরা কলেজে ভর্তি হওয়া অনেকের জন্য এখন আকাশকুসুম ব্যাপার।
আকাশ থেকে পড়া(স্তম্বিত হওয়া) পাপিয়ার কথা শুনে তাসলিমা যেন আকাশ থেকে পড়ল।
আকাশ-পাতাল(সীমাহীন) শহর ও গ্রামের জীবনযাত্রায় এখনও আকাশ-পাতাল পার্থক্য রয়েছে।
আকাশ ভেঙে পড়া (মহাবিপদে পড়া) বন্যায় ঘরবাড়ি ভেসে যাওয়ায় অনেক পরিবারের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে।
আকাশে তোলা(অতিরিক্ত প্রশংসা করা) কেউ কেউ স্বার্থ হাসিলের জন্য কমকর্তাদের আকাশে তোলে।
আকাশের চাঁদ(দুর্লভ বস্তু) সেরা কলেজে ভর্তি হতে পেরে ভাইয়া যেন আকাশের চাঁদ হাতে পেলেন।
আক্কেল গুডুম(হতবুদ্ধি অবস্হা) ছেলেটার কথাবার্তা শুনে তো আমার আক্কেল গুডুম।
আক্কেল সেলামি(বোকামির দন্ড) ধাপ্পাবাজ লোকটার পাল্লায় পড়ে টাকাগুলো আক্কেল সেলামি দিতে হল।
আখের গোছানো(ভবিষ্যৎ গুছিয়ে নেওয়া) দুর্নীতিবাজরা আখের গুছিয়ে নিলেও পার পাচ্ছে না।
আঙুল ফুলে কলা গাছ(হঠাৎ বিত্তবান হওয়া) শেয়ারের ব্যবসায় কুদ্দুস সাহেব এখন আঙুল ফুলে কলা গাছ।
আট কপালে (হতভাগ্য) আট কপালে লোকের ক্ষেত্রে চাকরি জোটা মুশকিল।
আঠারো মাসে বছর(ঢিলেমি) আমার মতামা সব কাজে দেরি করেন।সবাই বলেন তার নাকি আঠার মাসে বছর।
আদাজল খেয়ে লাগা(উঠে পড়ে লাগা) পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়ার জন্য মাহমুদ আদাজল খেয়ে লেগেছে।
আদায় কাঁচকলায়(শত্রুভাবাপন্ন্) ওদের ভাইয়ে ভাইয়ে আদায় কাঁচকলায় সম্পক,কেউ কাউকে সাহায্য করে না।
আবোল–তাবোল(এলোমেলো কথা) আসল ঘটনাটা লুকুতে গিয়ে সে আবোল–তাবোল বকে চলছে।
আমড়া কাঠের ঢেঁকি (অকেজো লোক) ও একটা আমড়া কাঠের ঢেঁকি,ওকে দিয়ে কাজটা হবে না।
আমলে আনা(গুরুত্ব দেওয়া) পুলিশ দারোআনের কোন কথাই আমলে আনল না।
আলালের ঘরের দুলাল(বড় লোকের আদুরে ছেলে) এই আলালের ঘরের দুলালটিকাজ দেখলে ভয় পায়।
আষাঢ়ে গল্প (বানানো কথা) সময়মত কাজে আসোনি, তার জন্য আষাঢ়ে গল্প বলার দরকার কি?
আসমান-জমিন ফারাক (বিপুল ব্যবধান) ধনী ও গরিবের জীবনযাত্রায় আসমান –জমিন ফারাক।
আস্তানা গড়া(সাময়িকভাবে কোথাও থাকতে শুরু করা) বানভাসি লোকগুলো বাঁধের ওপর আস্তানা গেড়েছে।
আহলাদে আটখানা(আনন্দে আত্নহারা) মাধ্যমিক পরীক্ষায় এ প্লাস পেয়ে সে আহলাদে আটখানা।

ই,ঈ,উ, ঊ,এ

ইঁচড়ে পাকা (অল্প বয়সে পেকে গেছে এমন)ওই ইঁচড়ে পাকা ছেলেটাকে পাত্তা দিলেই ঘাড়েচেপে বসবে।
উভয় সংকট(দু দিকেই বিপদ) বিজ্ঞান না বাণিজ্য,কোনটা পড়ব এ নিয়ে উভয় সংকটে পড়েছি।
উলুবনে মুক্তো ছড়ানো(অপাত্রে মুল্যবান কিছু প্রদান) ওকে জ্ঞান দেওয়া আর উলোবনে মুক্তো ছড়ানো এখই কথা।
এঁটে উঠা(সমানে পাল্লা দিতে পারা) তোমার সঙ্গে এঁটে উঠা কঠিন।
এক কথার মানুষ(কথা রাথে এমন) আমাকে বিশ্বাস করতে পারেন,আমি এক জকথার মানুষ।
একচোখা(পক্ষপাতদুষ্ট) একচোখা লোকের কাছে কখনো সুবিচার আশা করা যায় না।
এলাহি কান্ড(বিরাট আয়োজন) সওদাগর সাহেবের মেয়ের বিয়ে,এলাহি কান্ড তো হবেই।
একাই একশ(যথেষ্ট সমথ) ঐ পুঁচকো ছোঁড়াকে মোকাবেলার জন্য আমি একাই এক শ।
এসপার ওসপার(যে–কোনভাবে মীমাংশা) ঝামেলাটা আর সহজ হয় না।এবার এসপার ওসপার করতেই হবে।
ওত পাতা(সুযোগের অপেক্ষা থাকা) বিড়ালটা মাছ চুরি করার জন্য ওত পেতে রয়েছে।

ক,খ,গ

কড়ায় গন্ডায় (সূক্ষ্ম হিসেব অনুযায়ী) ও তাঁর পাওনা কড়ায় গন্ডায় বুঝে নিতে এসেছিল।
কথার কথা(হালকা কথা) আমি কথার কথায় একটি মন্তব্য করেছি আর তাতেই রাজু ক্ষেপে গেল।
কপাল ফেরা (সৌভাগ্য লাভ) ছেলেটা হঠৎ বিদেশে চাকরি পাওয়ায় চাচা- চাচির কপাল ফিরেছে।
কলুর বলদ(অন্যের জন্য একটানা খাটুনি) সংসারের হাল ধরতে ছোট মামা কলুর বলদের মত ঘানি টানছেন।
কাঁচা পয়সা(অল্প আয়াসে নগদ উপার্জন) দুর্নীতি করে অনেকে কাঁচা পয়াসা কামাই করছে।
কাঁঠালের আমসত্ব(অসম্ভব বস্তু) বাংলায় ১০০-তে ১০০ নম্বর পাওয়া কাঁঠালের আমসত্বের মতো।
কাছাঢিলা(অগোছালো স্বভাবের) যেমন কাছাঢিলা লোক তুমি,ছাতা তুমি হারাবে না তো কে হারাবে।
কাঠখড় পোড়ানো(নানারকম চেষ্টা ও পরিশ্রম) কাজটা হাসিলের জন্য অনেক কাঠখড় পোড়াতে হল।
কাঠের পুতুল(নির্জীব, অসার লোক) কোন কোন মন্ত্রী হয়ে যান কাঠে পুতুল,সব কাজ চালান তাঁর সচিব।
কান খাড়া করা(মনোযোগী হওয়া) আদালতে কী রায় হয় তা শোনার জন্য আইনজীবিরা কান খাড়া করে রইল।
কান পাতলা(বিশ্বাসপ্রবণ) বড় সাহেব এমন কান পাতলা যে তার অধীন কাজ করাই মুশকিল।
কান ভারী করা(কারও বিরুদ্ধে অসন্তোষ সৃষ্টি) তুমি নাকি আমার বিরূদ্ধে বড়কর্তার কান ভারী করেছ?
কুল কাঠের আগুন(তীব্র মন:কষ্ট) লাঞ্ছনা অপমানে তার মনের মধ্যে কুল কাঠের আগুন জ্বলতে লাগল।
কূপমন্ডূক(সংকীর্ণমনা লোক) আমাদের সমাজে কূপমন্ডূক লোকের অভাব নেই।
কেউকেটা (নিন্দার্থে গণ্যমান্য লোক) আপনি যে এমন কেউকেটা যে আপনার কথা শুনতেই হবে!
কেঁচে গন্ডূষ করা(পুনরায় প্রথম থেকে শুরূ করা) পুরো হিসাবটাই ভুল হয়েছে।আবার কেঁচে গন্ডূষ করতে হবে।
কোমর বাঁধা(কাজে উঠে পড়ে লাগা) পরীক্ষায় ভালো ফলের জন্য তাহমিনা কোমর বেঁধে পড়াশুনায় লেগেছে।
খন্ড প্রলয়(তুমুল কান্ড) মোবাইল ফোন হারানোকে কেন্দ্র করে পাশের বাসায় একটি খন্ড প্রলয় ঘটে গেছে।
খয়ের খাঁ(খোশামোদকারী,চাটুকার) ক্ষমতাসীনদের চারপাশে খঁয়ের খাঁ লোকদের ভিড় জমে যায়।
খুঁটির জোর (পৃষ্ঠপোষকের সহায়তা) খুঁটির জোর আছে বলেই বারবার বদলি ঠেকায়।
গড্ডালিকা প্রবাহ(অন্ধের মতো অনুসরণ) বিত্তের মোহে সমাজের অনেক লোক গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেয়।
গন্ডারের চামড়া(অপমান বা তিরস্কার গায়ে লাগায় না এমন) ওর বোধ হয় গন্ডারের চামড়া,তাই শত অপমানেও কোনো ভাবান্তর নেই।
গদাই লশকারি চাল(ঢিলিমি) এমন গদাই লশকরি চালে চললে কাজটা এ মাসে ও শেষ হবে না।
গলগ্রহ(দায় বা বোঝা) অন্যের গলগ্রহ হয়ে বেঁচে না থেকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করা উচিত।
গাছে তুলে মই কাড়া(কাজে নামিয়ে সরে পড়া) তোমার ভরসায় এত বড় কাজে হাত দিয়েছি।এখন গাছে তুলে মই কেড়ে নিচ্ছ যে।
গায়ে পড়া(অযাচিত ঘনিষ্ঠতা) অমন গায়ে পড়া লোককে চেয়ারম্যান সাহেব পাত্তা দিবেন বলে মনে হয় না।
গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ানো(কোন দায়িত্ব গ্রহণ না করা) ও নেবে দায়িত্ব?গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ানোই যে ওর স্বভাব।
গোঁয়ার গোবিন্দ(নির্বোধ ও একগুঁযে লোক) কাজটা বুঝে শুনে করবে।গোঁয়ার গোবিন্দের মতো করলে চলবে না।
গোড়ায় গলদ (মূল কিংবা শুরুতে ভুল) বিয়ের আয়োজনে গোড়ায় গলদ ছিল বলে এত বিশৃঙ্থলা।
গোবর গণেশ (বোকা,অকর্ণন্য লোক) ছেলেটার না আছে বুদ্ধি, না পারে কোন কাজ ও একেবারে গোবর গণেশ।
গোল্লায় যাওয়া(উচ্ছন্নে যাওয়া) বাবামায়ের আদরের ঠেলায় ছেলেটা গোল্লায় গেছে।

ঘ,ঙ,চ,ছ,জ,ঝ,ঠ

ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়া(উদ্বেগ–উৎকন্ঠা খেকে স্বস্তি) ছেলেটা ঘরে ফিরে আসায় সবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল।
ঘাস কাটা(বাজে কাজে সময় নষ্ট করা) অণ্যেরা কাজ করবে আর তুমি বসে বসে ঘাস কাটবে ?তা হবে না।
ঘোড়া রোগ(উৎকট বাতিক) ভাত জোটে না,বড়লোকের মেয়ে বিয়ে করতে চায় গরিবের ঘোড়ারোগ আর কি!
ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া(ওপরওয়ালাকে এড়িয়ে কাজ হাসিল) সরকারি অফিসে ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়া কঠিন।
গোড়ার ডিম (অস্তিত্বহহীন বস্তু) ও তোকে বইটা দেবে?ঘোড়ার ডিম দেবে।
চাঁদের হাট(সুখের সংসার) অবসর জীবনে শরীফ সাহেব কৃতি সন্তানদের নিযে চাঁদের হাট বসিয়েছেন।
চোখে চোখে রাখা(সতর্ক নজরদারি) অজানা–অচেনা কেউ এলে তাকে চোখে চোখে রাখা দরকার।
চোখে ধুলো দেওয়া(ফাঁকি দেওয়া) পুলিশের চোথে ধুলো দিয়ে অপরাধী গা ঢাকা দিয়েছে।
চোখের বালি(চক্ষুশূল,ক্রোধ বা বিরক্তির কারণ) মা–মরা ছেলেটা কত শান্ত,তবু সে তার সৎ-মায়ের চোখের বালি।
ছিনিমিনি খেলা(বেহিসাবি খরচ) উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা নিয়ে অনেক ছিনিমিনি থেলা হয়েছে।
ছেঁকে ধরা (ঘিরে ধরা): বেতন বৃদ্ধির দাবিতে সবাই কারখানার মালিককে ছেঁকে ধরেছে।
ছেলের হাতের মোয়া (সহজপ্রাপ্য জিনিস): ভালো ফলাফল ছেলের হাতের মোয়া নয়,এর জন্য যথেষ্ট পড়াশুনা দরকার।
জগাখিছুড়ি(অবাঞ্ছিত জটিলতা) তোমার জগাখিছুড়ি কাজ দেখলে আমার মাথা গরম হয়ে উঠে।
জিলিপির প্যাঁচ (কুটিল বুদ্ধি):ওর মনে যে এত জিলিপির প্যাঁচ তা বুঝব কি করে।
ঝোপ বুঝে কোপ মারা(সুযোগ বুঝে কাজ করা):ঝোপ বুঝে কোপ মারতে না পারলে ব্যাবসায়ে টেকা মুশকিল।
টনক নড়া(চৈতন্য হওয়া)ব্যবসায় লাঠে উঠতেই তার টনক নড়ল ।
ঠাঁট বজায় রাথা(অভাব লুকানো)জমিদরি নেই,কিন্তু চৌধুরী বংশ এখন ও জমিদারি ঠাঁট বজায় আছে।
ঠোঁট কাটা(স্পষ্টবাদী) ঠোঁট কাটা লোক অনেকেরই অপছন্দ।

ড,ঢ,ন,প,ফ,ব

ডুমুরের ফুল(অদৃশ্য ব্যক্তি বা বস্তু) কী ব্যাপার ! তুমি হঠাৎ ডুমুরের ফুল হয়ে উঠলে যে?
ঢিমে তেতালা(খুবই মন্থর গতি) এমন ঢিমে তেতালাভাবে পড়াশুনা করলে সিলেবাস শেষ হবে না।
তালকানা (তালজ্ঞান বর্জিত) উনি তালকানা লোক।ওর কাছে পরিপাটি কাজ আশা করছ কেন?
থ বনে যাওয়া(বিস্ময়ে হতবাক হওয়া) লোকটার কান্ড দেখে সবাই থ বনে গেল।
তাসের ঘর (ভঙ্গুর ): ওদের বন্ধুত্ব তাসের ঘরের মত ভেঙে গেছে।
তামার বিষ (অর্থের কুপ্রভাব) তামার বিষে ওরা ধরাকে সরা জ্ঞান করছে।
দা–কুমড়ো (নিদারুণ শত্রুতা) ভাইয়ে ভাইয়ে এখন একেবারে দা-কুমড়ো সম্বন্ধ।
দুধের মাছি (সুসময়ের বন্ধু) ধনীর দুলাল ছেলেটাকে দুধের মাছিরা ঘিরে রেখেছে।
দুমুখো সাপ(দু রকম আচরণকারী,ক্ষতিকর লোক) লোকটা আস্ত দুমুখো সাপ,তোমাকে বলেছে একরকম আমাকে অন্যরকম।
ধরাকে সরা জ্ঞান করা(অতিরিক্ত দম্ভে কিছুই গ্রাহ্য না করা) পরীক্ষায় প্রথম হয়ে সে ধরাকে সরা জ্ঞান করল।
ননির পুতুল (অল্প শ্রমে কাতর) ফারিহা তো ননির পুতুল,এত পরিশ্রমের কাজ ওকে দিতে হবে না।
নাক গলানো(অনধিকার চর্চা) যে-কোন ব্যাপারে নাক গলানো কারো কারো স্বভাব।
নেই আাঁকড়া(নাছোড়বান্দা) কী যে নেই আাঁকড়া লোকের পাল্লায় পড়েছি!রেহাই মিলছে না।
পটল তোলা(মারা যাওয়া) চাঁদাবাজরা পটল তুলছে শুনে এলাকার লোকজন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল।
পথে বসা(সর্বস্বান্ত হওয়া) বন্যায় সব হারিয়ে অনেকে এবার পথে বসেছে।
পালের গোদা(দলের চাঁই,সর্দার) পুলিশ পালের গোঁদোকে কোর্টে চালান দিয়েছে।
পুকুর চুরি(বড় রকম চুরি):রাস্তা মেরামত না করেই ঠিকাদার ৫০ লাখ টাকা নিয়েছে, এ যে রীতিমতো পুকুর চুরি।
ফাঁক–ফোকর(দোষত্রুটি) আইনের ফাঁক-ফোকর গলে সন্ত্রাসীরা জামিনে খালাস পেয়ে যাচ্ছে।
ফেঁপে উঠা(হঠাৎ বিত্তবান হওয়া) চোরাচালানি করে কেউ কেউ রাতারাতি ফেঁপে উঠেছে।
ফোঁড়ন কাটা(টিপ্পনী কাটা)কথার মাঝখানে ফোঁড়ন কাটা ওর স্বভাব।
ফোপড়দালালি(নাক গলানো আচরণ) সব ব্যাপারে ওর ফোপড়দালালি করার অভ্যাস।
বকধার্মিক(ভন্ড) সমাজে বকধার্মিক লোকের অভাব নেই।
বর্ণচোরা আম(কপট লোক) লোকটা একটা বর্ণচোরা আম ।বাইরে থেকে ওকে বোঝা মুশকিল।
বাঁ হাতের ব্যাপার(ঘুষ দেওয়া-নেওয়া) এ অফিসে বাঁ হাতের ব্যাপার ছাড়া ফাইল নড়ে না।
বাজিয়ে দেখা(পরখ করা) সে ঘটনাটা জানে কিনা একটু বাজিয়ে দেখতে হবে।
বাপের বেটা(সাহসী)শাবাশ! বাপের বেটার মতই করছিস কাজটা।
বালির বাঁধ(ক্ষণস্হায়ী) বড়লোকের ছেলের সঙ্গে বন্ধুত্ব আর বালির বাঁধ একই কথা।
বিড়াল–তপস্বী(ভন্ড সাধু) সমাজে মাঝে মাঝে বিড়াল তপস্বীদের তৎপরতা বেড়ে যায়।
বিদ্যার জাহাজ(মূর্খ বা অশিক্ষিত লোক) যে নিজে বিদ্যার জাহাজ সে অন্যকে কী শেখাবে?
বুকের পাটা(সাহস) মাস্তানটার বিরুদ্ধে তুই অভিযোগ করছিস!তোর বুকের পাটা আছে বলতে হবে।
বুদ্ধির ঢ়েঁকি(নির্বোধ) এই কাজের জন্য চাই চালাক-চতুর লোক,বুদ্ধির ঢেঁকি দিয়ে একাজ হবে না।

ভ,

ভিজে বেড়াল(বাইরে নীরিহ ভেতরে ধূত) ভিজে বেড়ালদের অনেক সময় চেনা যায় না।
ভরাডুবি(সর্বনাশ): আদমজি পাটকল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পাটচাষিদের এবার ভরাডুবি হয়েছে।
ভূতের বেগার(অযথা শ্রম দান)সরাক্ষণ ভুতের বেগার খাটছি, লাভ কিছুই হবে না।
মামাবাড়ির আবদার(চাইলেই পাওয়া যায় এমন):গতকাল ১০০ টাকা নিলে।আজ আবার ২০০ টাকা চাইছ।একি মামাবাড়ির আবদার নাকি?
মিছরির ছুরি(আপাতত মধুর হলেও শেষ পর্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক) তোমার কথাগুলো ঠিক যেন মিছরির ছুরি।
যক্ষের ধন(কৃপণের কড়ি): পৈতৃক ভিটেটা সে যক্ষের ধনের মত আগলে রেখেছে।
রুই–কাতলা(প্রভাবশালী): সমাজের রুই–কাতলাদের দাপটে চুনোপুঁটিদের আবস্হা এখন কাহিল।
লেফাফা দুরস্ত(বাইরের ঠাঁট ষোল আনা): ঘরে যে এমন টানাটানি,তা ওর লেফাফা ভাব দেখে কে বুঝবে?
রাশভারি(গম্ভীর) আমাদের প্রধান শিক্ষক রাশভারি লোক।সবাই ওকে ভয় পায়।
শাপে বর(অনিষ্টে ইস্ট লাভ) আমার বড়মামা চাকরি না পেয়ে ব্যবসায়ে ঢুকেছেন । এতে তাঁর শাপে বর হয়েছে।
সেয়ানে সেয়ানে(দুই সমান প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে) দুজনের মধ্যে সেয়ানে সেয়ানে লড়াই চলছে অনেকদিন।
সোনায় সোহাগা(সার্থক মিল) পরীক্ষায় পাস করতে না–করতেই এমন ভালো চাকরি পাওয়া,এ যে সোনায সোহাগা!
হ-য-ব-র-ল(উল্টোপাল্টো) অনুষ্ঠানের হ-য-ব-র ল দেথে চলে এসেছি।
হাড়-হাভাতে(একেবারে নি:স্ব): হাড়-হাভাতে ছেলেটাযে কীভাবে এই সংসারে এসে জুটল বলতে পারবে না।
হাতটান(ছেটখাট চুরির অভ্যাস) ছেলেটা কাজে-কর্মে বেশ ওস্তাদ।তবে দোষের মধ্যে হাতটান আছে।
হাতের পাঁচ(শেষ সম্বল)হাতেরপাঁচ হিসাবে হাজারখানেক টাকা আছে।তোমাকে ধার দেব কেমন করে?
হালে পানি পাওয়া (কাজ হাসিলের উপায় না পাওয়া)