বুধবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৮

সমাার্থক শব্দ


Flowers in Chania

সমার্থক শব্দ । একার্থক শব্দ
প্রশ্ন: সমার্থক শব্দ কাকে বলে ?

যে সকল শব্দ একই অর্থ প্রকাশ করে তাকে সমার্থক শব্দ বা একার্থক শব্দ বলে।

প্রশ্ন: সমার্থক শব্দ কাকে বলে ? সমার্থক শব্দের প্রয়োজন কখন হয়।

যে সকল শব্দ একই অর্থপ্রকাশ করে বা একই অর্থে ব্যবহার করা যায় ,তাদের বলা হয় প্রতিশব্দ বা সমার্থক শব্দ বলে। সমার্থক শব্দ বাংলা ভাষার এ কটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশ, সৌন্দর্য রুপায়ণ,তথা ব্যাবহার মাধূর্য্যময় অবয়ব গঠনে প্রতিশব্দ গুরুত্ব পূর্ণ ভুমিকা পালন করে। প্রতিশব্দের ব্যবহারের কয়েকটি দিক উল্লেখ করা হল।

১.সমার্থক শব্দের মাধ্যমে শব্দ ভান্ডার বৃদ্ধি হয়
২.সমার্থক শব্দের মাধ্যমে শব্দের বার বার প্রয়োগজনিত সমস্যার সমাধার করা যায়।
৩.এর ব্যবহারে প্রকাশশৈলীতে অভিনবত্ব আসে।
৪.বাক্যের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।
৫.এর মাধ্যামে পাঠক নাানা ধরনের নতুন নতুন শব্দের সাথে পরিচয় হয়।
৭.নানা ধরনের সাহিত্য রচনায় ,কবিতায় মিল দেওয়ায, বক্তৃতা আকর্ষণীয় করার জন্য সাহিত্যের ভাবকে পাঠকের মনের গভীরে নিয়ে যাওয়ার জন্য নতুন নতুন সমার্থক শব্দের প্রয়োজন পরে।

সমার্থক বা প্রতিশব্দের নমুনা :-

অক্ষম= ক্ষমতাহীন, অসমর্থ,হতবল,বলহীন,হীনবল ,অপারগ,সামর্থ্যহীন,অসহায়,অযোগ্য

অক্ষয়= চিরন্তন,ক্ষয়হীন,নাশহীন,অব্যয়,অলয় অনশ্বর ,স্থায়ী,অমর,

অঙ্গ= দেহ, শরীর ,অবয়ব,গা,গতর,দেহাংশ,আকৃতি,গাত্র

অঙ্গীকার= প্রতিজ্ঞা,সংকল্প,পণ ,শপথ,প্রতিশ্রুতি,জবান,হলফ,বাগদান।

অচেতন= অসাড়,নিশ্চেতন,সংজ্ঞাহীন, বেহুঁস,

অজ্ঞ= মূর্খ, নির্বো্ধ, অশিক্ষিত,জ্ঞানহীন,বেকুব,অজ্ঞানী

অতিরিক্ত= অত্যধিক,বেশি,মেলা,অনেক,প্রতুল,ভূরি

অতীত= গতদিন, তৎকাল ,পূর্ব,সেকাল,আগের

অত্যাচর= পীড়ন ,উৎপীড়ন,নিপীড়ন ,নির্যাতন,জুলুম

অদুশ্য= অলক্ষিত,অদৃষ্ট,অগোচর,অদেখা,নাদেখা

অধ্যয়ন= শিক্ষণ,লেখাপড়া, শিক্ষাগ্রহন,পঠন, পাঠ,জ্ঞানার্জন,বিদ্যাভ্যাস

অনন্ত= সীমাহীন,অন্তহীন,শাশত্ব,অশেষ,চিরস্থায়ী,চিরায়ত,অপার,চিরন্তন,চির,অসীম,নিরবধি,অবিনাশী

অনিবার্য= অবধারিত,অব্যর্থ,অমোঘ,দুর্নিবার,অলঙ্গনীয়,অসংবরণীয়

অনুকরণ= অনুসরণ , নকল , প্রতিরুপীকরণ,সাদৃশ্যকরণ,

অনেক= বেশি, নানা একাধিক,বহু,অঢেল,যথেষ্ট,অজস্র,

অভাব= অনটন,দারিদ্র,দৈন্য, দীনতা.দুরবস্থা,দুস্থিতি,ঘাটতি,

অগ্নি = অনল, পাবক, আগুন, দহন,সর্বভূক, শিখা, হুতাশন, বহ্নি, কৃশানু, বিভাবসু, সর্বশুচি

অন্ধকার = আঁধার, তমঃ, তমিস্রা,তিমির, আন্ধার, তমস্র, তম

অখন্ড = সম্পূর্ণ, আস্ত, গোটা, অক্ষত,পূর্ণ, সমগ্র, সমাগ্রিক।

অবকাশ = সময়, ফূসরত, অবসর, ছুটি, সুযোগ, বিরাম।

অক্লান্ত = ক্লান্তিহীন, শ্রান্তিহীন, অনলস, নিরলস, অদম্য, উদ্যমী, পরিশ্রমী, অশ্রান্ত।

অপূর্ব= অদ্ভুত, আশ্চর্য, অলৌকিক,অপরূপ, অভিনব, বিস্ময়কর, আজব, তাজ্জব,চমকপ্রদ, অবাক করা, মনোরম, সুন্দর।

অক্ষয় = চিরন্তন, ক্ষয়হীন, নাশহীন,অশেষ, অনন্ত, অব্যয়, অবিনাশী, অলয়,অনশ্বর, লয়হীন, অমর, স্থায়ী।

অঙ্গ = দেহ,শরীর, অবয়ব, গা, গাত্র,বপু, তনু, গতর, কাঠামো, আকৃতি,দেহাংশ

অবস্থা= দশা, রকম, প্রকার,গতিক,হাল,স্তিতি, অবস্থান, পরিবেশ, ঘটনা,ব্যাপার, প্রসঙ্গ, হালচাল, স্টাটাস।

আইন = বিধান, কানুন, বিহিতক,অধিনিয়ম, বিধি, অনুবিধি, উপবিধি,ধারা, বিল, নিয়ম, নিয়মাবলি, বিধিব্যবস্থা।

আসল= খাঁটি, মূলধন, মৌলিক, মূল, প্রকৃত, যথার্থ।

আনন্দ= হর্ষ, হরষ, পুলক, সুখ, স্ফূতর্ত,সন্তোষ, পরিতোষ, প্রসন্নতা, আমোদ, প্রমোদ, হাসি, উল্লাস, মজা, তুষ্টি, খুশি, হাসিখুশি।

আদি= প্রথম, আরম্ভ, অগ্র, পূর্ব,প্রাচীন, মূল।

অতনু= মদন, অনঙ্গ, কাম, কন্দর্প

আকাশ = আসমান, অম্বর, গগন,নভোঃ, নভোমণ্ডল, খগ, ব্যোম, অন্তরীক্ষ

আলোক = আলো, জ্যোতি, কিরণ,দীপ্তি, প্রভা

ইচ্ছা = আকাঙ্ক্ষা, অভিলাষ, অভিরুচি, অভিপ্রায়, আগ্রহ, স্পৃহা, কামনা, বাসনা, বাঞ্চা, ঈপ্সা, ঈহা

ঈশ্বর = আল্লাহ্ , খোদা, ঈশ, ইলাহি, সৃষ্টিকর্তা, বিশ্বপতি, পরমাত্মা, জগদীশ্বর, জগদীশ, জগন্নাথ, আদিনাথ,
অমরেশ, পরেশ, লোকনাথ, পরমপুরুষ, পরমপিতা, করুণাময়, দয়াময়, বিধি, পরমেশ, জীবিতেশ, মালিক, ভগবান, ধাতা।

উঁচু = উচ্চ, তুঙ্গ, সমুন্নত, আকাশ-ছোঁয়া, গগনচূম্বী, অভ্রভেদী, অত্যুচ্চ, সুউচ্চ।

উদাহরণ = দৃষ্টান্ত, নিদর্শন, নজির,নমুনা, উল্লেখ, অতিষ্ঠা।

উত্তম = প্রকৃষ্ট, শ্রেষ্ঠ, সেরা, ভালো, অগ্রণী, অতুল।

উত্তর = জবাব, প্রতিবাক্য, মীমাংশা, সাড়া, সিদ্ধান্ত।

একতা= ঐক্য, মিলন, একত্ব, অভেদ,সংহতি, ঐক্যবদ্ধ, একাত্মতা, একীভাব।

কপাল= ললাট, ভাল, ভাগ্য, অদৃষ্ট,নিয়তি, অলিক

কোকিল= পরভৃত, পিক, বসন্তদূত

কষ্ট = মেহনত, যন্ত্রনা, ক্লেশ, আয়াস, পরিশ্রম, দু:খ।

কুল = বংশ, গোত্র, জাতি, বর্ণ, গণ,সমূহ, অনেক, যূথ, জাত, শ্রেণী, ইত্যাদি।

খ্যাতি = যশ,প্রসিদ্ধি,সুখ্যাতি,সুনাম,নাম, সুবাদ, প্রখ্যাতি, সুযশ, বিখ্যাতি, নামযশ, নামডাক, প্রখ্যা, প্রচার, হাতযশ, প্রতিপত্তি।

কন্যা= মেয়ে, দুহিতা, দুলালী,আত্মজা, নন্দিনী, পুত্রী, সূতা, তনয়া

ঘোড়া= অশ্ব, ঘোটক, তুরগ, বাজি, তুরঙ্গ, তুরঙ্গম

মেঘ= ঘন, অভ্র, নিবিড়, জলধর, গাঢ়, জমাট, গভীর।

সূর্য = দিবাকর, প্রভাকর, ভাস্কর, রবি, তপন, দিনেশ, ভানু, রোদ, সবিতা, আদিত্য, মার্তন্ড, দিনমনি, দিননাথ, দিবাবসু, অর্ক, অংশু, কিরণমালী, অরুণ, মিহির, পুষা, সূর, মিত্র, দিনপতি, বালকি, অর্ষমা

পৃথিবী = ধরা, ধরাধাম, ধরণী, ধরিত্রী, ভুবন, ভূ, বসুধা, বসুন্ধরা, বিশ্ব, পৃথিবী, দুনিয়া, জগত, সংসার, সৃষ্টি, মর্ত, মর্তধাম, মহী, মেদিনী, অবনী, স্থলভাগ, ভূ-মণ্ডল, ইহলোক

আলো = বাতি, প্রদীপ, জ্যোতি, কিরণ, দীপ্তি, প্রভা,

সাগর = সমুদ্র, বারিধি, পারাবার, পাথার, বারীন্দ্র, অর্ণব, সিন্ধু, জলনিধি, জলধি, জলধর, সায়র, জলাধিপতি, রত্নাকর, বরুণ, দরিয়া, বারীন্দ্র, বারীশ, পয়োনিধি, তোয়ধি, বারিনিধি, অম্বুধি

অগ্নি = আগুন, জ্বালানি, তেজ, শিখা, অনল, বহ্নি, হুতাশন, পাবক, দহন, সর্বভূক, বৈশ্বানর, কৃশানু, বিভাবসু, সর্বশুচি

পর্বত =পাহাড়, অচল, অদ্রি, গিরি, ভূধর, শৈল, অটল, চূড়া, নগ, শৃঙ্গী, শৃঙ্গধর, মহীধর, মহীন্দ্র

সোনা= স্বর্ণ, কনক, কাঞ্চন, সুবর্ণ, হেম, হিরণ্য, হিরণ

বন = কানন অরণ্য, জঙ্গল, বিপিণ, কুঞ্জ, কান্তার, অটবি, বনানী, গহ

পাখি = পক্ষী, খেচর, বিহগ, বিহঙ্গ, বিহঙ্গম, পতত্রী, খগ, অণ্ডজ, শকুন্ত, দ্বিজ

আকাশ = গগন, অম্বর, নভঃ, ব্যোম, ঊর্ধ্বলোক, মেঘমণ্ডল, আসমান, নভোমণ্ডল, খগ, অন্তরীক্ষ

অন্ধকার = আঁধার, তমসা, তিমির, তমঃ, তমিস্রা, আন্ধার,

তমস্র ঈশ্বর = সৃষ্টিকর্তা, ভগবান, বিধাতা, বিষ্ণু, আল্লাহ, খোদা, বিশ্বপতি, পরমাত্মা, জগদীশ্বর, আদিনাথ

দেবতা = অমর, দেব, সুর, ত্রিদশ, অজর, ঠাকুর

জল = পানি, অম্বু, জীবন, নীর সলিল, বারি, উদক, পয়ঃ, তোয়, অপ, জীবন, পানীয়

বৃক্ষ = গাছ, শাখী, বিটপী, অটবি, দ্রুম, মহীরূহ, তরু, পাদপ

বায়ু = বাতাস, অনিল, পবন, হাওয়া, সমীর, সমীরণ, মারুত, গন্ধবহ

চাঁদ = চন্দ্র, নিশাকর, বিধু, শশধর, শশাঙ্ক, সুধাংশু, হিমাংশু, চন্দ্রমা, শশী, সুধাকর, সোম, ইন্দু, নিশাকান্ত, মৃগাঙ্ক, রজনীকান্ত

মানুষ = লোক,মানব, মনুষ্য, , জন, নৃ, নর

মৃত্যু = ইন্তেকাল, ইহলীলা-সংবরণ, ইহলোক ত্যাগ, চিরবিদায়, জান্নাতবাসী হওয়া, দেহত্যাগ, পঞ্চত্বপ্রাপ্তি, পরলোকগমন, লোকান্তরগমন,

শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ, স্বর্গলাভ

মহৎ = উন্নত, উদার, মহান, বড়, বিশিষ্ট, বিশাল, বৃহৎ, মস্ত, মহানুভব, বদান্য, মহীয়ান

পণ্ডিত = বিদ্বান, জ্ঞানী, বিজ্ঞ, অভিজ্ঞ

চালাক = চতুর, বুদ্ধিমান, নিপুণ, কুশল, ধূর্ত, ঠগ, সপ্রতিভ

সাহসী = অভীক, নির্ভীক

অপূর্ব =আশ্চর্য, অলৌকিক, অপরূপ, অভিনব, বিস্ময়কর, আজব, তাজ্জব, চমকপ্রদ, অবাক করা, মনোরম, অদ্ভুত, সুন্দর

উত্তর = জবাব, প্রতিবাক্য, মীমাংশা, সাড়া, সিদ্ধান্ত

খেচর=পাখি, পক্ষ ি, বিহগ, বিহঙ্গ, দ্বিজ, খগ, বিহঙ্গম , কচর, চিরিয়া

গভীর =অগাধ, প্রগাঢ়, নিবিড়, অতল , গহন, গম্ভীর ,অতলস্পর্শী, অথই

গঙ্গা=ভাগীরথী,শিবপত্নী, গোমতী , কৃষ্ণবেণী, পিনাকিনী,কাবেরী

গরু=ধেনু, গো, গাভি , পয়স্বিনী,গোরু মূর্খ

কপাল = ললাট, ভাল, ভাগ্য, অদৃষ্ট, নিয়তি, অলিক

ইচ্ছা = আকাঙ্ক্ষা, অভিলাষ, অভিরুচি, অভিপ্রায়, আগ্রহ, স্পৃহা, কামনা, বাসনা, বাঞ্চা, ঈপ্সা, ঈহা

পর্দা = আড়াল, পরদা, পর্দা, যবনিকা, মশারি, অভিনয়শেষ, অবগুণ্ঠন, আবরণ, ছদ্মবেশ, ত্তড়, আচ্ছাদন, প্রাবরণ, মুড়ি, বিছানার চাদর, ঝিল্লী, জীবদেহের ঝিল্লি, উদ্ভিদ্দেহের ঝিল্লি

মাটি = ক্ষিতি, মৃত্তিকা উত্তম = সেরা, শ্রেষ্ঠ, প্রকৃষ্ট, ভালো, অগ্রণী, অতুল

দৃষ্টান্ত = উদাহরণ, নিদর্শন, নজির, নমুনা, উল্লেখ, অতিষ্ঠা

একতা = ঐক্য, ঐক্যবদ্ধ, মিলন, একত্ব, অভেদ, সংহতি, একাত্মতা, একীভাব

পূর্ণ = সম্পূর্ণ, আস্ত, গোটা, অক্ষত, অখন্ড, সমগ্র, সমাগ্রিক

আদি = প্রথম, প্রাচীন, মূল, আরম্ভ, অগ্র, পূর্ব,

আইন = নিয়ম, কানুন, বিধি, বিধান, ধারা, অনুবিধি। বিহিতক, অধিনিয়ম, উপবিধি, বিল, নিয়মাবলি, বিধিব্যবস্থা আসল = প্রকৃত, খাঁটি, মূলধন, মৌলিক, মূল, যথার্থ

আনন্দ = সুখ, হাসি, খুশি, হাসিখুশি, মজা, হর্ষ, হরষ, পুলক,স্ফূতর্ত, সন্তোষ, পরিতোষ, প্রসন্নতা, আমোদ,প্রমোদ,উল্লাস, তুষ্টি

দু:খ = কষ্ট, মেহনত, যন্ত্রনা, ক্লেশ, আয়াস

অবস্থা = দশা, রকম, প্রকার, গতিক, হাল, স্তিতি, অবস্থান, পরিবেশ, ঘটনা, ব্যাপার, প্রসঙ্গ, হালচাল

অক্ষয় = ক্ষয়হীন, চিরন্তন, নাশহীন, অশেষ, অনন্ত, অব্যয়, অবিনাশী, অলয়, অনশ্বর, লয়হীন, অমর, স্থায়ী

খ্যাতি = যশ, প্রসিদ্ধি, সুখ্যাতি, সুনাম, নাম, সুবাদ, প্রখ্যাতি, সুযশ, বিখ্যাতি, নামযশ, নামডাক, প্রখ্যা, প্রচার, হাতযশ, প্রতিপত্তি, প্রতিষ্ঠা।

কুল = বংশ, গোত্র, জাতি, বর্ণ, গণ, সমূহ, অনেক, যূথ, জাত, শ্রেণী,

ফুল = পুষ্প, কুসুম, প্রসূন, রঙ্গন

পদ্ম = কমল, উৎপল, সরোজ, পঙ্কজ, নলিন, শতদল, রাজীব, কোকনদ, কুবলয়, পুণ্ডরীক, অরবিন্দ, ইন্দীবর, পুষ্কর, তামরস, মৃণাল, সরসিজ, কুমুদ

মেঘ = জলধর, জীমৃত, বারিদ, নীরদ, পয়োদ, ঘন, অম্বুদ, তায়দ, পয়োধর, বলাহক, তোয়ধর

বিদ্যুত = বিজলী, ত্বড়িৎ, ক্ষণপ্রভা, সৌদামিনী, চপলা, চঞ্চলা, দামিনী, অচিরপ্রভা, শম্পা

নদী = তটিনী, স্রোতস্বিনী, স্রোতস্বতী, তরঙ্গিনী, প্রবাহিনী, শৈবালিনী, গাঙ, স্বরিৎ, নির্ঝরিনী, কল্লোলিনী

নৌকা = নাও, তরণী, জলযান, তরী

তীর = কূট, তট, সৈকত, কূল, পাড়, পুলিন, ধার, কিনারা

ঢেউ= তরঙ্গ, ঊর্মি, লহরী, বীচি, মওজ

রাত = রাত্রি, রজনী, নিশি, যামিনী, শর্বরী, বিভাবরী, নিশা, নিশিথিনী, ক্ষণদা, ত্রিযামা

দিন = দিবস, দিবা, দিনমান

দেহ = গা, গতর, গাত্র, তনু, শরীর, বিগ্রহ, কায়, কলেবর, অঙ্গ, অবয়ব, , কাঠামো, আকৃতি

ঘর = গৃহ, আলয়, নিবাস, আবাস, আশ্রয়, নিলয়, নিকেতন, ভবন, সদন, বাড়ি, বাটী, বাসস্থান

ধন = অর্থ, বিত্ত, বিভব, সম্পদদেহ,

দ্বন্দ্ব = বিরোধ, ঝগড়া, কলহ, বিবাদ, যুদ্ধ

নারী = অবলা, কামিনী, মহিলা, স্ত্রীলোক, রমণী, ললনা, অঙ্গনা, ভাসিনী, কান্তা, সীমন্তনী

স্ত্রী = পত্নী, জায়া, সহধর্মিণী, ভার্যা, বেগম, বিবি, বধূ, অর্ধাঙ্গী, জীবন সাথী, বউ, গৃহিণী, গিন্নী

পিতা = বাবা, আব্বা, জনক,

মাতা = মা, গর্ভধারিণী, প্রসূতি, জননী, জন্মদাত্রী

পুত্র = ছেলে, তনয়, নন্দন, সুত, আত্মজ

কন্যা = মেয়ে, দুহিতা, দুলালী, আত্মজা, নন্দিনী, পুত্রী, সূতা, তনয়া

কোকিল = পরভৃত, পিক, বসন্তদূত

গরু = গো, গাভী, ধেনু

রাজা = নৃপতি, নরপতি, ভূপতি, বাদশাহ

স্বর্গ = দেবলোক, দ্যুলোক, বেহেশত, সুরলোক, দ্যু, ত্রিদশালয়, ইন্দ্রালয়, দিব্যলোক, জান্নাত

বিলাস = আরাম, শৌখিনতা

উঁচু = লম্বা, দীর্ঘ, মহৎ, বড় বড়, উঁচা, উচ্চ, তুঙ্গ, সমুন্নত, আকাশ-ছোঁয়া, গগনচূম্বী, অভ্রভেদী, অত্যুচ্চ, সুউচ্চ

অক্লান্ত = ক্লান্তিহীন, শ্রান্তিহীন, নিরলস, অনলস, পরিশ্রমী, অদম্য, উদ্যমী, অশ্রান্ত

অবকাশ = সময়, ফূসরত, অবসর, ছুটি, সুযোগ, বিরাম

সাপ = অহি, আশীবিষ, নাগ, ফণী, ভুজঙ্গ, সর্প, উরহ,নাগিনী, ভুজগ, ভুজঙ্গম,সরীসৃপ, ফণাধর, বিষধর,বায়ুভুক

হাতি = হস্তী, করী, দন্তী, মাতঙ্গ, গজ, ঐরাবত, দ্বিপ, দ্বিরদ, বারণ, কুঞ্জর

ঘোড়া = অশ্ব, ঘোটক, তুরগ, বাজি, হয়, তুরঙ্গ, তুরঙ্গম

হাত = কর, বাহু, ভুজ, হস্ত, পাণি

চুল = অলক, কুন্তল, কেশ, চিকুর

চোখ = অক্ষি, চক্ষু, নয়ন, নেত্র, লোচন, আঁখি, দর্শনেন্দ্রিয়

কান = কর্ণ, শ্রবণ লাল = লোহিত, রক্তবর্ণ

স্ত্রী=ভার্যা, পত্নী,সহধর্মিণী দার ,জায়া,বনিতা,ধর্মপত্নী

সমূহ=সকল ,বৃন্দ,নিচয়,সমুদয়,মালা, রাজি

সিংহ=পশুরাজ,কেশরী,মৃগরাজ,মৃগেন্দ্র

সাদা=শ্বেত শুভ্র,ধবল ,সফেদ,নির্মল,সহজ

সৎ=সত্য,নিত্য,সাধু,শুভ,

সম্মেলন=সভা, জমায়েত,মিটিং,বৈঠক,অধিবেশন,সমাবেশ

স্বত্ব=স্বামিত্ব,মালিকানা,অধিকার ,অংশিত্ব,প্রভুত্ব

সদস্য=সভ্য, পারিষদ,পার্ষদ,মেম্বার

সুন্দরী=রুপবতী , রুপসী,সূরুপা,

স্বভাব=নিজভাব ,চরিত্র,আচরণ ,প্রকৃতি

সাধন=সম্পাদন, উপায় , সাধনা, আরাধনা,সহায় ,সাফল্য

হাতি=গজ,হস্তী , করী , দ্বিপ, বারণ,দম্ভী,নাগ,রদী ,ঐরাবত,

হওয়া =ঘটা,জন্মানো,উৎপন্ন,বৃদ্ধি,মেলা, জোটা, বাড়া,

হীন=নীচ,অধম ,নিন্দনীয়, অবনত, গরিব, অক্ষম

হরিণ=মৃগ,কুরঙ্গ,সারঙ্গ সুনয়ন,

সোমবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৮

কবিতা


কে

– ঈশ্বর চন্দ্র গুপ্ত

বল দেখি এ জগতে ধার্মিক কে হয়,
সর্ব জীবে দয়া যার, ধার্মিক সে হয়।
বল দেখি এ জগতে সুখী বলি কারে,
সতত আরোগী যেই, সুখী বলি তারে।
বল দেখি এ জগতে বিজ্ঞ বলি কারে,
হিতাহিত বোধ যার, বিজ্ঞ বলি তারে।
বল দেখি এ জগতে ধীর বলি কারে,
বিপদে যে স্থির থাকে, ধীর বলি তারে।
বল দেখি এ জগতে মূর্খ বলি কারে,
নিজ কার্য নষ্ট করে, মূর্খ বলি তারে।
বল দেখি এ জগতে সাধু বলি কারে,
পরের যে ভাল করে, সাধু বলি তারে।
বল দেখি এ জগতে জ্ঞানী বলি কারে,
নিজ বোধ আছে যার জ্ঞানী বলি তারে।
ঢেকে দাও চোখ আঙুলের নখে তুমি

শুক্রবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১৮

শুভেচ্ছা বার্তা

সকল বাঙ্গালীর হৃদয়
র্স্পশ করা পহেলা বৈশাখের  এই দিনটিতে 
সবাইকে শুভেচ্ছা
”শুভ নবর্বষ ১৪২৫ বঙ্গাব্দ ”



সোমবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৮

কবিতা

গেয়র্গ ট্রাকলের কবিতা 
    রাজু  আলাউদ্দিন অনুদিত


বাতায়নের সামনে সাদা তুষার ঝরে পরে ,   

উচ্চরোলে সান্ধ্যকালীন ঘণ্টা বেজে ওঠে ,
অনেকেরই জন্য টেবিল সাজিয়ে রাখা আছে,
ঘরের মধ্যে অথৈ আয়োজন।

তমসাময় পথের মাথায়  এসে
প্রবেশ করে অনেক পান্থজন
এই পৃথিবীর শীতল রস থেকে
দয়াাময়ী বৃক্ষ ফোটায় সোনালী সম্ভার।

শান্ত পায়ে পান্থ প্রবেশ করে;
প্রবেশ-পথ তীব্র ব্যথায় অসাড় হয়ে আছে।
দিব্য আলোর  টেবিলে ওই রুটি এবং মদ
দীপ্ত হেয়ে  ওঠে।



   ট্রাম্পেট

মুণ্ড- ছাট উইলোর নীচে খেলে বাদামী শিশুরা
উইলোর মাথা জুড়ে সতুন পাতার উদগম,
ট্রাম্পেটের সুর ভেসে যায় ।
কেঁপে ওঠে চার্চ -প্রাঙ্গন।মেপল  বৃক্ষের বিলাপের মধ্যে দিয়ে
গাঢ় লাল পতাকারা আলোড়িত হয়,
বাইরে মাঠের কাছে অশ্বারোহীরা ,
ঘানিগুলো শুন্য পরে আছে।
কিংবা রাতের বেলা গান গায় মেষপালকেরা ,

পুরুষ হরিণগুলো নিজেদের আগুনের আলোর ভিতরে ঢুকে যায় ,
অরণ্যর প্রবীন বিলাপ;
কালো দেয়ালের সামনে নৃত্যশীল মানুষের ভীড় জমে ওঠে;
গাঢ় লাল পতাকায় ,পাগলামিতে,
হাস্য আর ট্রাম্পেটের হল্লায় মুখরিত প্রান্তরখানি।



ঘুম

অভিশপ্ত  কালো বিষ , তুমি,
সাদা ঘুম।
সন্ধ্যার আবরণে বিরল বাগানগুলো
বাদুর , ঊর্ণনাভ,
রাত্রির পোকা আর বিষাক্ত সাপের  দখেলে।

আগন্তুক,সূর্যাস্তের রক্তিমাভায়
তোমার হারানো ছায়া।
বেদনার লোনা দরিয়ায়
বিষন্ন জাহাজ।
অয়োময় বিধ্বস্ত নগরীর উপর দিয়ে
রাত্রির শেষে দিকে সাদা পাখি
উড়ে চলে যায়।