শনিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৮

চাকুরীর জন্য দরখাস্ত

⬁ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ পদে নিয়োগ লাভের জন্য একটি আবেদন পত্র রচনা কর। (এক পৃষ্ঠায় লিখতে হবে)
অথবা
⬊ কোন  বিদ্যালয়ের ‘সহকারী শিক্ষক’ পদের জন্য একটি আবেদন পত্র রচনা কর।
⬀কোন প্রতিষ্ঠিত পোশাক শিল্পে প্রোডাকশন ম্যনেজার পদের জন্য চকুরীর জন্য একটি দরখাস্ত লিখ।


বরাবর
মহাপরিচালক
প্রাথমিক ও গনশিক্ষা অধিদপ্তর
মিরপুর -চাকা।

বিষয় ঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদের জন্য আবেদন।
জনার,
বিনীত নিবেদন এই যে , গত ২২মার্চ ২০১৮ইং তারিখে  ‘দৈনিক ইত্তেফাক ’পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানতে পারলাম য়ে ,প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কিছু সংখ্যক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। আমে উক্ত পদের একজন প্রার্থী হিসেবে আবেদন করছি।নিন্মে আমার শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ জীবনবৃত্তান্ত উল্লেখ করা হল।
১ .নাম                      মোঃ সাইফুল ইসলাম
২.পিতার নাম             মোঃ
৩.মাতার নাম           মোছাঃ
৪.স্থায়ী ঠিকানা          গ্রাম- কলমা , পোঃ-ডেইরী ফার্ম , উপজেলা : সাভার , জেলা ;ঢাকা ১৩৪১
৫.বর্তমার ঠিকানা      ঐ
৬. জন্ম তারিখ          ১০মে ২০০১
৭. জাতীয়তা              বাংলাদেশী
৮. ধর্ম                      ইসলাম (সুন্নি)
৯.শিক্ষাগত যোগ্যতা ;
  পরীক্ষার নাম              পাসের সাল             গ্রুপ                জিপিএ/বিভাগ           বোর্ড /বিশ্ববিদ্যালয়
 এস ,  এস , সি              ২০১১                   বিজ্ঞান              A+জিপিএ -৫           ঢাকা বোর্ড
 এইচ , এস,  সি             ২০১৩                   বিজ্ঞান              A+জিপিএ -৫           ঢাকা বোর্ড
 বি, এ (অনার্স)             ২০১৬                   মানবিক            দ্বিতীয় বিভাগ         সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
১০.বৈবাহিক অবস্থা      : অবিবাহিত
১১.অভিজ্ঞতা  : একটি স্থানীয় প্রাথমি বিদ্যালয়ে খন্ডকালীন শিক্ষাকতার  এক বৎসরের অভিজ্ঞতা। অনুগ্রহপূর্বক উপরোক্ত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে উল্লেখিত পদের জন্য উপযুক্ত বলে নির্বাচিত হলে নিষ্ঠা ,সততা ও কঠোর পরিশ্রম সহকারে পবিত্র দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকব।

বিনীত নিবেদন
[নিজ হাতে স্পষ্টাক্ষরে স্বাক্ষর ]
মোঃ সাইফুল ইসলাম

সংযুক্তি
১.পরীক্ষার মূল সনদের সত্যায়িত ফটোকপি
২. তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত  ছবি
৩.নাগরিকত্ব  ও চারিত্রিক সনদের সত্যায়িত ফটোকপি
৪. অভিজ্ঞতা সনদের সত্যায়িত ফটোকপি
৫.ব্যাংক ড্রাফট   নম্বর -


🔂🔂 কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে /বিপণন কর্মকর্তা /ম্যনেজার /হিসাবরক্ষক পদের জন্য তোমার যোগ্যতার বিবরন দিয়ে  একটি চকুরীর দরখাস্ত লিখ ।


তারিখ;০৯ এপ্রিল ,২০১৮

বরাবর
ব্যাবস্থাপনা পরিচালক
পাইওনিয়র  কেবলস্ লিমিটেড
মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা -- ঢাকা -১০০০

বিষয় ঃ ম্যানেজার পদে নিয়োগের  জন্য আবেদন।
জনার,
বিনীত নিবেদন এই যে , গত ২২মার্চ ২০১৮ইং তারিখে  ‘দৈনিক ইত্তেফাক ’পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানতে পারলাম য়ে ,  আপানার সুনামধন্য পাইওনিয়র কেবলস্ কোম্পানিতে মর্কেটিং এর জন্য কিছু সংখ্যক  ম্যানেজার নিয়োগ করা হবে। আমি উক্ত পদের একজন প্রার্থী হিসেবে আবেদন করছি।নিন্মে আমার শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ যাবতীয় কাগজ পত্র  জীবনবৃত্তান্ত উল্লেখ করা হল।
১ .নাম                     মোঃ সাইফুল ইসলাম
২.পিতার নাম            মোঃ
৩.মাতার নাম           মোছাঃ
৪.স্থায়ী ঠিকানা          গ্রাম- কলমা , পোঃ-ডেইরী ফার্ম , উপজেলা : সাভার , জেলা ;ঢাকা ১৩৪১
৫.বর্তমার ঠিকানা     ঐ
৬. জন্ম তারিখ          ১০মে ২০০১
৭. জাতীয়তা              বাংলাদেশী
৮. ধর্ম                      ইসলাম (সুন্নি)
৯.শিক্ষাগত যোগ্যতা ;
  পরীক্ষার নাম              পাসের সাল             গ্রুপ                জিপিএ/বিভাগ           বোর্ড /বিশ্ববিদ্যালয়
 এস ,  এস , সি              ২০১১                   বিজ্ঞান              A+জিপিএ -৫           ঢাকা বোর্ড
 এইচ , এস,  সি             ২০১৩                   বিজ্ঞান              A+জিপিএ -৫           ঢাকা বোর্ড
 বি, এ (অনার্স)             ২০১৬                   মানবিক            দ্বিতীয় বিভাগ         সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ
১০.বৈবাহিক অবস্থা      : অবিবাহিত
১১.অভিজ্ঞতা  : বৃটিশ পিট্রোলিয়াম  বি, পি ,এল কোম্পানিতে হিসাবরক্ষক পদে এক বৎসরের  চাকুরীর  অভিজ্ঞতা। অনুগ্রহপূর্বক উপরোক্ত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে উল্লেখিত পদের জন্য উপযুক্ত বলে নির্বাচিত হলে নিষ্ঠা ,সততা ও কঠোর পরিশ্রম সহকারে  দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকব।

বিনীত নিবেদন
[নিজ হাতে স্পষ্টাক্ষরে স্বাক্ষর ]
মোঃ সাইফুল ইসলাম

সংযুক্তি
১.পরীক্ষার মূল সনদের সত্যায়িত ফটোকপি
২. তিন কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত  ছবি
৩.নাগরিকত্ব  ও চারিত্রিক সনদের সত্যায়িত ফটোকপি
৪. অভিজ্ঞতা সনদের সত্যায়িত ফটোকপি
৫.ব্যাংক ড্রাফট   নম্বর -




বাংলা ২য়


ছাড়পত্র কবিতার বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

১। ‘ছাড়পত্র’ কাব্যগ্রন্থ কত সালে প্রকাশিত হয়?

ক. ১৯৪৫
খ. ১৯৪৬
গ. ১৯৪৭
ঘ. ১৯৪৮

২। সুকান্ত ভট্টাচার্যের কত বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছিল?

ক. ২১ বছর
খ. ২২ বছর
গ. ২৩ বছর
ঘ. ২৪ বছর

৩। কোন বয়সের ভয় নেই?

ক. পনেরো বছর বয়সের
খ. সতেরো বছর বয়সের
গ. আঠারো বছর বয়সের
ঘ. বিশ বছর বয়সের

৪।কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?

ক. ১৯২৬
খ. ১৯২৭
গ. ১৯২৮
ঘ. ১৯২৯

৫।কবি সুকান্ত আঠারো বছর বয়সে পদাঘাতে পাথর বাঁধা ভাঙতে চায় কেন?

ক. এ বয়স বেপরোয়া
খ. এ বয়স আবেগময়
গ. এ বয়স নির্ভীক
ঘ. এ বয়স উদ্যমী

৬।কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের এ দেশের বুকে আঠারো বছর বয়স কামনা করার কারণ কোনটি?

ক. এ বয়স জড়তা ও স্থবিরতার বিরুদ্ধে
খ. এ বয়স পথ চলতে ভয় পায় না
গ. আঠারো বছর বয়স ভবিষ্যৎ জাতির কর্ণধার
ঘ. এ বয়সে মনে অনেক স্বপ্ন উঁকি দেয়

৭। আঠারো বছর বয়সে ছেলেরা রক্ত মূল্য দেয় কেন?

ক. স্বার্থ ও শান্তির জন্য
খ. সুন্দর, শুভ ও কল্যাণের জন্য
গ. প্রশংসা পাওয়ার জন্য
ঘ. দেশমাতৃকার জন্য

৮। প্রাণবন্ত তরুণরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে কেন?

ক. সামাজিক বৈষম্যে
খ. বয়সের ধর্ম
গ. শোষণরোধে
ঘ. সমাজ বিচ্ছিন্নে

৯।‘এ বয়স কালো লক্ষ দীর্ঘশ্বাসে’—চরণটি দ্বারা কবি কী বুঝিয়েছেন?

ক. জীবন বিপর্যয়
খ. অজস্র ব্যর্থতার দীর্ঘশ্বাস
গ. সুগভীর সংবেদনশীলতা
ঘ. প্রগতি ও অগ্রগতির পথে নিরন্তর ধাবমানতা

১০।কবি সুকান্ত আঠারো বছর বয়সের তরুণদের চলার গতিবেগ কোনটির সঙ্গে তুলনা করেছেন?

ক. বাতাসের
খ. দুর্যোগের
গ. স্টিমারের
ঘ. ঝড়ের

১১।সুকান্তের মতে কোন বয়স দুঃসহ?

ক. পনেরো বছর
খ. ষোলো বছর
গ. আঠারো বছর
ঘ. বিশ বছর

১২। একুশ বছর বয়সে অকাল মৃত্যু ঘটে বাংলার কোন কবির?

ক. মধুসূদন দত্ত খ. জীবনানন্দ দাশ
গ. সুকান্ত ভট্টাচার্য ঘ. দিলওয়ার

১৩। আঠারো বছর বয়স নিচের কোন বিষয়টি সম্পর্কে জানে?

ক. প্রাণ দিতে
খ. রক্তদানের পুণ্য
গ. সংগ্রাম করতে
ঘ. আন্দোলন করতে

১৪। ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতাটির রচয়িতা কে?

ক. কাজী নজরুল ইসলাম
খ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গ. সুকান্ত ভট্টাচার্য
ঘ. শামসুর রাহমান

১৫। ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় কে স্বপ্ন দেখে নতুন জীবনের?

ক. তারুণ্য
খ. কৈশোর
গ. বার্ধক্য
ঘ. শৈশব

১৬। ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় কিসে পদার্পণ করে বলে মানুষ আত্মপ্রত্যয়ী হয়?

ক. বার্ধক্যে
খ. কৈশোরে
গ. বৈবাহিক জীবনে
ঘ. দুর্বিনীত যৌবনে

১৭। কবি সুকান্তের মতে কোন বয়স বহু ইতিবাচক বৈশিষ্ট্যে চিহ্নিত?

ক. ষোলো বছর বয়স
খ. সতেরো বছর বয়স
গ. আঠারো বছর বয়স
ঘ. উনিশ বছর বয়স

১৮। কবি সুকান্তের মতে প্রগতি ও অগ্রগতির পথে নিরন্তর ধাবমানতাই কোন বয়সের বৈশিষ্ট্য?

ক. আঠারো বছর
খ. উনিশ বছর
গ. বিশ বছর
ঘ. একুশ বছর

১৯। কবি সুকান্তের মতে সামাজিক বৈষম্য ও ভেদাভেদ দেখে কারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে?

ক. প্রাণবন্ত বয়স্করা
খ. প্রাণবন্ত তরুণরা
গ. প্রাণবন্ত কিশোররা
ঘ. ভীরু কাপুরুষরা

২০। আঠারো বছর বয়সে সচেতন ও সচেষ্টভাবে নিজেকে পরিচালনা করতে না পারলে কী হতে পারে?

ক. বিশৃঙ্খলা
খ. উন্নতি
গ. পদস্খলন
ঘ. অধঃপতন

২১। আঠারো বছর বয়সের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বৈশিষ্ট্য কোনটি?

ক. তারা শুধু সংগ্রাম করতে পছন্দ করে
খ. মাথা নোয়ানো তাদের স্বভাববিরোধী
গ. এ বয়সে প্রাণ তীব্র আর প্রখর নয়
ঘ. এ বয়সে পথ চলতে যায় থেমে

২২। আঠারো বছর বয়সের সঙ্গে তুলনা করা যায়—

ক. কাপুরুষতা
খ. সংশয়
গ. ভীরুতা
ঘ. দুঃসাহস

২৩। দুঃসাহসের সঠিক সন্ধি বিচ্ছেদ হিসেবে কোনটি গ্রহণযোগ্য?

ক. দুঃ + সাহস
খ. দুস্ + সাহস
গ. দূঃ + সাহস
ঘ. দুর + সাহস

২৪। ‘বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি’—চরণটির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য কোনটি?

ক. চারপাশের অন্যায়, অত্যাচারে তরুণরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে
খ. তারুণ স্বপ্ন দেখে নতুন জীবনের
গ. মাথা উঁচু করে স্বাধীনভাবে চলার ঝুঁকি
ঘ. দুঃসাহসী স্বপ্ন, কল্পনা এ বয়সের তরুণদের মনকে ঘিরে ধরে

২৫। ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় কবি নেতিবাচক দিক কিভাবে নির্দেশ করেছেন?

ক. নৈতিক স্থান
খ. মনের স্থবিরতা
গ. নিজেকে সচেতনভাবে পরিচালনা করতে না পারা
ঘ. তারুণ্যের স্বপ্ন কামনা

২৬। ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় কবির প্রার্থনা কী?

ক. তারুণ্যের জয়গান
খ. নতুন নতুন আবিষ্কার
গ. সমাজজীবনে তরুণের প্রেরণা
ঘ. তারুণ্য জাতীয় জীবনের চালিকাশক্তি

২৭।তরুণদের প্রতি কবি সুকান্তের আহ্বান কোনটি?
ক. তারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করুক
খ. তারা জাতীয় জীবনের চালিকাশক্তি হোক
গ. তারা সমাজে শুভ ও মঙ্গল বয়ে আনুক
ঘ. তারা নতুনের মধ্যে প্রেরণা হয়ে থাক
২৮। আঠারো বছর বয়স বলতে কবি মূলত নির্দেশ করেছেন—
i. জীবন সন্ধিঃক্ষণের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন
ii. নতুন জীবন গড়ার স্বপ্ন
iii. তেজদীপ্ত তারুণ্য
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
২৯। আঠারো বছর বয়সকে কবি দুঃসহ বলেছেন কারণ—
i. এ সময় জীবন গড়ার প্রস্তুতি পর্ব
ii. এ সময়ে তরুণরা বেয়াড়া হয়
iii. এ বয়স হতেই তরুণরা জীবনে ঝুঁকি নিতে পারে
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii

৩০। তারুণ্যের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ—
i. দুঃসাহস
ii. পরনির্ভরশীলতা
iii. প্রবল আবেগ ও উচ্ছ্বাস
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii
৩১। কবি সুকান্ত নিম্নের যেটির সঙ্গে তারুণ্যের তুলনা করেছেন—
i. বাষ্পের বেগ
ii. স্টিমারের গতি
iii. লঞ্চের গতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i
খ. i ও ii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii

৩২। কবি এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে কামনার মধ্য দিয়ে প্রকাশ করেছেন—
i. তারুণ্যের জয়গান
ii. তারুণ্যের বন্দনা
iii. তারুণ্যের ভূমিকা
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩৩ ও ৩৪ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও। রানার বাবা রানাকে বলেন, আঠারো বছর বয়স মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। কারণ এ সময় মানুষের শরীরে থাকে অমিয় তেজ। এ বয়সে মানুষ যেকোনো দুঃসাহসিক কাজে নিঃসংকোচেএগিয়ে আসে। এ বয়স ঝুঁকি নেওয়ার বয়স। এ বয়সে দেশ ও দশের কল্যাণে এগিয়ে আসার মনোভাব জাগ্রত হয়। তাই এ বয়স সুন্দর, শুভ ও কল্যাণের জন্য রক্ত দিতে জানে। ৩৩।উদ্দীপকের শেষ লাইনের প্রতিফলন লক্ষ করা যায় ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার কোন চরণে?

ক. বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি খ. এ বয়স জানে রক্তদানের পুণ্য
গ. এ বয়সে প্রাণ তীব্র আর প্রখর
ঘ. দুর্যোগে হাল ঠিকমতো রাখা ভার

৩৪। উদ্দীপকটির মাধ্যমে প্রকাশ ঘটেছে—
i. আঠারো বছর বয়সের জয়গান
ii. আঠারো বছর বয়স দুঃসাহসিক
iii. আঠারো বছর বয়স বিশৃঙ্খল

নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩৫ ও ৩৬ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়েছে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে। এ দেখে কাদেরের অন্তর কেঁদে ওঠে। সে ঘরে বসে থাকতে পারে না। হাতে তুলে নেয় অস্ত্র এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দৃঢ় মনোভাবের সঙ্গে শত্রুর বুলেট বোমার মোকাবিলা করতে থাকে। হঠাৎ একটা বুলেটের আঘাতে কাদেরের মৃত্যু হয়। কাদের শহীদ হয় স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে।

৩৫।উদ্দীপকের কাদের ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় কাদের প্রতিনিধিত্ব করে?
ক. আঠারো বছর বয়সীদের
খ. কবির
গ. প্রবীণদের
ঘ. কিশোরদের

৩৬। কাদেরের যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার মধ্যে ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার যে দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে—

i. তরুণদের দুঃসাহসিকতা
ii. তরুণদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া
iii. বুলেটের আঘাতে প্রাণ দেওয়া
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i
খ. ii
গ. i ও ii
ঘ. i ও iii

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
নাসিরের বয়স কম হলেও সাহস কম নয়। যেকোনো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে সে সবার আগে এগিয়ে আসে। দেশ ও দশের কল্যাণে সে যেমন অগণিত প্রাণ হরণ করতে পারে তেমনি নিজের প্রাণও দিতে পারে। সে নিজের প্রাণ দিতে দ্বিধাবোধ করবে না যদি তার প্রাণের বিনিময়ে মহৎ কিছু সংগঠিত হয়।

৩৭। আলোচ্য উদ্দীপকে তোমার পঠিত কোন কবিতার ছায়াপাত ঘটেছে?

ক. সাম্যবাদী
খ. সেই অস্ত্র
গ. ঐকতান
ঘ. আঠারো বছর বয়স

৩৮। উদ্দীপকের নাসির ও তরুণদের মধ্যে যে বৈশিষ্ট্য লক্ষণীয়—

i. দুঃসাহসিকতা
ii. কল্যাণের মন্ত্রে দীক্ষিত
iii. দেশ ও দশের জন্য অনুগত প্রাণ
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i ও ii
খ. i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii

নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩৯ ও ৪০ নম্বর প্রশ্নের উত্তর দাও।
কামাল সাহেব একজন কবি। তিনি তাঁর কবিতায় সর্বদাই তারুণ্যের জয়গান তুলে ধরেন। তিনি মনে করেন তারুণ্য শক্তি অপরিমেয়। এ শক্তির সঙ্গে লড়াই করে পৃথিবীর অন্য কোনো শক্তি টিকতে পারে না। তরুণরা যেকোনো অজেয়কে জয় করতে পারে। প্রবীণরা যে কাজ করতে ভয় পায় তরুণরা অনায়াসে সে কাজ করতে পারে।

৩৯। উদ্দীপকের কামাল সাহেব তোমার পাঠ্য বইয়ের কোন কবিকে সমর্থন করে?

ক. কাজী নজরুল ইসলাম খ. সুকান্ত ভট্টার্চায্য *
ঘ. শামসুর রাহমান ঘ. আল মাহমুদ

৪০।উক্ত কবির কবিতার ভাবের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ কবিতার বিষয়বস্তু—

i. তারুণ্যের জয়গান
ii. প্রবীণদের নিন্দা করা
iii. তারুণ্য শক্তির স্তুতি
নিচের কোনটি সঠিক?
ক. i
খ i ও iii
গ. ii ও iii
ঘ. i, ii ও iii

উত্তরগুলো মিলিয়ে নাও ১. ঘ ২. ক ৩. গ ৪. ক ৫. গ ৬. ক ৭. খ ৮. ক ৯. খ ১০. গ ১১. গ ১২. গ ১৩. খ ১৪. গ ১৫. ক ১৬. ঘ ১৭. গ ১৮. ক ১৯. খ ২০. গ ২১. খ ২২. ঘ ২৩. ক ২৪. ঘ ২৫. গ ২৬. ঘ ২৭. খ ২৮. ঘ ২৯. খ ৩০. খ ৩১. খ ৩২. ঘ ৩৩. খ ৩৪. ক ৩৫. ক ৩৬. গ ৩৭. ঘ ৩৮. ঘ ৩৯. খ ৪০. খ

শব্দ

⬀⬀প্রশ্নঃ- বাংলা ভাষার শব্দ সমুহকে কটি ভাগে বিভক্ত করা যায় ? উদাহরণ সহ  আলোচনা কর ।

উত্তর:-  বাংলা ভাষার শব্দ সমুহকে উৎপত্তি অনুসারে  পাঁচ ভাগে ভাগ করা যায়
১)  তদ্বব শব্দ  ২)  তৎসম শব্দ  ৩)  অর্ধ-তৎসম শব্দ  ৪)  দেশি শব্দ  এবং  ৫)  বিদেশি শব্দ

১.তদ্বব শব্দ:- সংস্কৃত  শব্দ হতে রূপান্তর  এর মাধ্যমে বাংলায় যে সকল শব্দ ব্যবহার  হয়  তাকে তদ্বব শব্দ বলে যেমন:
সংস্কৃতিতে ছিল   চন্দ্র >চন্দ>চাঁদ   ;   হস্ত >হথ>হাত

২.তৎসম বা সংস্কৃত শব্দঃ- যে সকল শব্দ সংস্কৃত থেকে অবিকৃত ভাবে পরিবর্তন ছাড়া বাংলা ভাষায়ে এসেছে  তাকে ত্ৎসম বা সংষ্কৃত শব্দ বলে যেমন:- চাহিদা , স্বাগতম, নির্বাণ , যোগ, যৌন , আর্য , আসন , অশ্রম , অবতার , আয়ুর্বেদ , বন্ধন, ভাং , ধুতি , লুঠ , মায়া , স্বামী , যোগী , লাখ,  লক্ষ্মী , লক্ষ্মণ  (ল+ক+ষ+ম+ণ) চন্দ্র , সূর্য, জল ,পৃথিবী , বৃক্ষ  ইত্যাদি

৩. অর্ধ তৎসম শব্দ:- যে সকল শব্দ সংস্কৃত থেকে কিঞ্চিত বিকৃতভাবে বাংলায় এসেছে তাকে অর্ধ-তৎসম শব্দ  বলে 
যেমন:- নিমন্ত্রণ > নেমন্তন্ন , গাত্র> গতর , জ্যোৎস্না > জোছনা ইত্যাদি।

৪. দেশি শব্দঃ- বাংলা ভাষায়  কিছু শব্দ বাংলায় রক্ষিত আছে  এ সকল শব্দকে দেশি শব্দ বলা হয় যেমন :  আলু , কালা, কুড়ি , খুকি , খোকা , খোঁচা , খোঁজ , চাল ,  চিংড়ি , চুলা  ,  ঝিনুক , ঝোল ,ঠ্যাং , ঢোল , পেট ,বোবা , মাঠ , মুড়ি , কুলা , গঞ্জ , চোঙা , ডাব , ডাগর , ডিঙা  ইত্যাদি

৫. বিদেশি শব্দ:-রাজনৈতিক ধর্মীয় ,বাণিজ্যিক কারনে যে সকল শব্দ বিদেশি ভাষা হতে বাংলা ভাষাতে স্থায়ী ভাবে স্থান করে নিয়েছে তাকে বিদেশি শব্দ বলে যেমন:

আরবি শব্দ:- আল্লাহ , ইসলাম ,ইদ , ঈদ , অাসল ,  এলাকা, ওজন , কবর ,  খবর ,  খালি ,  খেয়াল , গরিব, জবাব, জমা, জিনিস , তারিখ, দুনিয়া , নকল , ফকির , বদল  , বাকি , সাহেব , হিসেব , ইত্যাদি

ফার্সি শব্দ: আওয়াজ,  আন্দাজ, আয়না, আস্তে, কাগজ, খারাপ, খোদা, খুব, গরম, চশমা, চাকুরি, চাদর , জান,  জায়গা, ডেগচি, দম, দেরি, দোকান, পর্দা, বদ, বাগান, রাস্তা, রোজ, হিন্দু, ইত্যাদি ।

জাপানি শব্দ:- বোকা, চা,মাঙ্গা,

ওলন্দাজ শব্দ: ইস্কাবন , ইস্ক্রুপ , টেক্কা , তুরুপ, রুইতন , হরতন

তুর্কি শব্দ:- কোরমা , চকমক , দাদা , নানি , বাবা ,  বাবুর্চি , বেগম ,

ইংরেজি শব্দ:-  কলেজ , টিন,  নোট ,  পাউডার , পেন্সিল, ফুটপাত , ভোট ,অফিস,  জেল  , ডাক্তার ,  পুলিশ,  ব্যাংক , ইস্কুল , স্কুল , হাসপাতাল , হস্পিটাল , কাপ ,  গ্লাস, চেয়ার , টেবিল , বাক্স , লন্ঠন  ইত্যাদি

পর্তুগিজ শব্দ-  আলমারি ,  ইস্ত্রি , ইস্পাত, কামিজ , গামলা , চাবি ,জানালা , পেরেক , ফিতা , বারান্দা , বালতি , বেহালা , বোতাম , মেজ , সাবান , কেদারা ,  আতা , আনারস , কাজু , কপি ,  পাউ , পেঁপে , পেয়ারা ,  সাগু, সালাদ, ক্রুশ , গির্জা , যিশু , পাদ্রি , ইংরেজ ইত্যাদি


শুক্রবার, ২৩ মার্চ, ২০১৮

বাংলা বানান

প্রশ্নঃ বাংলা বানানে -- কার   ‍ূ  ব্যবহারের নিয়মগুলো  লেখ।

১.দীর্ঘ উচ্চারিত ক্ষেত্রে এবং একাধিক উ--কার এর সমাবেশ সন্ধিঘটিত শব্দে ঊ--কার হবে । যেমনঃ- সন্ধির ক্ষেত্রে : মরু+উদ্যান,( মর  + দ্যান)= মরূদ্যান
কটু+উক্তি(কট + ক্তি)=কটূক্তি

২.তৎসম (সংস্কৃত) শব্দে--কার হবে । যেমন ঊনত্রিংশ

৩.নিন্মলিখিত বানানগুলোতে সর্বদা ‘ঊ’ কার হবে । যেমন--অনুকূল , নুপূর , কূজন , কূট , গূঢ় , ঘূর্ণায়মান , চূড়া , ঘূর্ণি ,  চূর্ণ , হূত , দূর ,দূর্বা, দূষণ ,ধূলি ,পূজা , পূজনীয় ,পূর্তি ,পূরণ ,পূর্ণ ,পূর্ণিমা ,পূর্ব , পূর্বক , পূর্বাভাস ,পূর্বাহ্ন , ভূগোল ,ভূ  , ভূতক , ভূমি , ভূস্বামী , ভূমিষ্ঠ , ভূয়সী , ভূরি , ভূষণ , ভ্রূন , মূঢ় ,মূক , মূর্ছনা , মূর্ত , মূর্তি , মূলক , মূল্য , মূষিক , রূপ , রূপালি , রূপবতী ,শূকর ,শূককীট , শূদ্র , শূন্য ,শূল ,সূক্ষ , সূচক , সূচি , সূতিকাগার , সূত্র , কূপমন্ডুক।



২.বাংলা বানানে উ--কার ব্যবহারের নিয়মগুলো লেখ ।

. অর্ধতৎসম দেশি বিদেশি তদ্ভব  শব্দে --কার হয় ।
যেমনঃ-  তদ্ভব শব্দে  ধূলি>ধুলা ,  পূজা>পুজো , নূতন>নতুন ,সূত্র>সুতা

. দেশি শব্দেঃ  কুলা কুলো, বাদুর ধুয়ো ,পুড়ি, ইত্যাদি

৩. বিদেশি শব্দেঃ  শুরু মুনাফা, মুশকিল , মজবুত, মুলতবি , ফতুর , ফালতু, কুত্তা , সুদ চাবুক, খুশি, খুব, কুলি , হুন্ডি, সুইচ, সুইডেন, ডেপুটি , ইত্যাদি।

. ক্রিয়াবাচক শব্দে উ-- কার হবে   বুঝা, শুনা, ছুটা, ঝুলান , ঘুরা , শিশুন, করুন , বলুন, বসুন .আসুন,ভাবুন, মুচড়ানো, দুমড়ানো ইত্যাদি।

. নিন্মলিখিত প্রত্যয় যুগে  উ--কার হবে
উয়া             ঃ মেছুয়া,মাধুয়া,বনুয়া,নাটুয়া,পটুয়া ইত্যাদি
উক             ঃ  ভাবুক,মিশুক,নিন্দুক,ভালুক,হিংসুক,করুক ইত্যাদি
উনি             ঃ বকুনি,নাচুনি,কাঁদুনি,রাঁধুনি,গাঁথুনি,ইত্যাদি
উড়িয়া         ঃ সাপুড়িয়া,হাতুড়িয়া,
উরি             ঃ ডুবুরি,ধুনুরি,
তুত/তুতো     ঃ মাসতুতো,খুড়তুতো,পিসতুতো ইত্যাদি

৬. অনু , সু , উৎ , উপ , দুঃ  উপসর্গযুক্ত  শব্দে  ‍ূ  কার ব্যবহার হবে । যেমনঃ অনুকরণ অনুধাবন, অনুশোচনা, অনুভূতি,অনুমোদন, সুবোধ ,দুর্নাম, সুরেশ , সুদিন , সুজনেষু , উত্তরণ , উত্তরাধিকার , উৎকৃষ্ট, উৎকীর্ণ, উৎক্ষেপণ , উৎপাদন, উপকরণ, উপগ্রহ,উপদংশ, দুঃশাসন ইত্যাদি ।


প্রশ্ন:- বাংলা একাডেমি  প্রণীত বাংলা বানানের  নিয়ম অনুসারে তৎসম  শব্দের পাাঁচটি নিয়ম লেখ । 
উ্তর : নিচে বাংলা একাডেমি প্রনীত বাংলা বানানের  আধুনিক নিয়ম অনুসারে অ-তৎসম শব্দের পাঁচটি বানানের নিয়ম  সূত্র  উল্লেখ করা হল ।
১বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অবকৃত সংস্কৃত শব্দের বানান  যথাযথ ও াপরিবর্তিত থাকবে । যেমন াভাীষ্ট , গভীর , অংশু , শস্য কৃষাণ
২. যে সকল সংস্কৃত শব্দে  ই ঈ বা উ ঊ উভয়ই শুদ্ধ সেইসব  শবেদ কেবল ই ্ব উ এবং তার  কারচিহ্ন  ্্ি  ‍ু  ব্যবহৃত হবে । যেমন কিংবদন্তি, খঞ্জনি , চিৎকার , ধমনি, ধূলি ,পদবি
৩. রেফ এর পর ব্যঞ্জনবর্ণের   দ্বিত হবে না ।  যেমন:-অর্চনা,  অর্জন , অর্থ , কর্তন , কর্ম , কার্য  , গর্জন , মূর্ছা, কার্তিক , বার্ধক্য , বার্তা , সুর্য , কর্দম ।





চলমান---