ব্যাকরণ পাঠের গুরুত্ব


W3.CSS

প্রশ্ন: প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ পাঠের গুরুত্ব আলোচনা কর


ব্যাকরণ পাঠের গুরুত্ব (প্রমিত বাংলা ভাষার ব্যাকরণ পাঠের গুরুত্ব )


ভাষা সম্পর্কে ঞ্জান লাভ করতে তহলে সে ভাষার ব্যাকরণ পাঠের প্রয়োজন অপরিসীম, কারণ--

১. ব্যাকরণ পাঠের মধ্যদিয়ে আমরা যে ভাষাটিকে বলি বা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করি , তার সংগঠন ও কাজকর্মের মূল সুত্রগুলি জানতে বুঝতে পারি । তাতে আমরা সচেতন ভাবে ভাষাটির সমর্থ ব্যবহার করতে পারি -আমরা বা অন্য কউ ভুল করলে সে ভুলটি কি ধরনের এবং কেন করল ত যুক্তিসহকারে বুঝাতে পারি
২. একটি ভাষার ব্যাকরণ জানাথাকলে অন্য ভাষার ব্যাকরণ জানতে বুঝতে সহজ হয় । সব ভাষারই একটি মৌলিক ঐক্য আছে।
৩.ব্যকরণ আমাদের শিখায় ভাষা নিয়মের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত
৪ . ভাষার সৌন্দর্য সম্ভোগের জন্যও সেই ভাষার ব্যাকরণ পাঠ অবশ্যকর্তব্য
৫.সাহিত্যের রস আস্বাদনের জন্যও ব্যাকরণ জানা আবশ্যক ।
৬.ব্যাকরণ পাঠে ভাষার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য স্বেচ্ছাচরিতা রোধ হয় , ফলে ভাষার বিশুদ্ধতাও রক্ষা হয় ।
৭.ভাষার সামগ্রিক রুপকে বোধের উপয়োগী করে তোলা ব্যাকরণ শিাক্ষার লক্ষ্য । বাংলা ব্যাকরণের ক্ষেত্রে্ও একই নিয়ম প্রয়োজ্য ।


প্রশ্ন:সাধু ও চলিত ভাষার পার্থক্য তুলনামূলক আলোচনা করো।


উত্তর:সাধুও চলিত ভাষার পার্থক্য গুলো নিন্মে দেওয়া হলো
সাধুভাষা চলিতভাষা
১. ঊনিশ শতকের শুরুরদিকে সংস্কৃতানুসারী পন্ডিতদের উদ্‌যোগ আয়োজনে যে সাহিত্যিক গদ্য ভাষার উম্মেষ,তাই সাধু ভাষা ১. বিশ শতকের শুরুতে প্রমথ চৌ্ধুরীর সবুজপত্রের আহ্বানে ভগীরথী নদীর দুই তীরের মানুয়ের ভাষা হলো চলিত ভাষা
২. সাধু ভাষায় সন্ধি -সমাসের আধিক্য লক্ষ করা যায় । যেমন : কাষ্ঠাহরণে রাজাজ্ঞা , রাজপুত্রহস্তে ইত্যাদি ২. চলিত ভাষাতে সন্ধি-সমাসের ব্যবহার কম এবং সেগুলোকে ভেঙ্গে সহজ করে লেখা হয় যেমন: -কাঠ আনতে ,রাজার হুকুম,রাজপুত্তুর হাতে ইত্যাদি ।
৩.সাধু ভাষায় দুরূহ তৎসম শব্দের ব্যবহার বেশী ৩. চলিত ভাষায় দুরূহ শব্দের ব্যবহার কম হয়
৪. সাধু ভাষায় ধ্বন্যাত্বক শব্দের প্র্রাধান্য নেই ৪.চলিত ভাষায় ধ্বন্যাত্বক শব্দের প্রাধান্য রয়েছে যেমন:হনহন গনগনে ঝনঝন
৫. সাধু ভাষা কথোপকথনে , নাটকের সংলাপ ও বক্তৃতার অনুপযোগী ৫. চলিত ভাষা বক্তৃতা আলাপচারিতা ও নাট্যসংলাপের বেশি উপযোগী
৬ .সাধু ভাষা গুরুগম্ভীর ও আভিজাত্যের অধিকারী ৬. চলিত ভাষা শিক্ষিত ভদ্রসমাজেরর মৌখিক ও লেখ্যভাষা ।