এক কথায প্রকাশ-২

নতুন এক কথায় প্রকাশ

কুকুরের ডাক=বুক্কন
রাজহাঁসের ডাক=ক্রেঙ্কার
বিহঙ্গের ডাক/ধ্বনি=কূজন/কাকলি
করার ইচ্ছা=চিকীর্ষা
ক্ষমা করার ইচ্ছা=চিক্ষমিষা/তিতিক্ষা
ত্রাণ লাভ করার ইচ্ছা=তিতীর্ষা
গমন করার ইচ্ছা=জিগমিষা
নিন্দা করার ইচ্ছা=জুগুপ্সা
বেঁচে থাকার ইচ্ছা=জিজীবিষা
পেতে ইচ্ছা=ঈপ্সা
চোখে দেখা যায় এমন=চক্ষুগোচর
চোখের নিমেষ না ফেলিয়া=অনিমেষ
গম্ভীর ধ্বনি=মন্দ্র
মুক্তি পেতে ইচ্ছা=মুমুক্ষা
বিজয় লাভের ইচ্ছা=বিজিগীষা
প্রবেশ করার ইচ্ছা=বিবক্ষা
বাস করার ইচ্ছা=বিবৎসা
বমন করিবার ইচ্ছা=বিবমিষা
রমণ বা সঙ্গমের ইচ্ছা=রিরংসা
আমার তুল্য=সাদৃশ
ইহার তুল্য=ইদৃশ
ঋষির তুল্য=ঋষিকল্প
দেবতার তুল্য=দেবোপম
রন্ধনের যোগ্য=পাচ্য
জানিবার যোগ্য=জ্ঞাতব্য
প্রশংসার যোগ্য=প্রশংসার্হ
ঘ্রাণের যোগ্য=ঘ্রেয়
যাহা সহজে লঙ্ঘন করা যায় না=দুলঙ্ঘ্য
যাহা সহজে উত্তীর্ণ হওয়া যায় না=দুস্তর
যা বলা হয়েছে=বক্ষ্যমাণ
যা পূর্বে চিন্তা করা যায় নি=অচিন্তিতপূর্ব
যা পূর্বে কখনও আস্বাদিত হয় নাই=অনাস্বাদিতপূর্ব
যা পূর্বে শোনা যায় নি=অশ্রুতপূর্ব
হিরণ্য (স্বর্ণ) দ্বারা নির্মিত =হিরন্ময়
বাতাসে চরে যে=কপোত
পূর্ব জন্মের কথা স্মরণ আছে যার=জাতিস্বর
সরোবরে জন্মায় যাহা=সরোজ
সর্বদা ইতস্তত ঘুরিয়া বেড়াইতেছে=সততসঞ্চরমান
যা পুনঃ পুনঃ জ্বলিতেছে =জাজ্বল্যমান
সকলের জন্য প্রযোজ্য=সর্বজনীন
সকলের জন্য অনুষ্ঠিত =সার্বজনীন
প্রায় প্রভাত হয়েছে এমন=প্রভাতকল্পা
রাত্রির মধ্যভাগ=মহানিশা
স্মৃতিশাস্ত্রে পণ্ডিত যিনি=শাস্ত্রজ্ঞ
স্মৃতি শাস্ত্র রচনা করেন যিনি=শাস্ত্রকার
যিনি স্মৃতি শাস্ত্র জানেন=স্মার্ত
শক্তির উপাসনা করে যে = শাক্ত
এখনও শত্রু জন্মায় নাই যার=অজাতশত্রু
এখনও গোঁফ-দাড়ি গজায় নাই যাহার=অজাতশ্মশ্রু
যে ব্যক্তি এক ঘর হতে অন্য ঘরে ভিক্ষা করে বেড়ায়=মাধুকর
অন্যদিকে মন নাই যার=অনন্যমনা
খেয়া পার করে যে =পাটনী
নিজেকে বড় ভাবে যে=হামবড়া
নিজেকে যে নিজেই সৃষ্টি করেছে=সয়ম্ভূ
নিতান্ত দগ্ধ হয় যে সময়ে (গ্রীষ্মকাল)=নিদাঘ
যা গতিশীল = জঙ্গম
যে বিষয়ে কোন বিতর্ক নেই=অবিসংবাদী
অত্যন্ত তরল জল নিঃসরণ =অতিসার/অতীসার
অঙ্গীকৃত মাল তৈরির জন্য প্রদত্ত অগ্রিম অর্থ=দাদন
অতিশয় রমণীয়=সুরম্য
অণুর ভাব=অণিমা
অসির শব্দ=ঝঞ্জনা
অশ্বের চালক=সাদী
ঈষৎ নীলাভবিশিষ্ট=আনীল
ঈষৎ উষ্ণ =কবোষ্ণ
ঈষৎ পাংশু বর্ণ=কয়রা
আকস্মিক দুর্দৈব =উপদ্রব
আঙুর ফল=দ্রাক্ষা
আজীবন সধবা যে নারী=চিরায়ুষ্মতী
উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ধন=রিকথ
উটের/হস্তীর শাবক=করভ
ঋষির দ্বারা উক্ত(কথিত) =আর্য
ঋজুর ভাব=আর্জব
ঋতুর সম্বন্ধে=আর্তব
ঔষধের আনুষঙ্গিক সেব্য=অনুপান
কংসের শত্রু যিনি=কংসারি
কালো হলুদের মিশানো রঙ=কপিশ,কপিল
ক্ষুধার অল্পতা=অগ্নিমান্দ্য
কটিদেশ থেকে পদতল পর্যন্ত অংশ=অধঃকায়
কৃষ্ণবর্ণ হরিণ=কালসার
ক্রীড়নশীল তরঙ্গ =চলোর্মি
কাচের তৈরি ঘর=শিশমহল
কোন বিষয়ে যে শ্রদ্ধা হারিয়েছে= বীতশ্রদ্ধ
কনুই থেকে বদ্ধ মুষ্টি পর্যন্ত পরিমাণ=রত্নি
কপালে আঁকা তিলক=রসকলি
কচি তৃণাবৃত ভূমি=শাদ্বল
ক্ষিতি, জল,তেজ বায়ু থেকে সঞ্জাত =চতুভৌতিক
গৃহের প্রধান প্রবেশ পথ=দেহলি,দেউড়ি
গরম জল=উষ্ণোদক
গর্দভের বাসস্থান =খরশাল
গুরুগৃহে বাস=অন্তেবাসী
গ্রন্থাদির অধ্যায় =স্কন্দ
গুরুর পত্নী =গুর্বী
গাধার ডাক=রাসভ
ঘর্ষণ বা পেষণজাত গন্ধ=পরিমল
ঘোর অন্ধকার রাত্রি =তামসী,তমিস্রা
চোখের কোণ=অপাঙ্গ
ছুতারের বৃত্তি=তক্ষণ
চিত্তের তৃপ্তিদায়ক=দিলখোশ
জানায় যে=জ্ঞাপক
ছিন্ন বস্ত্র=চীর
জলবহুল স্থান =অনুপ,জলা
জানা উচিত =জ্ঞেয়
ত্বরার সঙ্গে বর্তমান=সত্বর
ত্বরায় গমন করে যে=তুরগ
তরল অথচ গাঢ়=সান্দ্র
তোপের ধ্বনি=গুড়ুম
তস্করের কাজ=তাস্কর্য
তোমার মত=ত্বাদৃশ
তার মত=তাদৃশ
তনুর ভাব=তনিমা
থেমে থেমে চলার যে ভঙ্গি=ঠমক
দাম উদরে যাহার=দামোদর
দেবতা থেকে উৎপন্ন বা দৈবজাত=আধিদৈবিক
দুরথীর যুদ্ধ =দ্বৈরথ
দুই নদীর মধ্যবর্তী স্থান =দোয়াব
দৈনন্দিন জীবনের লিখিত বিবরণ =রোজনামচা
ধান্যাদি পরিমাপকারী =কয়ালি
নিবেদন করা হয় যা=নৈবদ্য
নির্ভুল মুনিবাক্য=আপ্তবাক্য
নিকৃষ্ট ব্যক্তি =অজন
নিচে জল আছে যার=অন্তঃসলিলা
প্রস্থান করতে উদ্যত =চলিষ্ণু
প্রদীপ শীর্ষের কালি=অঞ্জন
পেতে ইচ্ছা=ঈপ্সা
পেটের পীড়া ও তৎসহ জ্বর =জ্বরাতিসার
প্রতিবিধান করার ইচ্ছা=প্রতিবিধিৎসা
পাখির ডানা ঝাপটা =পাখসাট
পায়ে হেঁটে যে গমন করে না=পন্নগ
পায়ে হাঁটা =পদব্রজ
ফিকা কমলা রঙ=বাসন্তী
পুরুষের কর্ণভূষণ =বীরবৌলি
পূর্ণিমার চাঁদ =রাকা
প্রভাতের নবোদিত সূর্য=বালার্ক,বালসূর্য
বসন আলগা যার=অসংবৃত
বীজ বপনের উপযুক্ত সময়=জো
বেলা ভূমিকে অতিক্রম =উদ্বেল
বিশেষ ভাবে দর্শন =বীক্ষণ
ভোরে গাওয়ার উপযুক্ত গান=ভোরাই
মরনের জন্য অনশন =প্রায়োপবেশন
মেঘের ধ্বনি=জীমূতমন্ত্র
মন্থন করা হয়েছে=মথিত
যার কিছু নেই=আকিঞ্চন
যাহার বসন (পোশাক) মাটির রঙের=গৈরিকবসনা
যার পঞ্জরাস্থি ক্ষীণ =উনপাঁজুরে
যার দিক থেকে চক্ষু ফেরানো যায় না=অসেচনক
বলা হতে যাচ্ছে বা হবে=বক্ষ্যমাণ
যার কীর্তি শ্রবণে পূণ্য জন্মে=পূণ্যশ্লোক
যাহা উচ্চারণ করিতে কষ্ট হয়=দুরুচ্চার্য
যে স্ত্রীর বশীভূত =স্ত্রৈণ
যা শুনলে দুঃখ দূর হয়=দুঃশ্রব
যা গমন করে না=নগ
যার স্পৃহা দূর হয়েছে=বীতস্পৃহ
লয় প্রাপ্ত হয়েছে=লীন
শত্রুকে পীড়া দেয় যে=পরন্তপ
শক্তির উপাসনা করে যে=শাক্ত
শাল গাছের ন্যায় দীর্ঘাকার=শালপ্রাংশু
ষাঁড়ের চেহারা তুল্য =ষণ্ডামার্কা
সুদে টাকা খাটানো=তেজারতি
হাতি বাঁধার রজ্জু=আন্দু
হস্তী রাখার স্থান =বারী,পিলখানা
হস্তী তাড়নের নিমিত্ত ব্যবহৃত লৌহদণ্ড =অঙ্কুশ
হস্তীর চারণভূমি=প্রচার
হত্যা করে যে=হন্তারক
অব্যক্ত মধুর ধ্বনি=কলতান
যার বাসস্থান নেই=অনিকেতন
আয়ুর পক্ষে হিতকর=আয়ুষ্য
ইতয়ার পুত্র=ঐতরেয়
কর্মে অতিশয় তৎপর =করিৎকর্মা
কুরুর পুত্র=কৌরব
কুন্তীর পুত্র=কৌন্তের
চৌত্রিশ অক্ষরে স্তব=চৌতিশা
জয়লাভ করতে অভ্যস্ত যে=জিষ্ণু
জয় করার যোগ্য=জেতব্য
তমঃদূর করে যে=তমোনাশ
দান করে যে কেড়ে নেয়=দত্তাপহারী
দান করার ইচ্ছা=দিৎসা
ন্যায় শাস্ত্রে পণ্ডিত যিনি=নৈয়ায়িক
পিতার ভগিনী=পিতৃষসা
পুণ্ডরীক্ষের ন্যায় অক্ষি যার=পুণ্ডরীকাক্ষ
বাক্য ও মনের অগোচর=অবাঙ্মনসগোচর
মৃত্যু কামনায় উপবাস=প্রায়োপবেশন
যে আতপ থেকে ত্রাণ করে=আতপত্র
যে সুপথ থেকে ভিন্ন পথে গেছে=উন্মার্গগামী
যে উপরে উঠেছে =আরূঢ়
যে পার হতে ইচ্ছুক=তিতীর্যু
যে অট্টালিকা দেখতে সুন্দর=হর্ম্য
যে নদীর জল পূণ্যদায়ক=পূণ্যতোয়া
যে অস্ত্র একশত জনকে বধ করতে পারে=শতঘ্নী
যে বহু বুলি বলে=হরবোলা
যা বিচারের দ্বারা ঠিক করা যায় না=অপ্রতর্ক্য
যা মিলিয়ে যাচ্ছে=অপমৃয়মান
যা পূর্বে কথিত বা উল্লিখিত =প্রাগুক্ত
যা শল্য ব্যথা দূর করে=বিশল্যকরণী
যার উদর বক্রগতি সম্পন্ন=কাকোদর
শুনতে ইচ্ছুক=শুশ্রুষু
হস্তীর চিৎকার =বৃংচিত
রঘুর পুত্র=রাঘব