শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০১৯

পৌরীতি ও সুশাসন প্রথম পত্র

W3.CSS৷

জ্ঞানমূলক প্রশ্নের উত্তর

সৃজনশীল প্রশ্ন (মান : ৭০)
[যেকোনো ৭টি প্রশ্নের উত্তর দাও। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১০(১+২+৩+৪)]

১। নিচের ছকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
Mountains
ক) রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার কোন নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত?
খ) দায়িত্বশীল সরকার বলতে কী বোঝায়?
গ) ওপরের ছক অনুযায়ী ‘ক’ ও ‘খ’ রাষ্ট্রের সরকার ব্যবস্থার মধ্যে পার্থক্য লেখো।
ঘ) ‘ক’ ও ‘খ’ রাষ্ট্রের সরকার ব্যবস্থার মধ্যে কোনটিকে তুমি উত্তম মনে করো? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

২। বাবার মৃত্যুর পর সম্পত্তি ভাগ করার ব্যাপারে বড় ভাই ছোট ভাই-বোনদের বলেন, ‘আমি কোনো অনৈতিক কাজ করব না। আরো বলেন, তোমরা কখনো রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পেলে সবার সুযোগ-সুবিধার সমতার দিকে খেয়াল রাখবে।’
ক) ‘আইন হলো সার্বভৌম কর্তৃত্বের আদেশ’—কার উক্তি?
খ) অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বলতে কী বোঝায়?
গ) উদ্দীপকের প্রথমে আইনের যে উৎসটির প্রতিফলন ঘটেছে তার ব্যাখ্যা দাও।
ঘ) উদ্দীপকের শেষে রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে পাঠ্য বইয়ের কোন ধারণার উল্লেখ করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।

৩। আজিজ সাহেব সরকারের একটি অঙ্গের সদস্য হওয়ায় তিনি কর আরোপ ও সংগ্রহ এবং সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষকে আদেশ প্রদান ও বিধি-বিধান প্রণয়নের ক্ষমতা দেওয়ার কাজে যুক্ত থাকেন। অন্যদিকে মোবারক সাহেবের বিভাগটি জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণসহ আইনের ব্যাখ্যাও প্রয়োগ করে থাকে।
ক) বাংলাদেশে কততম সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়?
খ) ‘ক্ষমতার স্বতন্ত্রীকরণ নীতি’ বলতে কী বোঝায়?
গ) উদ্দীপকে উল্লিখিত আজিজ সাহেবের প্রতিষ্ঠানের কোন কোন কাজের উল্লেখ রয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ) মোবারক সাহেবের বিভাগের নাম উল্লেখপূর্বক কার্যাবলি ব্যাখ্যা করো।

৪। সম্প্রতি রামপালে বিদ্যুেকন্দ্র নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হতে যাচ্ছিল। কিন্তু মারাত্মকভাবে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কায় পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো ও সুশীল সমাজ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনের মাধ্যমে এর তীব্র প্রতিবাদ জানায়। বিভিন্ন সংগঠন ও শ্রেণিপেশার মানুষও এর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে।
ক) জনমত কাকে বলে?
খ) রাজনৈতিক সংস্কৃতি বলতে কী বোঝায়?
গ) উদ্দীপকে সরকারের অবস্থান পরিবর্তনে যে বিষয়টি ভূমিকা রাখে তা পাঠ্য বইয়ের আলোকে ব্যাখ্যা করো।
ঘ) উদ্দীপকের আলোকে গণমাধ্যমের ভূমিকা বিশ্লেষণ করো।

৫। মি. ‘ক’ ও মি. ‘খ’ উচ্চপদস্থ স্থায়ী সরকারি কর্মকর্তা। মি. ‘ক’ বিশ্বাস করেন উচ্চপদস্থ হলেও তিনি সাংবিধানিকভাবে জনগণের সেবক। তাঁর উচিত রাজনীতি নিরপেক্ষভাবে কাজ করে যাওয়া। কিন্তু মি. ‘খ’ নিজেকে ক্ষমতাবান মনে করেন। তিনি স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেন।
ক) আমলাতন্ত্রের জনক কে?
খ) লালফিতার দৌরাত্ম্য বলতে কী বোঝায়?
গ) ‘‘উদ্দীপকে উল্লিখিত মি. ‘খ’ এর আচরণ ও কর্মকাণ্ড সুশাসনের জন্য অন্তরায়’’ ব্যাখ্যা করো।
ঘ) উদ্দীপকে উল্লিখিত মি. ‘খ’-এর মানসিকতা ও আচরণ উন্নত করার জন্য কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত বলে তুমি মনে করো? তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দাও।

৬। ‘ক’ রাষ্ট্রটি পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলে বিভক্ত। পূর্বাঞ্চলের জনগণ বাংলায় কথা বলে এবং তারা ওই রাষ্ট্রের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী। তারা নিজেদের অনেক দিন ধরে পশ্চিমাঞ্চল থেকে আলাদা ভাবে। কেন্দ্রীয় সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ভাষাকে অগ্রাহ্য করে। অন্য একটি ভাষা তাদের ওপর চাপিয়ে দেয়। ফলে ভাষার দাবি প্রতিষ্ঠা করতে তারা সংগ্রাম করে। পরবর্তীকালে পূর্বাঞ্চলের জনগোষ্ঠী ‘ক’ রাষ্ট্র থেকে আলাদা হয়ে নতুন একটি রাষ্ট্রের জন্ম দেয়।
ক) জাতি কাকে বলে?
খ) জাতি ও জাতীয়তার মধ্যকার পার্থক্য লেখো।
গ) উদ্দীপকে বর্ণিত ‘ক’ রাষ্ট্রে কোন চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পূর্বাঞ্চলের মানুষ সংগ্রাম করেছিল? ব্যাখ্যা করো।
ঘ) উদ্দীপকে বর্ণিত চেতনার উপাদানগুলো বিশ্লেষণ করো।

৭। নিচের ছকটি পড়ে প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও :
ক) ‘ইতিহাস ব্যতীত পৌরনীতি ভিত্তিহীন এবং পৌরনীতি ব্যতীত ইতিহাস মূল্যহীন’—উক্তিটি কার?
খ) নাগরিকের গণতান্ত্রিক চেতনা বৃদ্ধিতে পৌরনীতি পাঠ গুরুত্বপূর্ণ কেন?
গ) ছকে উল্লিখিত বিষয় দুটির মধ্যকার সম্পর্ক লেখো।
ঘ) নাগরিক জীবনকে পরিপূর্ণতা দিতে দুটি বিষয়ই সমান ভূমিকা রাখে—যুক্তি দাও?

৮। বর্তমানে পৃথিবীতে মানুষের সার্বিক কল্যাণকে নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার সঙ্গে একটি ধারণা বা প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে নাগরিকরা আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষার প্রকাশ করতে পারে এবং অধিকার ভোগ করতে পারে।
ক) আইনের শাসন কাকে বলে?
খ) সরকারের জবাবদিহি বলতে কী বোঝায়?
গ) উদ্দীপকের ধারণাটি কিভাবে রাষ্ট্রের জনগণের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ) উদ্দীপকের ধারণাটি কেন বর্তমানে বিশ্বের রাষ্ট্রব্যবস্থায় জনপ্রিয় ধারণা? যুক্তি দাও।

৯। সাইফুল মেধাবী ছাত্র ও খেলোয়াড়। কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সময় তার শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হয়। সংবাদ পেয়ে ছাত্র-শিক্ষকসহ এলাকার মানুষ তার পাশে দাঁড়ায় এবং দীর্ঘ চিকিৎসার পর সাইফুল সুস্থ হয়ে সবার মাঝে ফিরে আসে।
ক) গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ কাকে বলে?
খ) ‘সাম্য ব্যতীত গণতন্ত্র অর্থহীন’—ব্যাখ্যা করো।
গ) উদ্দীপকে বর্ণিত সাইফুলের প্রতি সবার আচরণে কোন মূল্যবোধের প্রকাশ ঘটেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ) সাইফুলের প্রতি সবার এ ধরনের আচরণ সমাজে যে প্রভাব ফেলবে তার বিশ্লেষণ করো।

১০। জনাব মামুন জনপ্রিয় লেখক। তাঁর লেখনীতে দেশের সব জনগোষ্ঠীর ভাষা-সাহিত্য, ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। তিনি আশা করেন ব্যক্তির প্রতিভা বিকাশে সমাজের সবাই এগিয়ে আসবে।
ক) সামাজিক কর্তব্য কাকে বলে?
খ) মানবাধিকার বলতে কী বোঝায়?
গ) জনাব মামুনের লেখনীতে কোন ধরনের অধিকারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ) উদ্দীপকের বর্ণিত অধিকারের নিশ্চয়তা সমাজের উন্নতিতে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে? বিশ্লেষণ করো।

১১। কলেজের অধ্যাপক শিক্ষক আফসার উদ্দিন ছাত্রদের রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্ব সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন। আলোচনার একপর্যায়ে তিনি বলেন, সুযোগ্য নেতৃত্ব ছাড়া কখনো সুসংগঠিত রাজনৈতিক দল গঠন সম্ভব নয় এবং সঠিক নেতৃত্বই পারে একটি জনসমাজকে জাতীয়তাবোধে উদ্বুদ্ধ করতে।
ক) জাতীয়তাবোধ কী?
খ) সম্মোহনী নেতৃত্ব বলতে কী বোঝায়?
গ) কী কী গুণের সমাবেশ ঘটলে সুযোগ্য নেতৃত্ব গঠন সম্ভব? ব্যাখ্যা করো।
ঘ) ‘সুশাসনের সাথে নেতৃত্বের সম্পর্ক খুবই ঘনিষ্ঠ’—উক্তিটির যথার্থতা নির্ণয় করো।


এইচএসসি পৌরনীতি ও সুশাসন প্রথম পত্র মডেল টেস্টের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর
সৃজনশীল অংশের জ্ঞানমূলক (ক) ও অনুধাবনমূলক (খ) প্রশ্নের উত্তর :

ক) রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার কোন নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত?
১। ক) ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত।
খ) দায়িত্বশীল সরকার বলতে কী বোঝায়?
খ) আধুনিক যুগের গণতান্ত্রিক সরকারকেই দায়িত্বশীল সরকার বলে। কেননা গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের সব জনগণের অংশগ্রহণের সুযোগ থাকে। রাষ্ট্রের নাগরিকরা তাদের মূল্যবান ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে দায়িত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠা করে। এ জন্য দায়িত্বশীল সরকার রাষ্ট্রের জনগণের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সংস্কৃতিকসহ সব বিষয়ে উন্নতি সাধনে সক্ষম হয়। এ ব্যবস্থায় আইনের শাসন, জবাবদিহি, স্বাধীন বিচার বিভাগ, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও সর্বোপরি দায়িত্বশীল শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়।

২। ক) জন অস্টিন।
খ) ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবন ধারণের জন্য অভাব ও দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করে অর্থনৈতিক নিরাপত্তার বিধান ও আর্থিক সুযোগ-সুবিধা লাভের অধিকার নিশ্চিত করাকেই অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বলে। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ছাড়া অন্য সব স্বাধীনতাই অনেকটা অর্থহীন হয়ে পড়ে। অর্থনৈতিক স্বাধীনতার মাধ্যমে ব্যক্তির সামর্থ্য ও যোগ্যতা অনুযায়ী জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত হয়। ন্যায্য মজুরি লাভের অধিকার, অবকাশ যাপনের স্বাধীনতা, কর্মের স্বাধীনতাসহ বৃদ্ধ ও অক্ষম অবস্থায় আর্থিক নিরাপত্তা লাভের অধিকারকেই অর্থনৈতিক স্বাধীনতা বলা হয়।

৩। ক) দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়।
খ) একটি রাষ্ট্রের সরকারের আইন, শাসন ও বিচার বিভাগের ক্ষমতা ও কাজকে পৃথক বা স্বতন্ত্র করাকেই ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ নীতি বলা হয়।
সরকারের তিনটি বিভাগ স্বতন্ত্রভাবে গঠিত হবে। প্রতিটি নিজ কর্মক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীন থাকবে। অর্থাৎ এক বিভাগ অন্য বিভাগের কাজে বাধা প্রদান বা হস্তক্ষেপ করবে না। এই নীতি অনুসারে আইন বিভাগ আইন প্রণয়ন করবে, শাসন বিভাগ সেই আইন কার্যকর করবে এবং বিচার বিভাগ সেসব আইনের ব্যাখ্যা দানসহ বিভিন্ন মামলায় প্রয়োগ করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে।

৪। ক) জনমত হচ্ছে কল্যাণকামী, বলিষ্ঠ, যুক্তিভিত্তিক ও সুস্পষ্ট মতামত, যা সরকার ও জনগণকে প্রভাবিত করতে সক্ষম।
খ) রাজনৈতিক সংস্কৃতি বলতে সেসব লক্ষ্য, উদ্দেশ্য, মনোভাব, বিশ্বাস, অনুভূতি ও মূল্যবোধকে বোঝায়, যা মানুষের রাজনৈতিক আচরণ ও মূল্যবোধকে নিয়ন্ত্রণ করে। রাজনৈতিক সংস্কৃতি মূলত একটি রাষ্ট্রের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে। রাজনৈতিক সংস্কৃতি হচ্ছে রাজনৈতিক ব্যবস্থার দর্পণ বা প্রতিচ্ছবি, যা রাজনৈতিক ব্যবস্থার গভীরে প্রবেশ করে এর অন্তর্নিহিত ও মনস্তাত্ত্বিক দিকের প্রকাশ ঘটায়।

৫। ক) আমলাতন্ত্রের জনক হলেন জার্মান সমাজবিজ্ঞানী ম্যাক্স ওয়েবার।
খ) লালফিতার দৌরাত্ম্য বলতে পূর্ববর্তী নিয়মকে অন্ধভাবে অনুসরণ ও অনুকরণ করাকে বোঝায়। আমাদের সমাজে আমলাতন্ত্রের দৌরাত্ম্য, আনুষ্ঠানিকতার বাড়াবাড়ি ও অহেতুক বিলম্ব বোঝাতে মন্দ অর্থেই লালফিতার দৌরাত্ম্য শব্দটি ব্যাপকভাবে প্রচলিত। Red Tapism বা লালফিতা প্রত্যয়টি শপ্তদশ শতাব্দীতে ইংল্যান্ডে প্রচলিত ছিল। সে সময়ে সরকারি ফাইলপত্র লাল রঙের ফিতায় বেঁধে রাখা হতো। তখন থেকেই আমলাতন্ত্রের আনুষ্ঠানিকতা, দীর্ঘসূত্রতা, নিয়ম-কানুনের কড়াকড়ি ও বাড়াবাড়ি বোঝাতে লালফিতার দৌরাত্ম্য কথাটির ব্যবহার শুরু হয়। ফলে সমস্যা সমাধানে বিধি মোতাবেক যথাযোগ্য নিয়মে অগ্রসর হতে গিয়ে সমস্যা আরো জটিল হয়। জনগণের চাওয়া-পাওয়া, আবেদন লালফিতার বাঁধনে আটকা পড়ে থাকে।

৬। ক) জাতি বলতে বোঝায় এমন এক রাজনৈতিক চেতনাসম্পন্ন জনসমাজ, যারা স্বাধীন বা স্বাধীনতাকামী। অন্য ভূগন্ডে বসবাস করতে পারে।
খ) জাতীয়তা নাগরিকত্বের ভিত্তিতে নিরূপিত হয়। জাতীয়তা ও নাগরিকত্ব একটি অপরটির পরিপূরক হলেও নাগরিকত্ব ব্যতীত জাতীয়তা অর্জন সম্ভব নয়। জাতীয়তা একটি দেশের ভূখণ্ডভিত্তিক,

৭। ক) উক্তিটি করেছেন অধ্যাপক ক্লিন্টন বুথ সিলি।
খ) পৌরনীতি নাগরিকের রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য পালন, অধিকার গ্রহণ ও রাষ্ট্রীয় কাজে অংশগ্রহণ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করে। তাই নাগরিকের গণতান্ত্রিক চেতনা বৃদ্ধিতে পৌরনীতি পাঠ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের দেশকে ভালোবাসার শিক্ষা, রাজনৈতিক সচেতনতা বৃদ্ধি, সুনাগরিকতার শিক্ষা লাভসহ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিভিন্ন বিষয় পৌরনীতি পাঠের মাধ্যমে জানা সম্ভব। গণতন্ত্রকে সফল করতে হলে সর্বাগ্রে প্রয়োজন সচেতন নাগরিক আর নাগরিকের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, যা একজন নাগরিক পৌরনীতি পাঠ করে আয়ত্ত করতে পারে।
৮। ক) আইনের শাসন বলতে আইনের প্রাধান্য স্বীকার করা, আইনানুযায়ী শাসন করা ও সবার জন্য একই প্রকার আইনের ব্যবস্থা থাকা।
খ) সরকারের জবাবদিহি বলতে জনগণের কাছে সরকারের দায়বদ্ধতা বা দায়িত্বশীলতাকে বোঝায়। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকার থেকে শুরু করে প্রশাসনের সব স্তরে জবাবদিহি বা দায়বদ্ধতার নীতি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে শাসন বিভাগ বা মন্ত্রিসভাকে আইনসভার কাছে তাদের গৃহীত নীতি, সিদ্ধান্ত ও কাজের জন্য জবাবদিহি করতে হবে। এভাবেই পর্যায়ক্রমে রাষ্ট্রের প্রশাসন ব্যবস্থার বিভিন্ন পর্যায়ে সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিত করা সম্ভব।

৯। ক) গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে যেসব চিন্তাভাবনা, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও সংকল্প মানুষের গণতান্ত্রিক আচার-ব্যবহার ও কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত করে, তাকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বলে।
খ) সাম্য বলতে সেই পরিবেশকে বোঝায়, যেখানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ, নারী-পুরুষ-নির্বিশেষে সব নাগরিকের সমান সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয় এবং সবাইকে সমানভাবে আত্মবিকাশের সুযোগ করে দেওয়া হয়। সাম্য গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রাণস্বরূপ। আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ‘সকল নাগরিক সমান’—এ আদর্শ বাস্তবায়নের চেষ্টা করে। গণতন্ত্র বাস্তবায়ন করতে হলে সাম্য প্রতিষ্ঠা করা ছাড়া বিকল্প নেই। গণতন্ত্রকে সফল করতে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও আইনগত সাম্যসহ সব ধরনের সাম্য প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। তাই বলা যায়, সাম্য ছাড়া গণতন্ত্র অর্থহীন।

১০। ক) সমাজজীবনকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে গড়ে তোলার জন্য নাগরিকরা যেসব কর্তব্য পালন করে সেগুলোকে সামাজিক কর্তব্য বলে।
খ) মানবজীবনে যেসব সুযোগ-সুবিধা ভোগের দাবিদার হয় এবং যা ছাড়া তার ব্যক্তিত্ব বিকশিত হয় না, সেগুলোকেই মানবাধিকার বলা হয়। মানবাধিকার অধিকারেরই একটি বিস্তৃত রূপ, যা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। মানুষ স্বাধীন হয়ে জন্মগ্রহণ করে এবং জন্মগতভাবেই সম-অধিকার ও সমমর্যাদাসম্পন্ন। সুতরাং মানবাধিকার বলতে সেই সব অধিকারকে বোঝায়, যা পৃথিবীর সব মানুষ শুধু মানুষ হিসেবে দাবি করতে পারে। মানবাধিকার কোনো দেশ বা কালের সীমানায় আবদ্ধ নয়, সব দেশের, সব কালের।

১১। ক) জাতীয়তার চেতনায় উদ্বুদ্ধ মানুষের মধ্যে যে ঐক্যের সৃষ্টি হয়, তাকেই জাতীয়তাবোধ বলে।
খ) কোনো বিশেষ নেতা যখন তাঁর বক্তব্য ও কাজ দ্বারা জনগণকে ভীষণভাবে সম্মোহিত, অনুপ্রাণিত ও উদ্বুদ্ধ করতে সক্ষম হন, তখন সেই নেতৃত্বকে সম্মোহনী নেতৃত্ব বা জাদুকরী নেতৃত্ব বলা হয়। সাধারণত সফল রাজনৈতিক নেতৃত্বই সম্মোহনী নেতৃত্বের অধিকারী হয়। সম্মোহনী নেতৃত্বের ভূমিকা জনগণকে মুগ্ধ ও আবেগাপ্লুত করে তোলে। এ ধরনের নেতৃত্বের মাধ্যমে কোনো নেতা তাঁর বক্তব্য, ব্যক্তিত্ব, দূরদৃষ্টি, চারিত্রিক দৃঢ়তা, সাহসিকতা, বুদ্ধিমত্তা, নিরপেক্ষতাসহ নেতৃত্বের অন্য গুণাবলির দ্বারা জনগণকে তাঁর প্রতি আনুগত্য প্রকাশে অনুপ্রাণিত ও উদ্বুদ্ধ করতে পারেন।

শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৯

ভূগোল প্রশ্ন ১ম পত্র


ভূগোল

ভূগোল ১ম পত্রের (বিষয় কোড: ১২৫) সাজেশন, এইচ এস সি পরীক্ষা- ২০১৫ আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট

এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

সোমবার, ২২ জুলাই, ২০১৯

নতুন বিষয়


এই পৃষ্ঠার কাজ চলিতেছে

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি দ্বিতীয় পত্র


অধ্যায় ভিক্তিক প্রশ্ন

ভারতে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা (প্রথম অধ্যায় )

১। একে একে বিজয় নিশানা উড়িয়ে যাচ্ছিলেন জামাল বিন রইছ। উরিড়চর অধিকার করে তিনি রামনদগরের দিকে অগ্রসর হন । সেখাতে তিনি রাজা বিশ্বজিৎ-এর পুত্র সুমন পালকে পরাজিত করে তা অধিকার করেন এব্ং বিশ্বজিৎ এর দু কন্যাকে এবং তার স্ত্রীকে বন্দী করেন । এরপর আরও কয়েকটি অঞ্চল অধিকার করেন জামাল-বিন রইছ । তবে এক অসত্য অভিযোগের কারণে জামাল-বিন রইছকে মৃত্যুবরণ করতে হয় ।

ক.খলিফা প্রথম ওয়ালিদ কত খ্রিষ্টাব্দে দামেস্কের সিংহাসনে আরোহন করেন ?
খ.“আরবরা অর্থনৈতিক কারণে ভারতবর্ষে অভিযান প্রেরণ করেছিল” -ব্যাখ্যা কর ।
গ.উদ্দীপকে জামাল-বিন রইছের সাথে মুহাম্মদ বিন কাসিমের ব্রাহ্মণবাদ আরোর মুলতানের পতনের সম্পর্ক নির্ণয় কর।
ঘ.জামাল-বিন রইছের মৃত্যুতে মুহাম্মদ বিন কাসিমের মৃত্যুর ইঙ্গিত পাওয়া যায়’-বিশ্লেষণ কর ।

২। রমেশ যে দেশে বসবাস করত, সে দেশটি সামাজিক ক্ষেত্রে নানা বর্ণে ও শ্রেণিতে বিভক্ত ছিল । রাজনৈতিক ক্ষেত্রে অনৈক্য ছিল প্রকট । এ পরিস্থিতির সুযোগে পার্শ্ববর্তী রাজ্যের সম্রাজ্যবাদী শাসক তার একজন তরুন সেনাপতির নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে দেশটি করায়্ত্ত করেন । কিন্তু সেখানে বিজয়ী শক্তির দীর্ঘস্থায়ী শাসন ব্যবস্থা কায়েম করা সম্ভব হয়নি । তবে এ বিজয়ের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ফলাফল ছিল গভীর ও সুদুরপ্রসারী ।

ক.সুলতান মাহমুদ কোন রাজবংশের শাসক ছিালেন ?
খ.ভারতবর্ষকে ‘নৃতত্বের জাদুঘর ’বলা হয় কেন ?
গ.উদ্দীপকের সেনাপতির সাথে তোমার পাঠ্যবইয়ের কোন সেনাপতির মিল খুজেঁ পাওয়া যায় ?ব্যাখ্যা কর ।
ঘ.উদ্দীপকের ফলাফল উক্ত সেনাপতির বিজয়ের ফলাফলের আংশিক প্রতিফলন -মন্তব্য কর ।

৩। সুলতান সুলেমান বার বার অন্য একটি দেশে অভিযান পরিচালনা করেন এবং অবশেষে দেশে ফিরে আসেন । অভিাযানে তিনি যে ধনসম্পদ অর্জন করেন তা শিক্ষা বিস্তার ও উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করেন । এক পার্যায়ে তিনি তার রাজ্যেকে একটি সমৃদ্ধশালী রাজ্যে পরিণত করেন।

ক.তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধ কত সালে সংঘটিত হয় ?
খ.সতীদাহ প্রথা কী ? ব্যাখ্যা কর ।
গ.উদ্দীপকে বর্ণিত ঘটনার সাথে তোমার পঠিত কোন শাসকের মিল রয়েছে ? ব্যাখ্যা কর ।
ঘ.উক্ত শাসক শুধু সেনানায়কই ছিলেন না , একটি রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন ’-এ কথাটি ব্যাখ্যা কর ।

৪।অটোমান সুলতান অরখান জেনিসারি বাহিনী গঠন করে বিভিন্ন রাজ্যের অভিযান পরিচালনা করে অর্থসম্পদ লুন্ঠন করে নিজ এলাকার উন্নয়ান ও সৌন্দর্য্ বৃদ্ধি করেন ।সম্প্রতি তারা একটি দ্বীপের সুসজ্জিত ও সরক্ষিত উপসনালয়ের মূল্যবান অর্থসম্পদের সন্ধান পেয়ে অরখান সেটি আক্রমণ ও লুণ্ঠন করেন । স্থানীয় অধিবাসীরা প্রাণপণ চেষ্টা করেও উপসানালয়টিকে লুণ্ঠনের হাত থেকে রক্ষা করতে পারেননি।

ক.সুলতান মাহমুদ কোন রাজবংশের শাসক ছিালেন ?
খ.তরাইনের দ্বিতীয় যুদ্ধের গুারুত্ব ব্যাখ্যা কর।
গ.উদ্দীপকে উল্লিখিত উপসনালয়টি আক্রমণের সাথে সুলতান মাহমুদের কো্ন অভিযানের সাদৃশ্য রয়েছে ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ.উদ্দীপকের অরখানের জেনিসারি বাহিনীর মতো সুলতান মাহমুদও একই উদ্দেশ্যে সম্পদ সংগ্রহ করেন-উক্তিটি মূন্যায়ন কর।

দিল্লির সালতানাত যুগ (দ্বিতীয়-অধ্যায় )

১।খুব কম বয়সেই ক্রীতদাসে পরিণত হয়েছিলেন রফি-বিন সাফওয়ান। কালক্রমে নিজের যোগ্যতা ও মেধাগুণে নিজ দেশের শাসক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন তিনি। একসময় তিনি একটি বংশের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এ বংশের মোট ১১জন শাসক ছিলেন। তবে এদের সবাই দাস ছিলেন না। একই পরিবারেরও ছিলেন না। অনেকের মতে, শাসকদের সবাই একই বংশেরও ছিলেন না।

ক.ইলতুৎমিশের পিতার নাম কী ছিল ?
খ.আরাম শাহের শাসনের ব্যাখ্যা দাও।
গ.রফি-বিন-সফওয়ান ভারতবর্ষের কোন রাজবংশের অনুরূপ রাজবংশ প্রতিষ্ঠা করেছিল ? তার ব্যাখ্যা দাও।
ঘ.পাঠ্যপুস্তকে অনুরূপ একটি বংশকে দাস বংশ বলতে অনেক ঐতিহাসিকই নারাজ মাতামত দাও /বিশ্লেষণ কর।

২।মানুয়ের ব্যস্ততা কর্মপরিধি বাড়তে থাকায় তারা আজ বাজারে যাবার পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছে না । তাই অনলাইন শপিং এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । প্রদিটি পণ্যের দাম র্নিধারিত থাকায় , সঠিক ওজন ও পণ্যের গুণগত মানের নিশ্চয়তা বিধান করায় এ শপিং ব্যবস্থাটির ওপর ক্রেতাদের আস্থা ও বিশ্বাস বৃদ্ধি পাচ্ছে । পণ্যের সনরবরাহ নির্বিগ্নে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা , দ্রব্য সামগ্রীর বিপুল সমাহার ও বৈচিত্র্য থাকায় অনলাইনে শপিং মানুষের সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় করছে ।

ক.খলজি বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে? ১
খ.তৈমুর লং এর ভারত আক্রমনের ফরাফল ব্যাখ্যা কর । ২
গ.উদ্দীপকে উল্লিখিত অনলাইন শপিং এর সাথে সুলতান আলাউদ্দিন খলজির মূল্য নিয়ন্ত্রন পদ্ধতির মিল কোথায় ? ব্যাখ্যা কর । ৩
ঘ.তুমি কী মনে কর ,অনলাইন শপিং ফলপ্রসূ করার জন্য গৃহীত পদক্ষেপসমূহের মতো সুলতান আলাউদ্দীন খলজিও উক্ত ব্যবস্থা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য বহুবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও । ৪

৩।১৯৪৭ সালে দ্বি-জাতি তত্বের ভিক্তিতে ভারত ও পাকিস্তান নামক দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। মুসলিম জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত অঞ্চলসমুহ নিয়ে পাকিস্তান রাষ্ট গঠিত হয় । পাকিস্তান রাষ্টটি দু ভাগে বিভক্ত করে যথাক্রমে পূর্ব-পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান নামে সংবিধিবদ্ধ করা হয় । পশ্চিম পাকিস্তানের নতুন রাজধানী স্থাপন করা হয় করাচি নগরীতে। তবে রাষ্ট্রের মধ্যস্থলে রাজধানী প্রতিষ্ঠা ,প্রশাসনিক সুবিধা আবহাওয়াাগত সুবিধা ও জনগণের দবির প্রেক্ষিতে করাচি থেকে ইসলামাবাদে রাজধানী স্থাপন করা হয়।

ক.তুঘলক বংশের শ্রেষ্ঠ শাসকের নাম কি ?
খ.মোহাম্মদ বিন তুঘলকে কেন যুগের বিস্ময় বলা হয়।
গ.করাচি থেকে ইসলামাবাদে রাজধানী স্থানান্তরের সাথে তোমার পঠিত মুহাম্মদ বিন তুঘলকের রাজধানী স্থানান্তর পরিকল্পনার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ.উদ্দীপকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ শাসক মুহম্মদ বিন তুঘলকের রাজধানী স্থানন্তর পরিকল্পনার বাস্তবায়ন দুরূহ ছিল-বিশ্লেষণ কর ।

৪। মি. অ্যালেক্স উত্তরাধিকার সুত্রে এক বিশাল সাম্রাজ্যের অধিপতি হন। ক্ষমতা গ্রহনের পর তিনি লক্ষ করলেন অভ্যন্তরীন ও বহি:শত্রুর আক্রমনে সম্রাজ্যের অস্তিত্ব হুমকির সম্মুক্ষীন । তিনি নিজেকে ঈশ্বরের প্রতিনিধি বলে ঘোষনা করেন । সেনাবাহিনী পূর্ণরগঠন করেন। তাঁর এ পদক্ষেপ সম্রাজ্যের সংহতির জন্য সহায়ক হয় । তিনি দীর্ঘদিন দাপটের সাথে শাসনকার্য পরিচালনায় সক্ষম হন।

ক.কার নামানুসারে কুতুবমিনার নামকরণ করা হয় ।
খ.ক্ষমতা গ্রহণের পর ইসতুৎমিশের সমস্যা চিহ্নিত কর ।
গ.উদ্দীপকের সাথে দাস বংশের কোন শাসকের কর্মকান্ডের মিল রয়েছে ?ব্যাখ্যা কর ।
ঘ.উক্ত শাসকের পদক্ষেপ সালতানাতের ভিক্তি দুদৃঢ় করেছিল মন্তব্য কর ।

৫। জনাব আলিম এক সংকটাপন্ন অবস্থায় অনিচ্ছা সত্বেও দেশের শাসনক্ষমতা গ্রহণ করেন। তিনি কর আদায়ে ্দারতা ও যুদ্ধ অপেক্ষা শান্তিতে বিশ্বাসী ছিলেন । তিনি কর্মসংস্থান এবং কন্যা দায়গ্রস্ত পিতাদের প্রতি সহায়তাদানসহ বহু জনহিতকর কাজ সম্প্রাদন করেন । এতে রাজকোষের ঘাটতি দেখা দিলেও একজন প্রাজাহিতৈষী শাসক হিসেবে তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন ।

ক.‘ভারতের তোতাপাখি ’ কাকে বলা হয় ?
খ.মালিক কাফুরের খ্যাতির কারণ কী?
গ.উদ্দীপকের শাসকের সাথে তুঘলক বংশের কোন শাসকের সাদৃশ্য রয়েছে ?ব্যাখ্যা কর ।
ঘ.উদ্দীপকের আলোকে উক্ত শাসকের সংস্কার কর্মকান্ড মূল্যায়ন কর ।

৬। ইনসান আলি বাল্যকাল থেকে সাহসী, মেধাবী ও ধর্মপরায়ণ ছিলেন । পরাধীন দেশে স্বজাতির নানা অসংগতি দেখে তিনি ব্যাথিত হন । বিদেশি শাসকগোষ্ঠীর শোষণে ও অত্যাচারে তিনি প্রতিবাদী হয়ে ওঠেন । জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে তিনি বিদেশি শক্তির বিনাশে সশস্ত্র সংগ্রামে জড়িয়ে পড়েন। তিনি স্বদেশকে পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্তির লক্ষ্যে দলবলসহ জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে লড়াই চালিয়ে যান। তার এ সংগ্রাম ব্যার্থ হলেও পরবর্তী প্রজন্মকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্দীপ্ত করে ।

ক.আরবি কোন শব্দ হতে ‘ফরায়েজি’ শব্দের উৎপত্তি হয়েছে ।
খ.ফরায়েজি আন্দোলন ব্যার্থ হয় কেন?
গ.উদ্দীপকের চরিত্রের সাথে উনবিংশ শতকের বাংলার কোন নেতার মিল পাওয়া যায় ?ব্যাখ্যা কর ।
ঘ.উদ্দীপকের আলোকে উক্ত নেতার সংগ্রামী জীবনের তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর ।

৮। গ্রীক সম্রাট আলেকজান্ডার দি গ্রেট বিজেতা হিসেবে ইতহাসে বিখ্যাত হয় আছেন তাঁর জিত রাজ্যগুলোর মধ্যে পারস্য বিজয় অন্যতম ।স্বীয় সামরিক শ্রেষ্ঠত্ব প্রদর্শন ,সীমান্ত সুরক্ষা ,ধন-সম্পদ সংগ্রহ প্রভৃতি কারণে তিনি পারস্য অভিযানে উদ্ভুদ্ধ হয়েছিলেন । পারস্য বিজয়ের পর তিনি উহাকে স্বীয় সম্রাজ্যভুক্ত করলে পারসিকদের সাথে গ্রিকদের রাজনৈতিক,সামাজিক,অর্থনৈতিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বন্ধন দৃঢ় হয় এবং উভয় জাতিসত্বার সংমিশ্রণে এক নতুন জাতিসত্বার উদ্ভব ঘটে ।

ক.আরবগণ কত সালে সিন্ধু অভিযান করে?
খ.সিন্ধু অভিযানের প্রত্যক্ষ কারণ ব্যাখ্যা কর ।
গ.উদ্দীপকে উল্লিখিত পারস্য অভিযানের কারনসমূহের সাথে তোমার পঠিত আরবদের সিন্ধু আভিযানের তুলনা কর ।
ঘ.গ্রিক পারসিক সভ্যতার সংমিশ্রণ অপেক্ষা আরব জাতি ও ভারতবর্ষের জনজীবনে পারস্পরিক প্রভাব গুরুত্বপূর্ণ ছিল-বিশ্লেষণ কর ।

৯। মিশরের মামলুক বংশের সুলতান সাইফুদ্দীন কালাউন বাল্যকালে দাস ছিলেন । স্বীয় প্রজা,বিদ্রোহ দমন ,সামরিক দক্ষতা , আত্নবিশ্বাস,রাজ্যবিস্তার ,ও রাজনৈতিক দুরদর্শিতার কারণে তিনি মিশরের মামলুক বা দাস বংশের শ্রেষ্ঠ শাসকের মর্যাদা লাভ করেন । তাঁর জনহিতকরণ কার্যাবলির জন্য তিনি ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছেন ।

ক.আল বেরুনী কে ছিলেন ?
খ.সুলতান রাজিয়ার রাজ্যশাসন পদ্ধতির বর্ণনা দাও।
গ.উদ্দীপকে উল্লেখিত শাসকের সাথে তোমার পঠিত দাস বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা সুলতান শামসুদ্দিন ইলতুৎমিশের কর্মকান্ডের সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর । ঘ.উদ্দীপকে বর্ণিত সুলতানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভারতীয় মামলুক সুলতান শামসুদ্দিন ইলতুৎমিশের কর্মকান্ড অধিকতর অগ্রগামী ছিল -বিশ্লেষণ কর ।

১০।১৯৪৭ সালে দ্বি-জাতি তত্বের ভিক্তিতে ভারত ও পাকিস্তান নামক দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হয়। মুসলিম জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত অঞ্চলসমুহ নিয়ে পাকিস্তান রাষ্ট গঠিত হয় । পাকিস্তান রাষ্টটি দু ভাগে বিভক্ত করে যথাক্রমে পূর্ব-পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান নামে সংবিধিবদ্ধ করা হয় । পশ্চিম পাকিস্তানের নতুন রাজধানী স্থাপন করা হয় করাচি নগরীতে। তবে রাষ্ট্রের মধ্যস্থলে রাজধানী প্রতিষ্ঠা ,প্রশাসনিক সুবিধা আবহাওয়াাগত সুবিধা ও জনগণের দবির প্রেক্ষিতে করাচি থেকে ইসলামাবাদে রাজধানী স্থাপন করা হয়।

ক.তুঘলক বংশের শ্রেষ্ঠ শাসকের নাম কি ?
খ.মোহাম্মদ বিন তুঘলকে কেন যুগের বিস্ময় বলা হয়।
গ.করাচি থেকে ইসলামাবাদে রাজধানী স্থানান্তরের সাথে তোমার পঠিত মুহাম্মদ বিন তুঘলকের রাজধানী স্থানান্তর পরিকল্পনার সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ.উদ্দীপকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ শাসক মুহম্মদ বিন তুঘলকের রাজধানী স্থানন্তর পরিকল্পনার বাস্তবায়ন দুরূহ ছিল-বিশ্লেষণ কর ।

১১।অটোমান সুলতান বায়েজিদ অত্যন্ত জনপ্রিয় শাসক ছিলেন। তাঁর সমাজ্য ছিল সুখ ও সমৃদ্ধিতে ভরপুর ,দয়া দাক্ষিণ্যে তিনি ছিলেন মুক্তহস্ত। বিদ্বান ও পন্ডিতদের তিনি নিয়মিত ভাতার ব্যবস্থা করেন ।তিনি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও শিক্ষকদের বিশেষ ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা। তাঁর আমলে সম্রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে দুস্থদের মধ্যে বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়। শাসন ব্যবস্থার পূর্ণগঠন, রাজস্ব সংস্কার, রাস্তাঘাট নির্মান,প্রভৃতিতে তিনি দক্ষতার পরিচয় দেন।

ক.বাবরের পিতার নাম কী ? ১
খ.পানিপথের প্রথম যুদ্ধ সম্পর্কে কী জান। ২
গ.অটোমান সুলতান বায়েজীদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ তোমর পঠিত ফিরোজ শাহ তুঘলকের শাসন ব্যবস্থার কীরুপ সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয় , ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ফিরোজ শাহ তুঘলকের শাসন ব্যবস্থা দিল্লির সালতানাতের পতনকে ত্বরান্বিত করেছিল -উক্তিটি বিশ্লেষণ কর। ৪

১২। জনাব ইলিয়াস শাহ একজন জনপ্রিয় শাসক ছিলেন । রাজ্যবিস্তার ,বিদ্রোহ দমন ও সুশান প্রতিষ্ঠার পর তিনি স্থাপত্য শিল্প বিকাশে বিশেষ অবদান রাখেন ।তিনি দেশে অসংখ্য মসজিদ ,রাস্তা-ঘাট ,দূর্গ ,সমাধিসৌধ স্মৃতিসৌধ,,সরাইখানা ,ইত্যাদি নির্মাণ করেন ।

ক.সম্রাট জাহাঙ্গীরের মায়ের নাম কী ? ১
খ.ময়ূর সিংহাসন সম্পর্কে কী জান ? ২
গ.উদ্দীপকে উল্লিখিত ইলিযাসশাহের সাথে তোমার পঠিত মোঘল সম্রাট শাহ্জাহানের স্থাপত্যিক কর্মকান্ডের কীরূপ সাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়,ব্যাখ্যা কর। ৩
ঘ.উদ্দীপকের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ মোঘল সম্রাট শাহ্জাহানকে ‘ The prince of builders ’'উপাধি দেবার যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ কর। ৪

১৩। বিবিসি ওয়ার্ল্ড টিভি চ্যানেল একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছিল। ভিডিওতে উত্তর আমেরিকা অঞ্চলের জনগনের সংগ্রামের ঘটনা দেখানো হয় । ঐ অঞ্চলের জনগনের সাহস বুদ্ধি ও সম্পদ থাকা সত্বেও সরকারের বৈষম্যনীতির ফলে তারা চাকরি শিক্ষাদীক্ষা ও অর্থনৈতিকসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বঞ্চিত ছিল । তাদের বঞ্চনা ও শোষণের হাত হতে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসেন এক অবিসংবাদিত আপোষহীন নেতা । তিনি বঞ্চিত জনগোষ্ঠির তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তোলেন । তাছাড়া ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলনেও জনগনকে উদ্বুদ্ধ করেন। জনগণের আত্ননিয়ন্ত্রনের অধিকার ও মুক্তির দাবি সমুহ উক্ত মহান নেতা শাসকগোষ্ঠীর নিকট পেশ করেন।

ক.জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কত সালে ছয় দফা কর্ম সূচী পেশ করেন ? ১
খ.বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতির নিকট এত স্মরণীয় কেন? ২
গ.উদ্দীপকে নেতার দাবিনামার সাথে বাংলাদেশের কোন মহান নেতার কর্মসুচীর মিল রয়েছে ? ব্যাখ্যা কর । ৩
ঘ.তুমি কী মনে কর , উক্ত দাবিনামা বাংলাদেশের স্বাধিকার আন্দোলনের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিল ?যুক্তি দেখাও । ৪

১৪।মানুয়ের ব্যস্ততা কর্মপরিধি বাড়তে থাকায় তারা আজ বাজারে যাবার পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছে না । তাই অনলাইন শপিং এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । প্রদিটি পণ্যের দাম র্নিধারিত থাকায় , সঠিক ওজন ও পণ্যের গুণগত মানের নিশ্চয়তা বিধান করায় এ শপিং ব্যবস্থাটির ওপর ক্রেতাদের আস্থা ও বিশ্বাস বৃদ্ধি পাচ্ছে । পণ্যের সনরবরাহ নির্বিগ্নে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা , দ্রব্য সামগ্রীর বিপুল সমাহার ও বৈচিত্র্য থাকায় অনলাইনে শপিং মানুষের সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় করছে । (দ্বিতীয় অধ্যায় )

ক.খলজি বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে? ১
খ.তৈমুর লং এর ভারত আক্রমনের ফরাফল ব্যাখ্যা কর । ২
গ.উদ্দীপকে উল্লিখিত অনলাইন শপিং এর সাথে সুলতান আলাউদ্দিন খলজির মূল্য নিয়ন্ত্রন পদ্ধতির মিল কোথায় ? ব্যাখ্যা কর । ৩
ঘ.তুমি কী মনে কর ,অনলাইন শপিং ফলপ্রসূ করার জন্য গৃহীত পদক্ষেপসমূহের মতো সুলতান আলাউদ্দীন খলজিও উক্ত ব্যবস্থা যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য বহুবিধ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন তোমার উত্তরের পক্ষে যুক্তি দাও । ৪

ভারত উপমহাদেশে মূঘল শাসন (তৃতীয়-অধ্যায় )

১।সম্রাট নিজাম উদ্দিন একজন জনপ্রিয় শাসক।নিজে নিষ্ঠাবান মুসলমান হওয়া সত্বেও তিনি অন্য ধর্মমতের প্রতি সহিষ্ঞু ছিলেন। তিনি তার রাজ্যে বসবাসকারী বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীগণের অনুষ্ঠান ।ভিক্তিক ধর্মীয় আচরণের মতপার্থক্য দুর করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করেন।শাসন পরিচালনায় অন্যান্য ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের সাহায্য লাভের উদ্দেশ্য তিনি সকল ধর্মের সারবস্তু নিয়ে একটি নতুন ধর্মের প্রর্বতন করেন ।

ক.সম্রাট আকবরের পূর্ণ নাম কী ? ১
খ.সম্রাট আকবরের দ্বী-ই-ইলাহি সম্পর্কে কী জান । ২
গ.উদ্দীপকে উল্লিখিত সম্রাট নিজাম উদ্দিনের সাথে তোমার পঠিত বইয়ের মুঘল যুগের কোন শাসকের ধর্মনীতি প্রবর্তনের মিল পাওয়া যায়? ব্যাখ্যা কর।৩
ঘ.আন্ত:ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠাই উক্ত মুঘল শাসকের সাফল্য ও শ্রেষ্ঠত্ব লাভের অন্যতম কারণ -বিশ্লেষণ কর ।{তৃতীয় অধ্যায় } ৪

২। ভাগ্য বিড়ম্বিত যুবক ইরফান্ পৈত্রিকসুত্রে প্রাপ্ত একটি ক্ষুদ্র অঞ্চলের অধিপতি ছিলেন । কিন্তু নিকট আত্নীয়দের ষড়যন্ত্রের কারণে ঐ রাজ্য তার হাতছাড়া হয়ে যায় । এ অবস্থায তিনি অভ্যন্তরীণ দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে পার্শ্ববর্তী রাজ্য আক্রমণ করেন। উন্নত রণনীতিও সমরাস্ত্রের সাহায্যে প্রতিবেশীর বিশাল সৈন্যবাহিনীকে যুদ্ধে পরাজিত করেন ।অত:পর ঐ রাজ্যের ধ্বংসস্তুপের ওপর একটি নতুন সাম্রাজ্যের ভিক্তি স্থাপন করার গৌরব অর্জন করেন ।

ক.‘হুমায়ূন’ শব্দের অর্থ কী ?
খ.মুঘলদের পরিচয় ব্যাখ্যা কর ।
গ.উদ্দীপকের সাথে ভারতবর্ষের কোন শাসকের মিল খুজেঁ পাওয়া যায ? ব্যাখ্যা কর ।
ঘ.উদ্দীপকের আলোকে উক্ত শাসকের কৃতিত্ব মুল্যায়ন কর ।

« 1 2 3 4 »