লেনিন
জন্ম [১৮৭০-১৯২৩]
পূরু নাম ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানফ ।যদিও তিনি বিশ্বের সমস্ত মানুষের কাছে পরিচিত ভিন্ন নামে । রুশ বিপ্লবের প্রাণ পুরুষ ভি , গাই লেনিন । জারের পুলিশকে ফাঁকি দেবার জন্য তিনি ছদ্মনাম নেন লেনিন। লেলিনের জন্ম রাশিয়ার এক শিক্ষিত পরিবারে ১৮৭০ সালে ২২শে এপ্রিল (রাশিয়ার এক পূরুনো ক্যালেন্ডার অনুসারে ১০ই এপ্রিল।) লেনিনের পিতামাতা থাকতের ভল্লা নদীর তীরে সিমবিস্ক শহরে।ছয় ভাইবোনের মধ্যে লেনিন ছিলেন তৃতীয় ।লেনিনের বাবা ইলিয়াম অস্ত্রাকান ছিলেন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান।
ছয়টি সন্তানের উপরেই ছিল বাবা-মায়ের প্রতক্ষ্য প্রভাব । তবে লেলিনের জীবনে যার প্রভার বেশি তিনি লেনিনের বড়ভাই আলেকজান্ডার। আলেকজান্ডার ছিলেন সেন্ট পির্টাসবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র । তিনি “নারোদনায়া ভোলিয়ার “নামে এক বিপ্লবী সংগঠনের সভ্য হিসাবে গোপনে রাজেনৈতিক আন্দোলনের সাথে জড়িয়ে পড়েছিলেন।
“নারোদনায়া ভোলিয়ার “বিপ্লবী দলের সদস্যরা স্থির করলেন জার তৃতীয় আলেকজান্ডারকেও হত্যা করা হবে । লেনিনের ভাই আলেকজান্ডারও এই পরিকল্পনার সাথে যুক্ত হলেন। এই সময় (১৮৮৬সালে ) লেনিনের বাবা হঠা্ৎ মারা গেলেন। যখন পরিকল্পনা চুরান্ত পর্যায়ে তখন জারের গুপ্তচর বিভাগের লোকজন সব কিছু জনতে পেরে গেল । অন্য সকলের সাথে আলেকজান্ডারও ধরা পরে গেলেন । বিচারে অন্য চারজনের সাথে তার ফাঁসি হল ।
বড় ভাইয়ের মৃত্যু লেনিনের জীবনে একটি বড় আঘাত হয়ে এসেছিল । এই সময়ে লেনিনের বয়স মাত্র সতেরো । তিনি স্থির করলেন তিনি বিপ্লবী আন্দোলনে যুক্ত হবেন। ছেলেবেলা থেকেই পড়াশুনায় ছিল তার গভীর আগ্রহ আর মেধা ্ প্রতিটি পরীক্ষায় ভাল ফল করে ভর্তি হলেন কাজান বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে । সেই সময় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল একটি বিপ্লবী কেন্দ্র।
১৮৮৭ সালে ৪ঠা ডিসেম্বর ছাত্রদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ছাত্রদের একটি বিরাট সভা হল। সেই সভার নেতৃত্বের ভার ছিল লেনিনের উপর । এই কাজের জন্য তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করা হল। শুধু তাই নয় , পাছে তিনি নতুন কোন আন্দোলন শরু করেণ সেই জন্য ৭ই ডিসেম্বর তাকে কাজানের গভর্নরের নির্দেশে কোফুশনিকো নামে এক গ্রামে নির্বাসন দেওয়া হল।
এক বছরের নির্বাসন শেষ হল । লেনিন ফিরে এলেন কাজান শহরে । তার ইচ্ছা আবার পড়াশুনা শরু করবেন।কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অনুমতি দেওয়া হল না।
কাজানে ছিল একটি বিপ্লবী পাঠচক্র । তার সকল সদস্যরাই মার্কসবাদের চর্চা করত ,পড়াশুনা করত,লেনিন এই পাঠচক্রের সদস্য হলেন এখানেই তিনি প্রথম মার্কসীয় দর্শনের সাথে গভীরভাবে পরিচিত হলেন।
এদিকে তার পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমশই খারাপ হয়ে আসছিল । বাধ্য হয়ে উলিয়ান পরিবারের সদস্যরা এলেন মফঃস্বল অঞ্চল। সামারায় এসে লিনিন স্থির করলেন তিনি আইনের পরীক্ষা দিবেন । বছরের পাঠক্রম মাত্র দের বছরে শেষ করে তিনি সেন্ট পিটার্স বুর্গ পরীক্ষা দিতে গেলেন। এ পরীক্ষার ফল বার হওয়ার পর দেখা গেল লেনিন প্রথম স্থান অধিকার করেছেন।
১৮৯২ সাল নাগাদ তিনি সামারা কোর্টে আইনজীবী হিসাবে যোগ দিলেন।কিছুদিনের মধ্যেই বুঝতে পারলেন সামারা বা কাজান তার কাজের উপযুক্ত জায়গা নয়। অইনের ব্যবসাতেও মনোয়োগী হতে পারছিলেন না সামারা ছেড়ে এলেন সেন্ট পিটার্সবুর্গে।
লেনিন লিখলেন তার প্রথম প্রবন্ধ “জনসাধারণের বন্ধুরা কিরকম এবং কিভাবে তারা সোসাল ডেমক্রেটদের বিরুদ্ধে লড়াই করে। “
।
ছয়টি সন্তানের উপরেই ছিল বাবা-মায়ের প্রতক্ষ্য প্রভাব । তবে লেলিনের জীবনে যার প্রভার বেশি তিনি লেনিনের বড়ভাই আলেকজান্ডার। আলেকজান্ডার ছিলেন সেন্ট পির্টাসবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র । তিনি “নারোদনায়া ভোলিয়ার “নামে এক বিপ্লবী সংগঠনের সভ্য হিসাবে গোপনে রাজেনৈতিক আন্দোলনের সাথে জড়িয়ে পড়েছিলেন।
“নারোদনায়া ভোলিয়ার “বিপ্লবী দলের সদস্যরা স্থির করলেন জার তৃতীয় আলেকজান্ডারকেও হত্যা করা হবে । লেনিনের ভাই আলেকজান্ডারও এই পরিকল্পনার সাথে যুক্ত হলেন। এই সময় (১৮৮৬সালে ) লেনিনের বাবা হঠা্ৎ মারা গেলেন। যখন পরিকল্পনা চুরান্ত পর্যায়ে তখন জারের গুপ্তচর বিভাগের লোকজন সব কিছু জনতে পেরে গেল । অন্য সকলের সাথে আলেকজান্ডারও ধরা পরে গেলেন । বিচারে অন্য চারজনের সাথে তার ফাঁসি হল ।
বড় ভাইয়ের মৃত্যু লেনিনের জীবনে একটি বড় আঘাত হয়ে এসেছিল । এই সময়ে লেনিনের বয়স মাত্র সতেরো । তিনি স্থির করলেন তিনি বিপ্লবী আন্দোলনে যুক্ত হবেন। ছেলেবেলা থেকেই পড়াশুনায় ছিল তার গভীর আগ্রহ আর মেধা ্ প্রতিটি পরীক্ষায় ভাল ফল করে ভর্তি হলেন কাজান বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে । সেই সময় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল একটি বিপ্লবী কেন্দ্র।
১৮৮৭ সালে ৪ঠা ডিসেম্বর ছাত্রদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ছাত্রদের একটি বিরাট সভা হল। সেই সভার নেতৃত্বের ভার ছিল লেনিনের উপর । এই কাজের জন্য তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করা হল। শুধু তাই নয় , পাছে তিনি নতুন কোন আন্দোলন শরু করেণ সেই জন্য ৭ই ডিসেম্বর তাকে কাজানের গভর্নরের নির্দেশে কোফুশনিকো নামে এক গ্রামে নির্বাসন দেওয়া হল।
এক বছরের নির্বাসন শেষ হল । লেনিন ফিরে এলেন কাজান শহরে । তার ইচ্ছা আবার পড়াশুনা শরু করবেন।কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অনুমতি দেওয়া হল না।
কাজানে ছিল একটি বিপ্লবী পাঠচক্র । তার সকল সদস্যরাই মার্কসবাদের চর্চা করত ,পড়াশুনা করত,লেনিন এই পাঠচক্রের সদস্য হলেন এখানেই তিনি প্রথম মার্কসীয় দর্শনের সাথে গভীরভাবে পরিচিত হলেন।
এদিকে তার পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমশই খারাপ হয়ে আসছিল । বাধ্য হয়ে উলিয়ান পরিবারের সদস্যরা এলেন মফঃস্বল অঞ্চল। সামারায় এসে লিনিন স্থির করলেন তিনি আইনের পরীক্ষা দিবেন । বছরের পাঠক্রম মাত্র দের বছরে শেষ করে তিনি সেন্ট পিটার্স বুর্গ পরীক্ষা দিতে গেলেন। এ পরীক্ষার ফল বার হওয়ার পর দেখা গেল লেনিন প্রথম স্থান অধিকার করেছেন।
১৮৯২ সাল নাগাদ তিনি সামারা কোর্টে আইনজীবী হিসাবে যোগ দিলেন।কিছুদিনের মধ্যেই বুঝতে পারলেন সামারা বা কাজান তার কাজের উপযুক্ত জায়গা নয়। অইনের ব্যবসাতেও মনোয়োগী হতে পারছিলেন না সামারা ছেড়ে এলেন সেন্ট পিটার্সবুর্গে।
লেনিন লিখলেন তার প্রথম প্রবন্ধ “জনসাধারণের বন্ধুরা কিরকম এবং কিভাবে তারা সোসাল ডেমক্রেটদের বিরুদ্ধে লড়াই করে। “
।